চিকিৎসক ও চিকিৎসার সাথে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত থাকে।
তাই ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে জানার আগে আজকে আমরা জেনে নিব ডাক্তার কে এবং ডাক্তার কেমন হওয়া উচিত । ডাক্তার হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিনি পেশাগত ডিগ্রী এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষের আচরণ , শারিরীক বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন উপসর্গ অনুধাবন করে তার অসুস্থতার কারণ নির্ধারণ করে থাকেন। ডাক্তারদের মূল দায়িত্ব হলো রোগ নির্ধারণ করা। পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় ও রোগীদের সংস্পর্শে এসে সুচারুভাবে রোগ নির্ধারন করাই ডাক্তারের মূল পেশা।
পেশাগত জীবনে ডাক্তারি এক মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ। তাদের মতো মহৎ কাজ করার সুযোগ অন্য কোনো পেশার মানুষ পায় কিনা, সন্দেহ আছে। সামান্য মাথাব্যথা থেকে শুরু করে যে কোনো অসুখ-বিসুখে আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। ডাক্তারের মুখের কথার ওপর ভরসা করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। ডাক্তাররা সমাজের সেবক, মানুষের সেবক।
ডাক্তারগণ সামাজিকভাবে উচ্চ স্থানে অবস্থান করেন। প্রতিটি মানুষ তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় ডাক্তারদের অবস্থান দেন। অসুস্থ রোগী জানেন ডাক্তার তার সবচেয়ে দরদী লোক। অনেকে আবার বলে বসেন, উপরে আল্লাহ নিচে ডাক্তার। কতই না মর্যাদা দেওয়া হয় ডাক্তারদের।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ব্যাপারে ইসলাম মানুষকে জোর তাগিদ দিয়েছে। অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রাসূলুল্লাহ সা: উম্মতদেরকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজে অসুস্থ হলেও চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। আর চিকিৎসার জন্য স্বভাবতই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। তাই সমাজে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তা ছাড়া চিকিৎসা পেশা ও মানবিকতা একই সুতোয় গাঁথা। কারণ চিকিৎসকরা মানুষের যত বেশি সেবা করার সুযোগ পান অন্য পেশাজীবীরা ততটা পান না।
কিন্তু মনে রাখতে হবে একজন ডাক্তারের কখনো রোগীর প্রতি কোনরূপ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা উচিত না। অনেক সময় রোগীর জ্ঞানগত যোগ্যতা বা সামাজিক অবস্থান নিচু হওয়ার কারণে অবজ্ঞা করা হয়, তাদেরকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং অধিক হকদার গরীব রোগীর চেয়ে সামান্য রোগের ধনী ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, যা আদৌ কাম্য নয়। পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে,وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ، ‘আর অহংকারবশে তুমি মানুষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না এবং যমীনে উদ্ধতভাবে চলাফেরা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক ও অহংকারীকে ভালবাসেন না’ (লোক্বমান ৩১/১৮)।
একজন আদর্শ ডাক্তার মানুষকে সুস্থ করে তোলা নিজের দ্বিগুণ দায়িত্ব হিসাবে দেখেন। একটি দায়িত্ব মানুষ হিসাবে, আরেকটি ডাক্তার হিসাবে। কাজেই একজন ডাক্তারকে আগে ভালো মানুষ হতে হয়, তাহলে তিনি পরবর্তীতে আদর্শ ডাক্তার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।
প্রতিটি পেশার তার চ্যালেঞ্জ এবং অন্যান্য কারণ রয়েছে যা তাদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। অতএব, প্রতিটি কাজ তার নিজস্ব জায়গায় শ্রেষ্ঠ। । প্রতিটি পেশায় দুটি দিক আছে ভালো এবং মন্দ ।একজন ডাক্তার হওয়া ভাল, কিন্তু শুধুমাত্র একজন ডাক্তারই জানে এই পেশায় তাকে কত ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিটি মিনিট তাকে কত পরিশ্রম করতে হয় ।
ডাক্তাররা তাদের পেশায় চ্যালেঞ্জ এবং পুরষ্কার উভয়ই পান।
