কিভাবে পড়লে সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ হবে

Spread the love

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিসিএস এর ২৬টি ক্যাডার, সবসময়েই থাকে তুঙ্গে। তাই সর্বপ্রথম সরকারি চাকরি সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা ও পছন্দমত লক্ষ্য স্থির করে নিয়ে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বুঝে-শুনে এগোলেই ভালো ফল আশা করা যাবে ইনশাআল্লাহ।

অনেকে সরকারি চাকরি মানেই ভাবেন বিসিএস, প্রথমেই এই ভ্রান্তি দূর করাটা আবশ্যক। সরকারি চাকরির মাঝে আছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথা বিসিএস এর ২৬টি ক্যাডার, আছে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক, পুলিশের ,সামরিক বাহিনির বিভিন্ন পোস্ট ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, কিছু বিশেষায়িত খাতও আছে। যেমন, বিজ্ঞানী পদে- বিভিন্ন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে,ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানদের জন্য প্রকৌশলী পদে এবং গোয়েন্দা সংস্থাতেও ( ডিজিআই, এনএসআই ) ,রেলওয়ে অফিসার কিংবা নৌ- অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ ।

বিসিএস, ব্যাংক, পুলিশ নাকি অন্য কোথাও?

শুরুতেই লক্ষ্য ঠিক রাখা খুব জরুরি। কিছুদিন একটির প্রস্তুতি নিয়ে আবার কিছুদিন অন্যটার প্রস্তুতি এভাবে এগোতে থাকলে তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। কোনোটাই ঠিকমত হয় না। এজন্য লক্ষ্য স্থির রেখে এগোতে হবে। বিসিএস, ব্যাংক, পুলিশ বা অন্য যে সেক্টরকেই টার্গেট ধরে আগানো হোক না কেন, প্রস্তুতি যেন হয় গোছানো। কারণ,এদের সবগুলোর প্রস্তুতি কিন্তু একই রকম নয়।

কেন সবার লক্ষ্য থাকে একটি সরকারি চাকরি বাগিয়ে নেয়া? চাকরির মধ্যে কেন সরকারি চাকরিই করতে হবে?

এসব প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই আসবে জব সিকিউরিটির কথা,যেকোনো বেসরকারি চাকরির থেকে জব সিকিউরিটি যে  হাজার গুণে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভাতাদি, আমৃত্যু (কিছু ক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি স্ত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত) পেনশন ইত্যাদি কারণে ড্রিমজবের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই থাকে সরকারি চাকরি । একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে জনসেবার সুযোগ তো থাকছেই। অন্যান্য চাকরিতেও আপনি জনসেবা করতে পারবেন, তবে সরকারি চাকরিগুলোতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক লোকজনের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন ।

এখানে যেমন রয়েছে কর্তৃত্বের হাতছানি, তেমনি সম্মানের ছোঁয়া। এককথায় চাকরি প্রার্থীদের কাছে সরকারি চাকরি একটি নিশ্চয়তার ঠিকানা।

কিভাবে পড়লে সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ হবে এ প্রশ্ন আজ সার্বজনীন। বেশিরভাগ চাকুরী প্রত্যাশী মনে করেন যে টাকার জোড় বা মামুর জোড় না থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়না। কথাটা সত্যি তবে যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তাদের জন্য। সরকারি চাকরি পেতে হলে অবশই আপনা্র যথাযথ যোগ্যতা থাকতে হবে। শারিরিক, মানসিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই কেবল সরকারি চাকুরির জন্য আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং শারীরিক পরিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য মনে হলেই কেবল আপনি সরকারি চাকরি পেতে পারেন ।

এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়?

কিভাবে পড়লে সহজেই নিজেকে যোগ্য করে তুলবেন একটি সরকারি চাকরির জন্য তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো 

বর্তমানে সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ সহজে ধরা দিতে চায়না। সরকারি চাকরির প্রতযোগিতা অনেক বেশি। একটিমাত্র পদের জন্য হাজার হাজার প্রার্থী প্রতিযোগিতা করে থাকে। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আপনাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কিভাবে বাড়াবেন ?

শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হবে। অনার্সে পড়া অবস্থায়ই চাকুরির প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে চাকুরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করে যা তাকে হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। সেশনজট, সময় মত পরীক্ষা না হওয়া ইত্যাদি কারনে বয়স পেরিয়ে যায় তখন বয়স নিয়ে চিন্তা করে অনেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া সুদীর্ঘ সময় পড়াশোনার কারনে চাকরির পড়াশোনায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অনিহা দেখা দেয় তাই সময় থাকতে নিজেকে প্রস্তুত করুন সরকারি চাকরির জন্য। সরকারি চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্যরুপে গড়ে তুলতে পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই। 

আপনি যদি চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে চাকুরি আপনাকে খুজবে ইনশাআল্লাহ। মূল কথা হলো সরকারি চাকুরীর পরীক্ষায় যে সকল বিষয়ে প্রশ্ন হয় আপনাকে সেই সকল বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। 

সাধারণত প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার কোনো সিলেবাস থাকে না,তবে যে বিষয়গুলো থেকে সাধারণত বেশি প্রশ্ন আসে সেই গুলো এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো ।


যেকোনো পরীক্ষার প্রশ্নপদ্ধতি সম্পর্কে এবং বিশেষ করে নম্বরবণ্টন সম্পর্কে সুচারু ধারণা থাকতে হবে । তা না হলে যেকোনো রকমের প্রস্তুতিই বিফলে যেতে পারে। সরকারি চাকরিতে সাধারনত

বাংলা      ( ব্যাকরণ ও সাহিত্য )

ইংরেজি  ( গ্রামার ও অন্যান্য )

গণিত      ( বীজ গ্ণিত, পাটি গণিত ও জ্যামিতি )

সাধারণ জ্ঞান      ( বাংলাদেশ, আর্ন্তজাতিক, খেলাধুলা ও ইতিহাস )

মানসিক দক্ষতা

কম্পিউটার

এ জাতীয় বিষয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে। এখানে উল্লেখিত বিষয় গুলো ভালো ভাবে আয়ত্ব করলেই আপনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে এবং সরকারি চাকুরির জন্য যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় ভালো করতে পারবেন। আপনি সুনির্দিষ্টভাবে কোন চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেটার মানবণ্টন বিশদে জেনে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

কীভাবে পড়লে সাফল্য আশা করা যাবে 

সেরা চাকরির জন্য দরকার সেরা প্রস্তুতি। কথায় আছে,ওয়ার্ক হার্ড এর থেকে বেশি কার্যকর হলো ওয়ার্ক স্মার্ট, আর সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে কঠোর পরিশ্রম করা জরুরি। কারণ,এটা মাথায় রাখতে হবে যে, শর্টকাট পড়ে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে উপযুক্ত স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী কাজ করলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণ। স্মার্টভাবে কাজ করলে অনেকসময় কম পরিশ্রম করলেই কাঙ্ক্ষিত ফল আশা করা যাবে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে ?

মুখস্থ নয়,পড়তে হবে বুঝে। দ্রুত অধ্যায় শেষ করার চিন্তা না করে সময় দিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি। প্রতিটি বিষয়কে আলাদা সময়ের স্লটে ভাগ করে নিতে হবে। নিজের সময়,সুযোগ ও সাধ্যমতো একটা প্ল্যান করে পড়তে হবে।  আর কেউ যদি চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে চান,পুরো অবসর সময় সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে হবে। পড়তে থাকলে একসময় অন্যদের সঙ্গে ব্যালেন্স হয়ে যাবে। বেসিক ক্লিয়ার করে বই পড়লে, জয় হবেই। বেশি বই পড়ে,মনে না রাখার চেয়ে ভালো মানের অল্প বই বারবার পড়লে মেমোরাইজ জোন তৈরি হবে,মনে থাকবে বেশি। একটি ভালো বই ও পরিশ্রম বদলে দিতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার। তাই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে শুরু করতে হবে। 

সুনির্দিষ্ট রুটিন এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে পড়া 

রুটিন করে পড়তে হবে,এতে সময় কম নষ্ট হবে। সাথে থাকতে হবে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও। যেটা অনুযায়ী প্রতিটা বিষয়ের অধ্যায় ধরে ধরে পড়া এগোবে। এভাবে প্ল্যান করে পড়তে থাকলে পুরো সিলেবাস সুন্দর মতো শেষ করে ফেলতে কোনো বেগই পেতে হবে না। পড়ার সুবিধার্থে দরকার হলে লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়বেন। এতে হবে কী, বাকিদের দেখাদেখি অটোমেটিক পড়াশুনার মোটিভেশন চলে আসবে। আর আমাদের ব্রেইন বেশ অনুকরণপ্রিয়,কোনো কিছু দেখে তা থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে ও ভালোই পারে। পড়ুয়াদের ভিড়ে থাকলে নিজেকে পড়ার ভেতর আবদ্ধ রাখতে সুবিধা হবে।  

সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়ে ফলো করা  

আপনার যে বড় ভাই/ আপু কেবল চাকরিতে জয়েন করেছেন,তার থেকে উপদেশ নিতে পারেন। তারা কিভাবে পড়ে চাকরির পরীক্ষায় ভালো করেছে তা জানার চেষ্টা করুন। এই টেকনিক কাজে আসতে পারে যেকোনো পরীক্ষাতেই! তার অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারবেন বহুগুণে।

