বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

Spread the love

বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, শিশু ঠিকমতো ঘুমায় না, রাত জেগে থাকে বা বারবার ঘুম ভেঙে যায়—যা বাবা-মায়ের জন্যও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমের অভাব শিশুর আচরণ, মনোযোগ, শারীরিক বৃদ্ধি এমনকি শেখার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। 

ঘুম কম হওয়ার কারণ বয়সভেদে আলাদা হতে পারে—কখনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা, কখনো পরিবেশ, আবার কখনো মানসিক অস্থিরতা এর পেছনে ভূমিকা রাখে। তাই সমস্যার মূল কারণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক কারণ বুঝতে পারলে সমাধান করাও সহজ হয়। এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার প্রধান কারণগুলো এবং প্রতিকারগুলো ৬টি বিস্তারিত পয়েন্টে সহজ ও বোধগম্যভাবে আলোচনা করা হলো।

১। অনিয়মিত ঘুমের রুটিন

বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে অনিয়মিত ঘুমের রুটিন। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুকে প্রতিদিন ভিন্ন সময়ে ঘুম পাড়ানো হয়। কখনো রাতে দেরিতে ঘুমানো, আবার কখনো বিকেলে দীর্ঘ ঘুম—সব মিলিয়ে শিশুর শরীর ঘুমের সঠিক সময় নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

বাচ্চার শরীর একটি “বডি ক্লক” অনুসরণ করে। এই ঘড়িটি তখনই ঠিকমতো কাজ করে, যখন প্রতিদিন একই সময় ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস গড়ে ওঠে। অনিয়মিত রুটিন এই স্বাভাবিক ঘড়িকে বিঘ্নিত করে, ফলে শিশু ঘুমানোর সময় ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও ঘুমাতে পারে না।

অনেক বাবা-মা মনে করেন বাচ্চাকে দেরিতে ঘুমালে সে বেশি ঘুমাবে, কিন্তু বাস্তবে হয় উল্টোটা। শরীর যত দেরিতে বিশ্রামে যায়, স্নায়ু তত বেশি উত্তেজিত থাকে। এর কারণে ঘুম গভীর হয় না এবং বাচ্চা রাতে মাঝেমধ্যে উঠে পড়ে। ফলে মোট ঘুমের পরিমাণ কমে যায়।

দিনে অতিরিক্ত ঘুমও ঘুমের রুটিন নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে দুপুরে দুই ঘণ্টার বেশি ঘুমালে রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়। পরিবারে যদি বড়দের সময়সূচি অব্যবস্থিত হয়, শিশু স্বাভাবিকভাবেই সেই পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে ফেলে। এটি ঘুমের জন্য খুব ক্ষতিকর।

সমাধানের জন্য প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ানোর নিয়ম তৈরি করতে হবে। শোবার আগে ৩০ মিনিট শান্ত পরিবেশ তৈরি করা, যেমন বই পড়া বা লাইট কমিয়ে রাখা—শিশুকে মানসিকভাবে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে। রুটিন যত নিয়মিত হবে, ঘুম তত দ্রুত আসবে।

ঘুমের রুটিন ঠিক করতে প্রথম দিকে কিছুটা কষ্ট হতে পারে, কিন্তু নিয়ম মেনে চললে কয়েক দিনের মধ্যেই উন্নতি দেখা যায়। শিশুর ঘুম বাড়ে, মেজাজ ভালো থাকে এবং শিখতে মনোযোগও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ঘুমের রুটিন শিশুর সুস্থ ঘুমের প্রথম শর্ত।

২। স্ক্রিন টাইম বেশি হওয়া

 বর্তমানে মোবাইল, ট্যাব, টিভির ব্যবহার শিশুদের ঘুমের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে। শোবার আগে স্ক্রিন দেখলে মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং ঘুমাতে সময় লাগে। অনেক শিশু কার্টুন দেখে ঘুমাতে চায়, কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদে ঘুমের মান কমিয়ে দেয়।

স্ক্রিন থেকে নির্গত ব্লু-লাইট মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। এই হরমোন ঘুম আনার জন্য দায়ী। যখন মেলাটোনিন কমে যায়, তখন শরীর ঘুমের সংকেত পেলেও মস্তিষ্ক সাড়া দিতে পারে না। ফলে ঘুম ভেঙে যায় বা আসতেই দেরি হয়।

অনেক সময় বাবা-মা শিশুদের ব্যস্ত রাখতে স্ক্রিন দেন, বিশেষ করে খাওয়ার সময় বা ঘুমানোর আগে। ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত হয় এবং স্ক্রিন ছাড়া ঘুমাতে চায় না। ঘুমের সময় স্ক্রিনে দৃশ্য, শব্দ, অ্যানিমেশন শিশুর মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে।

ঘুমের আগে স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ঘুম গভীর হয় না। শিশু ঘুমিয়ে থাকলেও মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে পারে না। এর প্রভাব পরের দিন দেখা যায়—অস্থিরতা, বিরক্তি, মনোযোগ কমে যাওয়া, এমনকি শারীরিক ক্লান্তি দেখা দেয়।

