প্যাসিভ আর্নিং করার সেরা উপায়

Spread the love

পাঠকদের জন্য ভিন্নধর্মী একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেটা হল, প্যাসিভ ইনকামের ধারণা নিয়ে। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে আসা যাক।

সোজা ভাষায় প্যাসিভ ইনকমে হলো আমরা একটা সময় যেকোনো কাজ করি আর সেটা মূল্য বা রেভিনিউ আমরা অনেক সময় পর্যন্ত পেতে থাকি কোনো কাজ করা ছাড়াও , আর একটা সময়ের পরে আমাদের সেই কাজের জন্য একটিভ না থাকলেও অর্থ উপার্জন আমাদের হতেই থাকে।

আমরা জানি যে ইনকামের দুটি মাধ্যম রয়েছে সেটা হল, প্যাসিভ ও অ্যাক্টিভ ইনকাম।

খুব সংক্ষেপে প্যাসিভ ইনকাম আর অ্যাক্টিভ ইনকামের মধ্যে পার্থক্য দেখে নেয়া যাক 

অর্থ ইনকামের মাধ্যম মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো, একটিভ ইনকাম। আর অপরটি হলো, প্যাসিভ ইনকাম।

একটিভ ইনকামের চেয়ে, প্যাসিভ ইনকামের ধরনটি অত্যন্ত সহজ। কারণ, এই মাধ্যমটিতে শ্রম কম দিয়ে, অধিক লাভবান হওয়া যায়।

অন্যদিকে, অ্যাক্টিভ ইনকাম করতে শ্রমের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু, একটিভ ইনকামের ক্ষেত্রে লাভ কম‌‌। মূলত, এখানে শ্রম যতক্ষণ, লাভ ও হয় ততক্ষণ।

প্যাসিভ ইনকাম এর ঠিক উল্টো। ইনকাম উভয় দিকেই হয়, তবে একটিভ ইনকামের তুলনায়, প্যাসিভ ইনকামের সুবিধাটা একটু বেশি।

এবার দেখে নেয়া যাক প্যাসিভ আর্নিং করার সেরা উপায়গুলো

ক্যারিয়ার গঠনে কি কি গুণ ও দক্ষতা প্রয়োজন বিস্তারিত জানতে- ভিজিট করুন

1. একটি অ্যাপ তৈরি

সম্ভব হলে আপনি একটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারেন। এতে করে আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত লাভবান হতে পারেন যদি আপনার অ্যাপটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

2. বই লিখা এবং প্রকাশ

বই লিখা প্যাসিভ ইনকামের একটি দারুন উপায়। আপনি যে কোনো বিষয়ে বই লিখতে পারেন যে বিষয় গুলো বর্তমানে অধিক জনপ্রিয়, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ভালো লেখক হতে হবে তা না হলে প্রকাশকারীরা আপনার বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করবেনা। সুতরাং এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

3.অনলাইন সার্ভে

অনলাইন সার্ভে মূলত বিভিন্ন কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের থেকে ফিডব্যাক গ্রহন করতে করে থাকে। এক্ষেত্রে কোম্পানি গুলো সার্ভে পরিচালনায় বেশ কিছু মানুষকে অনলাইনে নিয়োগ করে, সুতরাই এটিও আপনার জন্য হতে পারে আয়ের একটি সুবিধাজনক মাধ্যম।

4. ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আয়

আপনার সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এ যদি অনেক ফলোয়ার থেকে থাকে তবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।

5. অনলাইনে ডিজাইন বিক্রয়

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে আপনি মাইক্রোস্টোক সাইট গুলোতে একাউন্ট ক্রিয়েট করে প্যাসিভ আর্নিং শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এধরনের প্লাটফর্শ গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং প্লাটফর্ম গুলি থেকে সকলের প্রত্যাশাও বাড়ছে।

6. স্টোক ইমেজ সেল

আপনি যদি ছবি তোলার বিষয়ে প্রফেসনাল হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার ছবি গুলো স্টোক সাইট গুলোতে সেল করতে পারেন।