পরীক্ষার ধরন বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া 

সমস্ত সরকারি চাকরির প্রশ্নপত্র এক রকম হয় না। যেমন ব্যাঙ্কের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে রেলের চাকরির পরীক্ষার। তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারি থেকে রাজ্য সরকারি, সমস্ত পরীক্ষার কিছু ধরন রয়েছে। তাই প্রার্থীদের যে কোনও নির্দিষ্ট পরীক্ষা দেওয়ার আগে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। 

সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর লেখার অভ্যাস করা

চাকরির পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বাংলা,ইংরেজি,অঙ্ক,সাধারণ জ্ঞান সহ থাকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্ন। ফলে সময়ের মধ্যে পুরো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়। তাই বাড়িতে পড়াশোনা করার সময়েই ঘড়ি ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। 

পড়ার পাশাপাশি নোট লেখার অভ্যাস

যেহেতু চাকরির পরীক্ষায় সিলেবাস অনেক বেশি থাকে। তাই নিয়মিত নোট নিয়ে লিখে রাখার অভ্যাস করলে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে কোনও একটি চ্যাপ্টার পুরোটা না পড়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি চোখ বুলিয়ে নিলেই মনে রাখতে সুবিধা হবে। 

বেশি বেশি সাধারণ জ্ঞানের চর্চা করা

যে কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেই সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন থাকেই। সেক্ষেত্রে নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক জাতীয়,আন্তর্জাতিক খবর,সরকারি নীতি এবং সামাজিক আর্থিক উন্নয়নের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে।  

অনলাইনে চাকরির প্রস্ততি 

বর্তমানে সবকিছুর মতোই সরকারি চাকরির প্রস্ততিও অনলাইনে নেওয়া যায়। কিভাবে অনলাইনে সরকারি চাকরির প্রস্ততি নিবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো 

চাকরি সম্পর্কিত বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রস্ততি 

বর্তমানে ফেসবুকে অনেক পেইড কোর্সের বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় যেগুলোতে রেকোর্ড অথবা লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে অভিজ্ঞ ইন্সট্রাকটররা চাকরির প্রস্ততি নিতে সহায়তা করে থাকে। এছাাড়াও,বিনামূল্যে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে এমন কিছু গ্রুপও আছে। 

ইউটিউবের সাহায্যে চাকরির প্রস্ততি 

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সবাই কমবেশি ইউটিউব সম্পর্কে জানেন। শিক্ষামূলক ভিডিও ইউটিউবে আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি চেষ্টা করেন ফ্রিতেই ইউটিউবের সাহায্যে অনলাইনে চাকরির প্রস্ততি নিতে পারেন।

চাকরির পড়াশোনা টিপস 

সরকারি চাকরির জন্য পড়াতো অনেক। এক কথায় ১ম শ্রেণি থেকে শুরু করে অনার্স পর্যন্ত যা যা পড়েছেন তার যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার এতকিছু পড়া সম্ভবপর হয়ে ওঠবে না। তাই আপনাকে বাছাই করা কিছু প্রশ্ন পড়তে হবে। এরকম কিছু টিপস নিম্নে দেওয়া হলো 

ধীরে ধীরে প্রস্ততি শুরু করুন 

প্রথমেই বড় কোনো পড়ার টার্গেট বা অনেকক্ষণ পড়ার রুটিন না বানিয়ে অল্প অল্প করে পড়া শুরু করে দিন। তাহলে আপনি প্রস্ততি নেওয়া থেকে ছিটকে যাবেন না এবং ধীরে ধীরে আপনার প্রস্ততি নেওয়ার গতিও বাড়তে থাকবে এবং নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। 

গণিত ও ইংরেজি দিয়ে শুরু করতে পারেন 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে,চাকরিপ্রার্থীরা অধিকাংশই গণিত ও ইংরেজিতে দূর্বল হয়ে থাকে। তাই গণিত ও ইংরেজিতে ভিত্তি মজবুত করার জন্য গণিত ও ইংরেজি দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার প্রস্ততি।

প্রশ্নব্যাংক 

সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একটি বিশাল পরিমাণ প্রশ্ন বিগত বছরের প্রশ্নাবলি থেকে কমন আসে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি প্রশ্নব্যাংক এনালাইসিস করে পড়তে পারেন তাহলে কম সময়ের মধ্যেই চাকরির প্রস্ততি গ্রহণ করতে পারবেন। পুরাতন বছরের প্রশ্নব্যাংক সলভ করতে হবে।

