বেকারত্ব থেকে হতাশা কাটিয়ে উঠা:কাজের অনুসন্ধানের কৌশল 

Spread the love

বেকারত্ব থেকে হতাশা কাটিয়ে উঠতে হলে আগে জানতে হবে,বেকারত্বের কারণ আর বেকারত্ব দূর করার উপায়। 

বেকার বলতে আমরা বুঝি শিক্ষিত বা দক্ষ হয়েও যারা ঘরে বসে আছেন তাদেরকে।বেকারত্বের পিছনে অনেকেরই আছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত। কেউ বলছেন কর্মসংস্থান নেই কেউ বলছেন পছন্দ মতো চাকরি পাচ্ছেন না, কেউবা আবার সরকারি চাকরির জন্য,অনেক সময় ধরে অপেক্ষায় আছেন।

কিন্তু এসবের চেয়ে বড় কথা হলো গবেষকদের মতে  আমাদের বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষা বেকারত্বের একটি বড় কারন।তাই বেকারত্ব দূর করতে আগে মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।বাংলাদেশে বেকারত্বের আরো অনেক কারন রয়েছে যেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করবো

আমাদের দেশে বেকারত্বের অন্যতম কারন :

১.মানসম্মত শিক্ষার অভাব

মানসম্মত শিক্ষা হলো যেটা মানুষের সম্ভাবনাময় বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতাকে বিকশিত করে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ চিন্তা করে রেজাল্ট ভালো করতে হবে।এই রেজাল্ট ভালো করা নিয়ে আমাদের যত চিন্তা। রেজাল্ট ভালো করতে মুখস্থ করে হোক পরীক্ষায় নকল করে হোক যেভাবেই হোক নাম্বার ভালো আনতে হবে নাহলে প্রতিবেশি,আত্নীয়রা কি বলবে। এই প্রতিবেশি, আত্নীয়কে বাদ দিয়ে নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন। এই রেজাল্ট আপনার কি কাজে আসবে সেটা চিন্তা করুন। 

আমরা কখনোই চিন্তা করি না আমি কতটুকু শিখলাম বা ভবিষ্যতে এই পড়া বা এই রেজাল্ট আমার কতটুকু কাজে আসবে।আমাদের আগে বুঝতে হবে শুধু রেজাল্ট দিয়ে যাচাই করে কিছু হবে না কতটুকু শিখছি,সেই শেখা দিয়ে আমি কাজ করতে পারবো কিনা।আমি যা শিখছি সেটা আমার ভবিষ্যৎ এর জন্য কতটুকু কার্যকারি তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

২.অতিরিক্ত জনসংখ্যা 

অতিরিক্ত জনসংখ্যা বাংলাদেশের বেকারত্বের একটি অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু সে অনুপাতে চাকরির বাজার বাড়ছে না।

বাংলাদেশের বেকারত্বের আরো একটি বড় কারণ হলো কারিগরি বা কর্মমুখী শিক্ষার অভাব।এখানে মানুষের প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা থাকলেও কর্মমুখী শিক্ষার জ্ঞান না থাকার কারনে বাস্তব জীবনে তা প্রতিফলিত করার সুযোগ অনেক সংকুচিত হয়ে আছে। 

৩.কৃষি ব্যবস্থা 

বাংলাদেশের আগের কৃষি আর স্বাধীনতার পরের কৃষির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। আগের দিনের গরু দিয়ে হাল চাষের পরিবর্তে এখন আধুনিক পাও্যার টিলার মেশিন চলে আসায় কৃষকের খরচ কিছুটা কমলেও আগে যারা কামলা খাটত তারা এখন কাজ পাচ্ছে না।

বাংলাদেশে বেকার সমস্যার সমাধানের উপায় :

উদ্যোক্তা হওয়া :

নিজ নিজ যায়গা থেকে, নিজের উদ্যোগে কিছু করা। সেইটা খামার হতে পারে, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ প্রকল্প নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।ছোট কোনো ব্যাবসা শুরু করা ।নিজ উদ্দ্যোগে সাহস নিয়ে কাজ করে যেতে হবে,হোক সেটা ছোট কাজ।কাজকে কখনো ছোট মনে করলে চলবেনা।

নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা :

বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ই নারী ।শিক্ষিত এবং বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ অনেক নারীরা এখন কাজ করতে চায়।কিন্তু তারা পারিবারিক ভাবে সামাজিক ভাবে কোনো সাহায্য পায় না। তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া,পারিবারিক ভাবে তাদের পাশে দাড়ানো তাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে।নারীদের জন্য কর্মসংসথানের ব্যাবস্থা করে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে বেকারত্ব দূর করা যায়। 

সময়োপুযোগী  প্রশিক্ষণ : 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে , যুগের চাহিদা কি সেইটা বুঝতে পারলে বেকারত্ব থাকবে না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে নুন্যতম কম্পিউটার  জ্ঞ্যন সম্পন্ন মানুষের চাহিদা অনেক ছিলো কিন্তু এখন সেই চাহিদা আর নেই। কারন পৃথিবি পরিবর্তন হয়েছে, সেই সাথে চাহিদা পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর নুন্যতম জ্ঞ্যান দিয়ে কাজ হবে না। এখন লাগবে গভীর জ্ঞ্যান সম্পন্ন মানুষ। এই জন্য সময়োপোযোগী প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখা জরূরী।

ছোট-বড় যাই করি না কেনো কিন্তু বেকার থাকবো না: 

কারণ বেকারত্ব যেনো এক অভিশাপ।এটা বাক্তি জীবন,সামাজিক জীবন,পারিবারিক জীবন সব কিছুর জন্যই খারাপ প্রভাব ফেলে।এই বেকার থাকার মতো দুর্বিষহ অবস্থা আর নেই।বেকারত্ব অনেক জীবন কেড়ে নেয় হতাশায় পড়ে অনেকেই আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়।পড়াশোনা শেষ করে যখন কোনো ছেলে বা মেয়ে চাকরি না পায় তখনই তার শুরু হয় হতাশা।মনে হয় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত অন্ধকারে ডুবে গেছে।আর যত সময় বাড়ে বিষন্নতা বাড়তেই থাকে।নিজেকে এই বিষন্নতা থেকে দূরে আনতে হবে।বেকারত্ব একটা সমস্যা এই সমস্যা অনেক বড় মনে করে বসে থাকলে চলবে না।মনে রাখতে হবে সব সমস্যাই চেষ্টা করে,বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমাধান করা যায় তাই সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

বেকারত্ব থেকে হতাশা কাটিয়ে উঠা:

 বেকারত্বের সাথে জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে।  তার মধ্যে অন্যতম হলো দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া আর মেজাজ খিটখিটে হওয়া।খিটখিটে মেজাজের জন্য তখন ভালো সম্পর্কগুলো ও খারাপ হয়ে যায়। তখন পছন্দের কাজগুলো করতেও ভালো লাগেনা।এমনো হয় যে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগছে না,বাইরে বের হতে ইচ্ছা করছে না। খাওয়া ঘুম সব কিছুতেই অনিয়ম।ঘুমের অনিয়ম হলে হতাশা, দুশ্চিন্তা আত্নহত্যার মতো ভয়ংকর প্রভাব বাড়তে থাকে।তাই সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

একাকীত্ব দূর করা:  

এসময়ে নিজেকে একা করা যাবে না,সবার সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ একাকীত্ব আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে দেয়,মানসিক শান্তি দূর করে দেয়।আর এভাবে কখনো ভালো কিছু আশা করা যায় না। নতুন কিছু চিন্তা করা,ভালো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করার জন্য  মানসিক শান্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

বই পড়ার অভ্যাস :

বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে।বই মানুষের জ্ঞানের আলো বাড়িয়ে আলোকিত করে।বই আমাদের অনেক বড় বন্ধু।প্রতিদিন বই পড়লে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে,আত্ম সম্মানবোধ তৈরি করে, লেখনী শক্তি বৃদ্ধি করে,স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে, মানুষিক চাপ কমায়,কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে। বই পড়ে বুঝতে চেষ্টা করুন কিভাবে নিজেকে আরো উন্নত করা যায়। 

