উদ্যোক্তা না চাকরি ক্যরিয়ার হিসেবে কোনটা উত্তম

Spread the love

পড়াশুনা শেষ করার পর সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা নিয়ে আমরা বিপাকে পড়ি তা হচ্ছে চাকরি করবো ? নাকি চাকরি দেব? কোনটি আমার জন্য সঠিক হবে? যেটাই বেছে নেই না কেন আমি কি আমার ক্যারিয়ারে সফল হতে পারব?তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের জানতে হবে উদ্যোক্তা এবং চাকরি বলতে কি বোঝায়?

উদ্যোক্তা কাকে বলে?

নির্দিষ্ট পরিমান মূলধন ও সংগঠিত পরিকল্পনা নিয়ে নিজের ও অন্যের জন্য কর্মসংস্থান করেন যিনি তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়। একজন উদ্যোক্তার নতুন উদ্ভাবন এর দ্বারা সম্পদ ও অনুপ্রেরনা তৈরি হয়।

চাকরি বলতে কি বুঝি?

সহজ কথায় চাকরি হচ্ছে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করা। যেখানে মালিক পক্ষের ইচ্ছাই আপনার ইচ্ছা। নির্দিষ্ট সময় এবং শ্রমের বিনিময়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন।

যারা একটু ভিন্ন চিন্তা ভাবনা করতে আগ্রহী, চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে, তাদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়া সমীচীন। কারন এখানে ঝুকি থাকে, নতুন উদ্ভাবন তৈরি করতে হয়,সাফল্যের কোন সিমারেখা থাকেনা। পরিস্রম ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে টিকে থাকতে হয়। এখানে সম্ভাবনা অনেক, কিন্তু ঝুকির কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে আয়ের ও কোন সিমাবদ্ধতা নেই।

আর যারা কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করে নিজের ও পরিবারের চাহিদা মেটাবেন। ঝড় বন্যা যাই হোক আপনার আয়ের উপর এর কোন বিরুপ প্রভাব পড়বেনা, সীমিত আয় দিয়ে জীবনযাপন করবেন, পরিবারকে সময় দিবেন, তারা চাকরি কে পেশা হিসেবে নিতে পারেন।এখানে আপনার বাড়তি কোন ঝুকি নিতে হবে না। পরিশ্রম করবেন বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাবেন।

উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা

একটা কথা আছে, বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মী হওয়ার চেয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া ভাল। কারন আপনার প্রতিষ্ঠান, আপনার পরিশ্রম অর্জিত জ্ঞান সবই আপনার। এছাড়া ও উদ্যোক্তা হওয়ার আরও কিছু সুবিধা নিচে তুলে ধরা হলঃ

স্বাধীনতা – 

আপনার প্রতিষ্ঠান আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি যখন উদ্যোক্তা হবেন, তখন প্রতিষ্ঠানের ভাল খারাপ সব দিক বিবেচনা করে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।শুধু তাই নয়, আপনি আপনার কাজের ফাঁকে পরিবারকে ও সময় দিতে পারবেন , কারও অনুমতি নিতে হবে না।

নিরাপত্তা – 

যেখানে প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনি নিজেই সেখানে রাতা রাতি কেউ চাইলেই আপনাকে একটি সফল ব্যবসায় থেকে শূন্যে নামিয়ে দিতে পারবেনা। অর্থাৎ আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারাই এগিয়ে ।

আদেশদাতা

একজন উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয়ে আদেশ নিষেধ প্রনয়ন করার অধিকার রাখেন। অন্য কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে কোন নতুন প্রোজেক্ট চালু করা বা পুরাতন প্রজেক্ট বাতিল করা সবকিছুর আদেশদাতা আপনি নিজেই।

আয়ের পরিধি

 উদ্যোক্তা হওয়ার বড় সুবিধা হল এখানে আয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। পরিশ্রম ও জ্ঞানের যথাযোগ্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আয়ের পরিধি বড় হতে থাকবে। উদ্যোক্তাদের আয়ের যেহেতু সীমাবদ্ধতা নেই তাই নিজের আর্থিক  ক্ষমতায়ন  দ্রুত ও কম সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। 

অসুবিধা – 

উদ্যোক্তা হওয়ার যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে। যেমনঃ

ঝুকি নেয়া

 উদ্যোক্তা হতে হলে ঝুকি নিয়েই কাজ করতে হবে। ঝুকির সম্ভাবনা আছে বলে বসে থাকা যাবেনা। কেননা তাহলে সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে না। ঝুকি নিলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে, এবং সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার মত ব্যবস্থাও আগে থেকেই করে রাখতে হবে।

ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া

 একজন উদ্যোক্তাকে প্রায়শই আর্থিক  ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এবং ক্ষতি কাটিয়ে আবার ঘুরে দাড়াতে হয়। এবং নতুন ক্ষতির আশঙ্কা আছে জেনেও আবার মূলধনের ব্যবহার করতে হয়। 

দায়িত্ব

 আপনি যেহেতু প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তাই এর সমস্ত দায়িত্ব ও কিন্তু আপনারই। মাস শেষে কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে কোম্পানিকে সম্প্রসারণ করার সকল দায়িত্বই আপনাকে নিতে হবে। আপনার অধীনে যারা কাজ করবে তারা শুধুমাত্র নিজ নিজ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করবে। 

সময়ের অভাব

 একজন উদ্যোক্তাকে তার ব্যবসায়ের সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিভিন্ন প্রজেক্ট ভিজিট করা, অফিসের অভ্যন্তরিন মিটিং এ সময় দেয়া, এতকিছুর ভিড়ে তাই পরিবারের জন্য আলাদা করে সময় বের করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।

চাকরির সুবিধা – 

যদি আপনার মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকে, সাধারন জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। তাহলে চাকরিই আপনার জন্য মানানসই হবে। চাকরির ও অনেক সুবিধা আছে। যেমনঃ

কাজের সময় – 

চাকরি করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি ফেরা যায়। কেননা অফিস এর সময় নির্ধারিত থাকে। তাই অফিস শেষে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে পরিবারকে সময় দেয়া যায়। একারনে ঘরে বাইরে দুই জায়গাতেই সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হয়। 

 সঞ্চয় তৈরি

 চাকরি ক্ষেত্রে আয়ের পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ কিছু টাকা কেটে রাখা হয়। এতে যে ফান্ড তৈরি হয়,  চাকরি শেষে তার দিগুন পরিমান টাকা হাতে পাওয়া যায়। শেষ জীবনে এই অর্থ অনেক কাজে দেয়। 

মানসিক চাপ কম থাকে

 চাকরি করলে মানসিক চাপ তুলনামুলক অনেক কম।আপনাকে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় সেটুকু ঠিকভাবে করতে পারলেই হোল। তাছাড়া যেহেতু অফিসের টাইম শেষ হলে হাতে অনেক সময় থাকে এজন্য বিশ্রাম নেয়া যায়, যা মানসিক ভাবে প্রশান্তি আনে। 

নিশ্চিত আয়

 চাকরি ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান আয় নিশ্চিত থাকে। মাস শেষ হলেই আয় নিশ্চিত। তাই পরবর্তী মাসে কিভাবে নিজের ও পরিবারের আর্থিক প্রয়োজন পূরণ হবে এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

অসুবিধাঃ

চাকরি ক্ষেত্রে অসুবিধা ও কম নয়। যেমনঃ

সীমিত আয়

 চাকরি ক্ষেত্রে দ্বায় যেমন সীমিত থাকে ঠিক তেমনি  আয় ও সীমিত। আয়ের বৃদ্ধির জন্য আপনাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। তাই যে কোন শখ আহ্লাদ পূরণ করা খুবই কষ্টকর হয় এবং অনেক সময় সম্ভবই হয়না।   

 

নিরাপত্তার অভাব – 

বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে যে কোন সময় সামান্য ভুলের কারনে আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।আবার কোন দোষ ত্রুটি ছাড়াই কোম্পানি ইচ্ছা করলে আপনাকে অপসারন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সবসময়ই আর্থিক নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে দিনযাপন করতে হবে। 

স্বাধীনতা নেই

 চাকরি ক্ষেত্রে আপনার কোন স্বাধীনতা থাকবেনা, মালিক এর ইচ্ছাই শিরোধার্য। প্রয়োজনে ছুটির দিনেও অফিস করতে হবে, আবার ডিউটি টাইম শেষেও অফিসে থাকতে হতে পারে। সুতরাং বলাই যায় যে চাকরিজীবীদের কোন স্বাধীনতা নেই। 