রিভিশন 

যা যা পড়বেন তা অবশ্যই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা,রিভিশন না দিলে আপনি যা যা পড়েছেন সব ভুলে যাবেন আর পড়ে যে লাভ হওয়ার কথা ছিলো তা হবেনা। তাই বেশি বেশি রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

যেকোনো একটি বই পড়ুন

একটি বিষয়ের ওপর বাজারে বিভিন্ন লেখকের অনেক বই পাওয়া যায়। যেগুলোতে প্রলোভনমূলক অনেক কথাবার্তা থাকতে পারে। তবে,আপনি যেকোনো একটি ভালো বই সিলেক্ট করবেন এবং সেই বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বারবার পড়ার মাধ্যমে আয়ত্ত্বে নিয়ে আসবেন।

 গ্রুপ স্টাডি করতে পারেন

লাইব্রেরিতে বা ক্যাম্পাসে পড়ালেখার ব্যাপারে সিরিয়াস এমন বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করতে পারেন।  তাহলে,আপনার জানার ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে বলে আশা করা যায় ।

ব্যাকআপ রাখুন

দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে সরকারি চাকরির প্রস্ততি নিতে একটি ভালো ব্যাকআপ রাখার চেষ্টা করুন। সেটা হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং বা কোনো এনজিওতে চাকরি।

যে সকল বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকতে হবে

আলোচনার শেষের দিকে এসে আমরা জানবো, যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই ক্ষতিকর কাজগুলো ভুলে করে ফেলেন। যা একেবারেই করা যাবে না এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

নিজের সামর্থ্য ও যোগ্যতার সম্পর্কে জানা 

আপনাকে আপনার অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে। আপনার বেসিক কেমন এবং আপনি কতটুকু মনযোগের সাথে লেখাপড়া করেছেন ছোট ক্লাসগুলোতে বা কতটুকু ফাঁকি দিয়েছেন। লক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে সামর্থ্য ও যোগ্যতা সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। অনেক প্রার্থীকে দেখা যায় বাছাই পরীক্ষায় টেকার মতো যোগ্যতা না থাকার পরও বড় পদের চাকরির পেছনে ছুটতে গিয়ে তার জন্য উপযুক্ত পদের চাকরিটিতে আর চেষ্টা করা হয় না। ফলে দুটিই তার হাতছাড়া হয়ে যায়। 

বেসিক শক্ত না করেই চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া

বেশির ভাগ প্রার্থীই বেসিক মজবুত না করেই বাজার থেকে গতবাঁধা কিছু বই নিয়ে পড়া শুরু করে দেন । দেখা যায়, পড়ার টেবিলে অনেক সময় দেওয়ার পরও সে অনুযায়ী আউটপুট নেই,বিশেষ করে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোতে বেসিক শক্ত করার বিকল্প নেই। সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়,বেশিরভাগ প্রশ্নই বেসিক জ্ঞান থেকে করা হয়। তাই কারো যদি বেসিক দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আগে নিজের বেসিক জ্ঞানটিকে ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। 

বারবার প্রস্তুতির ধারা পরিবর্তন করা

প্রার্থীরা বারবার প্রস্তুতির ধারা পরিবর্তন করলে পরে কোনো দিকেই পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না। যেমন- একজন কিছুদিন বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে কিছুদিন পর আবার ব্যাংক প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকে গেলেন, ফলে তাঁর কোনো দিকেই কিছু হয় না! 

অযথা সময়ের অপচয় করা

যে সময়ে প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস হওয়া উচিত,সে সময়টা অনেকেই অপ্রয়োজনীয় আড্ডা, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে নষ্ট করে ফেলেন। বিনোদনের দরকার আছে,কিন্তু 

সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পারাটাই একজন ব্যর্থ ও সফল ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য। 

পরিশেষে আলোচ্য নিবন্ধের উল্লেখিত বিষয়গুলো চর্চার মাধ্যমে এবং ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে আপনার বিসিএস,ব্যাংক বা অন্য যেকোনো সরকারি চাকরিপ্রাপ্তির পথ হোক সুগম,এই কামনা রইল। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার,আপনি অবশ্যই পারবেন এবং এই পারার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পাশাপাশি ধৈর্যশীলও হতে হবে,কারণ অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য অত সহজে আসবে না, সেসব ক্ষেত্রে অধৈর্য হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। লেগে থাকার মানসিকতা রাখতে হবে নিজের মধ্যে। 

অনেক চেষ্টার পর দেখা গেল,এরপরও কোনো পরীক্ষার ফল আপনার অনুকূলে আসছে না অথবা লিখিত পরীক্ষার দেয়াল টপকাতে পারলেও আটকে গেছেন ভাইভাতে। এরপর যদি হতোদ্যম হয়ে বসে পড়েন তাহলে কিন্তু হবে না। কোনো অবস্থাতেই অতীতকে ভেবে বর্তমানকে হাতছাড়া করবেন না,তাহলে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে। এভাবে কঠোর পরিশ্রমের সাথে লেগে থাকলেই সাফল্য আপনার কাছে ধরা দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।


