ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং কি?

Spread the love

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো– ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি অতি পরিচিত একটি শব্দ। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনেকেই বুঝেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু একটা করে ইনকাম করা। ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু এর কার্যক্রম সম্পর্কে খুব একটা অবগত নই। শুধুমাত্র শুনেছি ফ্রিল্যান্সিং করে নাকি ইনকাম করা যায়। তবে আমাদের দেশে আস্তে আস্তে ফ্রিল্যান্সিং এর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা, আশেপাশের অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

প্রথমে শুনেছে আর এখন ফ্রিল্যান্সিং করে অনেককে ইনকাম করতে দেখছে। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর পরিচিতি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য অগ্রসর হচ্ছেন। আবার অনেকেই শিখতে চাচ্ছেন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায়। যারা শুনেছেন ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায় এবং যাদের ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগ্রহ আছে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্যই লেখা। তো চলুন দেরী না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কি? | What is Freelancing?

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি ইংরেজী শব্দ। যার অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। সহজভাবে এভাবে বলা যেতে পারে- নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা কোম্পানীর অধীনস্থ না হয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন মনে, নিজের পছন্দমত কাজ করে ইনকাম করাকেই মূলত ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর স্বাধীনভাবে যারা কাজ করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে।

আমরা ফ্রিল্যান্সিং বললেই বুঝি অনলাইন থেকে ইনকাম করা। প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আন্তর্জাতিক কাজগুলো স্বাধীনভাবে করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়, বিধায় ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি অনলাইন ইনকামের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।

কি কি কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আমাদের একটি ভুল ধারণা হলো- আমরা মনে করি, ফ্রিল্যান্সিং মানেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা। কিন্তু এ ধারণাটি একদমই ভুল ধারণা। কেননা, অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে সাধারণত দেশের বাইরের কাজগুলো করা হয়। আর অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে দেশীয় বা লোকাল কাজগুলো করা হয়।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজগুলো করা হয়?

ক) ডিজিটাল মার্কেটিং- অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মার্কেটিংকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। সারা বিশ্বে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোন জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রোডাক্ট বেচা-কেনা করতে পারবেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে আপনি আপনার যে কোন বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া কমিশনের ভিত্তিতে অন্যদের পন্য বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন। অনলাইনে এ ধরণের বহু প্লাটফর্ম রয়েছে।

খ) ফেসবুক মার্কেটিং
গ) সিপিএ মার্কেটিং
ঘ) এ্যামাজন এফিলিয়েট
ঙ) ওয়েব ডিজাইন
চ) ব্লগিং
ছ) আর্টিকেল রাইটিং
ছ) প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং
জ) গ্রাফিক্স ডিজাইন
ঝ) লোগো ডিজাইন
ঞ) ডাটা এন্ট্রি
ট) এসইও
ঠ) ভিডিও এডিটিং
ড) ভিডিও তৈরী ইত্যাদি।

এই কাজগুলোর মধ্যে যে কাজটি আপনি করতে আগ্রহী অথবা যেটা আপনার কাছে ভালো লাগে, সেই কাজটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করুন। আপনি যতটা দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হতে পারবেন, ঠিক ততটাই ইনকাম করতে পারবেন। এসব সেক্টরে ইনকামের কোন লিমিট নাই। আপনার দক্ষতা এবং পরিশ্রম অনুযায়ী এ সেক্টরগুলো থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু লিখলাম না। কেননা, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সাইটে ইতিমধ্যে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে। আপনারা চাইলে আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন

তাহলে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পারবেন।

এখানে একটি কথা বলে রাখতে চাই তাহলো- অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এবং অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কাজের ধারা এবং ইনকামে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। যেমন-

ক) অনলাইনের অনেক কাজ অফলাইনে করা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে লোকাল বেশ কিছু কাজ অনলাইনে করা সম্ভব হয় না।

