চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল- চাকরির জন্য মাঝে মাঝেই আমাদেরকে ইন্টারভিউ এর সম্মুখীন হতে হয়। খেয়াল করলে দেখা যায় এমন অনেকেই আছেন যারা চাকরির জন্য বার বার ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি হয়না। একটা সময় তাদের জীবন খুবই দূর্বিসহ হয়ে পড়ে। তাদের চরিত্রে বেকারের সীলমোহর লেগে যায়। তারা পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে যায়। ব্যক্তিত্ব বা মূল্যায়ন বলতে তাদের কিছুই থাকে না। এরকম চিত্র আমাদের দেশের প্রায় ঘরে ঘরেই দেখা যায়।

চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল-

ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে আমাদের মনে অনেক স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন দেখি চাকরিটা আমারই হবে। চাকরিটা যদি আমার হয় তবে চাকরির বেতন দিয়ে এই করবো সেই করবো কত ধরণের স্বপ্ন যে আমরা দেখে থাকি। কিন্তু ইন্টারভিউ দেওয়ার পর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পূর্বেই আমাদের সকল স্বপ্নের মৃত্যু হয়ে যায়। ইন্টারভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশ্নকারীরা প্রায় সকলকেই একটি কমন কথা বলে থাকেন- ঠিক আছে আপনি আসুন পরবর্তীতে আপনাকে জানানো হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে যাদেরকে এ কথা বলা হয় তাদের বেশীরভাগই চাকরি হয়না। আর যাকে চাকরিতে নেওয়া হবে তাকে এ ধরণের কথা বলা হয়না। তাদেরকে সাধারণত বলা হয় ঠিক আছে এখন বলুন আপনি আমাদের কোম্পানীতে কবে থেকে জয়েন করছেন অথবা বেতন নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন ইত্যাদি।

চাকরির ইন্টারভিউ টিপস | ইন্টারভিউ প্রস্তুতি

ইন্টারভিউ দেওয়ার কিছু কৌশল রয়েছে। যে কৌশলগুলো অবলম্বন করলে প্রশ্নকারীরা আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কৌশলগুলো জানা থাকলে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার আত্মবিশ্বাস, মনোবল অনেক বেড়ে যাবে। যা আপনাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আজ আমরা চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। প্রথমে আমরা ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নেই।

ক) ইন্টারভিউ এর পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
খ) চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে স্টাডি করা।
গ) মনোযোগ সহকারে প্রশ্ন শোনা।
ঘ) স্পষ্ট ও সহজভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা।
ঙ) আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।
চ) চ্যালেঞ্জ বা তর্ক না করা।
ছ) রাগান্বিত বা বিরক্ত না হওয়া।
জ) শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করা।
ঝ) ঘাবড়ানো বা নার্ভাস না হওয়া।
ঞ) ভদ্রতা বজায় রাখা।
ট) পূর্বের কোম্পানী সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু না বলা।
ঠ) বদ অভ্যাস ত্যাগ করা।
ড) প্রয়োজনে উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করা।
ঢ) সবজান্তা মনোভাব বর্জন করা।
ণ) হাসি-খুশি ও উৎফুল্ল থাকার চেষ্টা করা।

চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রবেশের পূর্বে করণীয় কি?

১। ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি গ্রহণ করা-

ক) যে পদে চাকুরীর জন্য ইন্টারভিউ দিবেন সে অনুযায়ী প্রফেশনাল সিভি তৈরী করতে হবে।
খ) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত কাগজপত্র যেমন- সিভি, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, অভিজ্ঞতা সনদ, প্রশিক্ষণ সনদ (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্র, সম্প্রতি তোলা ফটোগ্রাফ সহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে।
গ) ফরমাল/মার্জিত পোশাক পড়তে হবে।
ঘ) হাতে পায়ের নখ, চুল ইত্যাদি ছোট করতে হবে।
ঙ) দাঁত পরিস্কার করতে হবে। মুখে ও শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ মাউথ ওয়াশ এবং পারফিউম ব্যবহার করতে হবে। এক কথায় পরিপাটি হয়ে যেতে হবে।
ঝ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে হবে। ট্রাফিক জ্যাম বা অন্য কোন কারণ দেখিয়ে দেরী করা যাবে না।
ঞ) ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রবেশের সময় ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় করে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
ট) ইন্টারভিউ রুমে প্রবেশের পূর্বে আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট অথবা বন্ধ করুন।

২) চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে স্টাডি করা-

চাকরির জন্য ইন্টারভিউ বোর্ডে কি ধরণের প্রশ্ন করা হবে তা একান্তই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে। তবে চাকরির জন্য প্রায় প্রতিটি ইন্টারভিউতেই কমন কিছু প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নের উত্তর দিতে সহজ হয়।

এজন্য ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে এ সম্পর্কে স্টাডি করে যাওয়া উচিত।

চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আমাদের একটি আর্টিকেল রয়েছে। আপনারা চাইলে আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রবেশের পরে করণীয় কি | চাকরির ইন্টারভিউ টিপস-

