পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েডের সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। বেশির ভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়। সহজ করে বলতে গেলে, থাইরয়েড গ্রন্থি যেই থাইরয়েড হরমোনের সৃষ্টি করে, তার মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হওয়াতেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। কিন্তু এই হরমোনের মাত্রা শরীরে অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে তা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
ইওয়েড গ্রন্থি বা থাইরয়েড হল দুইটি লোব দ্বারা গঠিত একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যার অবস্থান গ্রীবাতে। পুরুষের এডাম’স এপলের ঠিক নিচে এর অবস্থান। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মেটাবলিক রেট ও প্রোটিন সিন্থেসিসকে প্রভাবিত করে। থাইরয়েড হরমোনের মধ্যে ট্রাইডোথাইরোনাইন (T3) ও থাইরক্সিন (T4) আয়োডিন ও টাইরোসিন দ্বারা গঠিত হয়। থাইরয়েড ক্যালসিটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন তৈরি করে যা ক্যালসিয়াম হোমিওস্ট্যাসিসে অবদান রাখে।
দুই লোব বিশিষ্ট থাইরয়েড গ্রন্থি ক্রিকয়েড ও শ্বাসনালি দ্বারা আবৃত থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থি একটি প্রজাপতি আকৃতির অঙ্গ। বাম ও ডানে দুই লোব ইস্থমুস দ্বারা সংযুক্ত থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের থাইরয়েডের ওজন ২৫ গ্রাম, প্রতিট লোব ৫ সেমি লম্বা , ৩ সেমি প্রশ্বস্ত এবং ২ সেমি পুরু। ইস্থমুস উচ্চতায় ও প্রশ্বস্ততায় প্রায় ১.২৫ সেমি হয়। নারীদের পিটুইটারি গ্রন্থি সাধারণত পুরুষের থেকে বড় , গর্ভাবস্থায় এই আকার বেড়ে যায়।
ল্যারিংক্স ও শ্বাসনালি ঘেঁষে থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থিত। ইস্থমুসের গঠন শ্বাসনালির দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় নালী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। থাইরয়েড গ্রন্থির উপরের অংশ থাইরয়েড কার্টিলেজ এবং নিচের অংশ শ্বাসনালির চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ রিং পর্যন্ত যায়।থাইরয়েড গ্রন্থি একটি পাতলা আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। এই আবরণের বহিঃ ও আভ্যন্তরীণ আবরণ থাকে। বহিঃ আবরণ প্রিট্রাকিয়াল ফ্যাসিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে ক্রিকয়েড ও শ্বাসনালির কার্টিলেজ পর্যন্ত যায়
থাইরয়েড রোগের কারণ
থাইরয়েড রোগের দুটি প্রধান ধরন হল
১। হাইপোথাইরয়েডিজম
২। হাইপারথাইরয়েডিজম।
থাইরয়েডাইটিস: এই অবস্থা হল থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ (ফোলা)। থাইরয়েডাইটিস আপনার থাইরয়েড উৎপন্ন হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
হাশিমোটো-এর থাইরয়েডাইটিস: এটি একটি ব্যথাহীন রোগ। হাশিমোটো-র থাইরয়েডাইটিস একটি অটোইমিউন অবস্থা যেখানে শরীরের কোষগুলি থাইরয়েডকে আক্রমণ করে এবং ক্ষতি করে। এটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অবস্থা।
প্রসবোত্তর থাইরয়েডাইটিস: এই অবস্থাটি প্রসব পরবর্তী অবস্থায় 5% থেকে 9% মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত একটি অস্থায়ী অবস্থা।
আয়োডিনের অভাব: থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন উৎপাদন করতে আয়োডিন ব্যবহার করে। আয়োডিনের অভাব একটি সমস্যা, যা বিশ্বজোড়া কয়েক মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করেছে।
একটি অ-কার্যকর থাইরয়েড গ্রন্থি: কখনও কখনও, থাইরয়েড গ্রন্থি জন্ম থেকেই সঠিকভাবে কাজ করে না। এটি প্রায় 4,000 নবজাতকের মধ্যে 1 জনকে প্রভাবিত করে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে ভবিষ্যতে শিশুটির শারীরিক এবং মানসিক উভয়েরই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্ত নবজাতককে তাদের থাইরয়েডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে একটি স্ক্রিনিং রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতিমূলক টিপস্
থাইরয়েড রোগের লক্ষণ
