বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। দেশের প্রায় ৩৩,০০০ (তেত্রিশ হাজার) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করাই এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। (NTRCA)বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০৫ (১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ২০০৫ সালের ১নং আইন) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)দ্বারা প্রকাশিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে, কিছু বিষয়ে একই কোড রয়েছে এবং কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে, যা আগের নিবন্ধনগুলির নিয়োগে জটিলতা তৈরি করেছে। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে (NTRCA) একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন
| প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার ফল শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনিশ্চয়তায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম |
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে যা বললেন এনটিআরসি চেয়ারম্যান
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ এনামুল কাদের খান বলেন, “গত নিয়োগের সময় দেখা গেছে কিছু বিষয়ের কোড একই আছে। আমরা সেই কোডগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। কারণ কম্পিউটার তা আলাদা করতে পারে না। এতে জটিলতার সৃষ্টি হয়, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।
এছাড়াও কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, যা আমাদের কর্মকর্তারা দূর করতে কাজ করছেন। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি এইগুলি সমাধান করার পরেই প্রকাশ করা হবে। দিন বা তারিখ বলা যাবে না। যাইহোক, আমরা শীঘ্রই এই ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশ করতে চাই।
নিবন্ধন আবেদন প্রস্তুতি : ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার
এনটিআরসি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান, এনামুল কাদের খান বলেন, পরীক্ষা পরিবর্তনের কাজ অত্যন্ত জটিল। এটি করতে বিধামালা পরিবর্তন করতে হয়। সে ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই। অতএব এবারের পরীক্ষা পদ্ধতির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
কতটি পদ খালি, তা জানতে চাইলে এনামুল কাদের খান বলেন, ‘আমরা এ বিজ্ঞপ্তিতে খালি পদের সংখ্যা জানাই না, আমরাও সংগ্রহ করি না। বিধিমালা অনুসারে লিখিত পরীক্ষার আগে আমরা শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে পাঠাই। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে শূন্য পদের সংখ্যা আমরা প্রকাশ করি। সেভাবেই নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।’