সর্বোপরি, ডাক্তাররা আমাদের সেবা দেয়ার জন্য সারাদিন রাত পরিশ্রম করে, তাই তাদের রুটিন সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত তাহলে আমাদের ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকলেও তা ভেঙে যাবে ইনশাআল্লাহ্ ।
প্রতিদিনের সময়সূচীতে একজন ডাক্তার প্রথম যে জিনিসটির মুখোমুখি হন তা হল অজানা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের যেহেতু একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি, তাই তাকে সবসময়ই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
একজন ডাক্তার দৈনন্দিন জীবনে যেসব চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হন
ডাক্তারি পেশার চ্যালেঞ্জসমূহ :
ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা
ডাক্তারি পেশা ছাড়া অন্য যেকোন পেশায় সময় মেনে কাজ করার সুযোগ থাকে যেমন সবাই প্রায় নয়টা থেকে পাঁচটা অফিস করে কিন্তু একজন ডাক্তার সে কোন সময় বেঁধে কাজ করতে পারে না। যেমন একজন রোগী রাত দুইটার সময় অসুস্থ হলেও একজন ডাক্তার তাকে দেখতে যান এবং চিকিৎসা করেন।
একজন ডাক্তারও মানুষ তারও পরিবার থাকে পরিবারকে সময় দিতে হয় কিন্তু যখন একজন রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তখন সে তার পরিবারের থেকে তার পেশাকে বেশি গুরুত্ব দেন এবং তাই একজন ডাক্তারের পারিবারিক এবং পেশাগত ভারসাম্য বজায় রাখাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মাঝে মাঝে অনেক জরুরি প্রয়োজনে ডাক্তারদের ৮ থেকে ১২ ঘন্টারও বেশি কাজ করতে হয় । এমনকি অনেক ডাক্তার রাত দুইটা তিনটা পর্যন্ত রোগী দেখেন এতে তাদের অনেক রকমের পারিবারিক সমস্যা হয় ।
কল্পনাতীত পরিশ্রম করায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা
একজন ডাক্তার বিরামহীন ভাবে সারাদিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এবং তারা ঠিকমতো বিশ্রাম নেয়ার ও সময় পান না । অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করা একজন ডাক্তারের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ এবং অভ্যাসে পরিণত হয়ে দাঁড়ায় ।যেহেতু তাদের রোগী দেখতে হয়, পড়ালেখা করতে হয় তাই তারা অবসর সময় খোঁজার জন্য অনেক চেষ্টা করেন কিন্তু তা হয়ে উঠে না ।
ডাক্তাররা তাদের রোগীর প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন তাই তারা একটি স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিগত জীবন যাপন করতে চাইলেও তারা তাদের ব্যস্ততার কারণে রোগীদের কথা ভেবে আর নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না। এই নিষ্ঠাবান ডাক্তাররা তাদের কাজ ও জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় ।
অপ্রত্যাশিত জরুরি সমস্যা
ডাক্তারী পেশা এমন একটা পেশা যেখানে শুধু এক টুকরো কাগজের উপর ওষুধের নাম লিখে দেওয়াই যথেষ্ট নয়। এটা এমন একটা পেশা যেখানে রোগীকে সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগীকে সময় দিতে হয়, তার রোগ নির্ণয় করে তাকে চিকিৎসা প্রদান করতে হয় । এছাড়াও জরুরী প্রয়োজন কখনো সময় বুঝে আসেনা ডাক্তারকে সারাক্ষণ একটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয় ।
একজন ডাক্তার পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে আছেন অথবা তার পরিবারের সাথে আছেন এমন সময় যদি কোন রোগীর প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে সবকিছু ফেলে রোগীর চিকিৎসা করতে হয় , এমনকি যারা সার্জারির ডাক্তার তাদেরকে এই অবস্থায়ও মাথা ঠান্ডা রেখে সার্জারি করে রোগীর জীবন বাঁচাতে হয় ।
একজন জীবন রক্ষক হিসেবে সব সময় তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয় । তাই তারা আমাদের কাছে অনেক সম্মানীয় ব্যক্তি আমাদের উচিত ডাক্তারের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকা । কারণ তারা অনেক চাপের মধ্যে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রোগীদের জীবন বাঁচান ।