একজন থাইরয়েড রোগগ্রস্ত ব্যক্তির থাকে বিভিন্ন উপসর্গ অনুভব দেখা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, থাইরয়েড রোগের অবস্থার লক্ষণগুলির, প্রায়ই অন্যান্য চিকিৎসাধীন এবং জীবনের পর্যায়ের লক্ষণগুলির সাথে খুব মিল। তার ফলে লক্ষণগুলি থাইরয়েড সমস্যা বা অন্য কিছুর সাথে সম্পর্কিত কিনা তা জানা কঠিন হয়ে পড়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, থাইরয়েড রোগের লক্ষণগুলিকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা যেতে পারে – যা খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন (হাইপারথাইরয়েডিজম) এবং খুব কম থাইরয়েড হরমোন (হাইপোথাইরয়েডিজম) থাকার সাথে সম্পর্কিত।
অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড-এর (হাইপারথাইরয়েডিজম) লক্ষণগুলি হলো
১. উদ্বেগ, বিরক্তি এবং স্নায়ুদৌর্বল্য অনুভব করা।
২. ঘুমাতে সমস্যা হওয়া।
৩. ওজন কমে যাওয়া।
৪. বৃদ্ধি পাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি অথবা গলগন্ড।
৫. পেশী দুর্বলতা এবং কম্পন থাকা।
৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা আপনার মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৬. তাপের প্রতি সংবেদনশীল বোধ করা।
৭. দৃষ্টি সমস্যা বা চোখের জ্বালা।
নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড-এর (হাইপোথাইরয়েডিজম) লক্ষণগুলি হলো
৪. মহিলাদের ঘন ঘন এবং বেশী পরিমাণে মাসিক হওয়া।
৭. ঠান্ডা তাপমাত্রায় অসহিষ্ণুতা অনুভব করা।
থাইরয়েড রোগগ্রস্ত ব্যক্তির খাবার
সবুজ শাকসবজি
সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার রেসিপিতে সবুজ শাকসবজি রাখুন। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ও ক্লোরোফিলের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই দুটি উপাদান শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায় ও শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে থাইরয়েডের কার্যক্রম ধরে রাখে। এছাড়া থাইরয়েডের দুর্বলভাব দূরে করে শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
সামুদ্রিক সবজি
আয়োডিন সমৃদ্ধ সামুদ্রিক সবজিতে রয়েছে প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান। এসব সবজি থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়ানো, শরীরে থাইরক্সিন অত্যাবশ্যক এবং এটা গঠনে আয়োডিন সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
দেহ সুস্থ রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে দই খাওয়া যেতে পারে। দইয়ে আছে আয়োডিন এবং প্রোবায়োটিক যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রাখে। এছাড়া ডিম, জিংক থাইরয়েডের কার্যকারিতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
থায়রয়েড সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন না
কিছু খাবার রয়েছে যা কখনোই খাবেন না। এসব খাবার এড়িয়ে চলছে ভালো থাকবে আপনার থায়রয়েড। গ্লুটেইন , শষ্য-জাতীয় খাবার যা আঁশ সমৃদ্ধ, চিনি ও কড়া ভাজা খাবার ও সয়া-ধর্মী খাবার একদমই খাবেন না।
পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন।থাইরয়েডজনিত সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ।বেশিরভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও নারী- পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়।থাইরয়েড এর লক্ষণ ও এর প্রতিকার এবং থাইরয়েড আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে লেখক কন্টেন্ট টিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।কন্টেন্টটি সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
থাইরয়েড সম্পর্কে কোন কিছুই জানতাম না | এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম |ধন্যবাদ লেখক কে এত সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য|
থাইরয়েড হচ্ছে আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ এই রোগ সাধারণত প্রসবকালীন কারণে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। পৃথিবীতে প্রায় বারো শতাংশ লোকই এই রোগে ভুগে থাকে। তবে নারী পুরুষ উভয়ই নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এইজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাক সবজি ফলমূল আয়োডিন জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
থাইরয়েড হচ্ছে আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ এই রোগ সাধারণত প্রসবকালীন কারণে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। তবে নারী পুরুষ উভয়ই নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এইজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাক সবজি ফলমূল আয়োডিন জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