স্ক্রিন ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শোবার কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে সব স্ক্রিন বন্ধ রাখা জরুরি। এর পরিবর্তে গল্প বলা, ছবি আঁকা, নরম গান শোনা বা লাইট কমিয়ে রাখা শিশুদের জন্য অনেক বেশি কার্যকর ও শান্তিদায়ক।

যদি শিশু স্ক্রিন ছাড়া ঘুমাতে না চায়, তবে ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। প্রথমে সময় কমিয়ে তারপর পুরোপুরি বাদ দিলে শিশুর ঘুমের মান দ্রুত উন্নতি হবে। নিয়মিত চর্চায় শিশুর মস্তিষ্ক শান্ত হতে শিখবে এবং ঘুম সহজেই আসবে।

৩: ঘুমানোর অনুপযুক্ত পরিবেশ

অনুপযুক্ত ঘুমের পরিবেশ শিশুর ঘুম নষ্ট করার বড় কারণ। ঘরে বেশি আলো থাকলে বা শব্দ বেশি হলে শিশু গভীর ঘুমে যেতে পারে না। কখনো গরম, কখনো অতিরিক্ত ঠান্ডা—এমন পরিবেশ শিশুর আরামের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

শিশুকে ঘুমানোর জন্য শান্ত, অন্ধকার এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রয়োজন। যদি ঘর এলোমেলো থাকে, খেলনা ছড়ানো থাকে বা টিভির শব্দ আসে, তাহলে তার মনোযোগ বারবার ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘুম নষ্ট হয়। পরিবেশ শুধু শারীরিক নয়, মানসিক প্রভাবও ফেলে।

ঘুমের সময়ে যদি দরজা খোলা থাকে, কেউ কথা বলে বা হাঁটে, শিশু বারবার নড়েচড়ে। এতে তার ঘুম ভেঙে যায় এবং পুনরায় ঘুমাতে সমস্যা হয়। ঘরটি যদি খুব ঠান্ডা হয়, শিশু অস্বস্তি বোধ করে; আবার অতিরিক্ত গরমও বিরক্তির কারণ হয়।

সঠিক বিছানাও শিশুদের ঘুমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কঠিন বা খুব নরম গদিতে শিশু আরাম পায় না। বালিশের উচ্চতা ভুল হলে ঘাড় ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে ঘুমের ক্ষতি করে।

সমাধানের জন্য ঘরটি ঘুমানোর উপযোগী করে সাজাতে হবে। ঘর পরিষ্কার, আলো কম, শব্দ কম রাখা—এই ছোট বিষয়গুলো শিশুদের ঘুম বাড়াতে অসাধারণভাবে কাজ করে। শোবার সময় নরম আলো ব্যবহার এবং শান্ত পরিবেশ তৈরি করা খুব উপকারী।

যদি শিশুর ঘুম নিয়মিত ভেঙে যায়, তাহলে পরিবেশ পরিবর্তন করার পরও সমস্যা থাকছে কি না দেখতে হবে। অনেক সময় ছোট পরিবর্তনই বড় উপকার দেয়। আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করলে শিশুর ঘুম গভীর হয়, মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং পরদিন সে আরও প্রাণবন্ত থাকে।

৪। মানসিক অস্থিরতা বা ভয়

অনেক শিশু রাতে ভয় পায়—অন্ধকারের ভয়, একা থাকার ভয় বা দুঃস্বপ্ন—এগুলো ঘুমকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। যখন শিশু মানসিকভাবে অস্থির থাকে, তখন মস্তিষ্ক অতিরিক্ত সক্রিয় থাকে, যার ফলে ঘুম গভীর হয় না বা আসতে দেরি হয়।

শিশুর ভয় কখনো কখনো সামান্য বিষয় দিয়েই শুরু হয়—কার্টুনের ভয়ংকর দৃশ্য, হঠাৎ জোরে শব্দ, কিংবা দিনের কোনো ঘটনার টেনশন। এসব কারণে শিশুর মনে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়, যা রাতে ঘুমাতে বাধা দেয় এবং বারবার ঘুম ভেঙে যায়।

মানসিক চাপ বাড়লে ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ প্রতিক্রিয়া সক্রিয় হয়, যা শরীরকে উত্তেজিত করে। এতে হৃদস্পন্দন বাড়ে, শরীর সতর্ক অবস্থায় থাকে এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতে চায় না। ফলে শিশুর ঘুম হালকা থাকে এবং কয়েক ঘণ্টা পরপর জেগে ওঠে।

অনেক বাবা-মা বুঝতে পারেন না যে শিশুর অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলোও ঘুমকে প্রভাবিত করে। স্কুল, বন্ধু, পড়াশোনার চাপ বা পরিবারে অশান্তি—এমন বিষয়গুলো শিশুর মনে চাপ ফেলে। শিশুরা নিজেরা এসব বলতে না পারলেও ঘুম নষ্টের মাধ্যমে প্রকাশ করে।

সমাধানের জন্য শিশুকে মানসিকভাবে নিরাপদ অনুভব করানো জরুরি। গল্প বলা, পাশে বসে থাকা, নরম আলো জ্বালানো এবং তাকে বোঝানো—”তুমি নিরাপদ আছো”—এগুলো খুবই কার্যকর। শোবার সময় শিশুর সঙ্গে ১০–১৫ মিনিট কথা বললেও ভয় অনেকটা কমে যায়।