7. ই-বুক রাইটিং

ই-বুক বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে বিশ্বব্যাপি! সুতরাং আপনি এই সেক্টরে দক্ষ হয়ে ভালো প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।

8. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি

আপনি যদি ব্লগিং ভালবেসে থাকেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার কথা ভাবতে পারেন। এর জন্য আপনার বেশী কিছুর প্রয়োজন হবেনা শুধুমাত্র যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করার সক্ষমতা আপনাকে থাকতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এমন ভিডিওগুলো তৈরি করার যে ভিডিওগুলো মানুষকে আনন্দ দেয় কিংবা তাদের প্রয়োজনে আসে।

9. ব্লগ সাইট তৈরি

আপনি যদি টুকটাক লিখতে পছন্দ করেন তবে আপনি একটু ব্লগ সাইট তৈরি করে সেটিতে আর্টিকেল প্রকাশ করে গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন।

10. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনার যদি ধৈর্য পর্যাপ্ত থেকে থাকে তবে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিভিন্ন ব্রান্ড এর প্রোডাক্ট বিক্রয়ে কাজ করতে পারেন। এটিতে তুলনামূলক প্যাসিভ আর্নিং বেশী পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

11. বন্ধুদের আইডিয়া শুনুন এবং বিনিয়োগ করুন

যদি আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে কারো মাঝে ভালো কোনো বিজনেস আইডিয়া থেকে থাকে তবে আপনি তার সাথে পার্টনারশীপ এ কাজ করতে পারেন বা বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনি পরবর্তীতে লাভবান হতে পারেন।

12. ড্রপশিপিং

ড্রপশিপিং বলতে মূলত পন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে নিজের সাইটে বেশী মূল্যে বিক্রয় করার পদ্ধতিতে বোঝায়। এটি থেকেও আপনি প্যাসিভ আর্নিং করতে পারেন।

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত মোবাইলফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল জানতে –ভিজিট করুন

13. অনলাইন ফটো ও ভিডিও সেল করে প্যাসিভ ইনকাম

বর্তমানে ফটো তোলা ,ভিডিও তৈরী করা যেন একটা প্রতিদিন এর রুটিন এর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এটা হয়েছে আমাদের হাতের ওই ছোট্ট ম্মার্টফেোনের জন্য, আমরা সারাদিন কারনে অকারণে অনেক ভিডিও করে থাকি,কিন্তু আপনারা হয়তো  জানেন না আপনার তোলা ফটো গুলো ইন্টারনেট এর জগৎ এ অনেক মূল্যবান ও অনন্য হয়ে উঠতে পারে। আপনার যদি ফটো শট এর প্রতি আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি ভালো তুলতে পারেন সে গুলো কে আপনি ইন্টারনেট এ বিক্রি করে ভালোরকম টাকা রোজগার করতে পারেন।

14 . ডিজিটাল অনলাইন কোর্স

 আপনার মধ্যে যদি এমন কিছু জিনিস এর উপর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেটার উপর ভিক্তি করে একটা অনলাইন কোর্স তৈরী করতে পারেন, কোর্স টি আপনার নিজের একটা ওয়েবসাইট বানিয়েও করতে পারেন বা ইন্টারনেট এ এমনকিছু সাইট আছে যেখানে আপনি কোর্স  ফি ঠিক করে আপলোড করতে পারেন।

15. ক্যাশ-ব্যাক রিওয়ার্ড

শুনতে অবাক লাগলেও ক্যাশ-ব্যাক রিওয়ার্ড হতে পারে একটি প্যাসিভ ইনকাম এর উপায়। অনলাইন বা অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর ক্যাশ-ব্যাক অফার এর দেখা মিলবে। মোবাইল ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে তো ক্যাশ-ব্যাক একটি সাধারণ বিষয়। ক্যাশ-ব্যাক রিওয়ার্ড পয়েন্টের ক্ষেত্রে যে অর্থ ক্যাশ-ব্যাক হিসেবে পাওয়া যায়, সেটিকে আয় করা অর্থের সাথে তুলনা করা চলে। কোনো বাড়তি পরিশ্রম না করেই ক্যাশ-ব্যাক এর অর্থ এভাবে সেভ করতে পারেন। 

Leave a Comment