ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আমল

Spread the love

মুসলমান হিসেবে আমরা জানি, এ পার্থিব জীবন একটি পরীক্ষামাত্র। আমরা বিশ্বাস করি- জীবনে চলার পথে কখনো কখনো আমাদেরকে চিন্তায় পড়তে হয়, ভাবতে হয়; তবে আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের এ চিন্তা যেনো আধিক্যের কারণে কখনো দুশ্চিন্তায় পরিণত না হয়। আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার সর্বোত্তম উপায় হলো আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া।

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন দ্বালা’য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকেও আপনার আশ্রয় চাই।

ইসলাম বলে- একমাত্র আল্লাহই আমাদের সকল দুশ্চিন্তা, হতাশা ও কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারেন। তিনিই হচ্ছেন সব নিরাময়ের উৎস। এ পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তার সবটাই আল্লাহর ইশারায় ঘটে। 

মুক্তির আমল –  ডিপ্রেশন

অ্যাঙ্কজাইটি বা দুশ্চিন্তা বলতে অনিশ্চয়তা কিংবা আতঙ্ক থেকে সৃষ্ট অতিরিক্ত ভয়কে বোঝায়; যা মানুষের মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনের উচ্চচাপ সৃষ্টি করে। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কখনো কখনো আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত দুশ্চিন্তার সঙ্গে যোগ হয় তীব্র মাথা ব্যথা, পেশিবেদনা ও আতঙ্ক ব্যাধিসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। 

কখনো কখনো অযাচিত ভয় ব্যক্তির দুশ্চিন্তার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এরকম কিছু সাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক হলো পড়ে যাবার ভয়,কারো দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় কিংবা কাজে বিফল হওয়ার ভয় ইত্যাদি।

দুশ্চিন্তা দূর করার ১০ আমল

মানসিক অস্থিরতা মানুষের নিত্যসঙ্গী। তাই বিপদ-আপদ এলে আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চাইতে। বিপদ-দুর্বিপাক আল্লাহর পক্ষ থেকে যেমন পরীক্ষা; তেমনি রহমতও হতে পারে। বিপদাক্রান্ত হওয়ার পরও যদি গুনাহ বেড়ে যায় এবং আমল কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে— যে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব।

পক্ষান্তরে যদি বিপদ আসার পর আমল বেড়ে যায়, তাহলে বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। কোরআন ও হাদিসের আলোকে দুশ্চিন্তা ও বিপদাপদে ইমানদারের ১০টি করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো—

এক. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি তো মহাক্ষমাশীল। (ফলে) তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে।’ (সুরা নুহ, আয়াত : ৭১)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২০)

আরও পড়ুন

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় কি ? বিস্তারিত জানতেভিজিট করুন

ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয় বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

দুই. অধিক হারে দরুদ পাঠ

হাদিসে এসেছে, উবাই ইবন কাব (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার ওপর অধিক হারে দরুদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরুদ পাঠে ব্যয় করব? রাসুল (সা.) বলেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরও বাড়াও তবে ভালো। 

আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বলেন, তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরও বৃদ্ধি করলে তাও ভালো। আমি বললাম, দুই-তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা; তবে আরও বাড়ালে তাও ভালো। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার ওপর দরুদ পাঠে লাগাব? তিনি বলেন, তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৭)

তিন. আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা পোষণ

তার ওপর ভরসা রাখুন। আশা রাখুন যে তিনি আপনাকে আপনার দুরবস্থা থেকে নাজাত দেবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আমি সেরূপ, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৯০১)

চার. ভালো-মন্দে তাকদিরে বিশ্বাস রাখা

কেননা তাকদিরের ওপর পূর্ণ আস্থাবান ব্যক্তিকে দুশ্চিন্তা কাবু করতে পারে না। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্লেশ দিলে তিনি ছাড়া তা মোচনকারী আর কেউ নেই। আর আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান, তাহলে তার অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই …।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ১০৭)

পাঁচ. চিন্তায় পরিবর্তন নিয়ে আসা

নিজের চেয়ে নিচের মানুষদের অবস্থার দিকে তাকান। ভাবুন, আল্লাহ আপনাকে তার থেকে ভালো রেখেছেন। মনোবিজ্ঞানীরাও ডিপ্রেশনের চিকিৎসা হিসেবে রোগীকে এভাবে চিন্তা করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। মহানবী (সা.) দেড় হাজার বছর আগেই চিকিৎসার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন।

হাদিসে এসেছে, খাব্বাব (রা.) বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করলাম এ অবস্থায় যে তিনি কাবাঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না? 

