আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর এ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।এ নেয়ামতের আরো একটি দাবি হচ্ছে, এর সহায়তায় আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না।
উলামগণ এ বিষয়টিকে বিশ্লিষ্ট আকারে বর্ণনা করেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। কেননা এ বিষয়ে বহু হাদীস, ও শরয়ী টেক্সট রয়েছে। শরীয়ত মানবজীবনের সকল দিককেই যথার্থরূপে গুরুত্ব দিয়েছে। উপরন্তু যে দিকটি মুসলমানের জীবনে বেশি উপস্থিত সে দিকটির উপর শরীয়তের গুরুত্ব প্রদানের মাত্রাও সমানুপাতিক হারে অধিক।
রাসুল (সা.) কীভাবে খাবার খেতেন, খাবার গ্রহণে তার কী পদ্ধতি ছিল—সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
খাবার গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
রাসুল (সা.) খাবার গ্রহণের আগে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন। তার সঙ্গীদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ও ডান হাত দ্বারা খানা খাও। এবং তোমার দিক হতে খাও। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৩)
খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। বিশুদ্ধ অভিমত হল: খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব, কেননা অনেকগুলো সহীহ এবং সুস্পষ্ট হাদীস এ নির্দেশই করে। আর এ নির্দেশের বিপরীত কোন হাদীস নেই। এ মতের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত ঐক্যমত্যও সৃষ্টি হয়নি যে, এর প্রকাশ্য অর্থ থেকে বের করে দেবে। আর যে ব্যক্তি পানাহারের সময় বিসমিল্লাহ বলবে না তার পানাহারে শয়তান শরীক হবে।
বিসমিল্লাহ ওয়াজিব হওয়ার প্রমাণ সমূহ :―
عن عمر بن أبي سلمة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: «يا غلام، سمّ اللّه، وكل بيمينك، وكل مما يليك». البخاري ( ৪৯৫৮)
আমর বিন আবু সালামা থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন:হে বৎস! বিসমিল্লাহ বল এবং ডান হাত দিয়ে খাও। আর খাবার পাত্রের যে অংশ তোমার সাথে লাগানো সে অংশ থেকে খাও ।
وفي حديث حذيفة -رضي الله عنه- أن النبي صلى الله عليه وسلمقال: «إن الشيطان يستحل الطعام أن لا يذكر اسم الله عليه».مسلم (৩৭৬১)
অর্থাৎ, হুযাইফা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, শয়তান ঐ খাবারকে নিজের জন্য হালাল মনে করে যার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয় নি।
বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, “যখন তোমরা খানা খেতে শুরু করো তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওআখিরাহ। ” (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৩৭৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৮৫৮)
হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা
খাবার গ্রহণের আগে হাত ধোয়া আবশ্যক। না হয় বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। রাসুল (সা.) খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার আদেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) পানাহারের আগে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নিতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) খাওয়ার পর কুলি করতেন এবং হাত ধৌত করতেন। (মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে মাজাহ)
দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়া
আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) পায়াবিশিষ্ট বড় পাত্রে খাবার খেতেন না। কাতাদা (রা.) কে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কীসের ওপর খানা খেতেন? তিনি বললেন, ‘চামড়ার দস্তরখানের ওপর। ’ (বোখারি : ৫৩৮৬)
খাবার খাওয়ার অনেক সুন্নত রয়েছে। সেগুলো অন্যতম একটি হলো- দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খাওয়া। আল্লাহর নবী কারিম (সা.) দস্তরখানা ছাড়া খাবার গ্রহণ করতেন না। তিনি মৃত্যু পর্যন্ত খাবারের সময় দস্তরখান ব্যবহার করেছেন। উম্মতকে দস্তরখান ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সাধারণত দস্তরখান বলা হয়, যার ওপর খাবারের পাত্র রেখে পানাহার করা হয়। সাহাবায়ে কেরাম দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খেতেন। দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খেলে, খাবার নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
দস্তরখানে খাবার রেখে খেলে মার্জিতভাব প্রকাশ পায়। বিনয় ও সভ্য-জীবনের অনুশীলনও হয়। এটা সরল ও নিরহংকার মানুষের স্বভাব। এছাড়াও দস্তরখানে খাবার রাখলে— যেহেতু একটু নিচু হয়ে খাবার খেতে হয়, এতে পেটে চাপ থাকে। মাত্রাতিরিক্ত আহার করে দেহে মেদ তৈরির আশঙ্কা কম থাকে।