থাইরয়েড হচ্ছে আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ ।এই রোগ সাধারণত প্রসবকালীন কারণে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। তবে নারী পুরুষ উভয়ই নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এইজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাক সবজি ফলমূল আয়োডিন জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
থাইরয়েড হচ্ছে আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ ।এই রোগ সাধারণত প্রসবকালিন কারণে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। তবে নারী পুরুষ উভয়ই নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এইজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাক সবজি ফলমূল আয়োডিন জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
থাইরয়েড একটি পরিচিত রোগ হলেও, এই রোগ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না আমি। কনটেন্টটি পরে খুব উপকিত হলাম। জানতে পারলাম থাইরয়েড রোগ কি, কেনো হয় এই রোগ, এবং এর প্রতিকার। অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে, এতো গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্টি তুলে ধরার জন্য।
থাইরয়েড সমস্যা একটি সাধারণ এবং পরিচিত একটা রোগ।থাইরয়েড গ্রন্থি যেই থাইরয়েড হরমোনের সৃষ্টি করে, তার মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হওয়াতেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। কিন্তু এই হরমোনের মাত্রা শরীরে অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে তা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন।এ রোগে বেশি ভাগ মহিলারা আক্রান্ত হলেও
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়।আমাদের খাদ্যাভাস পরিবর্তন এনে আমরা এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এ কন্টেন্ট টি আমার জন্য দরকারি ছিল। ধন্যবাদ লেখককে থাইরয়েড এর লক্ষণ ও এর প্রতিকার এবং থাইরয়েড আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্যাভাস সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য।
থাইরয়েড সমস্যা অনেকের দেখা যায়। এই রোগের লক্ষন ও প্রতিকারে খাদ্যাভ্যাসে সচেতন হওয়া জরুরি। লেখককে ধন্যবাদ।
থাইরয়েড এর সমস্যা সম্পর্কে আগে এত অবগত ছিলাম না। এটির মাধ্যমে নির্ণয় উপাদান সম্পর্কে আমরা সকলে কিছু ধারনা পেয়েছি।
যেমন থাইরয়েডের রোগের দুটি কারণ রয়েছে ১। হাইপোথাইরয়েডিজম
২। হাইপারথাইরয়েডিজম।
পৃথিবীতে প্রায় বারো শতাংশ মানুষ থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।এই থাইরয়েড রোগের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে আমরা রোগটি সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
এই যেমন –
১. উদ্বেগ, বিরক্তি এবং স্নায়ুদৌর্বল্য অনুভব করা।
২. ঘুমাতে সমস্যা হওয়া।
৩. ওজন কমে যাওয়া।
৪. বৃদ্ধি পাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি অথবা গলগন্ড।
৫. পেশী দুর্বলতা এবং কম্পন থাকা।
৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা আপনার মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
সুষম খাদ্যের মাধ্যমে আমরা এই রোগটি নিরাময় করতে সক্ষম হতে পারে। যেমন সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক সবজি যাতে রয়েছে আয়রন,প্রোটিন জাতীয় খাদ্য।
আমাদের মনে রাখতে হবে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তৈলাক্ত জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
থাইরয়েড সম্পর্কে আমরা সকলে কম বেশি জানি তবে সঠিক উপায়ে থাইরয়েড নির্ণয় এবং নিয়ে নিরাময় সম্পর্কে আমরা তেমন অবগত নই। থাইরয়েড রোগটি পৃথিবীতে শতকরা ১২ শতাংশ মানুষেরই হয়ে থাকে। এই থাইরয়েডের রোগটি নির্ণয় এবং নিরাময়ের জানা থাকলে এই রোগ থেকে খুবই সহজে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। কিছু সঠিক উপায়ে গঠন এবং পরিত্যাগের মাধ্যমে থাইরয়েড রোগটি থেকে আমরা চিরতরে নিস্তার করতে পারি। রোগের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে আমরা নির্ণয় করতে পারি থাইরয়েড রোগটি আমাদের মধ্যে বহমান। এবং এটি মোকাবেলায় খাদ্যাভ্যাসে সুষম পুষ্টিকর প্রোটিন জাতীয় আয়রন সামগ্রিক সবজি যোগ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ভারী তেল জাতীয় খাবার, চিনি, আশ জাতীয় এইসব খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। তাহলে আমরা থাইরয়েড সমস্যা থেকে সঠিকভাবে নিস্তার পেতে পারি।
থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক বেশি, যা একটি অত্যন্ত পরিচিত রোগ। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা হয়, যা শারীরিক অসুবিধা সৃষ্টি করে। এই রোগের লক্ষণগুলি অনেক সময় অন্য রোগের সঙ্গে মিল থাকতে পারে, যার ফলে সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন হয়। থাইরয়েড সমস্যার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে সময়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে বেশির ভাগ মানুষই নানা ধরনের রোগে ভোগেন । এর মধ্যে অন্যতম সাধারণ ও পরিচিত একটি হলো থাইরয়েড।
এতে বেশির ভাগ মহিলারাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন । এই রোগের লক্ষণ আমাদের জীবনের অন্যান্য সাধারণ কিছু লক্ষণের সাথে মিলে যায় বলে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার পরও বুঝতে পারি না । এটি সাধারণ হলেও এর কিছু খারাপ প্রভাবও রয়েছে । তাই এই থাইরয়েড সম্পর্কে সবার কম বেশি ধারণা রাখা উচিত ।
থাইরয়েড জনিত সমস্যা একটি সাধারন সমস্যা যা সচেতনতার অভাবে সঠিকভাবে নিরূপন ও চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।থাইরয়েড নামক অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনই থাইরয়েড হরমোন।শরীরে এই হরমোনের কম বা বেশি হওয়ায় থাইরয়েড জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়।সাধারনত থাইরয়েড হরমোনের আধিক্যের কারনে হাইপারথাইরয়েডিজম এবং থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতার দরুন হাইপোথাইরয়েডিজম রোগ হয়ে থাকে।উদ্বেগ,বিরক্তি, ঘুমের সমস্যা, ওজন কমে যাওয়া, দূর্বলতা,দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদি হলো হাইপারথাইরয়েডজিমের লক্ষন।হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষনের মধ্যে আছে ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, বিস্মৃত অনুভব, কর্কশ কণ্ঠস্বর ইত্যাদি।সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক শাকসবজি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার থাইরয়েড চিকিৎসায় উপকারী এবং যেসব খাবার থাইরয়েড রোগির জন্য নিষেধ তার মধ্যে রয়েছে শস্য জাতীয় বা আশযুক্ত খাবার, চিনি, তেলে ভাজা ও সয়া যুক্ত খাবার।
“”থাইরয়েড””” জনিত সমস্যা একটি কমন সমস্যা হলেও আগে এই রোগ সম্বন্ধে এত কিছু জানতাম না। ধন্যবাদ জানাই লেখক কে, কারণ তিনি এই কনটেন্টটিতে এই রোগ সম্বন্ধে লক্ষণ কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন।আশা করি এই কনটেন্টটি পড়ে আমার মত আপনারাও এই রোগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং সচেতনতা গড়ে তুলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েডের সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। বেশির ভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়।থাইরয়েড জনিত সমস্যা একটি সাধারন সমস্যা যা সচেতনতার অভাবে সঠিকভাবে নিরূপন ও চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।থাইরয়েড নামক অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনই থাইরয়েড হরমোন।শরীরে এই হরমোনের কম বা বেশি হওয়ায় থাইরয়েড জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়।সাধারনত থাইরয়েড হরমোনের আধিক্যের কারনে হাইপারথাইরয়েডিজম এবং থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতার দরুন হাইপোথাইরয়েডিজম রোগ হয়ে থাকে।উদ্বেগ,বিরক্তি, ঘুমের সমস্যা, ওজন কমে যাওয়া, দূর্বলতা,দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদি হলো হাইপারথাইরয়েডজিমের লক্ষন।হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষনের মধ্যে আছে ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, বিস্মৃত অনুভব, কর্কশ কণ্ঠস্বর ইত্যাদি।সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক শাকসবজি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার থাইরয়েড চিকিৎসায় উপকারী এবং যেসব খাবার থাইরয়েড রোগির জন্য নিষেধ তার মধ্যে রয়েছে শস্য জাতীয় বা আশযুক্ত খাবার, চিনি, তেলে ভাজা ও সয়া যুক্ত খাবার।আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাক সবজি ফলমূল আয়োডিন জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে, এতো গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্টি তুলে ধরার জন্য।
