প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্যারিয়ারের সুযোগ

Spread the love

আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সমাজের বোঝা না বানিয়ে তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করলে তারা সমাজের শক্তিতে পরিণত হবে।প্রথমে আমরা প্রতিবন্ধীদের পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

প্রতিবন্ধী কারা???

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন , ২০০১-এ বলা হয়েছে যে, ” প্রতিবন্ধী অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্মগতভাবে বা রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরুপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে 

স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম”।

প্রতিবন্ধীর ক্যারিয়ার:

প্রতিবন্ধীর ক্যারিয়ার হলো- “ শারীরিক বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তির জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য উন্নতির সুযোগ সহ একটি পেশা”।অথবা একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দ্বারা স্থায়ীভাবে পরিচালিত এবং প্রশিক্ষিত একটি পেশা।

প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ারের গুরুত্ব:

আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭ ভাগেরও অধিক প্রতিবন্ধী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বর্তমানে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৮ জন। আমাদের মোট জনশক্তির হিসেবে এই সংখ্যাটা কোনভাবেই ছোট নয়। ফলে শারীরিকভাবে সক্ষমদের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিবন্ধীদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্যারিয়ারের সুযোগ:

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ছাড়া আমরা কখনো দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়েই আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে  বড় পরিসরে উদ্যোগ নিতে হবে।বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্নভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এইসকল উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে নিজেকে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রস্তুত করতে পারে।নিচে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা খুব সহজেই করতে পারে এমন কিছু কাজের ব্যাপারে আলোচনা করা হলো।

১.ফ্রিল্যান্সিং:

 তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে প্রতিবন্ধীরা ঘরে বসেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর কোনো বিকল্প নাই।যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং,ওয়েব সাইট ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।বর্তমানে অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধী এসব সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করছে।

২.মুদির দোকান:

মুদির দোকান বলতে এমন একটি দোকান যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ,ভারী কাজে অক্ষম ব্যক্তিরা ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসআ পরিচালনা করতে পারেন।মুদি দোকান যেসব পণ্য ক্রয় করা হয় এসব পণ্যের চাহিদা সারাবছরই থাকে।তাই এই ব্যবসায় লোকসানের কোন ভয় নেই। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এই ব্যবসা করে সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে।

৩.অনলাইন বিজনেস:

তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের জীবন যেমন হয়েছে সহজ তেমনি কেটেছে প্রচুর বাঁধা। ইন্টারনেট সমগ্র পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। বিনোদন ছাড়াও ইন্টারনেট এখন অনেকের জন্য আয়ের প্রধান উৎস। ঘরে বসেই শুরু করা যাচ্ছে ব্যবসা যার কাস্টোমার হতে পারে পুরো পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন মানুষ। শারীরিকভাবে অক্ষম, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে পারেন।

৫.বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য:

ঘরে বসে করতে পারে অথবা শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়নাএমন সবয়ছোট-খাটো ব্যবসাকে প্রতিবন্ধীরা নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেঁচে নিতে পারে।যেমন: সেলাই কাজ,আর্টিস্ট,চক তৈরির ব্যবসা,চিপস তৈরির ব্যবসা,লন্ড্রি ব্যবসা, হাতের তৈরি গ্রামীন বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা,মোম তৈরির ব্যবসা,নিজের হাতের তৈরি লিকু্্যইড ডিসওয়াস ব্যবসা,পানের দোকান,বিড়ি-সিগারেটের দোকান,ফুলের দোকান ইত্যাদি।

নারী প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার:

একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারী কে এই সমাজে চলতে গেলে অনেক বাঁধা -বিপত্তির মধ্যে দিয়ে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে হয়। সেখানে নারী যদি হয় প্রতিবন্ধী তার জন্য ক্যারিয়ার গঠন করাতো দূরের কথা এই সমাজে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করাটাই দুঃসহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।তাই প্রতিবন্ধী নারীদের সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতিবন্ধী নারীরা ঘরে বসে করতে পারে এমন কিছু কাজের ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলো-

১.সেলাইকাজ:

 প্রতিবন্ধী নারীরা সেলাই কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এ কাজে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারে।বর্তমানে অনেক প্রতিবন্ধী নারী সেলাই কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে।

২.নকঁশীকাথা সেলাই:

কোনো ধরনের  শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া ঘরে বসে নকঁশীকাথা সেলাই করে বিক্রি করা যায়।এভাবেই অনেক প্রতিবন্ধী নারী নিজের কাজের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারে।

৩.মেকাভার্টিস্ট:

মেকআপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই বিষয়ে পারদর্শী হচ্ছে অনেক প্রতিবন্ধী নারী।নিজের ঘরেই বিউটি পার্লার খুলে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব প্রতিবন্ধী নারীদের।

৪.কুশিকাটার কাজ:

 বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুশিকাটার কাজ।কুশি কাজ শিখে কাপড়,জুতা,মাথার বেন্ড,শীতের জামা, বাচ্চাদের ফ্রক,শাল ইত্যাদি বানিয়ে ঘরে বসেই বিক্রি করা যায় অনায়াসেই।তাই প্রতিবন্ধী নারীরা এটা নিয়ে কাজ করে সফলতা অর্জন করতে পারে।

৫.আর্টিস্ট:

 আর্ট একটি শিল্প।কেউ নিজে নিজে আঁকতে আঁকতে এই শিল্পের শিল্পী হয়ে উঠে কেউ বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।প্রতিবন্ধী নারীরা যদি এই শিল্পের শিল্পী হয়ে উঠতে পারে তবে সে এটা নিয়েই নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে।