খ) অনলাইনে কাজের রেট অনুযায়ী অফলাইনে কাজের রেট অনেক কম। কেননা, লোকাল কাজের রেট নির্ধারণ করা হয় টাকা দিয়ে। অন্যদিকে অনলাইনের কাজের রেট নির্ধারিত হয় ডলার দিয়ে। যেহেতু ডলারের মূল্য আমাদের টাকার তুলনায় অনেক বেশী তাই কাজের রেটও অনেক বেশী পাওয়া যায়।

গ) লোকাল হোক আর অনলাইন হোক উভয় ক্ষেত্রেই কাজ পেতে অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। তবে তুলনামূলক লোকাল কাজগুলো একটু সহজে পাওয়া যায়। কেননা, আমাদের দেশের অধিকাংশই ইংরেজী ভাষায় দূর্বল। ইংলিশ কমিউনিকেশনে দূর্বল হওয়ায় অনলাইনে কাজ পেতে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আপনি যদি উভয় ক্ষেত্রে এক্সপার্ট হন, তাহলে কাজ পেতে কোন অসুবিধা হবে না। কেননা, এক্সপার্টদের কদর সারা বিশ্বেই রয়েছে।

লোকাল বা অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজগুলো করা হয়?

কম্পিউটার অপারেটর- কম্পিউটারে মাইক্রোসফ্ট অফিস প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম শিখে ইনকাম করতে পারেন। আপনি কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হলে বিভিন্ন কমার্শিয়াল স্পেস অর্থাৎ যে কোন কম্পিউটারের দোকানে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড প্রিন্টিং- গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় একটি সেক্টর। প্রচুর কাজ রয়েছে এই সেক্টরে। প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, প্রচুর পরিমানে ইনকাম করুন। আমাদের দেশে সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনের যে কাজগুলো করা হয়-

ক) ভিজিটিং কার্ড

খ) প্যাড, ক্যাশ মেমো

গ) লিফলেট, ফ্লাইয়ার, ব্রশিউর, ম্যাগাজিন

ঘ) ফুড মেনু

ঙ) বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার

চ) প্যাকেজিং

ছ) স্টিকার

জ) ক্যালেন্ডার

ঝ) পোষ্টার

আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানী, ক্যাফে, রেষ্টুরেন্ট, অন্যান্য দোকান অথবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এই সকল ডিজাইন করানো সহ প্রিন্টিং করানোর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ডিজাইনার হতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানী বা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে উক্ত ডিজাইনগুলোর চুক্তি ভিত্তিক অর্ডার নিতে পারেন। ডিজাইন করার পর কোন প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রিন্ট করে হিউজ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন- প্রযুক্তির এই যুগে সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। যদিও আমরা একটু পিছিয়ে আছি তবুও আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর চাহিদা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এজন্য এই সেক্টরে কাজের পরিমান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন শিখে লোকাল বা দেশীয় ওয়েবসাইট ডিজানের কাজগুলো করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর্কিটেকচারাল ডিজাইন- ডিপ্লোমা, বিএসসি করার পর আর্কিটেক্ট হতে হয়। আর্কিটেক্ট হতে পারলে কোন না কোন কাজ বা চাকরি পাওয়াই যায়। চাকরি করে অবশ্য বেশী টাকা ইনকাম করা যায় না। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং করে বিভিন্ন কোম্পানীর বিল্ডিং নির্মানের নক্শা তৈরী করে হিউজ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি স্বনামধন্য আর্কিটেক্টের খ্যাতি অর্জন করতে পারেন তাহলে প্রচুর কাজ করতে পারবেন। বড় বড় কোম্পানীগুলো আপনার সাথে কন্টাক্ট করে কাজগুলো করিয়ে নিবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে স্ট্যান্ডার্ড মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানীতে চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

