হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় জেনে নিন

Spread the love

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়- হাতের লেখা দ্রুত লিখতে পারি না বলেই পরীক্ষার খাতায় লেখা শেষ করতে পারি না। প্রশ্ন ১০০% কমন পড়েছে তবুও লেখা শেষ করতে পারি না। ৬০% – ৮০% লেখা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। সময় যে কারো জন্য অপেক্ষা করে না এটা পরীক্ষার হলে খুব ভালভাবে বুঝা যায়। তখন মনে হয় ইশ্ যদি আরেকটু সময় পাওয়া যেতো তাহলে Full Answer করতে পারতাম। এমন সমস্যা অনেক শিক্ষার্থীর মাঝেই লক্ষ্য করা যায়।

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

মনে করো, তুমি পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব ভালভাবেই নিয়েছো এবং পরীক্ষার রুমে গিয়ে দেখলে প্রশ্ন ১০০% কমন পড়েছে, কিন্তু পরীক্ষার খাতায় Full Answer করতে পারছো না শুধুমাত্র হাতের লেখা দ্রুত লিখতে পারো না বলে। তাহলে কেমন লাগবে?

শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায়ই নয়, ক্লাসে নোট করার সময় অথবা লেখালেখির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও হাতের লেখা দ্রুত না হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় জিততে পারি না। হাতের লেখা দ্রুত করার কোন উপায় আছে কি এমন প্রশ্ন অনেকের মনে।

হ্যাঁ হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় তো অবশ্যই আছে। আজ আমরা আলোচনা করবো হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় সম্পর্কে।

হাতের লেখা দ্রুত করার কৌশল-

ক) গভীর অনুশীলন করা
খ) পড়ার সাথে সাথে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা
গ) নিজে নিজে বাসায় পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করা
ঘ) লেখার সময় মুখে উচ্চারণ করা
ঙ) পরীক্ষার সময় লেখার উপযোগী কলম ব্যবহার করা
চ) অক্ষরের সাইজের প্রতি খেয়াল রাখা
ছ) কলম ধরার সঠিক নিয়ম
জ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মনোযোগ সহকারে পড়া
ঝ) সহজ প্রশ্নের উত্তর আগে লেখা
ঞ) মনোযোগ সহকারে লেখা
ট) সময় নির্ধারণ করে লেখা
ঠ) বসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা
ড) দেহের অবস্থান ঠিক রাখা

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় বা কৌশল নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। কি কি উপায়ে হাতের লেখার গতি বাড়ানো যায় তা নিম্নরূপ-

১) গভীর অনুশীলন করা | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে- “Practice makes a man perfect”. যতো অনুশীলন করবে ততো দক্ষ হবে।

যে কোন কিছুকে অর্জন করার মূলমন্ত্র হলো কঠিন অধ্যাবসায় বা সাধনা করা। অধ্যাবসায়, সাধনা বা নিয়মিত অনুশীলন ব্যতিত কোন কিছু অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ঠিক তেমনই হাতের লেখার গতি বৃদ্ধি করতে হলে অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই। বেশী থেকে বেশী হাতের লেখার চর্চা করতে হবে।

অনুশীলনের পাশাপাশি আরও কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আস্তে আস্তে হাতের লেখার গতি বৃদ্ধি পাবে।

২) পড়ার সাথে সাথে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা | দ্রুত লেখার কৌশল-

যা পড়বে তাই লিখবে। যে কোন প্রশ্ন বা অধ্যায় পড়ার পর তা লিখার চেষ্টা করবে। এতে কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেমন-

ক) হাতের লেখার গতি বৃদ্ধি পাবে।
খ) যা পড়েছো তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকবে।
গ) প্রশ্ন পড়া হলে তা লেখার অভ্যাস করলে প্রশ্নটি লিখতে কত সময় লাগবে তা জানা যাবে।
ঘ) প্রশ্ন লেখার সময় সম্পর্কে ধারণা থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে লেখা শেষ করার চেষ্টা করা যাবে।

মুখস্থ পড়া দ্রুত লেখা যায়। কেননা, লেখার সময় ভেবে ভেবে লিখতে হয়না। ভেবে চিন্তে কিছু লিখতে গেলে তো অনেক সময় লাগে। এজন্য লেখার গতি বৃদ্ধি করার একটি কার্যকরী কৌশল হলো পড়া মুখস্ত করার সাথে সাথে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা।