থাইরয়েড সমস্যা এখন অনেক কমন সমস্যা। শরীরে এই হরমোনের কম বা বেশি হলে মানুষের ওজনের কম বা বেশী হয় আর নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কিন্তু যদি সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবন গঠন করা যায় তাহলেই এই রোগ থেকে প্রতিকার পেতে পারব।
পৃথিবী জুড়ে বর্তমান সময়ে থাইরয়েড একটি অত্যন্ত পরিচিত সমস্যা। ছোট, বড়,নারী কিংবা পুরুষ সকল বয়সী মানুষের মধ্যে এ হরমোন জনিত সমস্যা টি এখন প্রকট হারে লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ এতে আক্রান্ত। যা নারীদের ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত মানুষের শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসরন হয় তার মাত্রা স্বাভাবিক এর চেয়ে বেড়ে বা কমে গেলে এ সমস্যা হয়।যেহেতু এ সমস্যা টি মানুষের দৈনন্দিন কিছু শারীরিক সমস্যার মত লক্ষ্যন প্রকাশ করে তাই এটি দ্রুত নির্নয় করা যায় না।পোস্টে এ বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে এটি কি,কেন হয়,লক্ষ্যন ও এর প্রতিকার সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া খাদ্যাভাসে কি কি পরিবর্তন এ রোগ কে নিয়ন্ত্রণ এ আনা যায় তাও উল্লেখ করা হয়েছে। আমি মনে করি সকলের জন্য পড়া অতি অবশ্য দরকার। এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশদভাবে আলোচনা করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েডের সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। বেশির ভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ সকলেই এ রোগের শিকার হয়ে থাকেন। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। এ রোগে আজীবন মেয়াদী ঔষধ খেতে হয় জানতাম। কিন্তু কিভাবে ঘরোয়া ভাবে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে এ রোগ থেকে বাচা যায় তা জানতাম না। লেখকের এই সুন্দর লেখাটি হতে আমিসহ অনেকেই উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ।
থাইরয়েড সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। এই রোগে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও পুরুষদেরও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েড এর লক্ষণ ও এর প্রতিকার এবং থাইরয়েড আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে কন্টেন্ট টিতে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।কন্টেন্টটি সকলের জন্য উপকারী।
থাইরয়েড সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। তারপরেও এই ব্যাপারে অনেক কিছু আমরা জানি না। এর লক্ষন দেখার পর এখন আমরা অনেকেই সাবধান থাকবো।।
অনেক উপকারী ছিলো।
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি থাইরয়েড। শরীরে থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। থাইওয়েড গ্রন্থি বা থাইরয়েড হল দুইটি লোব দ্বারা গঠিত একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যার অবস্থান গ্রীবাতে। পুরুষের এডাম’স এপলের ঠিক নিচে এর অবস্থান। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মেটাবলিক রেট ও প্রোটিন সিন্থেসিসকে প্রভাবিত করে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ।আবার হাইপোথাইরয়েডিজমের ওষুধ সাধারণত আজীবন খেতে হয়। বারবার পরীক্ষা করে ওষুধের মাত্রা ঠিক করা প্রয়োজন। খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েডে অস্ত্রোপচার দরকার হয়। থাইরয়েড সন্দেহ হলে অবশ্যই একজন হরমোনবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কন্টেন্টিতে থাইরয়েড নিয়ে যথার্থ ও বিস্তর সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
