আমরা অনেক সময়ই বলি—“এই তো একটু আগে পড়লাম, এখনই ভুলে গেলাম!” আসলে ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু যখন এটি বারবার হয়, তখন পড়াশোনা, কাজকর্ম আর দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করে। ভালো খবর হলো—স্মৃতিশক্তি বাড়ানো
কোনো কঠিন কাজ নয়। কিছু সহজ অভ্যাস, সঠিক খাবার, ভালো ঘুম আর একটু কৌশল জানলেই স্মরণশক্তি অনেক উন্নত করা যায়। এই লেখায় আমরা খুব সহজ ভাষায়, ছোটদের বোঝার মতো করে জানব কীভাবে ভুলে যাওয়ার সমস্যা কমানো যায় এবং কীভাবে প্রতিদিন একটু একটু করে স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করা সম্ভব। এই টিপসগুলো বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রমাণিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
১। ভুলে যাওয়ার আসল কারণ বুঝুন (সঠিক কারণ জানলেই সমাধান সহজ)
ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো—কেন ভুলে যাচ্ছেন, সেটা বোঝা। অনেকেই মনে করেন, ভুলে যাওয়া মানেই স্মৃতি দুর্বল। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা এমন নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় না, বরং আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসই স্মৃতিকে দুর্বল করে তোলে।

ধরুন, আপনি পড়তে বসেছেন কিন্তু পাশে মোবাইল রাখা। বারবার নোটিফিকেশন আসছে, চোখ চলে যাচ্ছে স্ক্রিনে। এভাবে পড়লে মস্তিষ্ক ঠিকমতো তথ্য গ্রহণই করতে পারে না। তথ্য ঠিকভাবে ঢুকল না, তাই পরে মনে থাকবেও না। এটাকে বলে মনোযোগের অভাব—ভুলে যাওয়ার একটি বড় কারণ।
আরেকটি বড় কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমের সময় শেখা বিষয়গুলো গুছিয়ে রাখে। যদি আপনি ঠিকমতো না ঘুমান, তাহলে মস্তিষ্ক তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে না। তাই দেখা যায়, সারারাত জেগে পড়ে পরীক্ষায় গিয়ে সব গুলিয়ে যায়।
খাবারের বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা না বুঝেই এমন খাবার খাই, যা মস্তিষ্ককে দুর্বল করে। বেশি তেল-ঝাল, অতিরিক্ত চিনি বা ফাস্টফুড মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে ফেলে। ফলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। এটি চিকিৎসা ও পুষ্টিবিদদের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত।
মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও ভুলে যাওয়ার একটি বড় কারণ। যখন মন দুশ্চিন্তায় ভরা থাকে, তখন নতুন কিছু শেখা বা মনে রাখা কঠিন হয়ে যায়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। ভয় বা চাপ থাকলে তারাও সহজ বিষয় ভুলে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—একসাথে অনেক কিছু মুখস্থ করার চেষ্টা। মস্তিষ্কও একটি যন্ত্রের মতো। একসাথে বেশি চাপ দিলে সেটি কাজ করতে পারে না। ধীরে ধীরে শেখাই মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে ভালো।
২। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর দৈনন্দিন সহজ অভ্যাস গড়ে তুলুন
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কোনো জাদু নেই। কিন্তু কিছু সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস আছে, যেগুলো নিয়মিত মানলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যায়। ভালো বিষয় হলো—এই অভ্যাসগুলো ছোট বাচ্চা থেকে বড় সবাই সহজেই করতে পারে।

