এনজিও (NGOs) হলো এমন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যারা সাধারণত অলাভজনক ও স্বাধীনভাবে সরকার কর্তৃক সরাসরিভাবে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণের বাহিরে (যদিও এগুলোতে প্রায়শঃই সরকার কর্তৃক অর্থায়ন করা হয়) মানবতার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনসাধারণের নীতি, সামাজিক, মানবাধিকার, পরিবেশগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী পরিবর্তনে নিয়োজিত।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি এনজিও চাকরি পাওয়া যেন ভাগ্যের বিষয়। তাই আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষিত তরুণ-তরুনীদের এনজিওতে চাকরি নিতে হয়। চাকরি নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। একটি আবেদনপত্রের দ্বারাও চাকরী প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা, নম্রতা ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়।
তাই আপনি যদি এনজিওতে চাকরির প্রার্থী হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে আবেদন লিখতে জানতে হবে। আর যদি না জানেন, তাহলে আপনার জন্য চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এজন্য আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আজকে এনজিওতে চাকরির দরখাস্ত লেখার বেশকিছু নিয়ম কানুন সম্পর্কে আলোচনা করবো। অনেকেই আছেন যারা চাকরির দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন এনজিওতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম : এনজিওতে চাকরির জন্য
আমাদের দেশে অগনিত এনজিও রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করে থাকে। আজকে আপনাদের সুবিধার্থে একটি এনজিওতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নমুনা পত্র প্রকাশ করব।
সেটি অনুসরণ করে আপনি আপনার কাঙ্খিত এনজিওতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। চাকরির দরখাস্ত লেখার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন জেনে নিতে হবে। এজন্য আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন। আপনি যদি সঠিক নিয়মে চাকরির দরখাস্ত না লিখতে পারেন তাহলে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তাই আপনাকে চাকরির দরখাস্ত লিখতে গেলে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় লিখতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে আপনারা এনজিও চাকরিতে দরখাস্ত করবেন।
আরও পড়ুন
চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম | চাকরির আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
কোম্পানিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
স্কুলে চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানতে – ভিজিট করুন
তারিখ
বরাবর,
প্রকল্প পরিচালক আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন
আব্দুল গনি রোড,
ঢাকা-১০০০।
বিষয়ঃ ‘সহকারী পরিদর্শক’ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০৮ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং তারিখের প্রকাশিত দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনার প্রতিষ্ঠানে একজন “‘সহকারী পরিদর্শক’” নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে নিম্নে আমার জীবন বৃত্তান্ত আপনার সদয় অবগতি ও সু-বিবেচনার জন্য নিচে প্রদত্ত হলো:
১. নাম:
২. পিতার নাম:
৩. মাতার নাম:
৪. স্থায়ী ঠিকানা:
৫. বর্তমান ঠিকানা:
৬. জন্ম তারিখ:
৭. জাতীয়তা:
৮. ধর্ম:
৯. বৈবাহিক অবস্থা:
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পরীক্ষার নাম | পাশের সন | প্রাপ্ত জিপিএ | বিভাগ | বোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় |
এসএসসি | ২০১০ | ৪.৫০ | বিজ্ঞান | যশোর |
১১. অভিজ্ঞতা: একটি বেসরকারি সংস্থায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ৩ বছর কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত আরজ, উল্লিখিত তথ্য সুবিবেচনাক্রমে আমাকে ‘সহকারী পরিদর্শক’ পদে নিয়োগ দান করে আমার শ্রম ও মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে চাকরি করার সুযোগ দানে মর্জি হয়।
নিবেদক
(মো. আনোয়ার হোসেন)
মনিরামপুর, যশোর
সংযুক্তিঃ (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট)
১. সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
২. সরকার প্রদত্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদ
৩. পার্সপোট সাইজের ২কপি সত্যায়িত ছবি।
৪. চারিত্রিক সনদ ২কপি।
৫. অভিজ্ঞতা সনদ পত্র সত্যায়িত ফটোকপি
পরিশেষে কিছু কথা
এই ছিল আজকে এনজিওতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম কানুন নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আপনি যদি কোন এনজিওতে চাকরির দরখাস্ত লিখতে চান, তাহলে উপরের নমুনা অনুসরণ করতে পারেন। উপরের নমুনা অনুসরণ করে আপনি যেকোন এনজিওতে চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারবেন।
চাকরির দরখাস্ত লেখার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও আপনার আবেদন পত্র অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কথা হবে। কোথাও যদি কাটাকাটি হয়। তাহলে আপনাকে সেই কাগজ বাদ দিয়ে অন্য একটি কাগজে আবেদন পত্র লিখতে হবে। কোম্পানিতে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় হওয়া দরকার। এই পোস্টটা পড়ে আমরা তা আরো ভালোভাবে জানতে পেরেছি।
জীবন বৃত্তান্তসহ হাতে লেখা আবেদনপত্র এক পৃষ্ঠায় ধরেনা এক্ষেত্রে আমি কি জীবন বৃত্তান্ত আলাদা পেইজে লিখতে পারবো?