সহজ করে বলতে গেলে, থাইরয়েড গ্রন্থি যেই থাইরয়েড হরমোনের সৃষ্টি করে, তার মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হওয়াতেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। কিন্তু এই হরমোনের মাত্রা শরীরে অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে তা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।দেহ সুস্থ রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে দই খাওয়া যেতে পারে। দইয়ে আছে আয়োডিন এবং প্রোবায়োটিক যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে । এছাড়া ডিম, জিংক থাইরয়েডের কার্যকারিতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বর্তমান সময়ে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তুু এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারনা নেই। তবে আমি মনে করি যে, এই আর্টিকেলটি পড়লে থাইরয়েড সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানা সম্ভব।
থাইরয়েড একটি ছোট, প্রজাপতির আকারের গ্রন্থি যা গলার মাঝখানে অর্থাৎ ভয়েস বক্সের নিচে এবং শ্বাসনালীর চারপাশে আবৃত। এটি একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন তৈরির মাধ্যমে দেহের প্রায় সকল বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন।বেশিরভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও নারী- পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দেয়।কনটেন্টিতে লেখক থাইরয়েড কি? এর লক্ষণ গুলো কি কি ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।কনটেন্টি পরে থাইরয়েড সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।ধন্যবাদ লেখকে।
থাইরয়েড গ্রন্থি হতে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েড হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই থাইরয়েড হরমোনটি কম বা বেশি হলে থাইরয়েডের সমস্যাটি দেখা দেয়। থাইরয়েড গ্রন্থি দেখতে প্রজাপতি মত। থাইরয়েড রোগের দুটি প্রধান ধরন একটি হাইপোথাইরয়েডিজম দ্বিতীয়টি হাইপারথাইরয়েডডিজাম। থাইরয়েড হলে কিছু লক্ষণ রোগীর মধ্যে দেখা দেয় কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এই লক্ষণগুলো খুবই সাধারণ এবং এই লক্ষণ গুলো সাধারণত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে দেখা দিয়ে থাকে এই কারণে দৃশ্যমান লক্ষণগুলো যে থাইরয়েড রোগের লক্ষণ তা বোঝা কষ্টকর হয়ে ওঠে যেমন ক্লান্তি বোধ ওজন বেড়ে যাওয়া মহিলাদের ঘন ঘন বেশি বেশি পরিমাণে মাসিক হওয়া ঘুমাতে সমস্যা হওয়া ওজন কমে যাওয়া পেশি দুর্বলতা মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া চোখের জ্বালা ইত্যাদ। থাইরয়েড রোগগ্রস্থ ব্যক্তির যেসব খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার দরকার সেগুলো হলো সবুজ শাকসবজি সামুদ্রিক সবজি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং যে সকল খাবার থেকে তাকে বেঁচে থাকতে হবে তা হল শস্যজাতীয় খাবার বা আশ সমৃদ্ধ খাবার চিনি ও কড়া ভাজা খাবার এবং সয়া ধর্মী খাবার একদম খাওয়া যাবেনা। এই সকল নিয়ম মেনে চললে আশা করা যায় একজন মানুষ থাইরয়েড জাতীয় রোগ হতে বেঁচে থাকতে পারবে।
থাইরয়েডের সমস্যা অতি সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ পৃথিবীতে ১২ শতাংশ মানুষ এই রোগে ভোগে। থাইরয়েড গ্রন্থি যে থাইরয়েড হরমোন সৃষ্টি করে তার মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। মহিলারা বেশি এই রোগে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে পুরুষ মহিলা সবাইকেই এই সমস্যাগুলিতে করতে দেখা যায়।থাইরয়েড এর দুটি প্রধান ধরন আছে একটি হল হাইপোথাইরয়েডিজম আরেকটা হাইপার থাইরয়েডিজম । থাইরয়েড গ্রন্থি একটি প্রজাপতি আকৃতির অঙ্গ। সাধারণত থাইরয়েড হরমোনের আধিক্যের কারণে হাইপাথাইরোডিজম এবং থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতার কারণে হাইপো থাইরয়েডিজম রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত কারণ সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ও ক্লোরোফিলের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শরীরের যেমন কার্যকারিতা বাড়ায় ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং থাইরয়েডের কার্যক্রমকে ধরে রাখে। থাইরয়েড এর লক্ষণগুলো আমাদের শরীর ও অনেক সাধারণ রোগের লক্ষণের মতো দেখা যায় তাই আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। যদি সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবন গঠন করা যায় তবেই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। লেখক এই পোস্টটিতে খুব সুন্দর ভাবে থাইরয়েড বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকেরই এ বিষয়ে জানা দরকার লেখককে ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে এই এই কনটেন্টি লেখার জন্য