এতে করে হাতের লেখা যেমন দ্রুত হবে, তেমন সুন্দরও হবে।

৩) নিজে নিজে বাসায় পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করা | হাতের লেখা দ্রুত করার কৌশল-

পরীক্ষার খাতায় Full Answer করার জন্য বাসায় বসে নিজে নিজে পরীক্ষার অভ্যাস গড়ে তোলা।

যা তোমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে সাহায্য করবে। বাসায় পরীক্ষা দেওয়ার সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে-

ক) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ করতে হবে।

খ) পরীক্ষার প্রতিটি প্রশ্ন লেখার জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। অর্থাৎ কোন প্রশ্নের উত্তর কত সময় নিয়ে লিখবে তা লেখার পূর্বেই নির্ধারণ করে নিবে।

গ) ধরো তোমাকে ১০০ নম্বরের জন্য ১০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে এবং সময় ৩ ঘন্টা। তাহলে ৩ ঘন্টা সময়কে ১০ দিয়ে ভাগ করে প্রতিটি প্রশ্নের সময় নির্ধারণ করবে।

ঘ) সবশেষে রিভিশনের জন্য ৫-১০ মিনিট সময় ব্যয় করবে। যাতে করে কোন ভুল বা কিছু বাদ গেলে তা সংশোধন করতে পারো।
বাসায় পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে এমন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল প্রশ্নের উত্তর লিখা শেষ করা যায়।

যা পরীক্ষার হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে সাহায্য করবে।

৪) লেখার সময় মুখে উচ্চারণ করা | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

যখনই প্রশ্ন অথবা কোন কিছু লিখবে তখনই লিখার সাথে সাথে মুখে উচ্চারণ করবে। লিখার সময় মুখে উচ্চারণ করার উপকারিতা নিম্নরূপ-

ক) যা লিখছো তা বলার সাথে মিল রয়েছে কিনা সহজেই বুঝা যায়।
খ) লেখায় মনোযোগ থাকে।
গ) লেখায় কোন ভুল হচ্ছে কিনা চোখে পড়বে।
ঘ) লেখার গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।

৫) পরীক্ষার সময় লেখার উপযোগী কলম ব্যবহার করা | হাতের লেখার নিয়ম-

পরীক্ষার উপকরণগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো কলম। কলম ভালো হলে লেখাও ভালো এবং দ্রুত হবে এটা প্রমাণিত। এজন্য পরীক্ষার সময় লেখার উপযোগী কলম ব্যবহার করা উচিত।

একেবারে নতুন কলম দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। কেননা, নতুন কলম ঠিকমত কালি ছাড়ে না, লেখা চিকন হয় ইত্যাদি।
আরো একটি বিষয় মনে রাখতে হবে তাহলো- তুলনামূলক একটু মোটা কালির কলম ব্যবহার করা উচিত। কেননা, মোটা কালির কলম হাতের লেখাকে দ্রুত এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে। এছাড়া যে কলম দিয়ে পরীক্ষা দিবে সেটি দিয়ে বাসায় লিখে ফ্রি করে নিবে, যাতে করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় কালি ঠিকমত ছাড়তে পারে।

তুমি যে কলম দিয়ে লিখে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করো সে কলম দিয়েই লেখার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ যে কলম দিয়ে লিখলে তোমার লেখা দ্রুত এবং সুন্দর হয় সেটা পূর্বেই বাছাই করবে।

একটা সময় লেখাকে সুন্দর এবং দ্রুত করার জন্য ফাউন্টেন কলম ব্যবহার করা হতো।

আমাদের সময় রেড-লিফের একটি কলম পাওয়া যেতো, পরীক্ষা মানেই আমরা রেড-লিফ কলমকে বুঝতাম। এখন তো সে কলমগুলো বিলুপ্তই হয়ে গেছে।

৬) অক্ষরের সাইজের প্রতি খেয়াল রাখা | দ্রুত লেখার কৌশল-

হস্তলেখা বিশারদগণ মনে করেন- হাতের লেখা দ্রুত করার আরও একটি কার্যকরী উপায় হলো- লেখার সময় অক্ষরের সাইজকে ছোট করে লেখার চেষ্টা করা। তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে-

ক) তুমি একটি অক্ষরকে প্রথমবার লিখেছো পৃষ্ঠা ভরে।
খ) দ্বিতীয়বার লিখেছো অর্ধেক পৃৃষ্ঠা ভরে।
গ) তৃতীয়বার লিখেছো তার অর্ধেক করে।

