মস্তিষ্কের ক্ষমতা ১০০ শতাংশ বাড়ানোর উপায়?

Spread the love

আমাদের মস্তিষ্ক হলো শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ। এই ছোট্ট অঙ্গটাই আমাদের ভাবতে শেখায়, মনে রাখতে সাহায্য করে, সিদ্ধান্ত নিতে শেখায় এবং স্বপ্ন দেখাতে পারে। অনেকেই ভাবে, “আমি কি আমার মস্তিষ্কের ১০০ শতাংশ ব্যবহার করি?” সত্যি বলতে, আমরা প্রতিদিন আমাদের মস্তিষ্কের পুরো শক্তি কাজে লাগাই না।

কিন্তু সুখবর হলো—সঠিক অভ্যাস, খাবার, বিশ্রাম আর চিন্তার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে অনেক বাড়ানো যায়। এই লেখায় আমরা খুব সহজ ভাষায়, ধাপে ধাপে জানব কীভাবে নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে আরও তীক্ষ্ণ, শক্তিশালী ও সক্রিয় করা যায়—যা ৭ বছরের বাচ্চাও সহজে বুঝতে পারবে।

১। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়

আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক একটি ইঞ্জিনের মতো। ভালো ইঞ্জিন চালাতে যেমন ভালো তেল দরকার, তেমনি মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করতে চাই ভালো খাবার। আমরা যা খাই, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের চিন্তা, স্মৃতি ও শেখার ক্ষমতার উপর। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা বা বড়রা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না—এর একটি বড় কারণ ভুল খাদ্যাভ্যাস। মস্তিষ্কের কোষগুলো শক্তি পায় খাবার থেকেই, তাই প্রতিদিন কী খাচ্ছি, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধির ধারণামূলক ছবি যেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার, পড়াশোনা, ধ্যান, খেলাধুলা ও বিশ্রামের মাধ্যমে মস্তিষ্ক সক্রিয় দেখানো হয়েছে
সঠিক অভ্যাস ও ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী করা যায়

মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে আছে প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাদ্য। যেমন—ডিম, মাছ, দুধ, শাকসবজি, ফলমূল ও বাদাম। ডিমে থাকা প্রোটিন ও কোলিন মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করে এবং নতুন তথ্য শেখার ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে ছোটদের জন্য নিয়মিত মাছ খাওয়া খুব উপকারী।

ফলমূলের কথাও আলাদা করে বলতে হয়। কলা, আপেল, কমলা, বেরি জাতীয় ফল মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো করে। এতে মনোযোগ বাড়ে এবং মাথা সহজে ক্লান্ত হয় না। শাকসবজির মধ্যে পালং শাক, লাল শাক, ব্রোকলি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করাও খুব জরুরি। পানি কম খেলে মাথা ঝিমুনি আসে, মনে রাখতে সমস্যা হয় এবং দ্রুত বিরক্ত লাগে। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না যে মাথা ব্যথা বা মনোযোগের অভাবের কারণ শুধু পানি না খাওয়া। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং দ্রুত কাজ করতে পারে।

অন্যদিকে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চিনি ও কোমল পানীয় মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো সাময়িক শক্তি দিলেও পরে মনোযোগ কমিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে এগুলো মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের ক্ষমতা নষ্ট করে। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে হলে খাবার বাছাইয়ে সচেতন হতে হবে।

সুতরাং বলা যায়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানোর প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নিয়মিত ভালো খাবার খেলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয়, তীক্ষ্ণ ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

২। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম মস্তিষ্ককে নতুন শক্তি দেয়

মস্তিষ্ক সারাদিন আমাদের জন্য কাজ করে। আমরা পড়ি, লিখি, ভাবি, সিদ্ধান্ত নেই—সবকিছুই মস্তিষ্কের মাধ্যমে হয়। তাই মস্তিষ্ককেও বিশ্রাম দেওয়া খুব জরুরি। এই বিশ্রামের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পর্যাপ্ত ঘুম। অনেকেই মনে করে কম ঘুমালেও সমস্যা নেই, কিন্তু আসলে কম ঘুম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, ধ্যান, পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং বিশ্রামের মাধ্যমে মস্তিষ্ক সক্রিয় ও শক্তিশালী হওয়ার ধারণামূলক ছবি
সঠিক অভ্যাস ও ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়

ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে এবং নতুন করে শক্তি জমা করে। দিনের বেলা আমরা যা শিখি, যা দেখি বা শুনি—সব তথ্য মস্তিষ্ক গুছিয়ে রাখে ঘুমের সময়। তাই যারা ঠিকমতো ঘুমায় না, তারা সহজেই ভুলে যায় এবং নতুন কিছু শিখতে কষ্ট হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের মস্তিষ্ক প্রতিদিন নতুনভাবে গড়ে উঠছে।