36 thoughts on “কিভাবে পড়লে সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ হবে”

  1. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। সেক্ষেত্রে সঠিক ধারনা ও পছন্দমত লক্ষ্য স্থির করে নিয়ে বুঝে-শুনে এগুলোই ভালো ফল আশা করা যাবে ইনশাআল্লাহ। আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পাশাপাশি ধৈর্যশীলও হতে হবে। হাল না ছেড়ে লেগে থাকার মানসিকতা রাখতে হবে নিজের মধ্যে। তবেই সাফল্য ধরা দিবে ইনশাআল্লাহ। এই কনটেন্টটি সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

    Reply
  2. উপরক্ত ধাপগুলো সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেয়ের জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।যে কেউ এ ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় চাকরি প্রস্তুতি তে সে এগিয়ে থাকবে।

    Reply
    • সরকারি চাকরির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিলে কেবল তখনই চাকরি পাওয়া সম্ভব।
      এই কনটেন্টে বিভিন্ন কৌশলের কথা বলা হয়েছে। যেটা একজন চাকরি প্রত্যাশীর জন্য উপকারি হতে পারে।

      Reply
  3. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। সেক্ষেত্রে সঠিক ধারনা ও পছন্দমত লক্ষ্য স্থির করে নিয়ে বুঝে-শুনে এগুলোই ভালো ফল আশা করা যাবে ইনশাআল্লাহ। আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পাশাপাশি ধৈর্যশীলও হতে হবে। হাল না ছেড়ে লেগে থাকার মানসিকতা রাখতে হবে নিজের মধ্যে।

    Reply
  4. বর্তমানে সরকারি যেন সোনার হরিণ, সহজে ধরা দিতে চায় না। সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি থাকে।তবে সঠিক চেষ্টা ও লক্ষ্য স্থির এর মাধ্যমে এই সোনার হরিণ কেও ধরা সম্ভব। উপরক্ত ধাপগুলো সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।যে কেউ এ ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় চাকরি প্রস্তুতি তে সে এগিয়ে থাকবে।

    Reply
  5. কন্টেন্টটির ধাপগুলো সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এ ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় চাকরি প্রস্তুতিতে যে কেউ এগিয়ে থাকবে।

    Reply
  6. কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি সবার পছন্দ। বর্তমানে সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।তাই এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকে থাকার জন্য নিজের পছন্দ মত লক্ষ্য ঠিক রেখে সঠিকভাব চেষ্টা করে যেতে হবে।হাল ছেড়ে না দিয়ে লেগে থাকলে সাফল্য এসে ধরা দিবে ইনশাআল্লাহ। সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য উপরোক্ত কন্টেন্ট এর ধাপগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক বলে আমি মনে করি।

    Reply
  7. সরকারি চাকরি সবার প্রথম পছন্দের তালিকায়।
    প্রতিযোগিতামূলক এই সেক্টরে সফল হতে নিজের লক্ষ্য স্থির করে সেই আলোকে করণীয় দিক গুলো ঠিক করে সঠিক প্রস্তুতি নিলে সফলতা আশা করা যায়।
    কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঠিক দিক নির্দেশনা পাবার জন্য।
    পড়ে সকলে উপকৃত হবে

    Reply
  8. বর্তমানে সরকারি চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।অনেকেই আমরা একটা ভুল করে থাকি পড়াশোনা শেষ করেই চাকরির প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আমরা যদি অর্নাস পড়া অবস্থায় উক্ত লেখকের গাইডলাইন ফলো করে চাকরির প্রস্তুতি নেই তাহলে অন্যান্য চাকরি প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।এই কনটেন্টটি আমাদের সরকারি চাকরি প্রস্তুুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী। ধন্যবাদ লেখককে।

    Reply
  9. শিক্ষার্থী জীবনেই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। এর ফলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা সম্ভব এবং সফলতার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। লেখকের এই পরামর্শটি সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    Reply
  10. চাকরি প্রার্থীদের কাছে সরকারি চাকরি হচ্ছে একটি নিশ্চয়তার ঠিকানা ও সম্মানের ছোঁয়া। তাই শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক সঠিক ধারণা নিয়ে, জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে হবে। ধৈর্য্ ধরে কঠোর পরিশ্রমের সাথে লেগে থাকলেই তবে সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য কন্টেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই লেখককের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