অপর্যাপ্ত ঘুম ও ক্লান্তি
ডাক্তারদের অনেক দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয় এবং বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে তারা সঠিক বিশ্রাম নিতে পারে না, নিজেদের যত্ন নিতে পারে না শুধুমাত্র তারা রোগীদের প্রাধান্য দেয় । ডাক্তাররা বুঝতে পারে তাদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য বিশ্রামের খুব প্রয়োজন কিন্তু তারা তাদের এই মহৎ পেশার জন্য বেশিরভাগ ডাক্তারই তা করতে পারেন না । ঘুম আর ক্লান্তিকে উপেক্ষা করে নিজের পেশাকে প্রাধান্য দিয়ে একজন ডাক্তারই পারে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ।
মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ একজন ডাক্তারের প্রতিদিনের রুটিন । একজন ডাক্তারের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে যা সমাধানের জন্য তাদেরকে অনেক বেগ পেতে হয় । যেমন একজন রোগীর খুব খারাপ অবস্থায় ডাক্তারকে মানসিকভাবে অনেক চাপে রাখে । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে একজন ডাক্তারকে রোগীর সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে হয় কারণ ডাক্তার হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা । দীর্ঘ সময় কাজ , অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকা এরকম অনেক কারণে সঠিক এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামের অভাবে ডাক্তাররাও মাঝে মধ্যে মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন ।
প্রশাসনিক চাপ
ডাক্তারদের নিয়মিতভাবে প্রশাসনিক বোঝা এবং কাগজপত্রের পাহাড় মোকাবেলা করতে হয়। তাদের বিভিন্ন রিপোর্ট দিতে হয়। রোগী দেখার পাশাপাশি ডাক্তাররা অফিসিয়াল অনেক কাজ করেন, অভ্যন্তরীণ অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, যা একজন ডাক্তারই ভালো জানেন।
ফান্ডিং চ্যালেঞ্জ
ছোট থেকে ছোট যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের ফান্ডিং দরকার হয়। এই ফান্ডিং নিয়েও ডাক্তারদের চিন্তা করতে হয় যেখানে এই ফান্ডিং নির্ভর করে সম্পূর্ণ তৃতীয় পক্ষের উপর। যেহেতু হাসপাতালের মান ঠিক রাখার জন্য উন্নয়নের খরচ বৃদ্ধি পায় এবং রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট এর জন্য অর্থায়নের প্রয়োজন হয়।
সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার অর্থায়ন করে থাকে । কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এইসব অর্থের জন্য ডাক্তারদের এবং তৃতীয় পক্ষের এই খরচ নিয়েও কাজ করতে হয় । তাই এটা ডাক্তারদের অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকা
একজন ডাক্তারকে অবশ্যই তার পেশায় নীতিবান হতে হবে । কারণ তার হাতে একজন মানুষের জীবন মরণ নির্ভর করে । ডাক্তারি পেশায় অনৈতিকতার কোন স্থান নেই । কিন্তু এই পেশায়ই সে তার কর্মক্ষেত্রে অনেক ডাক্তারকে অনৈতিক কাজ করতে, লোভে পরে বিভিন্ন লাভজনক কাজে অংশ নিতে দেখবে নিজেদের সাফল্যের জন্য । এটাই এখন সিস্টেম হয়ে গেছে । অনেক ডাক্তারি অনৈতিক পন্থা বেছে নেয় কিন্তু এই লোভ লালসা ত্যাগ করে, এই সিস্টেমকে না মেনে যারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান তারাই একজন সফল ডাক্তার । আর এটা প্রমাণ করা তাদের কাছে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ।
ডাক্তারি পেশার পুরস্কারসমূহ :
এটা স্পষ্ট যে ডাক্তাররা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, উপরের আলোচনায় আমরা ডাক্তারদের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি । রোগীদের সেবা করার জন্য একজন ডাক্তার যে পুরস্কারগুলো পান তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো। এখানে কিছু পুরষ্কার রয়েছে যা তারা পেতে পারে।
সুস্থতার পর রোগীর মুখের হাসি