আরও পড়ুন
যে ৪ আমলে নারীরা সহজেই জান্নাত লাভ করবে
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন
ডান হাত দিয়ে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেতেন। বাম হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন তিনি। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দ্বারা খাবার খেয়ো না ও পান করো না। কেননা শয়তান বাম হাতে খায় ও পান করে। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৩৭৬; মুসলিম, হাদিস নং: ২০২২)
হাত চেটে খাওয়া
রাসুল (সা.) খাওয়ার সময় সর্বদা হাত চেটে খেতেন। না চাটা পর্যন্ত কখনো হাত মুছতেন না। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করবে, তখন হাত চাটা নাগাদ তোমরা হাতকে মুছবে (ধোয়া) না। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫২৪৫)
আঙুল চেটে খাওয়া
আঙুল চেটে খাওয়ার ফলে বরকত লাভের অধিক সম্ভাবনা থাকে। কারণ খাবারের বরকত কোথায় রয়েছে মানুষ তা জানে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করো তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৯১৪)
কা’ব বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি তিন আঙুল দিয়ে খাচ্ছেন এবং খাওয়া শেষে আঙুল চেটে খাচ্ছেন।
عن أبي هريرة رضي اللّه عنه مرفوعاً: «إذا أكل أحدكم فليلعق أصابعه، فإنه لا يدري في أيتهن البركة»..مسلم (৩৭৯৩)
আবু হুরাইরা রা. থেকে মারফু হাদীসে বর্ণিত, যখন তোমরা কেউ খাবার খাবে তার উচিত আঙুল চেটে খাওয়া কেননা সে জানে না কোন আঙুলে বরকত রয়েছে।
আলেমগণ বলেন : নির্বোধ-মূর্খ লোকদের আঙুল চেটে খাওয়াকে অপছন্দ করা ও একে অভদ্রতা মনে করাতে কিছু যায় আসে না। তবে হ্যাঁ খাওয়ার মাঝখানে আঙুল চেটে খাওয়া উচিত নয়। কেননা আঙুল আবার ব্যবহার করতে হবে আর আঙুলে লেগে থাকা লালা ও থুতু প্লেটের রয়ে যাওয়া খাবারের সাথে লাগবে আর এটি এক প্রকার অপছন্দনীয়ই বটে।
পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া
যদি খাবারের কোন লোকমা পড়ে যায় তবে উঠিয়ে খাবে, যদি ময়লা লাগে ধুয়ে ময়লা মুক্ত করে খাবে। কারণ এটিই সুন্নত এবং এর মাধ্যমেই রাসূলুল্লাহর নির্দেশের অনুসরণ করা হবে। খাবার গ্রহণের সময় কখনো কখনো থালা-বাসন থেকে এক-দুইটি ভাত, রুটির টুকরো কিংবা অন্য কোনো খাবার পড়ে যায়। সম্ভব হলে এগুলো তুলে পরিচ্ছন্ন করে খাওয়া চাই।
রাসুল (সা.)-এর খাবারকালে যদি কোনো খাবার পড়ে যেত, তাহলে তিনি তুলে খেতেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের খাবার আহারকালে যদি লুকমা পড়ে যায়, তাহলে ময়লা ফেলে তা ভক্ষণ করো। শয়তানের জন্য ফেলে রেখো না।
হেলান দিয়ে না খাওয়া
কোন কিছুর উপর হেলান দিয়ে আহার করা মাকরূহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―
إني لا آكل متكئاً
আমি হেলান দিয়ে আহার করি না।
ইবনে হাজার রহ. বলেন : খাওয়ার জন্য বসার মোস্তাহাব পদ্ধতি হচ্ছে। দুই হাটু গেড়ে ,দুই পায়ের পিঠের উপর বসা। অথবা ডান পা খাড়া করে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা।
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাবার খেতে তিনি নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাবার খেলে পেট বড় হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দাম্ভিকতা প্রকাশ পায়। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৬)
খাবারের দোষ-ত্রুটি না ধরা
শত চেষ্টা সত্ত্বেও খাবারে দোষ-ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করা নিতান্ত বেমানান। রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩৮২)
খাবারের প্রশংসা করা মুস্তাহাব , কেননা এর মাধ্যমে খাবার আয়োজন ও প্রস্ত্তত কারীর উপর একটা ভাল প্রভাব পড়বে। সাথে সাথে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো এমন করতেন―
عن جابر رضي اللّه عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم سأل أهلَه الأدُمَ، فقالوا: ما عندنا إلا خلّ، فدعا به، فجعل يأكل به، ويقول: «نعم الأدُم الخلّ، نعم الأُدُم الخل».مسلم (৩৮২৪)
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় পরিবারের নিকট তরকারী চাইলেন। তারা বললেন, আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি সিরকা আনতে বললেন এবং তার দ্বারা খেতে লাগলেন। অতঃপর বললেন, সিরকা কতইনা উত্তম তরকারী; সিরকা কতইনা উত্তম তরকারী।
খাবারে ফুঁ না দেওয়া
খাওয়ার পাত্রে ফু দেয়া এবং তার ভিতর নি:শ্বাস ফেলা মাকরুহ।
খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেওয়ার কারণে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও তিনি ফুঁ দিতেন না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৪১৩)
প্রয়োজন ছাড়া বাম হাতে খাওয়া হারাম
বেশ কিছু হাদীস এর প্রমাণ হিসাবে পেশ করা যেতে পারে।
(ক) বাম হাতে খাওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা―যেমন জাবের (রা.)-এর হাদীসে মারফুতে এসেছে :―
«لا تأكلوا بالشمال، فإن الشيطان يأكل بالشمال».(৩৭৬৩)
অর্থাৎ : তোমরা বাম হাতে খেয়ো না, কেননা শয়তান বাম হাতে খায়।
(খ) ডান হাতে খাওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশ- যেমন ইবনে উমর রা. কর্তৃক বর্ণিত মারফু হাদীসে এসেছে―
«إذا أكل أحدكم فليأكل بيمينه، وإذا شرب فليشرب بيمينه، فإن الشيطان يأكل بشماله، ويشرب بشماله».. مسلم (৩৭৪৬)
অর্থাৎ: তোমরা কেউ যখন খাবে ডান হাতে খাবে যখন পান করবে ডান হাতে পান করবে, কেননা শয়তান বাম হাতে খায়। বাম হাতে পান করে।
এই ধরনের নির্দেশের অর্থ হল বাম হাতে খাওয়া হারাম।
(গ) বাম হাতে খেলে শয়তানের সাথে সাদৃশ্য হয়। যেমন পূর্বের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এবং অমুসলিমদের সাথেও সাদৃশ্য হয়। আর শরীয়তের নির্দেশ মোতাবেক উভয়টিই নিষিদ্ধ ও হারাম।
(ঘ) বাম হাতে খাবার গ্রহন কারী জনৈক ব্যক্তিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বদ দোআ করা এবং এর কারণ বর্ণনা করা যে এটি অহংকার মূলক কাজ।
عن سلمة بن الأكوع رضي الله عنه أن رجلاً أكل عند النبي صلى الله عليه وسلم بشماله، فقال: كل بيمينك» » ، قال: لا أستطيع، قال: «لا استطعت»، ما منعه إلا الكبر، قال: فما رفعها إلى فيه.مسلم (৩৭৬৬)
অর্থাৎ সালামা বিন আকওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে বাম হাতে খাচ্ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ডান হাতে খাও। সে বলল আমি পারব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আর কখনও পারবেও না। একমাত্র অহংকারই তাকে ডান হাত দিয়ে খাওয়া থেকে বিরত রাখল। বর্ণনাকারী বলেন: এরপর সে আর কখনো মুখের কাছে হাত উঠাতে পারেনি।
দাঁড়িয়ে পানাহার না করা
দাঁড়িয়ে পানাহার করা মাকরূহ, সুন্নত হল বসে পানাহারকার্য সম্পন্ন করা।
عن أنس رضي الله عنه أن النبي نهى أن يشرب الرجل قائماً، قال قتادة: فقلنا: فالأكل؟ فقال (أنس): ذلك أشر وأخبث. . مسلم (৩৭৭২)
অর্থাৎ : আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদাহ রা. বলেন : আমরা বললাম তাহলে দাঁড়িয়ে খাওয়ার হুকুম কি ? আনাস বললেন সেটাতো আরো বেশি খারাপ আরো বেশি দূষণীয়। [13]
খাবারের শেষে দোয়া পড়া
আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন। এ দয়ার কৃতজ্ঞতা আদায় করা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।
খাবার শেষে রাসুল (সা.) আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন ও দোয়া পড়তেন। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) খাবার শেষ করে বলতেন, ‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান ত্বয়্যিবান মুবারাকান ফিহি, গায়রা মাকফিইন, ওলা মুয়াদ্দায়িন ওলা মুসতাগনা আনহু রাব্বানা। ’ তিনি কখনো এই দোয়া পড়তেন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৪৫৮)
রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
আল্লাহর প্রধান অনুগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পানাহার, যা মানুষের শরীর গঠন, বৃদ্ধি এবং টিকে থাকার মূল উপাদান। রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন।
উপরোক্ত আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
রিযিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আর আমাদের উচিত সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।মানব জীবনে সবসময় সুন্নাহ মোতাবেক চলা উচিত।তেমনি পানাহারেরও কিছু আদব রয়েছে যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।উপরন্তু আর্টিকেল এ সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আরও একবার রিভিশন হয়ে গেলো সুন্নাহগুলো।সুন্নাহ মোতাবেক চললে আপনি একটি আদর্শ জীবন গড়তে পারবেন আবার সুস্থও থাকতে পারবেন।ধন্যবাদ লেখককে ইসলামী জীবনধারার একটি অনুচ্ছেদ তুলে ধরার জন্য।
Bismillah, all praise be to Allah, the Lord of the universes who provide for His obedient and disobedient servants. Allah has provided His servants with food and water as sustenance. As servants, we are obliged to be grateful for the favours bestowed.
