আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চাকরির পিছনে না দৌড়ায়, ব্যবসা করার উচিৎ ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে পারে সহজে ব্যবসা করার আইডিয়া সবার মাথায় আসলে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে ব্যবসা করা হয়ে ওঠে নানা অনেকে সামনে অগ্রসর হতে পারে না।
কিন্তু আমি বা আপনি চাইলে অল্প বিনিয়োগে ব্যাবসা করতে পারি তার জন্য চাই মানবিক ধর্যে্য সঠিক জ্ঞান কাজ করার দক্ষতা ও পরিশ্রম
অল্প বিনিয়োগ ব্যবসা করার জন্য আমাদের কে অনেকগুলো বিষেয়ের দকে নজর দতে আমি আজকে সে সব বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা করার প্রস্তুতি
০১. ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা লাগবে ।
আপনার হয়ত মনে হতে পারে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়া ও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন কিন্তু আর্থিক ধারনা একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আপনাকে এর গভীরে চিন্তা করার সুযোগ দিবে। এটা হবে আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটি জীবন্ত সহায়িকা যেটা আপনাকে ব্যবসা প্রসারের গন্তব্যে পোঁছাতে সাহায্য করবে।
সার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করতে হবে।
”beautiful name is better than a lot of wealth” অর্থাৎ প্রচুর ধন সম্পদের চাইতে একটি সুন্দর নাম অনেক বেশি দামি বা উত্তম।
ব্যবসায়ের নাম ঠিক করার জন্য আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক কারা এই কথাটি মাথায় রাখুন। অন্য কোম্পানি”র নাম নকল করে নামকরণ করবেন না। ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ের নামকরণ অন্যতম।সুন্দর নাম করনের ফলে ক্রেতার আগ্রহ বাড়ে।
০৩. কিছু মূলধন হাতে রাখতে হবে।
অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা করার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় অল্প কিছু মূলধন হাতে রাখতে হব।মূলধন ছাড়া ব্যবসা করা যায় না ।
০৪. অল্প বিনিয়োগে লাভ হয় এমন ব্যবসা খুজে বের করা।
আপনি যদি অল্প বিনিয়োগে পাইকারি বা খুচরা পণ্য ব্যবসা করতে চান তবে প্রথমে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি নিজেই পণ্যটি কিনবেন কিনা। আপনার পরবর্তী উদ্বেগ হবে এই পণ্য বিক্রি করে আপনি কতটা লাভ করবেন। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আপনার বেছে নেওয়া ব্যবসা কতদিন পর্যন্ত আপনাকে মুনাফা দিতে সক্ষমএ ধরনের ব্যবসা খুজে বের করতে হবে।
০৫. অনলাইন ও অপলাইন সাইটে কাজ করার মানসিকতা ও দক্ষতা অর্জন।
অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করার জন্য দক্ষতা র্অজন করতে হবে ,অনলাইন ও অপলাইন সাইটে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে,র্বতমান সময় অনলাইনে প্রচার প্রসার অনেক বেশি।
০৬. TIN প্রয়জনীয় লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
অল্প বিনয়োগে ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি লাইসেন্স এবং অনুমতি প্রয়োজন, তাই ব্যবসা শুরুকরার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেটের জন্য ব্যবসার শুরুতেই আবেদন করুন। এই ব্যবসার লাইসেন্সগুলির মধ্যে, কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসার লাইসেন্সের প্রয়োজন হতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে রপ্তানি-আমদানি লাইসেন্স, ভেন্ডর লাইসেন্স ইত্যাদির প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN) এবং কর্মচারী শনাক্তকরণ নম্বর (EIN) যেকোনো ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
০৭. লেনদেনের জন্য হিসাব খুলতে হবে।