একজন ডাক্তারের চিকিৎসায় ভালো হওয়া রোগীর মুখের হাসি কতটা মূল্যবান হতে পারে তা একজন ডাক্তারই বুঝতে পারেন আর কোন পেশার মানুষ না । একজন ডাক্তার যখন অনেক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও রোগীকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন । এক কথায় বলা যায় আল্লাহর রহমতে তার জীবন বাঁচান তারপর সেই রোগীর সুস্থতা, তার কৃতজ্ঞতাপূর্ণ মুখের হাসি একজন ডাক্তারের জন্য পুরস্কার স্বরূপ ।
সামাজিক মর্যাদা
সকল পেশারই সামাজিক মর্যাদা থাকলেও একজন ডাক্তার হিসেবে সমাজে তার মর্যাদা সবার থেকে বেশি থাকে। কারণ তার পেশাটাই এমন যে মানুষের জীবন-মরণ আল্লাহর রহমতে একজন ডাক্তারের হাতে থাকে। তাই একজন ভালো ডাক্তার সামাজিকভাবে সম্মানের শীর্ষে থাকেন। সমাজের কাছ থেকে পাওয়া এটা তার অনেক বড় একটা পুরস্কার ।
জীবন রক্ষা র সুযোগ
ডাক্তারি ব্যতীত অন্য যেকোন পেশায় মানুষ অনেক বেশি সাফল্য লাভ করতে পারলেও একজন ডাক্তারই পারেন একজন মানুষকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তার জীবন বাঁচাতে। সে ক্ষেত্রে একজন বড় ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার যেকোনো পেশায় থাকুক না কেন চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের কাছেই আসতে হয় । আল্লাহর রহমতে একজনের জীবন রক্ষা করে গর্বিত হওয়ার সুযোগটা একমাত্র ডাক্তারি পেশাতেই পাওয়া সম্ভব ।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি দেশে বহু ভালো ডাক্তার রয়েছেন, যারা দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তারের জন্য মহৎ এ পেশা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, যা মেনে নেয়া কষ্টকর। ডাক্তারির মতো মানবিক ও মহৎ পেশাকে যারা কলুষিত করছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। প্রত্যেক ডাক্তারকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে যেন তাদের দ্বারা কোনোভাবেই কোনো মানুষের ক্ষতি না হয়।
যে সকল ডাক্তার লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে শক্ত হাতে দায়িত্বের হাল ধরে থাকেন,তাদের ত্যাগ, শ্রম ও সেবা দিয়ে মানবজীবনকে নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট থাকেন। তারাই হয়ে উঠেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সমাজের মানুষ আদর্শ ডাক্তারদের মাধ্যমেই চিকিৎসার মৌলিক অধিকার পেয়ে থাকে। তারা যেমন মানুষের অন্তর খোলা দোয়া পেয়ে থাকেন,পাশাপাশি আল্লাহর রহমতে ইহকাল ও পরকালেও পুরস্কৃত হবেন ইনশাল্লাহ।
চিকিৎসক ও চিকিৎসার সাথে মানুষের জীবন মরণ প্রশ্ন জড়িতথাকে। ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের ডাক্তার কে,কেমন তা জানা উচিত। দেশে ভালো ডাক্তারের পাশাপাশি কিছু দুষ্ট ডাক্তার আছেন যাদের জন্য ডাক্তারি পেশাটি কুলুষিত হচ্ছে। এবং আদর্শ ডাক্তারদের মাধ্যমে সমাজের মানুষ মৌলিক অধিকার পেয়ে থাকে।
কন্টেন্টটি আমার জন্য অনেক উপকারী ছিলো।ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষ থাকলেও ডাক্তারি পেশা সবথেকে চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা। পেশাগত জীবনে ডাক্তারি একটি জনসেবামূলক পেশা। তাদের সেবামূলক কর্মকাণ্ড ও মানুষের প্রতি তাদের পেশাদারিত্ব সমাজে তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছে। তবে বর্তমানে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির ডাক্তার দ্বারা এই মহান পেশা কুলষিত হচ্ছে। একজন আদর্শ ডাক্তারি পারে তার শ্রম ও সেবা দিয়ে মানুষের চিকিৎসার মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে। এই কনটেন্টটি দ্বারা ডাক্তারের মতো মহান পেশায় যারা জড়িত তারা তাদের পেশাদারিত্ব সম্পর্কে জানতে পারব এবং আমার আমাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন হবো।
এই কনটেন্ট পড়ে বুঝা যায়,একজন ডাক্তারকে ডাক্তার হওয়ার আগে একজন সৎ মানুষ হতে হবে এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।তবেই সকল ডাক্তারদের প্রতি মানুষের মনে আস্থা ও শ্রদ্ধা জন্মাবে !