Besides being grateful, there are some manners that have been taught by the Prophet Muhammad ﷺ for us to follow during meals. We’re not just filling our bellies; we’re getting a reward. May Allah bless us to follow the etiquettes.
Jazāk Allāhu Khayran for one of the most important article.
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার আদব আছে তা হল :খাবার গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা, হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা,দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়া, ডান হাত দিয়ে খাওয়া, পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া, হাত চেটে খাওয়া,খাবারের দোষ-ত্রুটি না ধরা, হেলান দিয়ে না খাওয়া,খাবারে ফু না দেয়া, খাবারের শেষে দোয়া পড়া,আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন। খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ আমাদেরকে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসেবে পাঠিয়েছেন সাথে দিয়েছেন অনেকগুলো নিয়মনীতি। আর এই নিয়মনীতিগুলো নবী রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। এই নিয়মনীতি অনুসরণ করে চলতে পারলে আমরা দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াব হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তেমনি পানাহারেরও কিছু নিয়মনীতি রয়েছে যেগুলো আমাদের নবী করিম (সঃ) আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সেগুলোকে আমরা সুন্নাহ বলে তাকি।রাসুল (সঃ) এর সুন্নাহ আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারলে উভয় জাহানে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া সম্ভব। উপরোক্ত আর্টিকেলে লেখক সুন্দর ভাবে খাওয়ার আদব কায়দাগুলো তুলে ধরেছেন। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার।এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।মানব জীবনে সবসময় সুন্নাহ মোতাবেক চলা উচিত।তেমনি পানাহারেরও কিছু আদব রয়েছে যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।উপরন্তু আর্টিকেল এ সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ ইসলামী জীবনধারার একটি অনুচ্ছেদ তুলে ধরার জন্য।
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।এ নেয়ামতের আরো একটি দাবি হচ্ছে, এর সহায়তায় আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না।শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার আদব আছে তা হল :খাবার গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা, হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা,দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়া, ডান হাত দিয়ে খাওয়া, পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া, হাত চেটে খাওয়া,আঙুল চেটে খাওয়া,খাবারের দোষ-ত্রুটি না ধরা, হেলান দিয়ে না খাওয়া,খাবারে ফু না দেয়া,প্রয়োজন ছাড়া বাম হাতে খাওয়া হারাম,দাঁড়িয়ে পানাহার না করা,খাবারের শেষে দোযা পড়া।আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন। এ দয়ার কৃতজ্ঞতা আদায় করা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।আমীন।
আল্লাহর প্রধান অনুগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পানাহার, যা মানুষের শরীর গঠন, বৃদ্ধি এবং টিকে থাকার মূল উপাদান। রিযিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আর আমাদের উচিত সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। খাবার খাওয়ার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে যা আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) মেনে চলতেন। আর আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর পথ অনুসরণ করা।রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন। এই নিয়মাবলী গুলো আমাদেরও অনুসরণ করা উচিত।
উপরোক্ত আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের সকল নিয়ম কানুন পালনের মধ্যেই মানব জাতির কল্যাণ। ইসলামের নানা বিধিনিষেধের মধ্যে খাওয়ার আদব একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবার আল্লাহ তা’আলার দেওয়া একটি বিশেষ নেয়ামত। খাবার খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে বসে ডান হাতে খাওয়া আবশ্যক। এবং খাওয়ার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা জরুরী। রাসুলুল্লাহ সাঃ খাবার খাওয়ার বিভিন্ন আদব সম্পর্কে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। খাবার খাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশনা মেনে চললে আল্লাহ তা’আলার দেওয়া বরকত লাভ করা সম্ভব হবে।