এখন বলো কোন অক্ষরটি লিখতে বেশী সময় লেগেছে। অবশ্যই প্রথমটি লিখতে সময় বেশী লেগেছে। কেননা, পৃষ্ঠা ভরে লেখা এবং অর্ধেক পৃষ্ঠা লেখার মধ্যে সময়ের ব্যবধান রয়েছে। তৃতীয়বারের লেখা যেহেতু আরও ছোট তাই লিখতেও কম সময় লাগবে।

এজন্য লেখার সময় অক্ষরের সাইজকে ছোট করে লিখলে লেখার গতি বেড়ে যায়। তবে কেউ কেউ এতো ছোট করে লেখে যা বুঝতে অনেক কষ্ট হয়। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে- লেখা যেন এতো ছোট না হয় যা বুঝতে সমস্যা হয়।

অক্ষরের সাইজ বেশী বড়ও নয়, আবার একেবারে ছোটও নয়, মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা উচিত।

এতে করে লেখা স্পষ্টভাবে বুঝা যাবে, দেখতে সুন্দর লাগবে এবং লেখার গতি বাড়বে। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

৭) কলম ধরার সঠিক নিয়ম | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

হাতের লেখার গতি বাড়ানোর আরও একটি মাধ্যম হলো- লেখার সময় সঠিকভাবে কলম ধরতে হবে। কলম ধরার উপর ভিত্তি করে লেখার সৌন্দর্য্য ও গতি বৃদ্ধি পায়। লেখার সময় কখনও কলম শক্ত করে ধরে চাপ দিয়ে লেখা উচিত নয়।

এভাবে লিখলে বেশিক্ষণ লেখা যায় না। কারণ কিছুক্ষণ পর পর হাত লেগে যায় বা ব্যাথা হয়ে যায়।

লেখার সময় কলমটিকে হালকা করে ধরে স্মুথলী লিখতে হবে। তাহলে লেখার গতি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।

লেখার সময় কলমের কোন অংশ ধরে বা কোন্ কোন্ আঙ্গুল দিয়ে কলম ধরতে হবে এ বিষয়ে আসলে সঠিক কোন নিয়ম নেই। যে যার মতো করে লিখে অভ্যস্থ। মানুষ শুরু থেকেই যেভাবে কলম ধরে অভ্যস্থ সেভাবে লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

তবে কলম ধরার নিয়ম সম্পর্কে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে তোমরা চাইলে ভিডিও দেখে প্রাকটিস করতে পারো।

৮) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মনোযোগ সহকারে পড়া | হাতের লেখার নিয়ম-

পরীক্ষার খাতায় লেখা শুরু করার পূর্বেই প্রশ্নপত্রটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া উচিত। কারণ প্রশ্নপত্রে কি কি প্রশ্ন এসেছে তা ভালভাবে জানা যায়। অনেকেই মনে করে প্রশ্নপত্র পড়ে সময় নষ্ট করে লাভ কি? শুধু শুধু সময় নষ্ট করে লাভ নেই। এজন্য প্রশ্নপত্রটি ভালভাবে না পড়েই প্রথমে দু’একটি প্রশ্ন কমন পড়লেই লেখা শুরু করে দেয়।

এভাবে লিখতে লিখতে সকল প্রশ্নের উত্তর লেখার পূর্বেই নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়।

পরীক্ষার রুম থেকে বের হয়ে এবার প্রশ্নপত্রটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে। মিলিয়ে দেখে কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর লেখা হয়েছে। মিলাতে গিয়ে চোখে পড়ে সহজ দু’একটি প্রশ্ন ছিল যেগুলোর উত্তর সে লেখেনি। তখন আফসোস হয় ইশ্ প্রশ্নপত্রটি ভালোভাবে কেন পড়লাম না।

এজন্য প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ১-২ বার ভালভাবে পড়ে নেওয়া উচিত। যা পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা দ্রুত করার একটি অন্যতম উপায়।

৯) সহজ প্রশ্নের উত্তর আগে লেখা | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

যে প্রশ্নের উত্তর তোমার খুব সহজ মনে হবে বা যে প্রশ্নের উত্তর তোমার খুব ভালভাবে জানা আছে পরীক্ষার খাতায় সর্বপ্রথম সেই প্রশ্নের উত্তরটিই লিখবে। কারণ, কোন প্রশ্নের উত্তর ভালভাবে জানা থাকলে তা লিখতে কম সময় লাগে। কিন্তু যে প্রশ্নের উত্তর তুমি কোন রকমে পারো সেটা লিখতে বেশী সময় লাগবে। কারণ প্রশ্নের উত্তরটি তোমাকে মনে করে করে লিখতে হবে।

এজন্য শুরুতেই যদি কঠিন প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাও তাহলে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবে।

যা তোমাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে বাঁধাগ্রস্থ করবে।

পরীক্ষায় খাতায় দ্রুত লেখার একটি উপায় হলো- সহজ প্রশ্নের উত্তর আগে লেখা তারপর পর্যায়ক্রমে প্রশ্নের উত্তর লেখা।

১০) মনোযোগ সহকারে লেখা | দ্রুত লেখার কৌশল-

যে কোন কাজে সফলতা পেতে হলে অধিক মনোযোগী হতে হয়। মনোযোগ এমনই একটি বিষয় যা সফলতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম।

হাতের লেখা দ্রুত করার অন্যতম উপায় হলো মনোযোগ সহকারে লেখা।

১১) সময় নির্ধারণ করে লেখা | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়-

পরীক্ষার খাতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রশ্নের উত্তর লিখার একটি কার্যকরী উপায় হলো- প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার পূর্বে সময় নির্ধারণ করে লেখা। অর্থাৎ মনে মনে ঠিক করে নিবে এই প্রশ্নের উত্তর আমি ২০ মিনিটের মধ্যেই লেখা শেষ করবো। ২০ মিনিট মানে ২০ মিনিটই তা যেন ২১ মিনিট না হয়ে যায়।

এভাবে সময় নির্ধারণ করে লিখলে লেখার গতি বৃদ্ধি পাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্ভব হবে।

শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায়ই নয় যেকোন কিছু লেখার পূর্বে সময় নির্ধারণ করে লিখার অভ্যাস করলে লেখার গতি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।

১২. বসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা | দ্রুত লেখার কৌশল-

লেখার সময় বসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা জরুরী। বসার স্থানটি এমন হওয়া আবশ্যক, যেখানে বসে লিখলে বাহুর অবস্থান, হাতের কব্জি, কনুই ইত্যাদি ঠিক থাকে।

বসার স্থান যেমন হওয়া উচিত-

ক) চেয়ার টেবিলে বসে লেখা।
খ) বসার স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং পর্যাপ্ত আলো থাকা।
গ) খাতা রাখার স্থান সমান্তরাল হওয়া।

১৩. দেহের অবস্থান ঠিক রাখা | হাতের লেখা দ্রুত করার উপায়

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় এর একটি হলো- লেখার সময় দেহের অবস্থান ঠিক রাখা। দেহের সঠিক অবস্থান লেখার গতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক) লেখার সময় হাতের কব্জি এবং কনুই নমনীয় রাখা।
খ) মাথা হালকা নিচু করা।
গ) দুই বাহুকে সোজা রাখা।
ঘ) অপর হাত দিয়ে খাতা ধরে লেখা।

শেষকথা- পরীক্ষায় সকল প্রশ্নের উত্তর নির্ধারিত সময়ের শেষ করতে চাইলে প্রশ্ন কমন পড়া যেমন জরুরী ঠিক তেমনই হাতের লেখার গতি থাকাটাও জরুরী। অনেক শিক্ষার্থীই এ সমস্যায় ভূগে থাকেন, যারা হাতের লেখা দ্রুত লিখতে পারে না বলে প্রশ্ন ১০০% কমন থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার খাতায় সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারে না। পরীক্ষা শেষ হলে মনে মনে খুবই আফসোস হয় ইশ্ যদি আরেকটু সময় পাওয়া যেত বা যদি আরো দ্রুত লিখতে পারতাম তাহলে পরীক্ষার খাতায় Full Answer করতে পারতাম।

অতিরিক্ত সময় পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তো কি হয়েছে, লেখার গতি তো বৃদ্ধি করা যায়।

হ্যাঁ লেখার গতি বৃদ্ধি করার মাধ্যমেই পরীক্ষার খাতায় সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্ভব। শিক্ষার্থী বন্ধুদের কথা চিন্তা করেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল লেখা।

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় শিরোনামের এই আর্টিকেলটি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আশা করছি তোমরা খুবই উপকৃত হতে পারবে।

Leave a Comment