ডাক্তারি পেশা একধরনের মহৎ পেশা। ডাক্তারদের উসিলায় আমাদের বিভিন্ন ছোট বড় রোগ থেকে মুক্তি লাভ করি। কিছু কিছু দুষ্টু ডাক্তারদের জন্য সব ডাক্তারদের যেন খারাপ মনে করা উচিত নয়। কারণ প্রায় সব ডাক্তারই তাদের ত্যাগ,সময়,শ্রম ও সেবা দিয়ে সবসময় আমাদের পাশে থাকেন।
ডাক্তারি পেশা চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার কন্টেন্টটি পরে অনেক কিছু জানতে পারলাম। পেশাগত দিক থেকে ডাক্তারি পেশা একটি উত্তম পেশা কিন্তু দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তারের জন্য এই পেশা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আপনারা যারা ডাক্তারিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য এই কন্টেন্টি অনেক উপকারী ।
ডাক্তার হচ্ছেন সমাজ ও জাতির সেবক | ডাক্তার তার পেশাগত ডিগ্রী এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে রোগীর রোগ নির্ধারণ করে থাকে | ডাক্তারি একটি মহৎ ও চ্যালেঞ্জিং পেশা | কিন্তুকিছু দুষ্ট প্রকৃতির ডাক্তারের জন্য মহৎ এ পেশা কুলুষিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তা মোটেও কাম্য নয়| যত দ্রুত সম্ভব এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে | যে সকল ডাক্তার লোভ লালসা ত্যাগ করে মানুষের চিকিৎসার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে থাকেন তারাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন এবং মানুষের দোয়া পাবেন | এই কনটেন্টটি পড়ে আমি ডাক্তারদের পেশা এবং চ্যালেঞ্জিং জীবনযাপন সম্বন্ধে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি |
ডাক্তারি একটি মহৎ এবং সুউচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন পেশা। ডাক্তাররা তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং যন্ত্রপাতির সাহায্যে রোগীর রোগ নির্ণয় করেন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তুলেন অথবা সুস্থ করে তুলার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
সব পেশার ক্ষেত্রে ভালো এবং মন্দ দিক আছে। কিছু অসাধু ডাক্তারের জন্য ডাক্তারি পেশাটি অনেক সময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে।তবে ভালো ডাক্তাররা তাদের কর্ম, জ্ঞান এবং নিষ্ঠা দিয়ে পুরো মানবজাতির সেবা করে যাচ্ছেন তাদের জীবনে সকল চ্যালেন্জ উপেক্ষা করে। আল্লাহ তায়ালা সকল ডাক্তারকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম কল্যাণ ও সৌভাগ্য দান করুন।
আলহামদুলিল্লাহ।
ডাক্তারি পেশা চ্যালেঞ্জ ও পুরস্কার কন্টেন্টটি পরে অনেক কিছু জানতে পারলাম। পেশাগত দিক থেকে ডাক্তারি পেশা একটি উত্তম পেশা কিন্তু দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তারের জন্য এই পেশা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আপনারা যারা ডাক্তারিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য এই কন্টেন্টি অনেক উপকারী
ডাক্তারি পেশা খুবই মহৎ পেশা, এবং চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। শরীর অসুস্থ হলেই আমরা বুঝতে পারি ডাক্তার আমাদের জীবনের কত বড় আশীর্বাদ। দু একজন নিচু মানসিকতা আর ডাক্তারের জন্য এই পেশাটাকে কোন ভাবেই ছোট করা যাবে না।
সত্যিই পেশাগত জীবনে ডাক্তারি এক মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ। কিন্তু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তার এই মানবিক ও মহৎ পেশাকে কলুষিত করছে। লেখক এর সাথে আমিও একমত পোষণ করছি যে, এসব দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তারদের শাস্তির আওতায় আনা হোক এবং ডাক্তাররা যেন সকল লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে শক্ত হাতে তাদের দায়িত্বের হাল ধরে রাখেন।
গভীর রাতে একজন রোগীকে যখন চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হয় তখন পরিবার এবং পেশাগত ভারসাম্য বজায় রাখাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তবে আল্লাহর পরেই ডাক্তারের উপর রোগীরা ভরসা করায় সামাজিক মর্যাদা অনেক বেশি পায়।