ক) মনোযোগ সহকারে প্রশ্ন শুনুন-

ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথমে মনোযোগ সহকারে প্রশ্নকারীদের প্রশ্ন শুনবেন। তাদেরকে কোন প্রশ্ন রিপিট করাবেন না অর্থাৎ একই প্রশ্ন তাদেরকে যেন দুই বার জিজ্ঞাসা করতে না হয়। তাদের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই কোন উত্তর দিবেন না।

যদি কোন কারণে প্রশ্ন বুঝতে বা শুনতে না পারেন তবে বিনয়ের সাথে পুনরায় জিজ্ঞাসা করুন।

যাই হোক সম্পূর্ণ প্রশ্ন মনোযোগ সহকারে শুনবেন তারপর চিন্তা-ভাবনা করে উত্তর দিবেন।

তবে চিন্তা-ভাবনার জন্য বেশী সময় নেওয়া উচিত নয়।

খ) স্পষ্ট ও সহজভাবে উত্তর দিন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট ও সহজভাবে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ঘুরিয়ে পেচিয়ে বা আমতা আমতা করে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। উত্তর দেওয়ার মাঝে স্মার্টনেস থাকতে হবে।

গ) চ্যালেঞ্জ বা তর্ক পরিহার করুন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল-

কোন অবস্থাতেই প্রশ্নকারীদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ বা তর্কে জড়ানো যাবে না। যদি এমন হয়, তারা আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছে, আপনি তার সঠিক উত্তর দিয়েছেন, কিন্তু তারা আপনার উত্তরকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তাহলে আপনি স্মার্টলী আপনার উত্তর সঠিক হওয়ার দু’একটি পয়েন্ট তুলে ধরুন। কেননা অনেক সময় তারা ইচ্ছা করে ভুল ব্যাখা দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেখতে চান আপনি এটাকে কিভাবে সমাধান করেন। কিন্তু আপনি যদি বুঝতে পারেন যে তারা কথাটি সিরিয়াসলি বলেছেন তবে কৌশলে তা এড়িয়ে যান। কোন অবস্থাতেই তাদের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না।

ঘ) রাগান্বিত বা বিরক্ত হওয়া যাবে না-

অনেক সময় প্রশ্নকারীগণ চাকরি প্রার্থীকে পরীক্ষা করে দেখার জন্য কিছু বিরক্তিকর বা রাগান্বিত হওয়ার মতো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে থাকেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত বা কটাক্ষ করে কিছু প্রশ্ন করে থাকেন। এ ধরণের প্রশ্ন করে তারা দেখতে চান আপনি নিজেকে কিভাবে কন্ট্রোল করেন বা সংযত রাখেন। অথবা তারা দেখতে চান যে আপনি এই প্রশ্নের কোন ইতিবাচক উত্তর দিতে পারেন কিনা।

এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সংযত হতে হবে। কেননা সংযম আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করবে।

ঙ) প্রাঞ্জল বা শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করুন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল-

ইন্টারভিউ বোর্ডে কথা বলার সময় অবশ্যই প্রাঞ্জল ও শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করুন। কোন অবস্থাতেই আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করবেন না। কেননা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন-

১. আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে অনেক কথা বুঝা যায় না। কেননা একেক এলাকার আঞ্চলিক ভাষা একেক রকম। আমরা যারা ঢাকার বাসিন্দা তারা সিলেট, চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালীর আঞ্চলিক অনেক কথা বুঝতে পারব না।
২. শুদ্ধ ভাষায় কথা বললে কথা যেমন বুঝতে সুবিধা হয় আবার স্মার্টনেসও বেড়ে যায়।
৩. আঞ্চলিক ভাষা না বুঝার কারণে প্রশ্নকারীকে একই প্রশ্ন বার বার করতে হয়। যা বিরক্তির কারণ হতে পারে।

এজন্য ইন্টারভিউ বোর্ডে কথা বলার সময় আঞ্চলিক ভাষা সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন, শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলুন।

চ) মার্জিত বা ভদ্র আচরণ করতে হবে-

ইন্টারভিউ এর সময় এমন কোন আচরণ করা যাবে না যেটা দেখে বুঝা যায় আপনি অশালীন ও অভদ্র। ভদ্র ও মার্জিত আচরণ করতে হবে। কথা বলার সময় স্বর ও নম্রতা বজায় রাখুন।

অন্যথায় তারা আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবেন এবং ন্যাগেটিভ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ছ) বদ অভ্যাস বা মুদ্রা দোষ পরিহার করুন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

আমাদের অনেকের কিছু বদ অভ্যাস রয়েছে। যা ইন্টারভিউ এর সময় পরিহার করতে হবে। যেমন-

১. দাঁত দিয়ে নখ কাটা
২. দুই পা ঝাঁকানো
৩. কথা বলার সময় চোখ নিচু করে কথা বলা এবং উচ্চ স্বরে কথা বলা।
৪. জড়ো সড়ো হয়ে বসা।
৫. একই কথা বার বার বলা।
৬. হাত-পা ও মাথা চুলকানো।
৭. প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তাড়াহুড়া করা।