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে খাবার খাওয়ার কি কি আদব রয়েছে তা অনেকাংশে জানা যাবে লেখকের লিখা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
রিযিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আর আমাদের উচিত সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।মানব জীবনে আমাদের সব সময় সুন্নাহ মোতাবেক চলা উচিত।তেমনি পানাহারেরও কিছু আদব রয়েছে যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন।খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের রাসূল( সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রিযিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আর আমাদের উচিত সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।পানাহারের কিছু আদব রয়েছে যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন।খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের রাসূল( সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
একজন ঈমানদারের প্রতিটি কাজ ই হবে শরীয়াত সম্মত উপায়ে।আল্লাহর দেয়া নিয়ামতের মধ্যে পানাহার অন্যতম।আর এ পানাহারের ও রয়েছে শরিয়াত সম্মত বিধি বিধান যা আমাদের শরীরের জন্যও অনেক উপকারি।এই কন্টেন্টি পাঠের মাধ্যমে খাবার খাওয়ার কি কি আদব বা সুন্নাত রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে।
আল্লাহর অন্যতম অনুগ্রহ হল পানাহার, যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। এই নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর বিধান মেনে চলা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে শুকরিয়া জানিয়ে বলতেন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৪৫৮)।
রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মেনে চললে জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি নিয়ামত দিয়েছেন তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হলো পানাহার যা মানুষের শরীরের গঠন, বর্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান । এ নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা এবং তার দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা আবশ্যক। এই আর্টিকেলটিতে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার আদব সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে যা প্রতিটি মুসলমানের জানা ও পালন করা আবশ্যক। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই আর্টিকেলটির জন্য কারণ খাওয়ার আদব কায়দা গুলো সম্পর্কে রাসূল ( সা:) এর সুন্নত সমূহ খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আমাদের যতগুলো নেয়ামত আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন তার মধ্যে পানাহার অন্যতম। ইসলামের নীতি মালা গুলো মেনে চলার মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়। এই কন্টেনটি র মাধ্যমে আমরা ইসলামী সুন্নত তরিকার ও বিভিন্ন আদব সম্পর্কে জানতে পারি। অনেক ধন্যবাদ লেখককে।
আল্লাহর অন্যতম অনুগ্রহ হল পানাহার, যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। এই নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর বিধান মেনে চলা উচিত।(সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের রাসূল( সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য অফুরন্ত নেয়া পাঠিয়েছেন তার মধ্যে সর্বোওম নেয়ামত হলো পানাহার বা খাবার ।খাবার গ্রহনের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে খাবার শুরুতে একটা দস্তরখানা বিছানো,দুই হাত পরিষ্কার করে বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে, ডান দিক থেকে খাবার গ্রহন করা ,খাবারে ফু না দেয়া,পড়ে যাওয়া খাবার তুলে নেয়া,খাবার শেষে হাত ও নখগুলো চেটে খাওয়া এবং সব শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন বলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা। কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে অনেক ধন্যবাদ ,কারণ বর্তমান সময়ে আমরা অনেকে খাবার গ্রহনের এই নিয়ম-কানুন জানিনা ।এটা পড়লে কনেকেরই কাজে দেবে।