যদি শিশু নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখে বা আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মানসিক অবস্থার যত্ন নিলে ঘুমও স্বাভাবিক হয়ে যায়। কারণ শান্ত মনই গভীর ঘুমের সবচেয়ে বড় ভিত্তি, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।

৫। শারীরিক অসুস্থতা

শিশুর ঘুম কম হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো শারীরিক অসুস্থতা। সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটব্যথা বা অ্যালার্জি থাকলে ঘুম ভেঙে যায়। ছোট শিশুরা ব্যথা বা অস্বস্তি প্রকাশ করতে না পারলেও রাতে কান্না করে, নড়াচড়া করে বা ঘুমাতে চায় না।

সর্দি বা নাক বন্ধ থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফলে ঘুম গভীর হয় না। শিশুরা মাঝে মাঝে দাঁত উঠার সময় ব্যথা অনুভব করে, যার কারণে তারা রাতে অস্থির হয়। বড় শিশুদেরও গ্যাস, অম্বল বা পেটব্যথা ঘুম নষ্ট করতে পারে।

রাতে কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ঘুম বারবার ভেঙে যায়। এ অবস্থায় শরীর ঘুমে স্থিত হতে পারে না। অনেক সময় শিশু ঘামে ভিজে যায় বা শরীর গরম হয়ে ওঠে—যা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে এবং ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।

পেটের সমস্যা থাকলে শিশুরা চুপচাপ থাকে না, অস্থির হয়ে ওঠে এবং ঘুমানোর আগেই বিরক্ত হতে শুরু করে। খাবারের অ্যালার্জি বা নতুন কোনো খাবার খেলে ঘুমে প্রভাব পড়তে পারে। এসব শারীরিক সমস্যা অনিয়মিত ঘুমের মূল কারণ।

 সমাধানের জন্য প্রথমে অসুস্থতার কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। সর্দি হলে গরম সেঁক, নাক পরিষ্কার রাখা; পেটব্যথা হলে হালকা ম্যাসাজ বা গরম পানি পান করানো; জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দেওয়া—এসব খুব কার্যকর।

যদি শিশুর ঘুমের সমস্যা দীর্ঘদিন থাকে, তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত। কারণ কখনো ছোট ব্যথা বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। শারীরিক অসুস্থতা দূর হলে শিশুর ঘুমও দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং সে আগের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুমাতে পারে।

৬। ভুল খাদ্যাভ্যাস

খাবার শিশুদের ঘুমের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অনেক বাবা-মা ঘুমানোর আগে চকলেট, আইসক্রিম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার দেন, যা শরীরে অতিরিক্ত চিনি বাড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এতে শিশুর ঘুম আসতে দেরি হয় এবং বারবার জেগে ওঠে।

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন কোমল পানীয়, চকলেট, ঠান্ডা কফি—এগুলো বাচ্চার শরীরে উদ্দীপনা বাড়ায়। ক্যাফেইন মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে এবং ঘুমের হরমোন কমিয়ে দেয়। ফলে রাতে শিশুর ঘুম আসে না।

যেসব বাচ্চা রাতে ভারি খাবার খায়, তাদেরও ঘুম নষ্ট হয়। পেট ভরা থাকলে হজম হতে সময় লাগে, ফলে শরীর ব্যস্ত থাকে এবং ঘুমাতে দেরি হয়। আবার অতিরিক্ত মশলাদার খাবার গ্যাস বা অম্বলের সৃষ্টি করে, যা ঘুমকে আরও কঠিন করে তোলে।

খাবারের সময়সূচি ঘুমের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। রাত ৯টার পর খাবার খেলে শিশুর পেটে চাপ বাড়ে, যা ঘুম ব্যাহত করে। নিয়মিত সময়ের আগে হালকা খাবার খাওয়ানো এবং পানি পরিমাণমতো পান করানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সমাধান হিসেবে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়ানো উচিত। রাতে হালকা খাবার যেমন পায়েস, দুধ, কলা, ওটস বা নরম ভাত শিশুর ঘুম আনতে সহায়ক। চিনি ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভালো।

 সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে শিশুর ঘুমও স্বাভাবিক হয়। পেট হালকা থাকলে শরীর দ্রুত বিশ্রাম নিতে পারে এবং গভীর ঘুম হয়। তাই খাবারের ধরন, পরিমাণ এবং সময়—এই তিনটি বিষয় ঠিক রাখলে শিশুর ঘুমের সমস্যা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

উপসংহার

শিশুর ঘুম কম হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর প্রভাব অনেক বড়। সঠিক রুটিন, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক যত্ন—এগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করলে শিশুর ঘুম অনেক উন্নতি হয়। প্রতিটি শিশুর প্রয়োজন আলাদা, তাই তার আচরণ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে অভ্যাস বদলালে ঘুম স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং শিশু আরও সুস্থ, আনন্দী ও প্রাণবন্ত থাকে।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page