১৫ সেপ্টম্বর, ২০২৩ খ্রিঃ
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক সাহেব
বরিশাল জিলা স্কুল
বরিশাল।
বিষয় : স্কুলের ভেতর ক্যান্টিন স্থাপনের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহুদিন ধরে বিদ্যালয়ে একটি ক্যান্টিনের অভাবে নানা সমস্যায় ভুগছি। স্কুল প্রাঙ্গণে কোন ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবার কেনার জন্য সর্বদা স্কুলের বাইরে যেতে হয়। স্কুলের বাইরে খাবার দোকানগুলোতে খাবারের অতিরিক্ত দামের ফলে অধিকাংশ সময়ে তা আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকে। পাশাপাশি এ খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
অতএব, সবিনয় প্রার্থনা এই যে, উক্ত সমস্যাগুলো বিবেচনাপূর্বক স্কুল প্রাঙ্গণে একটি ক্যান্টিন স্থাপনের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের খাবার ও পানীয় জলের সুবিধাদানে বাধিত করবেন।
বিনীত ,
আপনার একান্ত অনুগত
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ
বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল।
আরও পড়ুন
মিতব্যয়ী হওয়ার মূল্যবান পাঁচটি টিপস্
বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলে সিটের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত মোবাইলফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল
পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন পত্র
১৫ সেপ্টম্বর, ২০২৩ খ্রিঃ
বরাবর,
জেলা প্রশাসক
বরিশাল
বিষয়: পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, আমরা বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের মুগাকাঠী গ্রামের অধিবাসী। আমাদের গ্রামে প্রায় বিশ হাজার লোকের বসবাস। আমাদের গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও একটি কওমী মাদ্রাসা রয়েছে। সৌভাগ্যবশত আমাদের গ্রামের পাশেই একটি বড় কলেজ রয়েছে। যেখানে অসংখ্য ছেলেমেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে পড়াশোনা করতে আসে। এই গ্রামে শিক্ষার হার ৯০%।
কিন্তু পরিতাপের বিষয়ে এই যে আমাদের গ্রামে চিত্ত বিনোদন বা অবসরে বইপত্র পত্রিকা ইত্যাদি পড়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামে শিক্ষিত লোকের অভাব না থাকলেও আলোকিত লোকের অনেক অভাব রয়েছে। এখানে অনেকেরই জ্ঞানের ভান্ডার একেবারে শূন্য বলে ভুল হবে না। এমন চলতে থাকলে তারা দেশের উন্নয়নে কোনরকম ভূমিকা রাখতে পারবেনা। কুসংস্কার হিংসা-বিদ্বেষ মারামারি ইত্যাদি নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকে। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার জন্য আমাদের গ্রামে একটি পাঠাগার স্থাপন অধিক প্রয়োজন।
বিখ্যাত সব লেখক কবি সাহিত্যিকগণ পাঠাগার স্থাপনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রমথ চৌধুরী তার বিখ্যাত ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে সুশিক্ষিত মানুষ গঠনের জন্য পাঠাগার স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে পাঠাগার হচ্ছে মনের হাসপাতাল এখানে মানুষ আলোকিত মানুষের পরিণত হয়। তাই আমাদের গ্রামের মানুষদের আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে একটি পাঠাগার স্থাপন অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোকে আলোকিত মানুষের পরিণত করার জন্য একটি পাঠাগার স্থাপন করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক,
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে
মোঃ সাজ্জাদ মাহমুদ