মানুষের রিজিক আল্লাহর তরফ থেকেই আসে। এর ব্যতীত আমরা একটি দানাও অতিরিক্ত গ্রহণ করতে পারবো না। আল্লাহর দেয়া অন্যতম নেয়ামত হলো পানা হার। বেচে থাকার জন্য যা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই খাওয়ার মাঝে-ও আদব-কায়দা রয়েছে। যা আমার নবীজি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ মানুষই জানে না খাবার খাওয়ার আদব কেমন বা কি! সবাই এসব ব্যাপারে বড়োই উদাসীন। যা একদমই কাম্য নয়। এজন্য আমাদের খাবার খাওয়ার আদব সম্পর্কে জানতে হবে। যা লেখক এই আর্টিকেলটিতে আমার নবীজির শিখিয়ে দেয়া খাবার খাওয়ার আদবের সকল বিষয় পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছেন আলহামদুলিল্লাহ। যা আমাদেরকে আমার নবীজির শিখানো সুন্নাহ মোতাবেক খেতে উৎসাহ দিবে। এই আর্টিকেলটি পড়লে ইন শাহ্ আল্লাহ আমরা খাবার খাওয়ার সঠিক আদব সম্পর্কে জানতে পারবো এবং সে অনুযায়ী খাবার খেতে পারবো আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহর প্রধান অনুগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পানাহার, যা মানুষের শরীর গঠন, বৃদ্ধি এবং টিকে থাকার মূল উপাদান। মানুষের রিজিক আল্লাহর তরফ থেকেই আসে। এর ব্যতীত আমরা একটি দানাও অতিরিক্ত গ্রহণ করতে পারবো না। পানাহার হলো আল্লাহর দেয়া নেয়ামত। শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে পানাহারের কিছু বিধান রয়েছে যা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন।খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে।
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে খাবার খাওয়ার কি কি আদব রয়েছে তা অনেকাংশে জানা যাবে লেখকের লিখা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ত্যাগ করলে আল্লাহর প্রদত্ত রিজিকের অকৃতজ্ঞতা হয়, যা মানুষের রিজিক কমিয়ে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত খাওয়া সহ সব উত্তম কাজ করার সময় বিসমিল্লাহ পড়া। খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার দ্বারা নিয়ত থাকবে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য শক্তি অর্জন করা;যাতে সে যা খাই বা পান করে তার জন্য সে সওয়াব পেতে পারে।
আমাদের উচিত খাওয়ার আদব অনুসারে খাবার খাওয়া ও রাসুল (সা.) সুন্নত মোতাবেক চলা।
আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য অফুরন্ত নেয়া পাঠিয়েছেন তার মধ্যে সর্বোওম নেয়ামত হলো পানাহার বা খাবার ।এই নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর বিধান মেনে চলা উচিত।(সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে।এ নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা এবং তার দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা আবশ্যক। এই আর্টিকেলটিতে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার আদব সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে যা প্রতিটি মুসলমানের জানা ও পালন করা আবশ্যক। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই আর্টিকেলটির জন্য কারণ খাওয়ার আদব কায়দা গুলো সম্পর্কে রাসূল ( সা:) এর সুন্নত সমূহ খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার।রাসুল (সা.) খাবার গ্রহণের আগে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন। তার সঙ্গীদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ও ডান হাত দ্বারা খানা খাও। এবং তোমার দিক হতে খাও। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৩)রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।শুকরিয়া লেখকের এমন একটা কন্টেন্ট আমাদের দেওয়ার জন্য।
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর বিধান মেনে চলা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে শুকরিয়া জানিয়ে বলতেন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৪৫৮)।
রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মেনে চললে জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর এ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।এ নেয়ামতের আরো একটি দাবি হচ্ছে, এর সহায়তায় আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না।
উলামগণ এ বিষয়টিকে বিশ্লিষ্ট আকারে বর্ণনা করেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। কেননা এ বিষয়ে বহু হাদীস, ও শরয়ী টেক্সট রয়েছে। শরীয়ত মানবজীবনের সকল দিককেই যথার্থরূপে গুরুত্ব দিয়েছে। উপরন্তু যে দিকটি মুসলমানের জীবনে বেশি উপস্থিত সে দিকটির উপর শরীয়তের গুরুত্ব প্রদানের মাত্রাও সমানুপাতিক হারে অধিক।
রাসুল (সা.) কীভাবে খাবার খেতেন, খাবার গ্রহণে তার কী পদ্ধতি ছিল—সে সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই কনটেন্টে।
খাবার বা পানাহার হল মানুষের শরীর গঠন, বর্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান এবং আল্লাহর দেয়া অনুগ্রহের মধ্যে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ। শরীয়ত এ খাবার গ্রহণের জন্য অনেক আদব রয়েছে। রাসুল(সা.) যেভাবে খাবার খেতেন তা এই কনটেন্ট এ বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।যেমন:খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা,হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা,ডান হাতে খাওয়া,দস্তরখানা বিছিয়ে খাওয়া,,হাত ও আঙ্গুল চেটে খাওয়া,দাঁড়িয়ে ও হেলান দিয়ে পানহার না করা, খাবারে দোষ-ত্রুটি না ধরা,খাবার শেষে শুকরিয়া আদায় করা ইত্যাদ রাসূল(সা.) এর সুন্নত। এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের জীবন সুন্দর সার্থক হবে।