সবদিক বিবেচনা করে আপনার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।তবে  যদি জীবনে অনেক বড় কিছু হতে চান তাহলে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা যারা জীবনে বড় হয়েছে, তারা বেশিরভাগই উদ্যোক্তা। কিন্তু তাই বলে আগে পিছে না ভেবে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নেমে পরলেই চলবে না। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান কতোটুকু আছে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে কিনা, পরিশ্রম করার মানসিকতা ও ধৈর্য, কাজ আদায় করার ক্ষমতা কতোটুকু, ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক এই সবই একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে থাকা চাই। আর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে বিষয় তা হচ্ছে মূলধন। সব গুনাবলি থাকার পর ও আপনার যদি মূলধন না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি আপনার উদ্যোক্তা ক্যরিয়ার শুরুই করতে পারবেন না।

সেদিক থেকে পরামর্শ হচ্ছে আপনি আপনার ক্যরিয়ার চাকরি দিয়ে শুরু করতে পারেন, এবং যখন প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ হবে তখন আপনার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করতে পারেন।ক্যরিয়ার হিসেবে চাকরি করা বা উদ্যোক্তা হওয়া কোনটা উত্তম এ বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের ওপর। চাকরি করবেন নাকি উদ্যোক্তা হবেন  , কোনটি উত্তম এ বিষয়ে  নিশ্চয়ই আপনি এখন একটি সিদ্ধান্তে পৌছতে পেরেছেন। যদি জ্বালা ঝঞ্ঝাটে যেতে না চান তবে চাকরি খুজুন, সেটাই আপনার জন্য উত্তম। আর যদি বৃহৎ স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে চান তবে উদ্যোক্তা না হয়ে সেটা সম্ভব নয়।

37 thoughts on “উদ্যোক্তা না চাকরি ক্যরিয়ার হিসেবে কোনটা উত্তম”

  1. কনটেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।শুরুতেই জানাই লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    উদ্দোক্তা হওয়া এবং চাকরি দু’টি বিষয় সুন্দর করে বুঝিয়ে লেখা হয়েছে এখানে।আমি মনে করি আমার মতো যারা ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত, কি করবেন বুঝতে পারঝেন না তাদের জন্য এই কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পড়ে চাকরি এবং উদ্দোক্তা হলে কি সুবিধা, অসুবিধা হতে পারে সবই বলা হয়েছে।

    Reply
  2. এই কন্টেন্ট টির দ্বারা বুঝতে পারলাম ক্যারিয়ার হিসাবে চাকরি নাকি উদ্যোক্তা কোনটা ভালো হবে।এটা আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কনফিউশান দূর করেছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি বুঝতে পারছি আমার ক্যারিয়ার কোন সেক্টরে করা উচিৎ।

    Reply
  3. লেখক কনটেন্টটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন,খুব সহজ ভাবে দুটি বিষয় বুঝিয়েছেন। যারা জীবনে কোন দিকে নিজেকে নিয়ে যাবেন নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাদের জন্য পারফেক্ট একটি কনটেন্ট। উদ্দোক্তা হবার জন্য অর্থের প্রয়োজন যা চাকরির ক্ষেত্রে লাগে না,সুবিধা অসুবিধা সব কাজেই রয়েছে,তাই সব দিক বিবেচনা করে পা বাড়ানো ভালো।

    Reply
  4. বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই চমৎকার একটি কন্টেন্ট ।যারা নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ,কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের জন্য এই কন্টেন্ট টি সহয়াতা করবে ।লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ ,যে তিনি উদ্যোক্তা হওয়া এবং চাকরি দুটি বিষয়ে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।যারা একটু ভিন্ন চিন্তা ভাবনা করতে আগ্রহী, চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে, তাদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়া সমীচীন।উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন যা চাকরির ক্ষেত্রে লাগে না,সুবিধা অসুবিধা সব কাজেই রয়েছে,তাই সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে ।

    Reply
  5. উক্ত কন্টেন্ট পড়ে আমি চাকরি করা এবং চাকরি দেওয়া এই দুটি বিষয় এর উপর অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এটি আমার ভবিষ্যতে খুবই কার্যকর হবে।

    Reply
  6. পড়াশুনা শেষ করার পর সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা নিয়ে আমাদের মাথায় আসে, তা হলো – চাকরি করবো ? নাকি উদ্যোক্তা হবো? কোনটি আমার জন্য সঠিক হবে?চাকরি ক্ষেত্রে আপনার কোন স্বাধীনতা থাকবেনা, মালিক এর ইচ্ছাই সব।কিন্তু উদ্যোক্তা হলে আপনি নিজেই সেখানে মালিক। আর এটি হলো স্বাধীন ভাবে চলে ক্যারিয়ার গঠনের মাধ্যম।

    Reply
  7. বর্তমান সময়ে চাকরি ও উদ্যোক্তা খুবই আলোচিত বিষয়। এই কন্টেন্টে এ দুটির সুবিধা ও অসুবিধা সুন্দর এবং বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কন্টেন্টটা পড়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে ইচ্ছুক যেকোনো মানুষ একটি সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে।

    Reply
  8. খুবই সময়োপযোগী একটি কনটেন্ট। লেখক খুব সুন্দর করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা-অসুবিধা, চাকরি করার সুবিধা অসুবিধা উপস্থাপন করেছেন। কনটেন্টটির শেষ অংশে লেখকের পরামর্শ মূলক লেখনীটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

    Reply
  9. জীবনে ক্যারিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্রজীবনের শেষার্ধে যারা দাঁড়িয়ে আছেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছেন,তাদের জন্য উক্ত কন্টেন্টটি খুবই উপযোগী।
    চাকরি না উদ্যোক্তা? কি করবেন যারা বুঝতে পারছেন না, এই কন্টেন্টটি তাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে।

    Reply
  10. খুব দরকারী একটা বিষয় তুলা ধরা হয়েছে এই উপস্থাপনে।
    বর্তমান সময় সবাই উদ্যোক্তা হতে চায় কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার এবং অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয় না।
    এই উপস্থাপনের মাধ্যমে সবাই সঠিক গাইড লাইন পাবে।

    Reply
  11. পড়াশুনা শেষ করার পর চাকরি করবো ?নাকিউদ্যোক্তা হবো?কোনটি আমার জন্য সঠিক হবে?আমার জন্য কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত কন্টেন্ট পড়ে আমি চাকরি করা এবং চাকরি দেওয়া এই দুটি বিষয় এর উপর অনেক কিছু জানতে পেরেছি। লেখক খুব সুন্দর করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা-অসুবিধা, চাকরি করার সুবিধা অসুবিধা উপস্থাপন করেছেন।এটি আমার ভবিষ্য জীবনে খুবই কাজে লাগবে।

    Reply
  12. একটি সময় উপযোগী কন্টেন্ট উপহার দেয়ার জন্য লেখক কে অনেক ধন্যবাদ জানাই। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে “উদ্যোক্তা না চাকরি ক্যরিয়ার হিসেবে কোনটা উত্তম” কনটেন্টটি থেকে মানুষ একটি সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে।

    Reply
  13. প্রথমে ধন্যবাদ জানাই লেখক কে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্টের জন্য। এখানে চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে যে সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা অত্যন্ত সময় উপযোগী যা ভবিষ্যৎ জীবনে আমাদের কর্মপন্থা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।

    Reply
  14. ক্যারিয়ার হিসেবে চাকরি নাকি উদ্যোক্তা এ বিষয়ে এই আর্টিকেলে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া সম্ভব।ব্যবসায়িক জ্ঞান,ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস,মূলধন,ঠান্ডা মস্তিষ্ক ইত্যাদি গুণাবলী একজন উদ্যোক্তা র মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে।তবে সব ধরনের ঝামেলা ঝন্ঝাট থেকে বাঁচতে চাইলে চাকরী করাই উত্তম।

    Reply
  15. আমাদের দেশে সৃজনশীল উদ্যোক্তার অভাব অনেক। বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করাও জরুরি। আমি মনে করি যাদের দক্ষতা আছে, চাকরির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে ও তাদের উদ্যোক্তা হওয়াই উচিত।

    Reply
  16. আমরা অনেকেই পড়ালেখার পর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি চাকরি করব নাকি উদ্যোক্তা হব। এ কন্টেন্টটিতে চাকরি করা এবং উদ্যোক্তা হওয়া এ দুটি বিষয়ে চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে।
    যে কেউ এ কন্টেন্টটি পড়লে উপকৃত হবে, এবং নিজের সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।
    লেখককে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।

    Reply
    • বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই চমৎকার ও সময় উপযোগী একটি কন্টেন্ট। ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় কম বেশি সকলে থাকে। এই ধরনের কন্টেন্ট বা আর্টিকেলগুলো পড়ে বেকার মানুষগুলো ধারণা নিতে পারে। এই আর্টিকেলে উদ্যোক্তা ও চাকরি দুটি বিষয়ে দারুণ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা চ্যালেন্জীন কাজ করতে আগ্রহী তারা উদ্যোক্তা হতে পারে। কেউ চাইলে চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে পারে। তাই সময় পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক সময় সঠিক কাজ করা উচিত।