একজন শিশু বা শিক্ষার্থীর প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। বড়দের জন্যও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানো এবং একই সময়ে ওঠা মস্তিষ্ককে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। এতে শরীর ও মস্তিষ্ক দুটোই সময় বুঝে কাজ করতে শেখে। দেরিতে ঘুমানো এবং দেরিতে ওঠা মস্তিষ্ককে অলস করে তোলে।

ঘুমের পাশাপাশি বিশ্রামও জরুরি। একটানা অনেকক্ষণ পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন যতই পড়া হোক, কিছুই মনে থাকে না। প্রতি ৩০–৪০ মিনিট পড়ার পর ৫–১০ মিনিট বিরতি নিলে মস্তিষ্ক আবার সতেজ হয়। এই ছোট বিরতিতে চোখ বন্ধ করা, হালকা হাঁটা বা গভীর শ্বাস নেওয়া খুব উপকারী।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঘুমের আগে মোবাইল বা টিভি দেখা কমানো। মোবাইলের আলো মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে এবং ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল বন্ধ করলে ঘুম গভীর হয় এবং মস্তিষ্ক ভালোভাবে বিশ্রাম পায়।

সবশেষে বলা যায়, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত বিশ্রাম ছাড়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা ১০০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব নয়। ভালো ঘুম মানেই শক্তিশালী মস্তিষ্ক।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে

অনেকে মনে করে ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য দরকার, কিন্তু আসলে ব্যায়াম মস্তিষ্কের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা ব্যায়াম করি বা খেলাধুলা করি, তখন মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্ক বেশি অক্সিজেন পায় এবং কোষগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তাই যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে, তাদের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ সাধারণত বেশি ভালো হয়।

সঠিক খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়—ফল, সবজি, বাদামসহ স্বাস্থ্যকর খাবার এবং খেলাধুলা ও যোগব্যায়ামরত মানুষদের চিত্র, মস্তিষ্ক সক্রিয় ও উজ্জ্বল।
সঠিক খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, স্মৃতি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

সকালে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা মস্তিষ্ককে সারাদিনের জন্য প্রস্তুত করে। মাত্র ২০–৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা লাফানোও মস্তিষ্ককে সতেজ করে তোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে খেলাধুলা আরও বেশি জরুরি। খেলতে খেলতে তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত শেখে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ে।

ব্যায়ামের সময় মস্তিষ্কে কিছু ভালো রাসায়নিক তৈরি হয়, যেগুলো আমাদের আনন্দিত রাখে এবং দুশ্চিন্তা কমায়। এই রাসায়নিকগুলো মনকে শান্ত রাখে, ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ে। যারা নিয়মিত খেলাধুলা করে, তারা সাধারণত কম রেগে যায় এবং বেশি ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারে।

ব্যায়াম শুধু বাইরে গিয়ে করতেই হবে এমন নয়। বাড়িতেও সহজ ব্যায়াম করা যায়। যেমন—দড়ি লাফ, স্কিপিং, যোগব্যায়াম, হালকা স্ট্রেচিং। যোগব্যায়ামের কিছু সহজ আসন যেমন গাছ আসন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন মস্তিষ্ককে শান্ত ও স্থির রাখে। এতে চিন্তা পরিষ্কার হয় এবং পড়া সহজ হয়।

অন্যদিকে সারাদিন বসে থাকা, মোবাইল বা টিভিতে সময় কাটানো মস্তিষ্ককে ধীরে করে দেয়। এতে মস্তিষ্ক অলস হয়ে যায় এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কমে যায়। তাই প্রতিদিন একটু হলেও শরীর নাড়াচাড়া করা খুব দরকার।

সব মিলিয়ে বলা যায়, নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানোর একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। শরীর যত নড়াচড়া করবে, মস্তিষ্ক তত বেশি সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে।

৪। নিয়মিত শেখার অভ্যাস ও মস্তিষ্কের ব্যায়াম

মস্তিষ্ক যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত বেশি শক্তিশালী হয়। ঠিক যেমন হাত-পা ব্যবহার না করলে দুর্বল হয়ে যায়, তেমনি মস্তিষ্ক ব্যবহার না করলে তার ক্ষমতাও কমে যায়। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা ১০০ শতাংশ বাড়াতে হলে নিয়মিত শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা খুব জরুরি। শেখা মানে শুধু বই পড়া নয়—নতুন কিছু জানা, নতুন কিছু ভাবা এবং নতুনভাবে চিন্তা করাও শেখার অংশ।