    Reply
  11. বর্তমানে সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ, সহজে ধরা দিতে চায় না। কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে।চাকরি প্রার্থীদের কাছে সরকারি চাকরি হচ্ছে একটি নিশ্চয়তার ঠিকানা ও সম্মানের ছোঁয়া। তাই শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক সঠিক ধারণা নিয়ে, জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে হবে।প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকে থাকার জন্য নিজের পছন্দ মত লক্ষ্য ঠিক রেখে সঠিকভাব চেষ্টা করে যেতে হবে।ধৈর্য্য ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লেগে থাকতে হবে,তবেই সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য কন্টেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই লেখককের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

    Reply
  12. বর্তমানে চাকরি প্রা্র্থীদের নিকট সরকারি চাকরির প্রাধান্য বেশি।জীবনে সফল হতে হলে লক্ষ্য অটুট থাকতে হবে। ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইড লাইন একটি মানুষকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। লেখকের এই কন্টেন্টটি সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ইনশা-আল্লাহ।

    Reply
  13. সবার পছন্দের চাকরি সরকারি জব কিন্ত এই জবটি পেতে হলে লেগে থাকতে হবে এবং প্রস্তুতি নিতে হবে তখুড়ভাবে।সঠিক সময়ে সঠিক কাজ টা করতে পারাটাই একজন সফল ব্যক্তির গুনাবলী,আল্লাহর উপর ভরসা,পরিশ্রম,ধৈয,অধ্যবসায় আর সঠিক প্রস্তুতি যা লক্ষ্য এগিয়ে নিবে উপরোক্ত বিষয় গুলি আমরা যদি আয়ত্ত করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য একধাপ এগিয়ে থাকার মত হবে,নিজেকে যোগ্যরুপে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, মুখস্ত নয়, বুঝে বুঝে পড়তে হবে, যেটা কম পারি সেটা বেশি করে প্রাক্টিস করতে হবে, একটা সুন্দর রুটিন মাফিক জীবনকে তৈরি করে ফেলুন।তাহলে যেকোনো পরীক্ষায় সাফল্য আপনার কাছে আসতে বাধ্য।

    Reply
  14. কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি চাকরি সর্বপ্রথম সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি বিসিএস হয় তাহলে তো কথাই নাই। সাধরনত এই ভুলটা সকলেই করে থাকে । পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেয়।কিন্তু আমরা যদি অনার্স পড়া অবস্থায় চাকরির জন্য ভালোভাবে পড়াশোনা করি তাহলে আমাদেরকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় না। মূলত চাকরির ক্ষেত্রে সিলেবাস ধরে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। ধৈর্য্য কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইডলাইন একটি মানুষকে সঠিক লক্ষে নিয়ে যেতে পারে। এই লিখাটি সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ইনশাআল্লাহ।

    Reply
  15. সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সঠিক পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নেওয়ার মনোনিবেশ করা জরুরি। সফলতা অর্জনের জন্য নিয়মিত পরিশ্রম ও ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে। এই কনটেন্ট এ কয়েকটি চমৎকার ও তথ্যবহুল টিপস আলোচনা করা হয়েছে যা একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য সহায়ক ও ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।

    Reply
  16. সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথমেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। অনার্স থেকেই এ প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হবে কারণ লক্ষ্য ছাড়া কখনো আগানো যায় না । যেটা আমি চাই সেটা পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একজন সরকারি চাকরি প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার জন্য যে যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত এবং কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত লেখক আর্টিকেল টিতে সব কিছু সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সেজন্য লেখক এর প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

    Reply
  17. উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা কনটেন্ট।
    প্রস্তুতি নেওয়া তো পরে, আগে চাকরি বাজার সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। চাকরির ক্যাটাগরি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।তারপর না চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারা যাবে।তখন লক্ষ্য নির্ধারণ করা যাবে।
    উচ্চতর পড়াশোনা বা চাকরি যে টাই হোক — প্রথমত নিজের বেসিক ঠিক করতে হবে, বেসিক ঠিক না থাকলে – জ্ঞান অর্জনটা হবে ফুটো বালতির মতো।
    লক্ষ্য ঠিক করে আগালে ইনশাআল্লাহ সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ হবে।

    Reply
  18. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। ভালো একটি চাকরীর জন‍্য চাই সেরা প্রস্তুতি। এখানে লেখক কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন। এর পাশাপাশি দরকার ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস যা একজন চাকরী প্রত‍্যাশীদের লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

    Reply
  19. সোনার হরিণনামে খ্যাত সরকারি চাকুরী পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া অত্যন্ত জরুরি। ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইড লাইন অনুসরণ করে লেগে থাকতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। আমি মনে করি আর্টিকেলটিতে লেখক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যা একজন সরকারি চাকরী প্রত‍্যাশীদের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

    Reply
  20. সোনার হরিণ তথা সরকারি চাকরি পেতে হলে করতে হবে পড়াশোনা। পড়াশোনা শুধু করে গেলেই হবে না সঠিক নিয়মে করতে হবে।এই কনটেন্টে একদম শুরু থেকে কিভাবে চাকরির জন্যে প্রস্তুতি নিতে হবে,কোন কোন বিষয়ে বেসিক জ্ঞান রাখতে হবে,কিভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে পড়তে হবে,কীভাবে চাকরির ধরন বুঝে পড়াশোনা করতে হবে, ইয়ুটিউভ ও ফেইসবুক গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে পড়াশোনা করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।এছাড়া ও কনটেন্টে লেখক চাকরির পড়াশোনাকে আরো
    আনন্দদায়ক, ফলপ্রসূ ও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলার জন্যে দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের টিপস এন্ড ট্রিকস। সর্বোপরি বলা যায় এই কনটেন্ট টি একজন সরকারি চাকরি প্রত্যাশি ব্যক্তির জন্যে উত্তম গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।

    Reply
  21. সরকারি চাকরি পেতে হলে অবশ্যই যথাযথ যোগ্যতা থাকতে হবে। শারিরিক, মানসিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই কেবল সরকারি চাকুরির জন্য আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং শারীরিক পরিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য মনে হলেই চাকরি পাওয়া সহজ হয়।
    তাই নিজেকে সরকারি চাকরীর জন্য যোগ্য করে তুলতে হলে অবশ্যই চেষ্টা করে যেতে হবে।
    কঠিন অধ্যবসায় করে যেতে হবে।

    Reply
  22. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। সফলতা অর্জনের জন্য নিয়মিত পরিশ্রম ও ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে।লক্ষ্য ঠিক করে আগালে ইনশাআল্লাহ সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ হবে।

    Reply
  23. সরকারি চাকরি কথাটি শুনলে সর্বপ্রথম যে শব্দটি আমাদের মাথায় আসে তা হলো বিসিএস। আমরা অনেকেই বিসিএস এর প্রস্তুতি নিয়ে থাকি যা বেশিরভাগই হয়ে থাকে অগোছালো। যার কারণে হতে হয় ব্যর্থ। ব্যর্থতা যদিও সফতলতা নিয়ে আসে কিন্তু যদি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা ও লক্ষ্য স্থির না থাকে তাহলে সে ব্যর্থতা ব্যর্থই থেকে যাবে। সফলতার মুখ দেখবে না। এখানে কিভাবে গুছিয়ে পড়লে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে বিসিএসের প্রিপারেশান নেওয়া যায় তাই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    Reply
  24. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে।সোনার হরিণ তথা সরকারি চাকরি পেতে হলে করতে হবে পড়াশোনা।ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইড লাইন অনুসরণ করে লেগে থাকতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। আমি মনে করি আর্টিকেলটিতে লেখক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যা একজন সরকারি চাকরী প্রত‍্যাশীদের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

    Reply
  25. সরকারি চাকরি পাওয়া আমাদের সবার পছন্দ, সরকারি চাকরি পেতে হলে পড়াশোনা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, সঠিক গাইডলাইন, এর খুব দরকার। এই কন্টেন্ট এর মধ্যে সরকারি চাকরি পাওয়ার বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর করে লিখেছেন। এটা সঠিকভাবে পরলে অনেক উপকার হবে সবার। লেখাটি অনেক সুন্দর।

    Reply
  26. কথায় আছে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি “। আর তা যদি হয় সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে তাহলে পরিশ্রম আরো কঠোর হয়ে দাঁড়ায়। বিসিএস করলেই যে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় তা একদম ভুল ধারণা।
    তবে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এই কনটেন্ট টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কনটেন্ট টি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই সরকারি চাকরীর আদ্যপান্ত জানা সম্ভব।

    Reply
  27. কর্মসংস্হানের জন্য সরকারি চাকরি সবসময়ই সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। চাকরি প্রার্থীদের কাছে সরকারি চাকরি হচ্ছে একটি নিশ্চয়তার ঠিকানা ও সম্মানের ছোঁয়া। তাই
    সরকারি চাকরি পেতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইড লাইন অনুসরণ করে লেগে থাকতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
    এই কনটেন্টে কয়েকটি চমৎকার ও তথ্যবহুল টিপস আলোচনা করা হয়েছে যা একজন চাকরিপ্রার্থীর জন্য সহায়ক ও ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    Reply
  28. কর্মসংস্থানের জন্য প্রথমেই সকলের পছন্দে থাকে সরকারি চাকরি।অনেকে মনে করেন সরকারি চাকরি মানেই বিসিএস। বিসিএসে আছে ২৬ ক্যাডার,এখানের অনেকগুলো সেক্সটর রয়েছে সরকারি ব্যাংক,পুলিশ প্রশাসন , সিভিল সার্জন,আরও আছে বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহ ইন্জিনিয়ারিং, টেকনিশিয়ান, নৌ-অফিসার,রেলওয়ে অফিসার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
    সুতরাং ধৈর্যের সাথে লেগে থাকা হতাশ হওয়া যাবে না।অতিতের ব্যার্থতার দিকে না তাকিয়ে বর্তমানে সফল হতেই হবে এই প্রতিজ্ঞা করা।তাহলে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। কন্টেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখককে ধন্যবাদ।