      Reply
  17. খুবই দরকারী একটি কন্টেন্ট। লেখককে অনেক ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি কন্টেন্ট লিখার জন্য। অনেকেই পড়ালেখার পরে ক্যারিয়ার হিসেবে কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা। লেখাটি যখন পড়লাম তখন আমার খুব ভাল লেগেছে। চাকুরী এবং উদ্যোক্তার পার্থক্য এখানেই। মনেহয় এখনই উদ্যোক্তা হয়ে যাই। এক্ষেত্রে ঝুঁকি একটি বড় বিষয়। যিনি ঝুঁকি নিতে রাজি নয় তার জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস না করাই ভাল। যাইহোক লেখাটি যিনি লিখেছেন তাকে ধন্যবাদ জনাই।

    Reply
  18. অসাধারণ একটি কন্টেন্ট । আমার মতো যারা জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একটি সঠিক ও নিরপেক্ষ পরামর্শের মাধ্যমে নিতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অতুলনীয় দিকনির্দেশনা হতে পারে। কন্টেনটিতে উদ্যোক্তা ও চাকরি ক্যারিয়ারের উভয় সুবিধা ও অসুবিধা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই যারা চাকরি করবেন নাকি কাউকে চাকরি দিবেন পরাধীন নাকি স্বাধীন জীবন কোনটি নির্বাচন করবেন তা নিয়ে খুব বেশি দ্বিধান্বিত হয়ে আছেন কনটেন্ট টি তাদের জন্যই ।

    Reply
  19. এই কন্টেন্ট পড়ে ক্যারিয়ার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। পড়াশোনা শেষ করে সবাই ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়।এই কন্টেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক উপকারী কন্টেন্ট।

    Reply
  20. কনটেন্টটি পড়ে ভালো লাগলো । খুুবই উপকারী ও সময়োপযোগী একটি বিষয়। কনটেন্টটি পড়ে যে কেউ চাকুরী করা বা উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে । লেখককে অনেক ধন্যবাদ সুন্দরভাবে বিষয়টা লেখার জন্য ।

    Reply
  21. লেখক কনটেন্টটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যারা জীবনে পড়ালেখার পর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি চাকরি করবে নাকি উদ্যোক্তা হবে। তাদের জন্য এই কন্টেন্ট টি খুবই উপকারী হবে ইংশাআল্লাহ।

    Reply
  22. প্রথমত লেখক খুবই সুন্দর করে চাকরী আর উদ্যোক্তার পরিচয় ও উভয়ের মাঝে পার্থক্য টা উপযোগী ও সাবলীলভাবে উদাহরণসহ বুঝিয়েছেন।

    আসলে সঠিক কথাই বলছেন চাকরীতে ইচ্ছা স্বাধীনতা থাকে না। বিপরীতে উদ্যোক্তার ইচ্ছা ও স্বাধীনতা থাকেন।

    প্রথমে উদ্যোক্তা হওয়ার মত পুঁজি ও সামর্থ্য না থাকলে সাময়িক চাকরী চালিয়ে যাওয়া উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত না মূলধন ও পুজি অর্জিত হয়।

    দিনশেষ কথা হচ্ছে যার যার ইচ্চা ও রুচি। কারো রুচি হচ্ছে চাকুরী। কারো রুচি হচ্ছে উদ্যোক্তা।

    Reply
  23. উদ্যোক্তা হবো না চাকরি করবো এটা এ যুগে অনেকেরই দ্বিধা। এই লেখাটা পড়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেলো, এমন দ্বিধা আসলে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। ধন্যবাদ, লেখককে।

    Reply
  24. বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপার ও সমান ভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে ।উদ্যোক্তা হওয়া বা চাকরি করা নিয়ে বেসিক ধারণা পাওয়ার জন্য কনটেন্টি যথেষ্ট উপকারী।দুটো বিষয় এর সুবিধা অসুবিধা গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।ক্যারিয়ার এর শুরুতে যারা আছেন তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কনটেন্টটি অনেক উপকারি ভূমিকা পালন করবে।

    Reply
  25. বর্তমানে সময়ে শিক্ষা জীবন শেষে কি করবে এটা নিয়ে অনেকে হতাশায় ভুগেন।তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।এখানে চাকরি ও উদ্যোক্তা এই দুইটি বিষয়ে সুবিধা ও অসুবিধা লেখক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।যার মাধ্যমে আপনি কি করবেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের কনটেন্ট সবার কাছে তুলে ধরার জন্য।

