বার্ষিক বনভোজনে যাবার অনুমতির জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র

Spread the love

অজানাকে জানার জন্য মানুষ সীমিত গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে আগ্রহী। সীমাহীন কৌতূহল আর সীমাহীন উদ্বেগ নিয়ে মানুষ দেশ থেকে দেশে ছুটে যায় দৃশ্য অবলোকন করতে। যদিও পিকনিক আনন্দের উৎস, এটি শারীরিক, মানসিক এবং শিক্ষানীয় ক্ষেত্রেও একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

মানুষের জীবনে পিকনিকের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবন নদীর মতো বয়ে যায়। নদীতে যেমন জোয়ার-ভাটা, স্রোত থাকে আর বর্ষায় সব ভেসে যায়। জীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নাও থাকে। তাই তাদের সঙ্গে যেতে হবে।

আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত রুটিন মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বিনোদনের জন্য সময় খুঁজুন। সবার সাথে সময় কাটাতে চাই। আমি আমার চিন্তা প্রকাশ করতে চাই। আমি বদ্ধ রুটিন থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আর এসবের জন্যই আমরা “বনভোজন” করতে খুঁজি, পরিবার  এবং বন্ধুদের সাথে। ভোজ মানে অনেক লোকের সমাগম, একে অপরের সাথে কথা বলা, পরিচয়, আনন্দ এবং উল্লাস…. মনটা ভালো থাকে।

প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র

তারিখ

বরাবর

প্রধান শিক্ষক সাহেব

আটিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়

উজিরপুর, বরিশাল

বিষয়:-  বার্ষিক বনভোজনে যাবার অনুমতির জন্য আবেদন পত্র। 

জনাব,

যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আটিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সকল ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা বনভোজনে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে বনভোজনের জন্য সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে নির্বাচন করেছি। এ বিষয়ে আপনার অনুমতি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

অতএব, জনাবের কাছে আবেদন, আমাদের সাগরকন্যা কুয়াকাটা বনভোজনে যাওয়ার অনুমতি এবং সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক

শিক্ষার্থীদের পক্ষে,

আকলিমা

অষ্টম শ্রেণি 

আরও পড়ুন:

এই বর্ষায় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পট

বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে চিঠি

বনভোজন রচনা
বনভোজন পরিচালনা নীতি

বনভোজন যাত্রার পূর্বের নির্দেশনা

বন্যপ্রাণির সংরক্ষন করার জন্য অনুমতি পত্র
জঙ্গলে ঘুরে আসার জন্য অনুমতি পত্র

বনভোজনের আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুকে পত্র

কাটপট্টিরোড

রবিশাল

অক্টোবর ১৪, ২০২৩

প্রিয় আকবর,

আসসালামু আলাইকুম, আশাকরি তুমি তোমার পরিবারের সকলকে নিয়ে ভাল আছো।  দীর্ঘসময় যাবৎ তোমার কোন খবর নাই। কেমন আছ জানিনা। এই দীর্ঘকালীন নিস্তব্ধতার কারণ আমার জানা নেই। তবে এই চিঠি তোমার হাতে পৌঁছার সাথে সাথে তোমার মনাটা অবশ্যই আনন্দে ভবে যাবে।

বর্ষার সময় সাতলার লাল শাপলার বিল -এর রূপ যে কি হয় সে সম্পর্কে তুমি ওয়াকিবহাল। এখন এখানে প্রতিদিনই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত্রের লােক এবং বিদেশের বহু লােকের সমাগম ঘটে। এখানকার সমস্ত কিছুর মধ্যেই একটা পরিপাট্যতা লক্ষ করা যায়।

এটি একটি দর্শণীয় স্থান, বিশেষ করে বর্ষার সময় এই স্থানে ডিঙি নৌকায় ঘুরতে খুবই ভালাে লাগে। বর্ষার সময় সাতলার লাল শাপলার বিলে-এ প্রচুর প্রদর্শনী এবং মেলা দেখা যায়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এটিকে লাল শাপলার বিল বলা যায়। দীর্ঘাকৃতির বড় বড় বিল, ঘিরে অবস্থিত সবুজের আচ্ছাদন, সবুজ ঘাসে ভরা পার্ক, তৃণভূমি এবং বাগান, স্বচ্ছ জল প্রপাত এবং শীতের আগমনে স্থানটিকে একটা স্বর্গীয় মহিমা প্রদান করে।

এই সময় এখানে বিভিন্ন সমাজের মানুষ, নাচের দল এবং গানের দলের ভিড় দেখা যায়। এমনকি অক্টোবর ২৫, ২০২৩ এই মাসেই ওখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করছি। লাল শাপলার বিল এ ঘুরতে গেলে আমরা আমাদের ধরা বাধা একঘেয়েমি জীবনের হাত থেকেও রেহাই পেতে পারি। দয়া করে তুমি তােমার পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখে জানিও। আমি তােমার উত্তরের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করব।

তােমার বাবা-মাকে আমার সালাম  জানিও।

ইতি

তােমার বন্ধু

সাজ্জাদ মাহমুদ

আপনি যদি আরও বিবিধ বিষয়ের উপর লেখা দরখাস্ত লেখা দেখতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আর আপনি চাইলে নিচে থাকা শেয়ার বাটন থেকে এই লেখাটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। মনোযোগ দিয়ে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page