    Reply
  29. কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি চাকরি সব সময় সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। সে ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা ও পছন্দ মত লক্ষ্য স্থির করতে হবে। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। তাহলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

    Reply
  30. জব সিকিউরিটি, বিভিন্ন ধরনের ভাতাদি, আমৃত্যু (কিছু ক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি স্ত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত) পেনশন ইত্যাদি কারণে ড্রিমজবের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই থাকে সরকারি চাকরি ।সেরা চাকরির জন্য দরকার সেরা প্রস্তুতি। সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সঠিক পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নেওয়ার মনোনিবেশ করা জরুরি। সফলতা অর্জনের জন্য নিয়মিত পরিশ্রম ও ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে। চমৎকার ও তথ্যবহুল কিছু টিপস আলোচনা করা হয়েছে এই কনটেন্ট এ যা একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য সহায়ক ও ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়াও নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে।
    তাহলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে ,ইনশাআল্লাহ।

    Reply
  31. বর্তমান সরকারি চাকরি পাওয়া যেন সোনার।হরিণ। উপরোক্ত কনটেন্ট পড়ে যেটা মনে হল, অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে এখানে।সরকারি চাকরীর লক্ষ্য ঠিক করতে শুরু থেকেই পরিশ্রমই হওয়া উচিত।

    Reply
  32. সরকারি চাকরি পাওয়া আমাদের সকলেরই একটা স্বপ্ন। এমনকি কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি চাকরির সব সময় সবার পছন্দের তালিকায় থাকে, এমনকি বলতে গেলে এটা একটা সোনার হরিণও বলা যায়,তবে এই সরকারি চাকরি অথবা সোনার হরিণ পেতে হলে পরিশ্রম ,অধ্যাবসায়, এবং সঠিক গাইডলাইন এর খুবই প্রয়োজন। উপরিউক্ত এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাওয়া বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর করে লিখেছেন, এবং সঠিক গাইডলাইন দিয়েছেন। আশাকরি সকল সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    Reply
  33. বর্তমানে সরকারি চাকরি পাওয়া যেন সোনার হরিণ। উপরের কনটেন্ট টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি চাকরির লক্ষ্য ঠিক করে প্রথম থেকে পরিশ্রম করলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব

    Reply
  34. কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি চাকরি আমাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। এই সরকারি চাকরি সোনার হরিণের মত। আর এই সরকারি চাকরি পেতে হলে সর্বপ্রথমে আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের প্রথমে প্রয়োজন সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া। এছাড়া ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক গাইড লাইন অনুসরণ করে লেগে থাকলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। সফল হতে হবেই প্রতিজ্ঞা থাকলে, সফলতা একদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ। কথায় আছে , পরিশ্রম সকল সফলতার চাবিকাঠি।
    পরিশেষে বলা যায়, এই কনটেন্ট টি একজন সরকারি চাকরি প্রত্যাশিদের জন্য উত্তম গাইড লাইন হিসাবে কাজ করবে।

    Reply
  35. জীবনে সফল হতে হলে লক্ষ্য স্থির করাটা সব চেয়ে জরুরী। লক্ষ্য স্থির ছাড়া এলোমেলো চিন্তাভাবনা কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে না। এরপর যেটাকে গুরুত্ব দিব তা হল লক্ষ্য অনুযায়ী পড়াশোনার পরিকল্পনা করা, পরিকল্পনাহীন পড়াশোনা কখনো লক্ষ্য পৌঁছাতে সাহায্য করে না।বিষয় ভিত্তিক পড়ার সময় নির্ধারণ করা।তৃতীয়ত, উপরের কাজ গুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অধিক অধ্যবসায় করার মানসিকতা তৈরি করা। সব আছে কিন্তু পরিশ্রম করার মানসিকতা না থাকলে কোনো চাকরিই পাওয়া সম্ভব নয়।লক্ষ্য স্থির,সঠিক পরিকল্পনা, নিজের উপর আত্মাবিশ্বাস ও সেই অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রমই একদিন আপনাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সবকিছু ঠিক থাকলে সরকারি, বেসরকারী সব খাতেই জয় পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

    Reply

Leave a Comment