৬.রান্নাবান্না:

রান্নায় পারদর্শী হওয়া নারীদের জন্য খুবই জরুরি আবশ্যকীয় বিষয়। বাঙালি নারী রান্না জানে না এটা কখনো হতেই পারে না।তবে কেউ চাইলে এই রান্না নিয়েই নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। হরেক পদের রান্না নিয়ে ঘরের পাশেই হোটেল খুলতে পারে।অথবা ছবি তুলে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারে খুব সহজে।নানা পদের পিঠা পুলি,চাটনি,বর্তা, আচার ইত্যাদির ব্যবসা বর্তমানে খুবই জমজমাট।ঘরে বসে কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া পরিবার-পরিজনের সাহায্য নিয়ে এই কাজ করে খুব সহজেই প্রতিবন্ধী নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার ভাবনা: 

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার বা পেশা অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের থেকে একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।তারা চাইলেই সব কাজ করতে পারে না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়ক বা তারা সহজে করতে পারে এমন কিছু পেশা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –

১.শিক্ষকতা বা কলেজ প্রফেসরস:

 দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা শিক্ষকতা বা কলেজ প্রফেসরস হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে।এই দুইটি পেশা তাদের জন্য 

সহায়ক পেশা হবে বলে মনে করা হয়

২. Guidense counselors:

Guidance counselor বা উপদেষ্টা হিসেবে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেতে পারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা।এটাকে তারা নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেঁচে নিতে পারে।

৩.Psychologist বা মনস্তাত্ত্বিক:

 দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা মনস্তাত্ত্বিক বা মনোবিদ হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে।

৪.customer service representative: কাস্টমার সার্ভিস কেয়ারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা নিজের যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে চাকরি পেতে পারে।এটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সম্ভবনাময় একটা কাজের সেক্টর।

৪.social worker:

 social worker বা সমাজকর্মী হিসেবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা কাজ করতে পারে।

৫.কন্ঠশিল্পী:

যে সব দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কন্ঠ সুন্দর তারা কন্ঠশিল্পকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারে।কন্ঠশিল্পী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধীরা:

আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭ ভাগেরও অধিক প্রতিবন্ধী। মোট জনসংখ্যার তুলনায় এটা কোনো অংশেই কম না। উপরে উল্লেখিত কাজ গুলো করে প্রতিবন্ধীরা একদিকে যেমন নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে অন্যদিকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তারা দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করবে।অন্যান্য ছোট খাটো ব্যবসা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সাহায্য করবে। এবং বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রতিবন্ধীদের পিছিয়ে না রেখে তাদেরকে নিয়ে এগোলেই আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থেই সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে। প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার সৃষ্টিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত গুলোকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।তবেই তারা দেশের শক্তিতে পরিণত হবে।

5 thoughts on “ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্যারিয়ারের সুযোগ”

  1. প্রতিবন্ধী অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্মগতভাবে বা রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরুপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম।আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হয়।প্রতিবন্ধীদের পিছিয়ে না রেখে তাদেরকে নিয়ে এগোলেই আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থেই সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে। প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার সৃষ্টিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত গুলোকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।তবেই তারা দেশের শক্তিতে পরিণত হবে।অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক কে এ সম্পর্কে আর্টিকেলটি লেখার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য।

    Reply
    • আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একটি বোঝা মনে করা হয়। এমনকি তাদের পরিবার ও অভিশাপ মনে করে। তাদের জীবনযাত্রার মানও অনেক নিম্নমানের হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কর্মরত স্ব-সংগঠন সমূহের একটি কর্মজাল প্রতিষ্ঠান করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাধামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা, সরকারি উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবন্ধিতা বিষয়টি উপস্থাপনা ও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া জনপ্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারের ব্যাপারে মত বিনিময় করা দরকার।

      Reply
  2. আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের কে এখনো উন্নতির পথে বাধা মনে করে, কিন্তু আমরা যদি এই প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার গঠনে একটু সচেতন হই তাহলে এই প্রতিবন্ধীদের কে নিয়েই দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। যারা প্রতিবন্ধী তাদের দরকার একটুখানি সহযোগিতা তাহলে তারা আমাদের মতোই জীবন যাপন করতে পারবে। আসুন আমরা সবাই আমাদের চিন্তাভাবনাকে একটু পরিবর্তন করি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমরা সবাই প্রতিবন্ধীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগিতা করি।

    Reply
  3. আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদেরকে দেশের বোঝা বলে মনে করে।যদি তাদের মেধাকে এই দেশ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করত,তাহলে আমাদের দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর হতো।তাই প্রতিবন্ধীদেরকে কাজে বাধা না দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা।যেন তারা তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

    Reply
  4. আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা বলে মনে করা হয়।আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ ভাগের ও বেশি প্রতিবন্ধী। এই প্রতিবন্ধীদের ছাড়া আমরা সমাজ দেশের উন্নতি করতে পারবো না। এইসব প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ধরনের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমাদের দেশের উন্নতি করতে পারি। এর মধ্যে বর্তমান বিশ্বে অতি পরিচিত একটি কাজ হলো ফ্রিল্যান্সিং যা কিনা নারী, পুরুষ উভয়ই করতে পারে।এর ফলে নিজের এবং দেশের উভয়রই লাভ হবে।এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। তাই প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা মনে না করে তাদেরও অন্যদের সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।

    Reply

Leave a Comment