নিজের পছন্দের কাজ করা: 

বেকার থাকার সময়ে আপনার পছন্দের কাজ করুন। যেটা আপনাকে আত্নবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে এমন কিছু কাজ করুন।সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন কাজে নিজেকে পারদর্শী করুন। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে হিসেবে এগিয়ে চলুন। বিশ্বাস রাখতে হবে সফলতা আসবেই। 

ইতিবাচক চিন্তা করা:

 সব সময় মনে রাখতে হবে একটি চাকরি আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না।বিশ্বাস রাখুন যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে। সামনে আরো ভালো হবে, আমি আবার নতুন করে কিছু করতে পারবো।মনে করুন আমি সময় পেয়েছি নিজেকে আরো দক্ষ  করে করে তোলার। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করে সামনে এগিয়ে যান। ডেল কার্নেগী বলেছেন,”আমাদের জীবন একটাই তাই উপভোগ করো।”

হতাশা দূর করতে ইসলামি আমল:

আমাদের জীবনে যখন খারাপ সময় আসে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ বলেছেন- তিনি আমাদেরকে কস্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন। বেকারত্বও আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সুযোগ। আল্লাহ চান, আপনি তাকে আরও বেশি সময় দিন ও বেশি করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তিনি হয়তো আরও চান, আপনি বেকারত্বের এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে যোগ্যতা অর্জন করুন এবং সাফল্যে পৌঁছানোর পথ বের করুন। আল্লাহ এটা চান না, আপনি বেকারত্বের এই সময়কে হেলায়-ফেলায় কাটিয়ে দিন। বেকার অবস্থায় আপনি এটাও বলতে পারবেন না যে, আল্লাহ যা আমার জন্য নির্ধারিত করেছেন তাই হয়েছে।নাহ,বিশ্বাস রাখতে হবে আমার জন্য ভালো কিছু আছে। আপনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট থাকে না। তাই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেষ্টা চালিয়ে যান আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ। 

কাজের অনুসন্ধানের কৌশল :

আমরা সবাই কাজ করতে চাই কিন্তু কখনো হয়তো কাজ পাই না৷ কখনেবা কাজ পেলে সেটা নিজের মন মত হয় না অথবা সুযোগ,সুবিধা নেই।নিজের পছন্দ ও সুযোগ সুবিধা মতো কাজ পেতে হলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়।

১.প্র্যাকটিস:

নিজেকে উন্নত বা পারদর্শী  করতে প্র্যাকটিসের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না যখনই সময় পাবেন কাজের প্র্যাকটিস করুন।বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিজেকে পারদর্শী করুন।বিভিন্ন ধরনের কাজ জানা থাকলে দেখবেন আপনি একটা না একটা কাজ করতেই পারবেন,বেকার বসে থাকতে হবে না। অন্যদের থেকে কাজের মতামত নিন।বিভিন্ন জনের থেকে মতামত নিলে দেখবেন নতুন নতুন ভিন্নধর্মী ধারণা পাবেন।নতুন কাজ করে নিজেকে আপডেট করুন।আর যে কাজই করবেন বেশি বেশি প্র্যাকটিস করে কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করুন।যত দক্ষতা বাড়বে আপনার তত চাহিদা বাড়বে।

২.ছোট ছোট প্রজেক্ট করুন: 

ছোট ছোট প্রজেক্টে কাজ করুন এতে করে দক্ষতার সাথে পরিচিতি ও বাড়বে।নতুন নতুন বিষয়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এখন অনলাইন কাজ করার জন্য অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। অনলাইনে কোর্স করে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে পারেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন। আর যেখানেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো কাজ দেখবেন সেগুলো থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। নতুন আকর্ষণীয় আর ভিন্ন ধরনের ডিজাইন করুন। যেগুলো অন্যদের থেকে আলাদা হবে,আকর্ষণীয় হবে,সহজেই মানুষের নজরকাড়বে।এমন ভাবে সুন্দর করে কাজ করুন যেনো আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হয়।

 