ডাক্তারি এক মহৎ পেশা,তবে একজন ভালো ডাক্তার হতে হলে আগে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।তাহলে তাদের দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। এবং জাতি পাবে একজন শ্রেষ্ঠ ডাক্তার।এই কন্টেন্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম, ভালো ডাক্তারদের প্রতি মন থেকে শ্রদ্ধা তৈরি হলো।
ডাক্তারি পেশা হলো একটি মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ।স্বভাবতই আমরা যেকোন ছোট থেকে বড়,জটিল থেকে জটিলতর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হই। তাই সমাজে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।কিছু দুষ্ট প্রকৃতির ডাক্তার এ-ই মহৎ পেশাকে কলুষিত করছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।তবে বেশিরভাগ ডাক্তার লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে তাদের ত্যাগ, শ্রম ও সেবা দিয়ে মানবজীবনকে নিরাপদ রাখতে সদা সচেষ্ট থাকেন।
কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল একজন
ডাক্তার সম্পর্কে জানতে। ডাক্তার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার পেশাগত ডিগ্রি এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষের বিভিন্ন রোগ নির্ধারণ করে থাকেন।ডাক্তারদের মূল দায়িত্ব ও পেশাই সঠিকভাবে রোগীর রোগ নির্ধারণ করা।
ডাক্তাররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আল্লাহর রহমতে তারা ইহকাল এবং পরকালে পুরস্কৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
নিঃসন্দেহে অন্যান্য পেশার থেকে ডাক্তারি একটি মহৎ পেশা।
কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের মানুষ এবং অন্যান্য সকল প্রাণীর শরীরে কোন না কোন রোগ দিয়ে থাকেন। আর এ রোগ থেকে মুক্তিও তিনিই দিয়ে থাকেন। কিন্তু মাঝখানে আল্লাহ পাক এসব রোগ থেকে মুক্তি লাভের উপায় এবং ওসিলা বানিয়ে দিয়েছেন ডাক্তারদের। আর এ কারণেই মানুষ বলে উপরে আল্লাহ নিচে ডাক্তার।
আল্লাহ তা’আলা অন্যান্য পেশার তুলনায় ডাক্তারি পেশার মানুষদের অধিক সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। একজন সৎ ও দায়িত্ববান ডাক্তার একজন রোগীর জীবন মরণের ঝুঁকি নিয়ে তার রোগ নির্মুলের জন্য নিজের সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির ডাক্তারদের জন্য আমরা সকল ডাক্তারের উপর খারাপ মনোভাব পোষণ করি।
কিন্তু আমাদের উচিত এ ধরনের মনোভাব পোষণ না করে এটা বোঝা যে, প্রতিটি পেশায় ভালো ও খারাপ দুটি দিক থাকে।
যারা আসৎ, উগ্র ও দুষ্ট প্রকৃতির তাদের শাস্তি দুনিয়ায় কেউ দিতে না পারলেও পরকালে আল্লাহ তায়ালা ঠিকই দিবেন।
আর আল্লাহ তা’আলা সৎ ও ন্যায়পরায়ন ডাক্তারদের উত্তম প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
এ মহৎ পেশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।👍
মানুষের সেবা করার মতো ভালো কাজ আর একটিও নেই,ডাক্তারি পেশা তার মধ্যে একটি।একজন ডাক্তারকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের কাজ নিষ্ঠার সাথে করতে হয়।ঘুম খাওয়া কোনো কিছুই সময় মতো করা হয় না তাদের। নিজেদের কাজকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন একজন আদর্শ ডাক্তার তার পরিশ্রম ও সততা দিয়ে। নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করার জায়গায় একজন ডাক্তারের কাছে তবে এটাও সত্যি এই পেশায় ও কিছু খারাপ মানুষ রয়েছেন, তবে কিছু অসৎ মানুষের জন্য আমরা সবাইকে এক কাতারে ফেলতে পারি না। একজন ডাক্তারের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে তার রোগীর সুস্থতা,তাদের মুখের হাসি।
ডাক্তারি পেশা হলো একটি মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ।স্বভাবতই আমরা যেকোন ছোট থেকে বড় জটিল থেকে জটিলতর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।তাই সমাজে ডাক্তারদের প্রয়োজনিয়তা অনস্বীকার্য।কিছু দুষ্ট প্রকৃতির ডাক্তার এ-ই মহান পেশাকে কুলষিত করছে,তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।তবে বেশিরভাগ ডাক্তার লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে ত্যাগ,শ্রম ও সেবা দিয়ে মানবজীবনকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে সদা সচেষ্ট থাকে।
Indeed this profession is good for public service and the above words are very useful.
