গাক এনজিও কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

Spread the love

গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক সংস্থা যা দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক এবং টেকসই পরিবর্তন আনতে কাজ করে।

গাক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ১৫ জুলাই। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হলেন খন্দকার আলমগীর হোসেন। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ধনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সমাজসেবী এবং শিক্ষাবিদ।

যমুনার তীরে ১৯৯৩ সালে ৩০ জন শিশুর সাথে GUK-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল যারা তাদের উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে GUK – এর অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রে মিলিত হয়েছিল। একই সময়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ধোঁতলা গ্রামের ৩২ জন এবং ফুলবাড়ী গ্রামের আরও ৩৮ জন মহিলা তাদের জীবিকার জন্য মৎস্য চাষ ও হস্তশিল্প শিখতে জিইউকের পতাকাতলে জড়ো হন।

এভাবেই ৩০ বছর আগে খুব ছোট পরিসরে GUK শুরু করেছিল, কিন্তু অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে – দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন, এমন একটি দেশ যেখানে প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। এখন, বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি সদস্যের একটি পরিবারে সাথে সংযুক্ত, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

গাক প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের জীবনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রানিসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্রঋণ, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করা। গাক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের ৫৬টি জেলায় কাজ করছে। সংস্থার বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ কর্মচারী রয়েছে।

আরও পড়ুন

গাক এনজিও পরীক্ষার প্রশ্ন

গাক এনজিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

গাক এনজিও সম্পর্কে বিস্তারিত

গাক এনজিও প্রতিষ্ঠাতা

গাক এনজিও শাখা সমূহ

গাক এনজিও প্রশ্ন প্যাটার্ন

গাক এনজিও কার্যক্রম

গাক চক্ষু হাসপাতাল এবং জিগ্যালোর এর কার্যক্রম চ্যানেল আই এর সবুজ সংকেত অনুষ্ঠানে প্রচারিত

 গাক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির কাছ থেকে অর্থায়ন পায়। গাক তার কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে-

মাইক্রোফাইন্যান্স: গাক দরিদ্র এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এটি তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে, বিকাশ করতে এবং সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করে।

স্বাস্থ্যসেবা: গাক দরিদ্র মানুষের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনা করে, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচার করে।

শিক্ষা: গাক দরিদ্র শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে। এটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে, স্কুল বুক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

কৃষি ও প্রানিসম্পদ উন্নয়ন: গাক দরিদ্র কৃষকদের কৃষি ও প্রানিসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করে। এটি কৃষি প্রশিক্ষণ প্রদান করে, কৃষি যন্ত্রপাতি ও সার সরবরাহ করে এবং কৃষি ঋণ প্রদান করে।

খাদ্য নিরাপত্তা: গাক দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। এটি খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য শিক্ষা প্রচার করে।

ক্ষুদ্রঋণ: গাক দরিদ্র মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে। এটি তাদের ব্যবসা শুরু করতে, বিকাশ করতে এবং সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করে।

নারীর ক্ষমতায়ন: গাক নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। এটি নারী শিক্ষা, নারী স্বাস্থ্যসেবা, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন: গাক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করে। এটি বনায়ন, জল সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে।

গাক তার কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। সংস্থাটি একটি স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক সংস্থা হিসাবে পরিচিত।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page