জবাবে তিনি বলেন, ‘তোমাদের জানা উচিত, তোমাদের আগের মুমিন লোকেদের এই অবস্থা ছিল যে একজন মানুষকে  ধরে আনা হতো, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে পুঁতে রাখা হতো। অতঃপর তার মাথার ওপর করাত চালিয়ে তাকে দুই খ- করে দেওয়া হতো এবং দেহের গোশতের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনি চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। কিন্তু এই কঠোর পরীক্ষা তাকে তার দ্বীন থেকে ফেরাতে পারত না। (বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬)

ছয়. সালাতুল হাজাত পড়া

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, তখন তিনি নামাজে মগ্ন হতেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও…।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আল্লাহর সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করাকে ‘সালাতুল হাজত’ বলা হয়।  (ইবনু মাজাহ, হাদিস ১৩৮৫)

হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়।’ ফরজ নামাজের রাকায়াত সংখ্যা এবং সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকায়াত সংখ্যা নেই এবং সময়ও নেই।

সালাতুল হাজাত বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’— একটি বিশেষ নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ।

সাত. পরকালের বিপদের কথা স্মরণ করা

দুনিয়ার বিপদ-আপদ আপনার জন্য পরকালের বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার কারণ হতে পারে। আর পরকালের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির তুলনায় দুনিয়ার বিপদ-আপদ খুবই নগণ্য। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা পৃথিবীতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক প্রভাত অবস্থান করেছে।’ (সুরা নাজিআত, আয়াত : ৪৬)

হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বাহুমূল আকড়ে ধরে বললেন, ‘দুনিয়ায় (জীবন) এমনভাবে কাটাও, যেন তুমি একজন পথিক বা মুসাফির।

এ কারণেই…

হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রায়ই বলতেন, ‘তুমি যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে; তখন সকালের জন্য অপেক্ষা করো না। আর যখন সকাল হয়ে যায়, তখন সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করো না। সুস্বাস্থ্যের দিনগুলোতে রোগ-ব্যাধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো। আর জীবিত থাকাকালে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’ (বুখারি)

মৃত্যুর প্রস্তুতিই মানুষকে দুনিয়ার সব অন্যায় অপরাধ থেকে মুক্ত রাখে। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করে। তাই দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনকে কোনোভাবে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।

আট. অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা

মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন ব্যক্তি কখনো একই গর্তে দুবার পতিত হয় না।’ (বুখারি)। অর্থাৎ, মুমিন ব্যক্তি একবার প্রতারিত হলে দ্বিতীয়বার তা করে না।

সঠিক পথ গ্রহণ এবং ভুল পদ্ধতি এড়ানোর জন্য অভিজ্ঞতা মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। যিনি যত বেশি কাজ করেন, তিনি তত বেশি অভিজ্ঞ।কাজের মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়। আলি (রা.) বলেন, ‘নৈতিক নিয়মকানুন শেখানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি। জ্ঞানীদের জন্য অভিজ্ঞতা উপদেশের শ্রেষ্ঠ উৎস। প্রতিটি অভিজ্ঞতার মধ্যে উপদেশ লুকিয়ে থাকে।’

নাহজুল বালাগাহ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষাগ্রহণের বিষয় অসংখ্য, কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক মানুষই শিক্ষাগ্রহণ করে।’ ইমাম জাফর সাদিক (রহ.) তাঁর এক ছাত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেন, ‘পৃথিবী ও তার অধিবাসীদের কাছ থেকে উপদেশ গ্রহণ করো।’

কাজ করার সুবাদে মানুষের অভিজ্ঞতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। 

নয়. ধৈর্য ধারণ করা

মহান আল্লাহ ঈমানদারদের সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা করো এবং সর্বদা আল্লাহর পথে প্রস্তুত থাকো, আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)

ধৈর্যের শাখা : পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী ধৈর্যের তিনটি শাখা রয়েছে— এক. নফসকে হারাম এবং নাজায়েজ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। দুই. ইবাদত ও আনুগত্যে বাধ্য করা এবং তিন. যেকোনো বিপদ ও সংকটে ধৈর্যধারণ করা।

দশ. অস্থিরতা থেকে মুক্তির দোয়া

দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাজাতের উদ্দেশে হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ওই দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ুন। রাসুল (সা.) বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে অবগত আছি, কোনো বিপদগ্রস্ত লোক তা পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা তার সেই বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস (আ.)-এর দোয়া। দোয়াটি হলো ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।’

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০৫)

চিন্তা ও পেরেশানির সময় রাসুল (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।’

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পড়তেন। (বুখারি, হাদিস : ২৮৯৩)

3 thoughts on “ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আমল”

Leave a Comment