ডাক্তারি পেশা হলো একটি মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ।স্বভাবতই আমরা যেকোন ছোট থেকে বড়,জটিল থেকে জটিলতর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।তাই সমাজে ডাক্তারদের প্রয়োজনিতা অনস্বিকার্য।কিছু দুষ্ট প্রকৃতির ডাক্তার এ-ই মহান পেশাকে কুলষিত করছে,তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।তবে বেশিরভাগ ডাক্তার লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে ত্যাগ,শ্রম ও সেবা দিয়ে মানবজীবনকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে সদা সচেষ্ট থাকে।
ডাক্তারী পেশা একটি মহৎ পেশা। মানুষ সৃষ্টিকর্তার পর ডাক্তারের উপর আস্থা রাখে শারীরিক সুস্থতায়। আর সুচারুভাবে রোগ নির্ধারন করাই ডাক্তারের মূল পেশা। যারা লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতা উপেক্ষা করে শ্রম ও সেবা দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে সচেষ্ট থাকেন। তারাই হয়ে উঠেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
ডাক্তারি পেশা একটি উৎকৃষ্ট মানের পেশা। ডাক্তারদের দায়িত্ব হলো নিজেদের পেশাগত জ্ঞান এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে রোগীর রোগ নির্ধারণ করা। আজকাল অনেক ডাক্তারই নিজেদের স্বার্থের জন্য চিকিৎসা সেবাকে ব্যবহার করছেন। তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। এমন কিছু সংখ্যক ডাক্তারদের জন্য সব ডাক্তারদের এক রকম ভাবা ঠিক না। কারণ অনেক ডাক্তাররা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আমাদের সেবা দিয়ে থাকে।
আলহামদুলিল্লাহ ।অনেক কিছু জানতে পারলাম। ডাক্তাররা রোগীদের জন্য অনেক পরিশ্রম করেন,রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ডাক্তারি পেশার সাথে যুক্ত আছি। এখান থেকে আমি আরো একটি বিশেষ কিছু জানতে পারলাম, সেটা হলো ডাক্তারের ওপর রোগীদের হক্ক-এর বিষয়টি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেটি আমার পরবর্তীতে অনেক বেশি কাজে লাগবে,ইন শা আল্লাহ।
ডাক্তারদের মূল দায়িত্ব হলো রোগ নির্ধারণ করা। একজন আদর্শ ডাক্তার অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে পারে। তাই পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, ধারা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় ও রোগীদের রোগ নির্ধারন করাই ডাক্তারের মূল পেশা। আমাদের সমাজের মানুষ আদর্শ ডাক্তারদের মাধ্যমেই চিকিৎসার মৌলিক অধিকার পেয়ে থাকেন। তাই সমাজে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
এই কনটেন্ট পড়ে বুঝা যায়, একজন ডাক্তারকে ডাক্তার হওয়ার আগে একজন সৎ মানুষ হতে হবে এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। তবেই সকল ডাক্তারদের প্রতি মানুষের হৃদয়ে আস্তা ও শ্রদ্ধা জন্মাবে।
ডাক্তারি পেশা একটি মহৎ ও সম্মানজনক পেশা।একজন ডাক্তারই পারে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে।তেমনি একজন ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় একজন রোগীর প্রাণও চলে যেতে পারে।তবে সবাই একরকম নয়, অনেকেই তাদের শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে রোগীদের নিঃস্বার্থ ভাবে সেবা দিয়ে থাকেন।
