বাংলাদেশে অনলাইনে নতুন ভোটার (NID / ভোটার আইডি কার্ড) করার নিয়ম (স্টেপ‑by‑স্টেপ):

Spread the love

✅ যোগ্যতা ও প্রাথমিক শর্ত

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • বয়স সাধারণত ১৬ বছরের বেশি হলে নতুন ভোটার হিসেবে আবেদন করা যায়।
  • আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID / ভোটার আইডি) বানানো না থাকলে।

📝 কী কী কাগজপত্র লাগবে

অনONLINE আবেদন করার সময় সাধারণত নিচের কাগজপত্র‑সমূহ লাগতে পারে — যদিও শেষে অফিসে মূল কাগজপত্র দাখিল করতে হয়।

  • ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ (birth certificate)
  • বাবা/মা (বা স্বামী/স্ত্রীর, married হলে) জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর ফটোকপি  
  • ঠিকানার প্রমাণ (যেমন utility bill, বাড়ি ভাড়ার রসিদ, হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ ইত্যাদি)
  • শিক্ষা সনদ (যদি থাকে, যেমন PECE, JSC, SSC) — প্রয়োজনে।
  • নাগরিকত্ব সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়) / অন্যান্য প্রমাণপত্র।

🌐 অনলাইনে আবেদন করার ধাপ

  1. ওয়েবসাইটে যান — অফিসিয়াল আবেদন করার জন্য ভিজিট করতে হবে: services.nidw.gov.bd
  2. একাউন্ট তৈরি / রেজিস্ট্রেশন করুন — নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর (ও প্রয়োজনীয় তথ্য) দিয়ে একাউন্ট খুলুন। 
  3. আবেদন ফরম পূরণ করুন — ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন।
  4. কাগজপত্র আপলোড / প্রস্তুত করুন — birth certificate, ঠিকানার প্রমাণ, বাবা/মা‑NID ফটোকপি ইত্যাদি।
  5. অনলাইনে আবেদন জমা দিন — ফরম সাবমিট করুন এবং আবেদন নেভার পড়ে পাঠান।
  6. প্রিন্ট ও সাবমিশন — অনলাইন ফরম পূরণ করার পর, ফরম প্রিন্ট করে নিন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে সমস্ত কাগজসহ জমা দিন।
  7. বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি + আঙুলের ছাপ) — কোথাও থেকে নির্দেশনা পাবেন; তারপর উপরে উল্লেখিত অফিসে গিয়ে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট/রেটিনা দিতে হবে।
  8. অনুমোদন ও কার্ড তৈরি — সব তথ্য সঠিক হলে, আবেদন মঞ্জুর হলে NID / ভোটার কার্ড তৈরি হবে। সাধারণত ১৫–২১ দিন সময় লাগতে পারে।

⚠️ কিছু বিষয় যা মাথায় রাখা জরুরি

  • অনলাইনে আবেদন করা হলেও, শেষ পর্যন্ত অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা এবং বায়োমেট্রিক দিতে হবে।
  • যদি তথ্য ভুল হয় বা কাগজপত্র অসম্পূর্ণ হয় — আবেদন বাতিল বা বিলম্ব হতে পারে।
  • আপনার বাসা‑ঠিকানা, বাবা/মা‑ তথ্য ইত্যাদির সঠিকতা খুব জরুরি।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page