ইন্টেরিওর ডিজাইন- বর্তমানে ইন্টেরিওর ডিজাইনের চাহিদা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি বিল্ডিং এর ভেতরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে ইন্টেরিওর ডিজাইনের তুলনা নেই। এই ডিজাইনগুলোর আউটলুকিং এতো সুন্দর হয় যেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। তবে এই ডিজাইনের কাজগুলো অনেক ব্যায়বহুল। তবুও বড় বড় কোম্পানীগুলো তাদের অফিসে বা ধনীদের বাসাগুলোতে ইন্টেরিওর ডিজাইন করে থাকে। যদি আপনি ইন্টেরিওর ডিজাইন নিয়ে লেখাপড়া করে ডিজাইনে দক্ষ হতে পারেন তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভিডিওগ্রাফী এন্ড এডিটিং- আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রাম অর্থাৎ বিবাহ-সাদী, গায়ে হলুদ, বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমানে ভিডিওগ্রাফী করা হয়। এসব ভিডিওগুলো প্রফেশনাল লুকের তৈরী করতে হয়। ভিডিওগুলোকে প্রফেশনাল লুক দিতে হলে অবশ্যই ভাল মানের ভিডিওগ্রাফী এবং প্রচুর এডিটিং করতে হয়। আর এগুলো করতে অবশ্যই আপনাকে প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার হতে হবে এবং ভিডিও এডিটিংয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। ভিডিও এডিটিং করেও আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফটোগ্রাফী এন্ড এডিটিং- ফটোগ্রাফী এন্ড ফটো এডিটিং করেও আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমানে ফটোগ্রাফীর কাজ থাকে। এজন্য প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফার হতে হয়। এ সেক্টর থেকে প্রচুর পরিমানে ইনকামের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাইভেট টিউটর- আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। বেকার না থেকে প্রাইভেট পড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন। যতদিন ইনকামের কোন সোর্স তৈরী না হয় ততদিন প্রাইভেট টিউটর হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন।

ইলেকট্রিশিয়ান- আপনি যদি একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ ‍চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন কমার্শিয়াল অথবা রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং এর ইলেকট্রিক কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হতে হবে।

পেইন্টার বা রং মিস্ত্রী- ঢাকা শহর সহ সারা দেশের জেলা শহর এমনকি গ্রামেও এখন প্রতিযোগিতা করে বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে। এসব বিল্ডিং তৈরী করার পর বিভিন্ন রঙে রাঙাতে হয়। যার ফলে রং মিস্ত্রীদের অনেক চাহিদা রয়েছে। রং মিস্ত্রীর কাজ শিখে চুক্তিভিত্তিক বা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন।

এই কাজগুলোর বাইরেও আরও অনেক ধরণের লোকাল কাজ রয়েছে, যেগুলো আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি কাজের প্রতি একটু উগ্যোগী হন, তাহলে আপনাকে আর বেকার থাকতে হবে না বা চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না। চাকরি করে আর কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশ্বাস করুন ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি চাকরির বেতনের চেয়ে কয়েক গুন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অভাব দূর হয়ে যাবে, সমাজে সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়-

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ প্রশ্নটি অনেকেই জানতে চান। আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা কঠিন কোন বিষয় না। বর্তমানে খুব সহজেই কোন কিছু শেখা যায়। কেননা, এখন শেখার অনেক রিসোর্স রয়েছে। একটা সময় ছিল, কোন কিছু শিখতে হলে অনেক কাঠ-খোর পোহাতে হতো। অনেক সময় লেগে যেতো। অনেক সময় ভালো শিক্ষকও পাওয়া যেতো না। কিন্তু প্রযুক্তির সুফলে এখন কোন কিছু শিখতে বেশী কষ্ট করতে হয়না বা বেশী সময়ও লাগে না। এখন কোন কিছু শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলো গুগল, ইউটিউব। পৃথিবীতে হয়তো এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না অথবা এমন বিষয় খুব কমই আছে যা গুগল, ইউটিউবে নেই।