    Reply
  26. শিক্ষাজীবনের শেষে ক্যারিয়ার তৈরির ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারবে এই কনটেন্টটি ।চাকরী করা বা উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা- অসুবিধাগুলো বেশ সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কনটেন্টটিতে ।

    Reply
  27. সময় উপযোগী একটি কন্টেন্ট লিখার জন্য লেখকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আমাদের দেশে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে ছুটে। কিন্তু চাকরি না করে উদ্যোক্তা হয়েও সফলতা লাভ করা যায়।এই কনটেন্ট এর মধ্যে চাকরি এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা অসুবিধা গুলো সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। আমি মনে করি কনটেন্টি পরলে আপনি কি চাকরি করবেন নাকি উদ্যোক্তা হবেন সে সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।যারা পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত তাদের অবশ্যই এ কনটেন্টে পড়া উচিত

    Reply
  28. খুব সুন্দর উপস্থাপনা। চাকরি এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা অসুবিধা গুলো সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। কনটেন্ট টি ভালো লেগেছে।

    Reply
  29. বর্তমানে পড়াশোনা শেষ করে কম বেশি সকলেই চিন্তিত থাকে যে,ক্যারিয়ার গঠনে কোন পথ বেছে নিবে।উদ্যোক্তা হবে নাকি চাকরি করবে। এ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই চমৎকার একটি কন্টেন্ট ।যারা নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ,কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের জন্য এই কন্টেন্ট টি সহায়তা করবে ।কারণ এই কন্টেটিতে চাকরি আর উদ্যোক্তার মধ্যে স্পষ্ট ধারণাসহ সুবিধা অসুবিধার কথা লিখা আছে।একজন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ যে, তিনি উদ্যোক্তা হওয়া এবং চাকরি দুটি বিষয়ে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।যারা একটু ভিন্ন চিন্তা ভাবনা করতে আগ্রহী, চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে, তাদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়া সমীচীন।উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন যা চাকরির ক্ষেত্রে লাগে না,সুবিধা অসুবিধা সব কাজেই রয়েছে,তাই সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে ।

    Reply
  30. জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সঠিক পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন হয়।জীবনের একটি পর্যায়ে এসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক একটি পোস্ট। ধন্যবাদ লেখকে।

    Reply
  31. উদ্যোক্তা এবং চাকরি বিষয় দুটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ, বিষয়টি নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। আমরা এখন খুব সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমাদের জন্য কোনটা সঠিক।

    Reply
  32. চাকরি এবং উদ্যোক্তার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য তুলে ধরার জন্য লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। মূলত চাকরীর ক্ষেত্রে নিজের বুদ্ধি, দক্ষতা, মেধা, ও স্বাধীনতা প্রয়োগের সুযোগ তুলনামুলকভাবে উদ্যোক্তার থেকে অনেক কম থাকে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ সেহেতু উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধি, দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা অনেকটা লাঘব হবে।

    Reply
  33. আমাদের জীবনের পড়ালেখা করার মূল লক্ষ্যই হলো নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা এবং নিজের ইনকাম করা। কিন্তু পড়াশোনা না করেও ব্যবসা করে বা উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। এই আর্টিকেলটি আমাদের চাকরি এবং উদ্যোক্তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

    Reply
  34. আমরা অনেকেই পড়ালেখার পর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকি, চাকরি করব নাকি উদ্যোক্তা হব! এটি খুবই সময়োপযোগী একটি কনটেন্ট। লেখক খুব সুন্দর করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা-অসুবিধা, চাকরি করার সুবিধা-অসুবিধা উপস্থাপন করেছেন। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ, এই ধরনের কনটেন্ট সবার কাছে তুলে ধরার জন্য। যারা পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত তাদের অবশ্যই এ কনটেন্টটি পড়া উচিত।

    Reply
  35. কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূণ একটি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে,যা ক্যারিয়ার তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।কনটেন্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

    Reply
  36. লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, অনেক বিষয় ক্লিয়ার হয়ে গেলো।
    খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় নিয়ে এইখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
    এই লিখাটি পড়ে খুব সহজেই যে কেউ নিজের লক্ষ্য স্থির করতে পারবে।

    Reply

Leave a Comment