ব্যবসা শুরু করার সময় ব্যবসার জন্য একটি আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসায়িক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখতে হবে। কারণ একজন ব্যবসায়ীর জন্য এটি একটি পেশাদার পদক্ষেপ। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই জরুরি।
০৮. নতুত্ব খুঁজে বের করতে হবে।
ব্যাবসা শুরু করার র্পূবে অন্যদের ব্যাবসা থেকে আইডিয়া নিয়ে তার থেকে নতুত্ব খুঁজ বের করতে হবে। র্বতমান সময় নতুত্ব দিকেমানুষের আগ্রহ বেশি।
বিকল্প বিনিয়োগে ব্যবসার আইডিয়া
১. অনলাইন সেবা ব্যবসা
অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে অনলাইন ব্যবসা করতে পারেন। এটি একেবারে অল্প বিনিয়োগে শুরু করতে পারবেন। এজন্য আপনার একটা ছোট দোকান হলেই যথেষ্ট। একটি কম্পিউটার আর বসার জন্য হলেই যথেষ্ট।এই ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
২.হারবাল পণ্য বিক্রি
হারবাল আমাদের দেশে দিন দিন জনপ্রিয়। বিভিন্ন গাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য হচ্ছে হারবাল পণ্য। হারবাল ঔষধ এবং রুপচর্চার যথেষ্ট ব্যবহার আছে। এসব পণ্যে কোন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না । আপনি চাইলে অল্প বিনয়োগে মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৩.হস্তশিল্পের ব্যবসা
হস্তশিল্পের চাহিদা এখনো অনেক বেশি। বিভিন্ন ধরণের মাটির তৈজসপত্র, শীতল পাটি, হাতপাখা, কারুকার্য করা চাদরের অনেক চাহিদা আছে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই। অনলাইনে এই ব্যবসা করতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে যেসব দোকান এসব পণ্য বিক্রি করে তাদেরকে পাইকারি ভাবেএসব পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
৪.পোশাক বিক্রি
অল্প বিনয়োগে পোশাক বিক্রি অবশ্যই একটি ভাল আইডিয়া। আপার সামর্থ্যনুযায়ী একটি দোকান নিতে পারেন। দোকানে একজন কর্মচারী রেখে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।আর যদি দোকান নেওয়ার মত অবস্থা না থাকে তাহলে অনলাইনে পোশাক বিক্রি শুরু করতে পারেন। আজকাল অসংখ্য মানুষ অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করছে। অনলাইনে পোশাক বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে একটি পেইজ দিয়েশুরু করতে পারেন। তবে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটি পোশাকের বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে।
৫. খাবারের ব্যবসা
খাবারেরব এই ব্যবসা করা আসলেই খুব সহজ। নিজের বাসার রান্না ঘরে রান্না করবেন আর অনলাইনে বিক্রি করবেন। যখন আপনার গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে তখন কয়েক জন রাঁধুনি নিয়োগ দিবেন যাতে সব গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করা যায়। আপনাকে বিভিন্ন অফিসের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক স্থাপনের করা যায়। কয়েকটি বড় অফিসকে যদি নিয়মিত গ্রাহক বানিয়ে দিতেপারেন তাহলে আপনার ব্যবসা খুব সহজে ঘুরে দাড়াবে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
তাছাড়া অনেক গুলো অল্প বিনিয়োগ ব্যবসার আইডিয়া আছে যেমন:
কফিশপ, অনলাইন সেবা ব্যবসা,ট্রাভেল এজেন্সির বিজনেস, গুদাম ভাড়া ব্যবসা, ডেলিভারি ব্যবস, মোবাইল রিচার্জ/ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা,মোবাইল/কম্পিউটার মেরামত ব্যবসা, ই-কমার্স ব্যবসা,ফুচকার দোকান, আইসক্রিমের ব্যবসা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায় একটা সফল ব্যাবসা দাড় করানোর জন্য মেধা পরশ্রিম এর কোন বিকল্প নাই,উপরের বিষয়ের আলোকে পরিকল্পনা করে অল্প বিনিয়োগে ব্যাবসা করলে মহান রবে দয়ায় সফল হতে পারেন।