তবে গুগল, ইউটিউব যত বড় শিক্ষকই হোক না কেন, কোন না কোনভাবে আপনার একজন শিক্ষকের প্রয়োজন পড়বেই। কেননা, অনেক সময় এমন হতে পারে গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে আপনি কোন কোন বিষয় বুঝতে পারছেন না। তখন একজন শিক্ষকের প্রয়োজন হবে, যিনি আপনার না বুঝা বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে পারবেন। এজন্য কোন ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জ্ঞান অর্জন বা ফ্রিল্যান্সিং শেখা উচিত। তবে ইউটিউব, গুগল থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। পাশাপাশি একজন ট্রেইনার থাকলে আরও সহজে শিখতে পারবেন। যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো চলুন সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। কি কি উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন তা নিম্নরুপ-

ক) ট্রেনিং সেন্টার- কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হলে অবশ্যই একজন শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। যদি শুধুমাত্র বই-পুস্তক, লেকচার সীট, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি দিয়ে কাজ হতো তাহলে পৃথিবীতে শিক্ষক বা টিউটর বলতে কোন কিছু থাকতো না। মহান সৃষ্টিকর্তাও মানব সভ্যতার জন্য শুধুমাত্র কিতাবই পাঠাননি, সেই সাথে শিক্ষক হিসেবে যুগে যুগে নবী-রাসুলদেরকেও পাঠিয়েছেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে কোন ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হবে।

তবে ট্রেনিং সেন্টারে যাবার পূর্বে ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। যেমন-

১. ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিতে হবে। কেননা, অনেকেই এ ধরণের ট্রেনিং সেন্টার খুলে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করে যাচ্ছে। ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার পূর্বে তারা যে ধরণের কমিটমেন্ট করে থাকে সে অনুযায়ী তারা শেখায় না। অনেকে ৫০ ভাগও কভার করে না। অথচ কোর্স ফি বাবদ অনেক টাকা নিয়ে থাকে।

এজন্য কোন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার পূর্বে বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর ভর্তি হবেন। এমন কাউকে খুঁজে বের চেষ্টা করবেন যিনি ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে ইতিমধ্যে ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছেন। এমন কেউকে খুঁজে বের করে উক্ত ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে তারপর ভর্তি হবেন। তাহলে প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন। সময়ও বাঁচবে, অর্থও সেভ হবে।

২. ট্রেইনার সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। কেননা ট্রেইনার বা শিক্ষক যদি ভালো না হন তাহলে কোন কিছু পরিপূর্ণভাবে শিখতেও পারবেন এবং শিখতে মজাও পাবেন না। এজন্য যার কাছে শিখবেন তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করবেন। এছাড়া অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কিত কোন শিখতে হলে অবশ্যই ট্রেইনারের পোর্টফলিও ভালভাবে যাচাই করে নিবেন। যাচাই করে দেখবেন তিনি এ পর্যন্ত অনলাইন থেকে কত টাকা ইনকাম করেছেন বা আদৌ ইনকাম করতে পেরেছেন কিনা?

তবে এদের মধ্যে অনেককেই এমন খুঁজে পাবেন, যারা সবেমাত্র ইনকাম করা শুরু করেছেন। এদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা, সে নিজেই নতুন, আপনাকে কি শিখাবে বলুন?

বর্তমানে আমাদের দেশে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় শেখানোর জন্য অনেক স্বনামধন্য ট্রেনিং সেন্টার এবং ট্রেইনার রয়েছেন যারা অনেকদিন যাবৎ সুনামের সাথে তাদের ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আপনি শিখতে চাইলে এ ধরণের ট্রেনিং সেন্টার বা ট্রেইনার খুঁজে বের করে শেখার চেষ্টা করুন। তাহলে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

খ) গুগল- ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় অথবা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো লিখে গুগলে সার্চ করলে এ সম্পর্কে অনেক ওয়েবসাইটের লিষ্ট আপনার স্ক্রিনে শো করবে। আপনি সে লিষ্টগুলো থেকে প্রথম ১০টি সাইট ওপেন করে আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। দেখবেন, বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে তাদের আর্টিকেলগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। আশা করি বিভিন্ন সাইটের কন্টেন্টগুলো পড়ার পর ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে মোটামোটিভাবে জানতে পারবেন।