ধন্যবাদ কনটেন্ট লেখক কে।
আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন,তাই খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।আমরা যদি রাসুল (সা.) এর সুন্নত গুলো মেনে চলি তবে আমাদের জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে।লেখাটিতে খাবার গ্রহনে তারঁ কি কি পদ্ধতি ছিল তার সংক্ষিপ্ত বিবরন অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে
আসসালামু আলাইকুম।
আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো সুস্থতা,আর এই সুস্থ দেহ টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার।
আল্লাহ তায়ালার বান্দার উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে সবচেয়ে অন্যতম প্রধান হল পানাহার। যা আমাদের শরীর গঠন, বন্ধন, টিকে থাকার মূল উপাদান। এই অশেষ নেয়ামত করার জন্য সব সময় আমাদের স্রষ্টার প্রতি প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। এবং এই অশেষ নিয়ামতের প্রতি আদব রাখা উচিত।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) অনেক আদবের সাথে খাবার গ্রহণ করতেন।
শুধু থেকে পানাহার শেষ করা পর্যন্ত যতো সুন্নাহ মোতাবেক করনীয় তা পালন করতেন।
আমরা যদি রাসুল ( সঃ) এর সুন্নাহ গুলো জীবনে বাস্তবায়ন করি,তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে।
মোট কথা, এই কন্টেন্টিতে, কিভাবে আমরা শরীয়া মোতাবেক পানাহার করবো তা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আমাদের সকলের উচিত এটি অনুসরণ করা।
খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ত্যাগ করলে আল্লাহর প্রদত্ত রিজিকের অকৃতজ্ঞতা হয়, যা মানুষের রিজিক কমিয়ে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত খাওয়া সহ সব উত্তম কাজ করার সময় বিসমিল্লাহ পড়া। খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার দ্বারা নিয়ত থাকবে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য শক্তি অর্জন করা; যাতে সে যা খাই বা পান করে তার জন্য সে সওয়াব পেতে পারে। আমাদের উচিত খাওয়ার আদব অনুসারে খাবার খাওয়া ও রাসুল (সা.) সুন্নত মোতাবেক চলা।
খাবার আল্লাহ পাক এর এক অসাধারণ নেয়ামত, যার মাধ্যমে আল্লাহ পাক আমাদের সুস্হ রাখেন। তবে
এই নেয়ামত গ্রহণ যদি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর আদর্শ অনুসরণ করে করি তবে সুস্থ সবল ও সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারব ইনশাল্লাহ। আর্টিকেলটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন সবাই।
সৃষ্টি চলে স্রষ্টার দয়া ও রমহতে। আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো প্রাণীর পক্ষে এক মিনিট বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। আর তাই মুসলিম ব্যক্তি তার খাবার ও পানীয়ের ব্যাপারে কতগুলো শরী‘য়ত সম্মত বিশেষ আদব রক্ষা করাকে নিজ দায়িত্বরূপে গ্রহণ করে, কেননা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) অনেক আদবের সাথে খাবার গ্রহণ করতেন। কিন্তু বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ মানুষই আমরা জানি না খাবার খাওয়ার আদব সম্পর্কে । সবাই এসব ব্যাপারে বড়োই উদাসীন। যা প্রত্যাশীত নয়। এজন্য আমাদের খাবার খাওয়ার আদব সম্পর্কে জানতে হবে। শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার কিছু আদব আছে আর তা হল :খাবার গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা, হাত ধুয়ে শুরু ও শেষ করা,দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়া, ডান হাত দিয়ে খাওয়া, পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া, হাত চেটে খাওয়া,আঙুল চেটে খাওয়া,খাবারের দোষ-ত্রুটি না ধরা , হেলান দিয়ে না খাওয়া, খাবারে ফু না দেয়া , প্রয়োজন ছাড়া বাম হাতে খাওয়া হারাম , দাঁড়িয়ে পানাহার না করা , খাবারের শেষে দোযা পড়া। আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন। এ দয়ার কৃতজ্ঞতা আদায় করা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য ।লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই কনটেন্টটিতে খাওয়ার আদব কায়দা গুলো সম্পর্কে রাসূল (সা:) এর সুন্নত সমূহ খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। কারন একমাত্র রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে আমাদের জীবন হবে সুন্দর ,সার্থক ও অর্থবহ।
রিযিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।আল্লাহ তায়ালার বান্দার উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে সবচেয়ে অন্যতম প্রধান হল পানাহার।এই নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর বিধান মেনে চলা উচিত।শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে পানাহারের কিছু বিধান রয়েছে যা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। রাসুল (সা.) খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতেন, ডান হাত দিয়ে খেতেন, এবং খাবার শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। এছাড়া তিনি হাত ধুয়ে খেতেন, হেলান দিয়ে খেতেন না, এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খেতেন।আল্লাহ আমাদের রাসূল( সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমাদের মহান রবের অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল রিজিক। এই রিজিক গ্রহণ করার মাধ্যমে মানুষ বেঁচে থাকে এবং তার শরীরিক ও মানসিক গঠন হয়। আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। আমাদের প্রীয় নবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতি আদব ও বিনয়ের সাথে আল্লাহর দেয়া রিজিক গ্রহণ করতেন। তিনি মৃত্যু পর্যন্ত খাবারের সময় দস্তরখান ব্যবহার করেছেন। উম্মতকে দস্তরখান ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সাধারণত দস্তরখান বলা হয়, যার ওপর খাবারের পাত্র রেখে পানাহার করা হয়। সাহাবায়ে কেরাম দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খেতেন। দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খেলে, খাবার নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।আমরাও জদি আমাদের প্রীয় নবীর সুন্নত অনুসারে খাবার গ্রহণ করি তাহলে আল্লাহ আমাদের অনেক নেকি দিবেন এবং আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে শিফা পাব।খাবার শেষে রাসুল (সা.) আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন ও দোয়া পড়তেন। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) খাবার শেষ করে বলতেন, ‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান ত্বয়্যিবান মুবারাকান ফিহি, গায়রা মাকফিইন, ওলা মুয়াদ্দায়িন ওলা মুসতাগনা আনহু রাব্বানা। ’ তিনি কখনো এই দোয়া পড়তেন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৪৫৮)
আল্লাহ তায়ালা পৃথীবীতে অনেক জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন।মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।অন্যান্য জীবের মত মানুষের জীবন ধারনের জন্য খাদ্য ও পানীয় অপরিহার্য।এটি আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। আর এই খাদ্য গ্রহণের কিছু নিয়ম রয়েছে।যেমন খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা,নিজেরদিক হতে খাবার খাওয়া,ডানহাতে পানি পান করা,পরে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া,খাওয়ার শেষে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া সহ অনেক কিছু।এসব নিয়ম পালনের পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ পালন করতে পারি তেমনি আমাদের আমলনামায় সওয়াব দিয়ে দেওয়া হয় ও রাসূল (সা.) এর সুন্নত পালন হয়।।রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
আল্লাহ্ তায়ালার দেয়া নেয়ামতের মধ্যে পানাহার হল সবচেয়ে বড় নেয়ামত।শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ার আদব হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধোয়া, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাওয়া শুরু করা, ডান হাতে খাওয়া, নিজের সামনে থেকে খাওয়া, একসঙ্গে বসে খাওয়া, এবং খাবার নষ্ট না করা ইসলামী আদবের অংশ। এছাড়া, ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাওয়া শুরু করা এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া, অতিভোজন থেকে বিরত থাকা, এবং খাওয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা ইসলামের খাওয়ার আদবের অন্তর্ভুক্ত। এসব আদব মেনে চললে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।
মহান রব্বুল আলামীন আমাদের পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের জীবনকে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক উপভোগ করার জন্য সকল ক্ষেত্রে ফরজ, সুন্নাত, ওয়াজিব সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে বর্ণনা করেছেন।
পানাহারের ক্ষেত্রে কি কি সুন্নাহ অবলম্বন করতে হবে তাই এ আর্টিকেল এ লেখক উপস্থাপন করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ইসলামি আর্টিকেলটি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ পাক কত মেহেরবান যে আমাদের দৈনন্দিন কাজে গুলোর মাধ্যমে ও আমরা যেন সোওয়াব অর্জন করতে পারি সেই ব্যবস্থা করেছেন।তেমনি আল্লাহর হুকুমে চলে আমরা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ও সোওয়াব অর্জন করতে পারি। এবং তা কিভাবে সেটা সুন্দর করে এই পোস্ট টিতে তুলে ধরার জন্য লেখকে অসংখ্য ধন্যবাদ।