৩.ব্র্যান্ডিং করুন:

কাজ পেতে হলে ব্র্যান্ডিং না করলে হবে না কেননা আপনি অনেক কাজ জানেন কিন্তু সেটা কেউ জানেই না। তাহলে? কেউ যদি নাই জানে যে আপনি কাজ জানেন বা কাজ করতে ইচ্ছুক তাহলে আপনাকে কাজ দিবে কিভাবে? তাই যেটুকুই জানেন সেটা প্রচার করে কাজ করার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ভাবে নিজের কাজের পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করুন। 

৪.নিজের যোগ্যতা প্রচারে সাহসী হন:

কাজ পেতে নিজের যোগ্যতা, চাহিদা জানিয়ে দিন।কাজ নেওয়ার সময় কাউকে বলবেন না আমি নতুন কাজ করছি।করণ নতুন মানুষকে কাজ দিয়ে অনেকে রিস্ক নিতে চায় না।তাই যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে সুযোগ মতো ভালো করে কাজ করে খুশি করে দিন। আগেই বলবেন না আপনি একেবারে নতুন আপনার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তারমানে এটাও না যে বাড়িয়ে বলবেন আমি অনেক কাজ পাড়ি।নিজেকে সৎ রেখে কাজ করবেন। 

৫.নিজের ব্যাবসা:

অল্প পুঁজিতে ছোট কোনো শুরু করতে পারেন। হতে পারে নিজের এলাকায় বা একটু দূরে।নিজের এলাকায় হলে পরিচিতি থাকে তাই নিজের জায়গায় একটু হলেও বাহিরের তুলনায় সুবিধা বেশি হবে।কারণ ব্যবসায় পরিচিতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আর সৎ ভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করে আস্তে আস্তে ব্যাবসার পরিধি বাড়িয়ে দিন।সবার সাথে ভালো ব্যাবহার করে নিজের পরিচিতি তৈরি করা। 

৬.কুটির শিল্প 

শিল্পের জন্য বাংলাদেশের সুনাম আগে থেকেই আছে।তাই কুটির শিল্প নিয়ে কাজ করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।এর মধ্যে অন্যতম কাজ হলো- মৃৎশিল্প,তাঁতশিল্প, বেত শিল্প, কাঁসার জিনিস, চামড়ার কাজ। 

মনে রাখবেন,আপনি যে কাজই করেন না কেনো একটু ধৈর্য ধরে আস্তে ধীরে কাজ করুন। একবার কাজের ফলাফল  একটু খারাপ হলেও ভেঙে পড়বেন না।মনে করবেন না আমাকে দিয়ে এই কাজ হবে না।নিজে নিজে চিন্তা করে বের করুন যে আমি এই কাজটা করলাম হলো না কেনো, নিশ্চয়ই আমি কোনো ভুল করেছি।সেই ভুলগুলো খুঁজে বের করে সংশোধন করুন।নিজেকে আরো ভালো করে তৈরি করুন।কিন্তু আপনি যদি এটা না করে বলেন নাহ,আমাকে দিয়ে হবে না, আমি এটা পারবো না,তাহলে আপনি এগিয়েযেতে পাড়বেন না।মনে রাখবেন কষ্ট ছাড়া জীবনে কোনো কিছুই হয় না।

কষ্ট, ধৈর্য, সহনশীলতা, সাহসীকতা সব কিছু মিলিয়ে আপনি আপনার কাজের ভালো ফলাফল আশা করতে পারেন।আর আত্নবিশ্বাসী হন নিজের উপরে যে হ্যা আমি পারবো।বিশ্বাস রাখুন মহান আল্লাহর নিকট,মনে রাখবেন আল্লাহ এমন কোনো পরীক্ষা দেন না যেটা আপনার,আমার কারোর সাধ্যের বাইরে। আপনি পারবেন বলেই আপনাকে এই পরীক্ষা দিয়েছেন।ভরসা করুন নিজের রবের প্রতি যে তিনি আমার সাথে আছেন নিশ্চয় সে আমাকে সাহায্য করবেন। আমি ভালো কিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। 

Leave a Comment

You cannot copy content of this page