প্রথম অভ্যাস হলো নিয়মিত রুটিন তৈরি করা। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো, ওঠা, পড়া আর খাওয়ার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্ক নিয়ম পছন্দ করে। যখন সে জানে কখন কী হবে, তখন তথ্য ধরে রাখা তার জন্য সহজ হয়। এলোমেলো জীবনযাপন করলে মস্তিষ্কও এলোমেলো হয়ে যায়।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হলো এক সময়ে এক কাজ করা। অনেকেই একসাথে পড়া, গান শোনা, মোবাইল দেখা—সব করতে চান। এতে মনে হয় কাজ দ্রুত হচ্ছে, কিন্তু আসলে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয়। ফলে কিছুই ঠিকভাবে মনে থাকে না। এক কাজ শেষ করে তারপর আরেক কাজ করলে স্মৃতি শক্ত হয়।
তৃতীয় অভ্যাস হলো পুনরাবৃত্তি করা। আজ যা পড়লেন, সেটা আজই একবার মনে মনে বলুন। রাতে ঘুমানোর আগে আবার একটু দেখে নিন। পরদিন সকালে আরেকবার পড়ুন। এভাবে বারবার করলে বিষয়টি মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে বসে যায়। এটাকে বিজ্ঞানীরা বলেন “রিপিটেশন টেকনিক”।
আরেকটি ভালো অভ্যাস হলো নিজের ভাষায় শেখা। হুবহু মুখস্থ না করে বিষয়টা নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি কাউকে গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এতে মস্তিষ্ক বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং সহজে ভুলে না।
পঞ্চম অভ্যাস হলো নোট লেখা। ছোট ছোট পয়েন্ট করে লেখা খুব কাজে দেয়। সুন্দর করে লিখতে হবে এমন নয়। নিজের বোঝার মতো লিখলেই হবে। লেখা মানেই মস্তিষ্ক দিয়ে আবার ভাবা—এতে স্মৃতি দ্বিগুণ শক্ত হয়।
সবশেষে একটি খুব সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস—পর্যাপ্ত পানি পান করা। পানি কম হলে মস্তিষ্ক দ্রুত ক্লান্ত হয়। ক্লান্ত মস্তিষ্ক কিছু মনে রাখতে চায় না। তাই দিনে পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো প্রতিদিন মানলে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
৩। সঠিক খাবার ও পুষ্টির মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করুন
আমাদের মস্তিষ্কও শরীরের অন্য অঙ্গের মতোই খাবার থেকে শক্তি পায়। আপনি যা খান, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আপনার স্মৃতিশক্তির ওপর। অনেক সময় আমরা পড়াশোনা বা কাজের চাপকে ভুলে যাওয়ার কারণ ভাবি, কিন্তু আসল সমস্যা লুকিয়ে থাকে ভুল খাবারের অভ্যাসে।

প্রথমেই আসি পুষ্টিকর খাবারের কথায়। মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন সঠিক পুষ্টি দরকার। ডিম, দুধ, মাছ, শাকসবজি—এই খাবারগুলো মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। বিশেষ করে মাছের মধ্যে থাকা উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে—এ কথা পুষ্টিবিদদের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত।
ফলমূলও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কলা, আপেল, কমলা—এগুলো শরীরকে শক্তি দেয় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। প্রতিদিন অন্তত একটি ফল খাওয়ার অভ্যাস করলে মনোযোগ বাড়ে এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
এবার আসি পানি নিয়ে। অনেকেই গুরুত্ব দেন না, কিন্তু পানি কম খেলে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মাথা ভারী লাগে, মন বসে না, পড়া মনে থাকে না। তাই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করা স্মৃতিশক্তির জন্য খুব জরুরি।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা দরকার, সেগুলোও জানা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চিপস, সফট ড্রিংক বা বেশি চিনি মস্তিষ্ককে ধীর করে দেয়। এসব খাবার খেলে সাময়িকভাবে ভালো লাগলেও পরে ক্লান্তি আসে, ফলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত সময়ে খাওয়া। অনেক সময় আমরা দেরিতে খাই বা খাবার বাদ দিই। এতে শরীর দুর্বল হয় এবং মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। সময়মতো খেলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় শক্তি পায়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার না পায়, তাহলে পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় এবং দ্রুত ভুলে যায়। তাই ছোটবেলা থেকেই ভালো খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা খুব দরকার।
মনে রাখবেন—ভালো খাবার মানেই দামি খাবার নয়। সাধারণ, ঘরোয়া খাবারই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর।
৪। পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ান
অনেক মানুষই বলে—“আমি পড়ি ঠিকই, কিন্তু মনে থাকে না।” এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো ঘুমের অভাব ও মানসিক চাপ। মস্তিষ্ক তখনই ভালো কাজ করে, যখন সে বিশ্রাম পায়। বিশ্রাম ছাড়া স্মৃতিশক্তি কখনোই শক্ত হয় না।