এ বদ অভ্যাসগুলো ইন্টারভিউ বোর্ডে একেবারে পরিহার করতে হবে। কথা বলার সময় অবশ্যই প্রশ্নকারীদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার চেষ্টা করা। কাঁধ ও মাথা উঁচু করে তাদের সামনে স্মার্টলী বসতে হবে।

জ) ঘাবড়ানো বা নার্ভাস হওয়া যাবে না-

পরীক্ষা মানেই অনেকেই নার্ভাস হয়ে যায়। আর ইন্টারভিউ হলে তো কথাই নেই। প্রশ্নকারীরা আপনার মতোই মানুষ। তাদের দেখে নার্ভাস হওয়া বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনাকে যা যা জিজ্ঞাসা করা হবে তার সঠিক এবং সদুত্তর দিন। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকে তাহলে অকপটে স্বীকার করুন। একটি কথা মনে মনে ভাবতে থাকুন এ চাকরিটা না হলে আমার খুব বেশী ক্ষতি হবে না। তাহলে দেখবেন আপনার নার্ভাস ভাবটা কেটে গেছে।

কিন্তু আপনি যদি চাকরি না হওয়ার ভয় করেন তবে আপনি তাদের সামনে নির্ভয়ে কথা বলতে পারবেন না।

ঝ) উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করুন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। অল্প সময়ের মধ্যে বিচক্ষণতার সাথে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হয়। অনেক সময় কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে না। যেগুলোর উত্তর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে দিতে হয়।

আপনি আপনার উপস্থিত বুদ্ধিকে যতো বেশী কাজে লাগাবেন তারা আপনার প্রতি ততো বেশী Impressed বা প্রভাবিত হবেন।

ঞ) সবজান্তা মনোভাব বর্জন করুন-

স্মার্ট হওয়া ভালো কিন্তু ওভার স্মার্ট একেবারেই ভালো নয়। কিছু মানুষ এমন আছেন যারা নিজেকে সবজান্তা মনে করেন। প্রশ্নের উত্তর জানা থাকুক আর নাই থাকুক এমন একটা ভাব করেন যেন উনি সবজান্তা। ইন্টারভিউ বোর্ডে সবজান্তা মনোভাব বর্জন করতে হবে। কেননা সবজান্তারা ওভার স্মার্ট হতে গিয়ে বেশিরভাগ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন না। আরে ভাই একজনের পক্ষে সবকিছু জানা যে সম্ভব হবে এমন তো কথা নেই। যে প্রশ্নের উত্তর জানা আছে তা সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

আর জানা না থাকলে অকপটে স্বীকার করে বলুন এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নাই।

ট) হাসি-খুশি ও উৎফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল-

ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় হাসি-খুশি ও উৎফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন। গম্ভীর হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিবেন না। হাসি-খুশি মানুষকে সকলেই পছন্দ করেন। তবে অট্টহাসি পরিহার করুন। এছাড়া হাসির কোন প্রসঙ্গই নেই অথচ আপনি হাসছেন এতে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যাবে।

ইন্টারভিউ বোর্ডে হাসাহাসি করা যাবে না। জাস্ট হাসি মাখা মুখে এবং মনে মনে উৎফুল্ল থাকার চেষ্টা করবেন।

ঠ) আত্মবিশ্বাস রাখুন-

চাকরি আপনার হবেই এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন ভয়, জড়তা কিছুই থাকবে না। এতে প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে আপনার জন্য সহজ হবে।

ড) পূর্বের কোম্পানী সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু না বলা | চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে যে আপনি পূর্বের চাকরি ছেড়ে এখানে কেন আসতে চাইছেন। এ প্রশ্নের উত্তরে পূর্বের কোম্পানী সম্পর্কে কোন অবস্থাতেই নেতিবাচক কিছু বলা যাবে না। কেননা পূর্বের কোম্পানী সম্পর্কে ন্যাগেটিভ কিছু বললে তারাও আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা করতে পারেন। তারা হয়তো মনে করতে পারেন আপনি যখন এই কোম্পানী ছেড়ে অন্য কোন কোম্পানীতে চলে যাবেন সেখানে গিয়ে তাদের কোম্পানী সম্পর্কেও আপনি ন্যাগেটিভ কথা বলবেন।

এখন বলুন আপনার সম্পর্কে যদি তাদের এরূপ ধারণা হয় তাহলে কি তারা আপনাকে নিয়োগ প্রদান করবে?

শেষকথা- চাকরি মানেই ইন্টারভিউ। ইন্টারভিউ দিলেই যে চাকরি হবে, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে ইন্টারভিউ দেওয়ার কিছু কৌশল রয়েছে। যে কৌশলগুলো অনুসরণ করলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এজন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার পূর্বে চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে সকলের জানা উচিত।

আর্টিকেলটি ভালভাবে পড়লে আশা করছি চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *