কথায় আছে-মদের নেশা সর্বনাশা।দীর্ঘদিন ধরে এ্যালকোহল গ্রহনের ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানান মরণব্যাধি।নেশার জগতে পা বাড়ালে মানুষ ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূণ্য করে দেয়। সামাজিক বন্ধন ও সম্মানের কোনো চিন্তাই তার থাকে না।এছাড়াও অর্থনৈতিকভাবেও এটি মানুষের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।তাই সময়মত এই নেশা নিরাময় করা অত্যন্ত জরুরি।
অ্যালকোহল কি?
রসায়নে অ্যালকোহল বলতে এমন সব জৈব যৌগকে বোঝায়, যাদের হাইড্রক্সিল কার্যকারী গ্রুপটি একটি অ্যালকাইল বা অ্যারাইল গ্রুপের কার্বনের সাথে একটি বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে।
অথবা, অ্যালকোহল হলো সে সব যৌগ, যা কিনা হাইড্রোকার্বনের এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমানুকে অনুরূপ সংখ্যক হাইড্রক্সিলমূলক (OH) দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে যা পাওয়া যায়।
যেমনঃCH4(মিথেন) মিথাইল অ্যালকোহল। CH3-CH3(ইথেন) ইথাইল অ্যালকোহল। CH3-CH3-CH3(প্রোপেন) প্রোপোইল অ্যালকোহল।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল বলতে ইথাইল অ্যালকোহলকেই বোঝানো হয়েছে। অন্যান্য অ্যালকোহলের ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ নাম ব্যবহার করলেও অ্যালকোহলের আলোচনায় শুধুমাত্র ইথাইল অ্যালকোহল নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
অপরদিকে অ্যালকোহল শব্দটি আরবি শব্দ “আল-কুহ” থেকে এসেছে। যার অর্থ সাধারণভাবে ইথানল। ইথানল বর্ণহীন এক ধরণের উদ্বায়ী তরল যা গাঁজনের মাধ্যমে আখ থেকে তৈরি করা যায়।
নেশার উপসর্গঃ
যারা নিয়মিত মদ্যপান করে থাকেন, তাঁদের জন্য এই অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন। কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, তা বোঝায় যে সহজে তিনি মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না।যেমনঃ
১) এক দিনও মদ্যপান না করে থাকতে পারেন না,
২) সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেই মদ রাখছেন,
৩) যখন মদ্যপান করছেন না, তখনও মদ নিয়েই ভাবছেন,
৪) মদ্যপান করতে শুরু করলে থামতে পারেন না,
৫) পরিমাণে অনেকটা পান করেন ইত্যাদি।
ইসলামের দৃষ্টিতে অ্যালকোহলঃ
লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও, কিন্তু এগুলোতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি’
(সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)।
কুরআনের এ আয়াতে বলা হয়েছে, মদ ও জুয়াতে যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে কিছু উপকারিতা পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু দু’টির মাধ্যমেই অনেক বড় বড় পাপের পথ উন্মুক্ত হয়, যা এর উপকারিতার তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকর।
এরপর বলা হলো, ‘হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, পূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, এগুলো শয়তানের কার্য। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো’
(সুরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯০)।
সবশেষে আল্লাহ্ বলছেন, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদিগকে আল্লাহর স্মরণে ও নামাজে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?’
(সুরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯১)।
হযরত আনাস রা. বলেন, রসুল সা. মদের সাথে সম্পৃক্ত দশ ব্যক্তিকে লানত করেছেন। ১. মদ প্রস্তুতকরী। ২. মদের ফরমায়েশ দানকারী। ৩. মদ পানকারী। ৪. মদ বহনকারী। ৫. যার কাছে মদ নিয়ে যাওয়া হয় সে ব্যক্তি। ৬. যে মদ পান করায়। ৭. মদ বিক্রেতা। ৮. মদের মূল্য ভোগকারী। ৯. মদ ক্রয়কারী। ১০. যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়।
(মেশকাত ২৭৭৬)
অর্থাৎ ইসলামে মদ্যপান বা অ্যালকোহল পান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
মানবদেহে অ্যালকোহলের প্রভাবঃ
- একটানা অনেকদিন ধরে অনিয়ম করলে তার প্রভাব শরীরের উপর পড়ে। আর এক্ষেত্রে শরীরে খারাপ প্রভাবই কিন্তু হয়।যে খাবার শরীরের জন্য ভাল নয় তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
- মদ্যপান অনেক রকম রোগকে ডেকে আনে।শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়।আর কোনও শারীরিক সমস্যায় পরিস্থিতি দ্রুত হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়।
- মদ্যপান আমাদের স্নায়ুকে অবশ করে দেয়।মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়।
- মদ্যপান ওজনও বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন মদ্যপান করলে ওবেসিটির সমস্যা আসে। যা শরীরের জন্য খুব খারাপ।
- অ্যালকোহল পান করলে মানুষের রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে যে রক্তনালী – সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যার ফলে স্মৃতি লোপ পেতে পারে।
অ্যালকোহল বর্জনের উপায়ঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে মিরাজের রাতে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দেখানো হয়েছে। ‘তিনি মদ, মাদক ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে’ (বুখারি ও মুসলিম, মিরাজ অধ্যায়)। ফিকাহ তথা ইসলামি ব্যবহারিক বিধানমতে মাদক গ্রহণ হারাম হওয়ার পাশাপাশি তা অপবিত্রও। কোনো মুসলমানের মাদক ব্যবহার করা যেমন হারাম, অনুরূপভাবে তা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ করা এবং ক্রয়–বিক্রয় করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
কোন নেশাই রাতারাতি বাদ দেয়া অসম্ভব।উপরন্তু মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ, যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং মাদকসেবী নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। চাইলেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। অর্থাৎ, সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না। তবে নিয়মিত চেষ্টা করলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।যেমনঃ
১) প্রথমেই পরিমাণ কমানোর চেষ্টা না করে, একেবারে মদ্যপান না করে কাটানোর চেষ্টা করতে হবে কয়েকটি দিন। প্রথমে কষ্ট হবে, কিন্তু তার পর সামলেও নেয়া যাবে।
২) দিনের একটি সময়ে খুব বেশি করে মদ্যপানের টান বাড়লে যে কোনও কোমল পানীয় খাওয়া যায়।যত বার মদ্যপান করতে ইচ্ছা করবে, তত বার পানি বা অন্য পানীয় খেতে পারে।
৩) দিনের যে সময়ে সাধারণত মদ্যপান করা হয়, সে সময়ে অন্য কোনও কাজের পরিকল্পনা রাখতে হবে। সময়টি ফাঁকা না রাখা।
৪) শরীরচর্চাও সাহায্য করে মদ্যপানের অভ্যাসে কিছুটা রাশ টানতে।
৫) উপরের উপায়গুলিতে একেবারেই কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।নিয়মিত থেরাপি এবং ওষুধ অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করতে।
সর্বোপরি,ইসলামি মূল্যবোধ ও আল্লাহ্র স্মরণ এবং শাস্তির ভয় মদ বা অ্যালকোহল থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে সহায়তা করে।
অ্যালকোহলের উপকারিতাঃ
অ্যালকোহল ক্ষতিকর হলেও কিছু ক্ষেত্রে এর উপকারিতাও পাওয়া যায়।যেমনঃ
- চিকিৎসায়ঃ অ্যালকোহল থেকে অনেক দুরারোগ্য রোগের পথ্য তৈরি হয়।
- খাদ্য সংরক্ষণেঃ অ্যালকোহল দ্বারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়।
- বাহ্যিক ব্যবহারঃ পারফিউম,সেন্ট,প্রসাধনী,রং বা কালি ইত্যাদি তৈরিতে অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয়।
পরিমিত মদ্যপান কি বিপদমুক্ত?
এর কোন সোজাসুজি জবাব দেয়া কঠিন।কারণ এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে তাদের ফলাফলগুলো পরস্পর বিরোধী।কিছু গবেষণায় বলা হয়, দিনে দুই ইউনিট পর্যন্ত লাল ওয়াইন পান করা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু এ নিয়ে অন্য কিছু বৈজ্ঞানিকের সংশয় আছে।
মোট কথা, অ্যালকোহল পান ইসলামে তো বটেই সর্বসম্মতিক্রমে ক্ষতিকর বলে স্বীকৃত তা সে পরিমিত হোক বা বেশি।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে।মদ্যপানের বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।মাদক নিয়ন্ত্রণ শুধু আইনি ও সামাজিক বিষয় নয়, বরং এটি ইমান ও আমলের সঙ্গে সম্পর্কিত অতীব জরুরি বিষয়।
