স্কুল বা পাঠশালা হল একটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন, যা মূলত শিক্ষার কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে। একটি বিদ্যালয় সবসময় একটি ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, তবে একটি শিক্ষক, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং একটি শিক্ষার পরিবেশ একটি বিদ্যালয় হওয়ার জন্য যথেষ্ট। স্কুলগুলি নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের অধীনে পরিচালিত হয় এবং স্কুলগুলিতে পড়ার জন্য পাঠ্যপুস্তকগুলি নির্ধারিত রয়েছে। স্কুল সাধারণত প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু হয়।
আজকাল আমাদের দেশে অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি স্কুলে চাকরি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাই আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত যুবককে স্কুলে চাকরি নিতে হয়। চাকরি নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্র লিখতে হবে। একটি আবেদনপত্রও চাকরি প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা, নম্রতা ইত্যাদি নির্ধারণ করে।
তাই আপনি যদি স্কুলের চাকরি প্রার্থী হন তবে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে আবেদন লিখতে হবে। আর যদি আপনি না জানেন, তাহলে আপনার জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন হবে। অতএব, আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে, আজ আমি স্কুলের চাকরির আবেদনপত্র লেখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম-কানুন নিয়ে আলোচনা করব। অনেকেই আছেন যারা চাকরির আবেদন লেখার সঠিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত নন। আজকের নিবন্ধটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন স্কুলের চাকরির আবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম : স্কুলে চাকরির জন্য
আমাদের দেশে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি স্কুল রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বান করে। আজ আমি আপনার সুবিধার জন্য একটি স্কুল চাকরির আবেদনপত্রের নমুনা প্রকাশ করতে যাচ্ছি।
এটি অনুসরণ করে আপনি আপনার পছন্দসই স্কুলে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। চাকরির আবেদন লেখার আগে কিছু নিয়ম জেনে নিতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আজকের আয়োজন। চাকরির আবেদন সঠিকভাবে লিখতে না পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আপনাকে চাকরির আবেদনটি সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় লিখতে হবে। তো চলুন দেখি কিভাবে আপনি স্কুলের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন
চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম | চাকরির আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
কোম্পানিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
এনজিও চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
সরকারি স্কুলে চাকরির জন্য আবেদন পত্র
তারিখ:
বরাবর
মাহাপরিচালক
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর, ঢাকা।
বিষয়: সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০৮ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং তারিখের প্রকাশিত দৈনিক ‘সমকাল’ পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনার অধীনে “সহকারি শিক্ষক পদে” কিছু লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে নিম্নে আমার জীবন বৃত্তান্ত আপনার সদয় অবগতি ও সু-বিবেচনার জন্য নিচে পেশ করা হলো:
১. নাম:
২. পিতার নাম:
৩. মাতার নাম:
৪. স্থায়ী ঠিকানা:
৫. বর্তমান ঠিকানা:
৬. জন্ম তারিখ:
৭. জাতীয়তা:
৮. ধর্ম:
৯. বৈবাহিক অবস্থা:
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পরীক্ষার নাম | পাশের সন | প্রাপ্ত জিপিএ | বিভাগ | বোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় |
এসএসসি | ২০১০ | ৪.৫০ | বিজ্ঞান | যশোর |
১১. অভিজ্ঞতা: ২০১৭ থেকে আমি একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি।
অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত আরজ, উল্লিখিত তথ্য সু-বিবেচনায় আমাকে “সহকারি শিক্ষক পদে” নিয়োগ দান করে আমার শ্রম ও মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে চাকরি করার সুযোগ দানে মর্জি হয়।
নিবেদক
(মো. তাওহিদ হোসেন)
সংযুক্তিঃ (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট)
১. সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. পার্সপোট সাইজের (০৩) কপি সত্যায়িত ছবি।
৪. চারিত্রিক সনদ ২কপি।
৫. অভিজ্ঞতা সনদ পত্র সত্যায়িত ফটোকপি
সহকারি প্রধান শিক্ষক পদের চাকরির আবেদন – মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগের আবেদন
তারিখ:
বরাবর,
সভাপতি / অধ্যক্ষ / প্রধান শিক্ষক
আটিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
উজিরপুর, বরিশাল
বিষয়: সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন ।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০৮ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং তারিখের প্রকাশিত দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার অধীনে “সহকারি পধান শিক্ষক পদে” শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে নিম্নে আমার জীবন বৃত্তান্ত আপনার সদয় অবগতি ও সু-বিবেচনার জন্য নিচে পেশ করলাম।
১. নাম:
২. পিতার নাম:
৩. মাতার নাম:
৪. স্থায়ী ঠিকানা:
৫. বর্তমান ঠিকানা:
৬. জন্ম তারিখ:
৭. জাতীয়তা:
৮. ধর্ম:
৯. বৈবাহিক অবস্থা:
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পরীক্ষার নাম | পাশের সন | প্রাপ্ত জিপিএ | বিভাগ | বোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় |
এসএসসি | ২০০৮ | ৪.৫০ | বিজ্ঞান | যশোর |
এইচ এস সি | ||||
বিএস এস | ||||
এম বি এস |
১১. অভিজ্ঞতা: ২০১৫ থেকে আমি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকরি শিক্ষক পদে কর্মরত আছি।
অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত নিবেদন, উল্লেখিত তথ্য সু-বিবেচনায় আমাকে “সহকারি প্রধান শিক্ষক” পদে নিয়োগ দানে জনাবের মর্জি হয়।
নিবেদক
(মো. জাকির হোসেন)
সংযুক্তিঃ (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট)
১. সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. পার্সপোট সাইজের (০৩) কপি সত্যায়িত ছবি।
৪. চারিত্রিক সনদ ২কপি।
৫. অভিজ্ঞতা সনদ পত্র সত্যায়িত ফটোকপি
পরিশেষে কিছু কথা
এটি ছিল আজকে স্কুলের চাকরির আবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আপনি যদি একটি স্কুলের জন্য একটি চাকরির আবেদন লিখতে চান, তাহলে আপনি উপরের নমুনা অনুসরণ করতে পারেন। উপরের নমুনা অনুসরণ করে আপনি যেকোনো স্কুলের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।
চাকরির আবেদন লেখার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও আপনার আবেদন পত্র অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। কোথাও যদি কাটাকাটি হয়। তাহলে আপনাকে সেই কাগজ বাদ দিয়ে অন্য একটি নতুন কাগজে আবেদন পত্রটি লিখতে হবে। স্কুলে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আপনি চাইলে নিচে থাকা শেয়ার বাটন থেকে এই লেখাটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। মনোযোগ দিয়ে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেকারত্বের এই সময়ে স্কুলে চাকরি পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। তাই চাকরি পাওয়া না পাওয়া অনেকাংশে চাকরির আবেদনপত্রের উপরও নির্ভর করে। এই আর্টিকেলটিতে লেখক অনেক গুছিয়ে কিভাবে স্কুলের চাকরির আবেদনপত্র লিখতে হয় সে বিষয়ে বলেছেন। আমরা অনেকেই এই বিষয়ে ভালভাবে জানতাম না। ধন্যবাদ লেখককে আমাদের জন্য বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।