ডাক্তারি একটি মহান পেশা।
কিছু অসাধুপায়ী উক্ত পেশাকে কলুষিত করছে। এ সমস্ত অসাধুপায়ীদের চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করে ডাক্তারির মতো মহান পেশাকে উজ্জীবিত রাখাই আমাদের একান্ত কাম্য।
ডাক্তারি পেশা হচ্ছে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন পেশা,একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পরলে আল্লাহ তায়ালার পর সর্বপ্রথম একজন ডাক্তারকেই খুঁজে। শারিরীক কোন সমস্যা হলে সেটার সমাধান একজন ডাক্তার ছাড়া কারো পক্ষে খুজে বের করা সম্ভব না।অনেক সময় একজন ডাক্তার রোগীর জীবন বাচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করে,নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।একজন রোগী সবসময় একজন ডাক্তারের উপর নির্ভর থাকে, কিন্তু এখন কিছু অসাধু ডাক্তার মানুষের দূর্বলতা সুযোগ নিয়ে অনেক মানুষেকে ভুল চিকিৎসা করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করছে,এগুলো না করে একজন ডাক্তাররের উচিৎ সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে সবসময় সৎ থেকে মানুষের মন জয় করে সমাজে উচ্চ স্বীকৃতি লাভ করা।
ডাক্তারি বা চিকিৎসা পেশা একটি সমাজ সেবামূলক পেশা। কারণ একজন যেভাবে মানুষের সেবা করতে পারে অন্য পেশার মানুষের পক্ষে তা করা সম্ভব নয় তাই ডাক্তারি পেশা একটি মহৎ পেশা। ডাক্তারাই ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রম করে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন এবং রোগীকে বেঁচে থাকার আশা জাগান।
ডাক্তারি পেশা নিঃসন্দেহে একটা মহান পেশা।ডাক্তারদের আন্তরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে অনেক মরণাপন্ন রোগী মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসেন।একজন রোগী জানেন একজন ডাক্তার তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বতর্মানে কিছু অসাধু ডাক্তারের কারণে ডাক্তারির মত মহান পেশা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।তবে এসব কিছুর মধ্যেও যারা এ সেবামূলক পেশাকে সবকিছুর উর্দ্ধে রেখেছেন তারাই প্রকৃত আদর্শ ডাক্তার।
ডাক্তারি পেশার মতো মহৎ পেশা আর হয়না। একজন ডাক্তারই পারে মৃত্যু মুখে দাড়িয়ে থাকা কোনো মুমূর্ষু রোগীকে জীবনে নতুন আশার আলো দেখাতে।একজন সৎ ও নীতিবান ডাক্তারের মহত্ত্ব কনটেন্টটি পড়লেই বুঝা যায়।ধন্যবাদ লেখককে।
পেশাগত জীবনে ডাক্তারি এক মহান পেশা। ডাক্তাররা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। যে সকল ডাক্তার স্বার্থপরতা লোভ লালসা ত্যাগ করে রোগীদের সেবা দেয় আল্লাহ পাক তাদের ইহকালীন ও প্রণালী জীবনে সফলতা দান করুন।
ডাক্তারি পেশা একটি চ্যালেঞ্জিং ও মহৎ পেশা। লেখককে ধন্যবাদ এই সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করা রং জন্য।
একজন রুগীকে জীবনে নতুন আশার আলো দেখাতে ডাক্তার এর ভুমিকা অপরিসীম। ডাক্তারি পেসার মত মহত পেশা আর হয়না। কন্টেন্টটি পড়লেই বুঝা যায় একজন সৎ ও নীতিবান ডাক্তারের মহত্ত্ব। ধন্যবাদ লেখক কে।