অ্যালকোহল বা মদ্যপান যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে সাময়িক উপকারি হলেও বস্তুত এর মাধ্যমে বড় বড় পাপের দুয়ার খুলে যায়, যা এর উপকারির তুলনায় ক্ষতিই বেশি।
মদ্যপান ইসলামে তো বটেই সর্বসম্মতিক্রমে ক্ষতিকর বলে স্বীকৃত তা সে পরিমিত হোক বা বেশি।
তাই অ্যালকোহল পান বর্জনীয়।
মদ্যপান কখনোই বরণীয় হতে পারে না। এটা যেমন দেহের ক্ষতি করে পাশাপাশি মানসিক দিক দিয়ে বিপর্যস্ত করে তোলে। এছাড়া ইসলামে মদ্যপান কে হারাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলিমদের জন্য এটি পান করা সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ। তবে অন্য ধর্মের অনুসারীরা মদ্য পান করে থাকে, যা স্বাস্থের জন্য ভালো নয়। এছাড়া যারা এসব নিয়মিত পান করে তাদের সাধারণত বড় ধরনের রোগ বালাই হয়ে থাকে, যা মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।
কথায় বলে মদের-নেশা সর্বনাশা। সুতরাং বলা যায়,এটা কখনোই মানুষের প্রকৃতির সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ নয়।
সার্বজনীন ধর্ম ইসলাম প্রত্যেকটি কল্যাণকর বিষয়ই মানুষের জন্য নির্ধারণ করে।
মূলতঃ হতাশা থেকেই মানুষ মদপান বা নেশা করে থাকে। কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তা মহান রবের সাথে নিবিড় সম্পর্ক মানুষকে এ থেকে মুক্তি দিতে পারে। বিশ্বশান্তি,সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রথমেই সর্বস্তরে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ তৈরির মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূণ্য করে দেয়। সামাজিক বন্ধন ও সম্মানের কোনো চিন্তাই মানুষের থাকে না। ইসলামে মদ্যপান কে হারাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।উপরোক্ত আলোচনা থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে।
অ্যালকোহল বা মদ্যমান মোটেও বরণীয় নয়, এটি বর্জনীয়। মদ্যপানে যে কি পরিমাণ অর্থ ও সময় নষ্ট হয় তা আসলেই হাস্যকর। সেই সাথে মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষতি তো আছেই। আর ইসলামেও এটিকে হারাম করা হয়েছে। বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মদ্যপানের বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উক্ত কন্টেন্টটিতে খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে বিষয়টি। এটি পড়ে অ্যালকোহল সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা পাবে পাঠকরা, ইনশা আল্লাহ।
বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে
কথায় আছে-মদের নেশা সর্বনাশা।দীর্ঘদিন ধরে এ্যালকোহল গ্রহনের ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানান মরণব্যাধি।মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূণ্য করে দেয়। সামাজিক বন্ধন ও সম্মানের কোনো চিন্তাই তার থাকে না।এছাড়াও অর্থনৈতিকভাবেও এটি মানুষের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।তাই সময়মত এই নেশা নিরাময় করা অত্যন্ত জরুরি। অ্যালকোহল পান ইসলামে তো বটেই সর্বসম্মতিক্রমে ক্ষতিকর বলে স্বীকৃত। বিশ্বশান্তি , সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে।মদ্যপানের বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এ্যালকোহল বা মদ্যপান ইসলাম হারাম। মদ্যপান করলে আল্লাহ অখুশি হবেন। আর মদ্যপান হারামের পাশাপাশি এর রয়েছে মারাক্তক ক্ষতিকারক দিক যা এই কন্টেন্টটি পড়লে খুব ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে। কন্টেন্টটি আমার জন্য খুবই উপকারী ছিলো। ধন্যবাদ লেখককে।
এ্যালকোহল বা মদ্যপান ইসলাম হারাম। মদ্যপান করলে আল্লাহ অখুশি হবেন। আর মদ্যপান হারামের পাশাপাশি এর রয়েছে মারাক্তক ক্ষতিকারক দিক যা এই কন্টেন্টটি পড়লে খুব ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে।
শারিরিক সুস্বাস্থ্য, ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ও অর্থনৈতিক সব দিক থেকেই এলকোহল ক্ষতিকর। আমাদের উচিত এলকোহল বর্জন করা।
অ্যালকোহল অবশ্যই বর্জনীয়।অ্যালকোহল মানুষকে জ্ঞানশূণ্য করার পাশাপাশি সামাজিক বন্ধন ও সম্মান নষ্ট করে এবং অর্থনৈতিকভাবেও মানুষের অনেক ক্ষতি করে থাকে।ইসলামে মদ্যপান করা সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ। মদ্যপান করলে মানুষের যে সকল মারাক্তক ক্ষতিকারক দিক আছে তা এই কন্টেন্টটি পড়লে অনেক ভালো ধারনা পাওয়া যাবে।
মাদককে সর্বাবস্থায় না বলুন – এটাই কন্টেন্ট এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। মানবতার কল্যাণে, নিজের কল্যাণে সকল ধরণের মাদক পরিহার করতে হবে।
মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূন্য করে দেয়। মদ্যপানের ফলে মানুষ শারীরিক, সামাজিক, মানসিক সকল দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইসলামে ও এটিকে হারাম বলা হয়েছে। বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে। উক্ত কনটেন্টটিতে মদ্যপানের ক্ষতিকারক দিক গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ লেখককে।
বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে। কন্টেন্ট টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যালকোহল বা মদ্যমান মোটেও বরণীয় নয়, এটি বর্জনীয়। এ্যালকোহল বা মদ্যপান হারাম।ইসলামে মদ্যপান করা সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থ অপচয় হয়।সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদককে অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এককথায় এ্যালকোহল বা মদ্যপান হারাম যা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন।এটা মোটেও বরণীয় নয় বরং মানবজীবনের জন্য ধ্বংসস্বরুপ।
মদ্যপান স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে সাহায্য করে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি মানুষকে মানসিক দিক দিয়েও বিপর্যস্ত করে তোলে। তাছাড়া ইসলামে মদ্যপানকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ আসক্ত হয়ে থাকে তারও সেখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা রয়েছে যার কিছুটা হলেও এই কনটেন্টে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ইসলামে মদ্যপান বা অ্যালকোহল হারাম।দীর্ঘদিন ধরে এ্যালকোহল গ্রহনের ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানান মরণব্যাধি।মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূণ্য করে দেয়।বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মাদক পরিহার করতে হবে।
কথায় আছে-মদের নেশা সর্বনাশা। ইসলামে আছে মধ্যপান করা হারাম। এটা কখনোই মানব জীবনের জন্য কল্যাণময় নয়। দীর্ঘদিন ধরে মধ্যে পান করলে শরীরে নানা রকমের রোগ ব্যাধির বাসা বাঁধে। অ্যালকোহল কখনোই বরণীয় হতে পারে না এটা সর্বদাই বর্জনীয়।
অ্যালকোহল গ্রহনে মানুষের শারীরিক, মানসিক তথা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়াও মাদকাসক্তি মানুষকে জ্ঞানশূন্য করে দেয়। ফিকাহ তথা ইসলামি ব্যবহারিক বিধানমতে মাদক গ্রহণ হারাম হওয়ার পাশাপাশি তা অপবিত্রও। কোনো মুসলমানের মাদক ব্যবহার করা যেমন হারাম, অনুরূপভাবে তা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ করা এবং ক্রয়–বিক্রয় করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তাই আমি মনে করি এটি কোনোবাবেই বরণীয় হতে পারেনা। এটি নিঃসন্দেহে বর্জনীয়।
কথায় আছে-মদের নেশা সর্বনাশা।দীর্ঘদিন ধরে এ্যালকোহল গ্রহনের ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানান মরণব্যাধি।নেশার জগতে পা বাড়ালে মানুষ ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে:
লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও, কিন্তু এগুলোতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি’
(সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)।
হযরত আনাস রা. বলেন, রসুল সা. মদের সাথে সম্পৃক্ত দশ ব্যক্তিকে লানত করেছেন। ১. মদ প্রস্তুতকরী। ২. মদের ফরমায়েশ দানকারী। ৩. মদ পানকারী। ৪. মদ বহনকারী। ৫. যার কাছে মদ নিয়ে যাওয়া হয় সে ব্যক্তি। ৬. যে মদ পান করায়। ৭. মদ বিক্রেতা। ৮. মদের মূল্য ভোগকারী। ৯. মদ ক্রয়কারী। ১০. যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়।
(মেশকাত ২৭৭৬)
অর্থাৎ ইসলামে মদ্যপান বা অ্যালকোহল পান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বস্তরে মদ্যপানের বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উক্ত কন্টেন্টটিতে খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে বিষয়টি। এটি পড়ে অ্যালকোহল সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা পাবে পাঠকরা, ইনশা আল্লাহ।সবশেষে লেখককে ধন্যবাদ।
মদপান কখনোই বরণীয় নয়। সামাজিকভাবে তো বটেই, ইসলামিকভাবে চিন্তা করলেও এটি একটি বর্জনীয় কাজ। এই অ্যালকোহল বা মদপানে যারা আসক্ত তারা তাদের পুরো জীবনটা ধ্বংস করে দেয়। এতে শরীরের ক্ষতিতো হয়ই, সাথে অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয় আর অর্থেরও অপচয় হয়। মদের নেশা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ আর কেন এটা পরিহার করতে হবে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে তা এই লেখাটি খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।
ইসলামে মদ্যপান হারাম।
বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করা জরুরি।
বর্তমান যুবকের মাঝে নেশা করা ডাল ভাতে পরিনত হয়েছে। ধ্বংস মুখে পরছে জীবনব্যাবস্হা। তাইতো এই কন্টেন্ট টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আশির্বাদ সরুপ।