গ) ইউটিউব- অনলাইন থেকে কোন কিছু শিখার সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো ইউটিউব। এটি একটি প্লাটফর্ম যেখানে সকল বিষয়ের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। কেননা, সারা বিশ্বের লক্ষ কোটি ইউটিউবার বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত আপলোড করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কথাটি লিখে যদি ইউটিউবে সার্চ করেন তাহলে এ সম্পর্কে প্রচুর ভিডিও দেখতে পাবেন। এ ভিডিওগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটি ভিডিও মনোযোগ সহকারে দেখুন এবং সেই সাথে প্র্যাকটিস করুন। ভিডিও দেখে কোন কিছু শেখার সুবিধা হলো- আপনি প্রাক্টিক্যালি শিখতে পারবেন এবং ভিডিওর কোন অংশ বুঝতে না পারলে বার বার টেনে টেনে দেখতে পারবেন। একাধিক ভিডিও কেন দেখবেন? কেননা, প্রতিটি ভিডিওতেই ভিন্নতা কিছু থাকে। কারণ একেক জনের শেখানোর পদ্ধতি একেক রকমের হয়ে থাকে।

ঘ) টেকটিউনস্- টেকটিউনস্ থেকে আপনি বিভিন্ন টেকনোলোজি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আপনি এখান থেকে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম সম্পর্কে শিখতে পারবেন। টেকনোলোজি বিষয়ক অনেক মজার মজার বিষয় এখান থেকে শিখতে পারবেন। এছাড়া অনলাইন থেকে আয় বা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় সম্পর্কেও শিখতে পারবেন। কেননা টেকটিউনস্ এর অনেক টিউনাররা প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে টিউন করে থাকেন। তারা সিরিজ আকারে অনেক কিছু শিখিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে এখান থেকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করতে পারেন।

ঙ) Udemy Courses- Udemy একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কোর্স তৈরী করে বিক্রি করা হয়। কোর্সগুলোকে এমনভাবে তারা সাজিয়ে থাকে বা বানিয়ে থাকে যেগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই শিখতে পারবেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা আইটি রিলেটেড কোন বিষয় শিখতে চাইলে Udemy থেকে কোর্স কিনে শিখতে পারেন। কেননা, তারা খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং প্রফেশনাল মানের কোর্স তৈরি করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়-

অনেকের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। স্মার্ট ফোন বা এন্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে সাথে ইন্টারনেট সংযোগও রয়েছে। এরকম অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে বা ঘরে বসে অথবা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। কিন্তু মোবাইল দিয়ে আদৌ ইনকাম করা যায় কিনা বা কিভাবে ইনকাম করতে হয় তা জানা নাই। এজন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?

প্রশ্নটির উত্তর হলো- হ্যাঁ অবশ্যই করা যায়। তবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে যত সহজে কাজ করা যায় মোবাইল দিয়ে সেভাবে কাজ করা সম্ভব হয় না। এছাড়া আপনি মোবাইল দিয়ে অনেক কাজ চাইলেও করতে পারবেন না। যাই হোক বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। মোবাইল দিয়েও বেশ কিছু কাজের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন-

ক) গ্রাফিক্স ডিজাইন- গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় একটি সেক্টর। মোবাইলের মাধ্যমে আসলে প্রফেশনাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইন করা যায় না। তবে বেশকিছু এ্যাপস্ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে খুব সহজে টুকিটাকি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন। এসব এ্যাপসের মাধ্যমে ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি করতে পারবেন। ফটো এডিটিং লোগো ডিজাইন করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

খ) ব্লগিং- মোবাইল দিয়ে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারেন। এ কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

গ) আর্টিকেল রাইটিং- অন্যদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এই সেক্টরে প্রচুর কাজ রয়েছে। আপনি চাইলে কন্টেন্ট রাইটিং শিখে ইনকাম করতে পারেন।