নিয়মিত শেখা এবং মস্তিষ্কের ব্যায়াম মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে, এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

প্রতিদিন একটু হলেও নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। যেমন—নতুন শব্দ শেখা, ছোট গল্প পড়া, সহজ গণিত করা বা কোনো নতুন বিষয় নিয়ে ভাবা। শিশুদের ক্ষেত্রে ছড়া মুখস্থ করা, ছবি দেখে গল্প বানানো বা প্রশ্নোত্তর খেলাও মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং চিন্তার গতি দ্রুত হয়।

মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মধ্যে ধাঁধা, পাজল, দাবা, সুডোকু বা সহজ মেমোরি গেম খুব উপকারী। এগুলো খেলতে খেলতে মস্তিষ্ক সমস্যা সমাধান করতে শেখে। প্রথমে কঠিন লাগলেও ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক অভ্যস্ত হয়ে যায়। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং “আমি পারি” এই বিশ্বাস তৈরি হয়।

আরেকটি ভালো অভ্যাস হলো প্রশ্ন করা। কেন আকাশ নীল, কেন গাছ সবুজ, কেন মানুষ ঘুমায়—এমন প্রশ্ন করলে মস্তিষ্ক ভাবতে শেখে। উত্তর খোঁজার সময় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ একসাথে কাজ করে। এই অভ্যাস শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে খুব সাহায্য করে।

একই কাজ প্রতিদিন একইভাবে করলে মস্তিষ্ক একঘেয়ে হয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে পড়ার ধরন বদলানো ভালো। কখনো জোরে পড়া, কখনো লিখে পড়া, আবার কখনো কাউকে বুঝিয়ে বলা—এতে শেখা আরও গভীর হয়। মস্তিষ্ক নতুন চ্যালেঞ্জ পেলে দ্রুত উন্নতি করে।

সবশেষে বলা যায়, নিয়মিত শেখা ও মস্তিষ্কের ব্যায়াম মস্তিষ্ককে সচল রাখে। প্রতিদিন একটু একটু করে শেখার অভ্যাস গড়ে তুললে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে আরও তীক্ষ্ণ ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

৫। ইতিবাচক চিন্তা, ধ্যান ও মানসিক শান্তি

মস্তিষ্ক শুধু খাবার, ঘুম বা ব্যায়ামেই শক্তিশালী হয় না—চিন্তার ধরনও মস্তিষ্কের ক্ষমতার উপর বড় প্রভাব ফেলে। আমরা যদি সব সময় ভয়, দুশ্চিন্তা বা নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে থাকি, তাহলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ইতিবাচক চিন্তা মস্তিষ্ককে হালকা, শান্ত ও শক্তিশালী করে তোলে।

একটি সুস্থ ও শক্তিশালী মস্তিষ্কের ছবি, যেখানে ডানদিকে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, সবজি, বাদাম এবং মাছ এবং বামদিকে ধ্যানরত একজন শান্ত ব্যক্তি, যা ইতিবাচক চিন্তা ও মানসিক শান্তি প্রকাশ করছে।
সঠিক খাবার, ধ্যান ও ইতিবাচক চিন্তা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মনকে শান্ত রাখে।

ইতিবাচক চিন্তা মানে হলো নিজের উপর বিশ্বাস রাখা। যেমন—“আমি পারব”, “আমি শিখছি”, “ভুল হলে আবার চেষ্টা করব”—এই কথাগুলো মস্তিষ্ককে সাহস দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বকা না দিয়ে ভালো কথা বললে তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত শেখে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ধ্যান বা মন শান্ত করার অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। ধ্যান মানে কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন ৫–১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকা, ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া—এটাই সহজ ধ্যান। এতে মস্তিষ্ক শান্ত হয়, মনোযোগ বাড়ে এবং অপ্রয়োজনীয় চিন্তা কমে যায়। যারা নিয়মিত ধ্যান করে, তারা সহজে রেগে যায় না এবং সিদ্ধান্ত ভালো নিতে পারে।

আরেকটি ভালো অভ্যাস হলো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ভাবা—আজ আমি কী ভালো করেছি, কী শিখেছি। এতে মন শান্ত থাকে এবং মস্তিষ্ক ভালো অনুভব করে। ভালো অনুভূতি মস্তিষ্কের কাজের গতি বাড়ায়।

অতিরিক্ত তুলনা, ভয় বা চাপ মস্তিষ্কের শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের উন্নতির দিকে মন দেওয়া জরুরি। আনন্দের সাথে পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ইতিবাচক চিন্তা, ধ্যান ও মানসিক শান্তি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর একটি শক্তিশালী চাবিকাঠি। শান্ত মন মানেই শক্তিশালী মস্তিষ্ক।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page