মানব দেহের সবচেয় বড় ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রান্থি হচ্ছে থাইরয়েড গ্রন্থি ৷ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী নারীরা থাইরয়েড রুগে আক্রান্ত ৷ আয়োডিন মুক্ত লবন বন্ধ এবং আয়োডিন যুক্ত লবন ব্যবহারে আগের তুলনায় এই রুগের প্রকোপ কিছুটা কমেছে ৷ বিশ্বে থাইরয়েড দিবস পালন হলেও বাংলাদেশ এ মাত্র সিমিত দু একটা প্রতিষ্ঠান পালন করে থাকে ৷ এই কন্টেনটি একটি সর্বউপোযোগী কন্টেনট ৷ ধন্যবাদ জানাই প্রিয় লেখককে ৷ আমাদের উচিৎ এই লেখাটি সর্বাধিক শেয়ার করে সর্বসাধারণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ইনশাআল্লাহ ৷
থাইরয়েড বর্তমান সময়ের অতি সাধারণ এবং কমন একটি রোগ ।পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। একজন থাইরয়েড রোগাক্রান্ত ব্যক্তির থাকে বিভিন্ন উপসর্গ। দুর্ভাগ্যবশত, থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলোর সাথে অন্যান্য চিকিৎসাধীন এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের লক্ষণ গুলির সাথে খুব মিল থাকে যার ফলে লক্ষণ গুলি থাইরয়েড সমস্যা বা অন্য কিছুর সাথে সম্পর্কিত কিনা তা জানা কঠিন হয়ে পড়ে।
থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে – যা খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন (হাইপার থাইরয়েডিজম) এবং খুব কম থাইরয়েড হরমোন (হাইপো থাইরয়েডিজম) থাকার সাথে সম্পর্কিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়।তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি সঠিক নিয়মে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন এবং পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন গঠন করতে পারেন তবেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ তার এই থাইরয়েড সম্পর্কিত আর্টিকেল টা পড়ে সকল থাইরয়েড আক্রান্ত রোগীরা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি ।
থাইরয়েড হরমোন মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। এর পরিমাণ কম বা বেশি হলে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। থাইরয়েডের সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন।
বেশির ভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ।
ইওয়েড গ্রন্থি বা থাইরয়েড হল দুইটি লোব দ্বারা গঠিত একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যার অবস্থান গ্রীবাতে। পুরুষের এডাম’স এপলের ঠিক নিচে এর অবস্থান। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মেটাবলিক রেট ও প্রোটিন সিন্থেসিসকে প্রভাবিত করে। থাইরয়েড হরমোনের মধ্যে ট্রাইডোথাইরোনাইন (T3) ও থাইরক্সিন (T4) আয়োডিন ও টাইরোসিন দ্বারা গঠিত হয়। থাইরয়েড ক্যালসিটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন তৈরি করে যা ক্যালসিয়াম হোমিওস্ট্যাসিসে অবদান রাখে।
থাইরয়েড হরমোন জনিত অস্বাভাবিকতা থেকে বাচতে আমাদের সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে সাথে সাথে যেসব খাবারে থাইরয়েড জনিত সমস্যা তৈরি হয় সেগুলো পরিহার করতে হবে।
থাইরয়েড হরমোন সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। সাধারণত মেয়েরা এই থইরয়েডে বেশি ভুগতে থাকে। থাইওয়েড গ্রন্থি বা থাইরয়েড হল দুইটি লোব দ্বারা গঠিত একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যার অবস্থান গ্রীবাতে। পুরুষের এডাম’স এপলের ঠিক নিচে এর অবস্থান। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মেটাবলিক রেট ও প্রোটিন সিন্থেসিসকে প্রভাবিত করে। এই হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে জীবন প্রনালী এবং খাবারে কিছু পরিবর্তন আনা এবং সচেতন থাকা প্রয়োজন।
বর্তমানে থাইরয়েড অতিপরিচিত রোগের নাম। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই এই রোগ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। মুলত আয়োডিনের অভাবে এই রোগটি হয়।
থাইরয়েড প্রধানত দু’ধরনের –
১। হাইপোথাইরয়েডিজম
২। হাইপারথাইরয়েডিজম
বর্তমান বিশ্বে ১২% মানুষ এই থাইরয়েড জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন।
থাইরয়েড দেহের প্রয়োজনীয় একটি হরমোন ; তবে এটির মাত্রা কম বেশি হলেই তখন সমস্যার দেখা দেয়।
উক্ত কন্টেন্টে থাইরয়েড এর সমস্যার ধরন,কারণ, লক্ষ্মণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে সকলের জানা প্রয়োজন।