ঘ) প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে- বিভিন্ন কোম্পানী তাদের প্রোডাক্টের রিভিউ লেখানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। আপনিও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। প্রোডাক্টের রিভিউ কিভাবে লিখতে হয় তা শিখে ইনকাম করতে পারেন।

ঙ) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং- সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করে আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। আমাদের দেশে বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে পন্য ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে। স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনার ফেসবুক আছে। ফেসবুকে আজে বাজে সময় নষ্ট না করে প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে করণীয়-

ক) সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। যে বিষয়ে আপনি কাজ করতে আগ্রহী বা আপনার কাছে ভাল লাগে এমন একটি বিষয় ঠিক করুন।

খ) একটি বিশ্বস্ত ও ভাল মানের ট্রেনিং সেন্টার খুঁজে বের করুন। যেখান থেকে আপনার স্বপ্নের ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।

গ) একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ক্রয় করুন। কেননা বাসায় প্র্যাকটিস করার জন্য আপনার রিসোর্স থাকা জরুরী।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনার মধ্যে যে বিষয়গুলো থাকা জরুরী-

ক) অদম্য বা প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।

খ) অধিক আগ্রহ থাকা।

গ) পরিশ্রমী হওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে।

ঘ) সফলতা না আসা পর্যন্ত প্রচেষ্টা করা মানসিকতা থাকা।

ঙ) প্রচুর পরিমানে অনুশীলন করার ইচ্ছাশক্তি।

ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

আসলে এটার কোন লিমিট নাই। পরিশ্রম এবং দক্ষতা অনুযায়ী ইনকাম কমে বাড়ে। যে যেমন দক্ষ এবং পরিশ্রমী তার তেমন ইনকাম হবে। প্রথমদিকে ৫০-১০০ ডলার ইনকাম করতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আস্তে আস্তে যখন দক্ষতা অর্জন করবেন তখন ১৫০০-২০০০ ডলার বা তারও বেশী ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি দক্ষতা অর্জনের পর যদি ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার উপর কোন ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন এবং ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার বিভিন্ন কোর্স বানিয়ে আইটি বাজারে বিক্রি করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে অর্ধ কোটি বা কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ পরিমান টাকা অনেক প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা ইনকাম করে যাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে দক্ষ এবং পরিশ্রমী হওয়ার বিকল্প নাই।

আমাদের দেশে শিক্ষিত যুবকরা বেকার হয়ে চাকরির দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাই চাকরি করে সৎভাবে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? প্রতি মাসে হয়তো ১০-৫০ হাজার টাকা যোগ্যতা অনুসারে ইনকাম করতে পারবেন। কোন কোন সেক্টরে হয়তো এর চেয়ে বেশী ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে বেশী না বছর খানেকের মধ্যে আপনি চাকরির ইনকামের কয়েকগুন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে কেন ভাই চাকরির পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন? শিক্ষিত মানুষ, মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটু পরিশ্রম করুন, দেখবেন সফলতা অর্জন করতে সময় লাগবে না। বেকার হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য আর ঘুরে বেড়াতে হবে না।

শেষকথা– ফ্রিল্যান্সিং করে আয়, ঘরে বসে ইনকাম, অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায়, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের দেশের অনেকেই গুগল, ইউটিউবে সার্চ করে থাকে। গুগল, ইউটিউব এর মাধ্যমে মোটামোটি ৫০% – ৭০% বা কমবেশী শেখা যায়। শুধুমাত্র অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায়ই নয়, এই সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে আরও অনেক বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।

গুগল, ইউটিউব থেকে কোন কিছু শেখার প্লাস পয়েন্ট হলো- আপনি যতবার ইচ্ছা ততবারই সার্চ করে জানতে পারবেন কিন্তু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের নিকট একের অধিকবার জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বিরক্ত বোধ করে থাকেন।

যাই হোক, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা ফ্রিল্যান্সিং শিখে কিভাবে ইনকাম করা যায় এসব বিষয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারবেন বা উপকৃত হয়েছেন।

Leave a Comment