প্রথমে ঘুমের কথা বলি। আমরা যখন ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক সারাদিন শেখা বিষয়গুলো গুছিয়ে রাখে। কোন তথ্য দরকার, কোনটা দরকার নেই—এই কাজটা ঘুমের সময়ই হয়। যদি আপনি ঠিকমতো না ঘুমান, তাহলে মস্তিষ্ক এই কাজ করতে পারে না। তাই সকালে উঠে দেখা যায়—সব গুলিয়ে গেছে।
বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজন আলাদা। ছোট বাচ্চাদের বেশি ঘুম দরকার, বড়দের একটু কম। কিন্তু প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাত জেগে পড়ে সকালে ভুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। তাই রাত জাগা কোনো সমাধান নয়।
এবার আসি মানসিক চাপ নিয়ে। দুশ্চিন্তা, ভয়, অতিরিক্ত চিন্তা—এসব মস্তিষ্ককে ভীষণভাবে ক্লান্ত করে দেয়। ক্লান্ত মস্তিষ্ক কিছু মনে রাখতে চায় না। পরীক্ষার ভয়, কাজের চাপ বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা—সবই স্মৃতিশক্তির শত্রু।
মানসিক চাপ কমানোর জন্য খুব কঠিন কিছু করতে হয় না। প্রতিদিন একটু হালকা হাঁটা, গভীর শ্বাস নেওয়া, বা প্রিয় কারও সাথে কথা বলা অনেক উপকার করে। ছোটদের ক্ষেত্রে খেলাধুলা সবচেয়ে ভালো ওষুধ।
আরেকটি কার্যকর অভ্যাস হলো স্ক্রিন টাইম কমানো। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভি দেখলে ঘুম ঠিকমতো আসে না। এতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে স্ক্রিন বন্ধ করা ভালো।
পড়াশোনার মাঝে ছোট বিরতি নেওয়াও খুব জরুরি। একটানা অনেকক্ষণ পড়লে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়। ২৫–৩০ মিনিট পড়ে ৫ মিনিট বিশ্রাম নিলে শেখা বিষয় বেশি মনে থাকে।
সবচেয়ে বড় কথা—নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। ভুলে যাওয়া মানেই আপনি অযোগ্য নন। শান্ত মনই শক্ত স্মৃতির চাবিকাঠি।
৫। সহজ মস্তিষ্ক ব্যায়াম ও স্মরণ কৌশলে ভুলে যাওয়া দূর করুন
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য শরীরের যেমন ব্যায়াম দরকার, তেমনি মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম দরকার। সুখের বিষয় হলো—এই মস্তিষ্ক ব্যায়ামগুলো খুব সহজ, মজার এবং যেকোনো বয়সের মানুষ করতে পারে। নিয়মিত করলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

প্রথম কৌশল হলো মনে মনে ছবি আঁকা। ধরুন, আপনি একটি বিষয় পড়ছেন। সেটাকে শুধু শব্দ হিসেবে না দেখে মনে মনে ছবি বানান। যেমন—গাছ, নদী, মানুষ—এভাবে কল্পনা করলে মস্তিষ্ক বিষয়টা বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ মস্তিষ্ক ছবি খুব ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।
দ্বিতীয় কৌশল হলো গল্প বানানো। যেসব তথ্য মনে রাখা কঠিন, সেগুলো দিয়ে ছোট একটি গল্প বানান। গল্প যত মজার হবে, তত সহজে মনে থাকবে। ছোট বাচ্চারা এভাবে খুব দ্রুত শিখতে পারে—এটি শিক্ষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত।
তৃতীয় ব্যায়াম হলো জোরে জোরে বলা। শুধু মনে মনে পড়লে অনেক সময় ভুলে যায়। কিন্তু জোরে জোরে পড়লে কানও শোনে, মুখও নড়ে—ফলে মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় হয়। এতে মনে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
চতুর্থ কৌশল হলো প্রশ্ন–উত্তর পদ্ধতি। পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন—“আমি কী শিখলাম?” তারপর উত্তর দিন। এটি মস্তিষ্ককে ভাবতে শেখায়। ভাবা মানেই শেখা গভীর হওয়া।
পঞ্চম ব্যায়াম হলো পুরনো জিনিস নতুনভাবে করা। যেমন—অন্য হাতে লেখা, উল্টো পথে হাঁটা, বা নতুন শব্দ শেখা। এসব ছোট কাজ মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ দেয় এবং স্মৃতিশক্তি শক্ত করে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো শেখানো। আপনি যা শিখেছেন, সেটা কাউকে শেখানোর চেষ্টা করুন। বাবা-মা, বন্ধু বা ছোট ভাই–বোন—যাকেই হোক। শেখাতে গেলে মস্তিষ্ক নিজে থেকেই তথ্য গুছিয়ে নেয়।
সবশেষে বলব—এই ব্যায়ামগুলো খেলাধুলার মতো নিন। চাপ নিয়ে করলে লাভ হবে না। আনন্দের সাথে করলে স্মৃতিশক্তি আপনাতেই উন্নত হবে।
উপসংহার:
ভুলে যাওয়া কোনো রোগ নয়, বরং এটি আমাদের জীবনযাত্রার একটি সংকেত। সঠিক কারণ বুঝে, ভালো অভ্যাস গড়ে তুলে, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে, পর্যাপ্ত ঘুম নিয়ে এবং সহজ মস্তিষ্ক ব্যায়াম করলে স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে শক্ত হয়। এই পরিবর্তন একদিনে আসে না, কিন্তু নিয়মিত চর্চায় অবশ্যই আসে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা এবং চাপ না নেওয়া। মনে রাখবেন, শান্ত মনই ভালো স্মৃতির মূল চাবিকাঠি। আজ থেকেই ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন, দেখবেন ভুলে যাওয়ার সমস্যা কমে যাচ্ছে এবং মনে রাখার ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে।