ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ মোবাইল ট্রাফিক সার্ভিস (BRTA) e-Service ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- ওয়েবসাইটে গেলে “Driving License Application” বা “Apply for Professional License” অপশন নির্বাচন করুন।
- এখানে আপনাকে নতুন ইউজার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদি আগে রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে লগইন করুন।
ধাপ ২: রেজিস্ট্রেশন ও লগইন
- নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে।
- মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) পাঠানো হবে। এটি ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- লগইন করার পর প্রফেশনাল লাইসেন্স আবেদন ফর্ম খুলুন।
ধাপ ৩: আবেদন ফর্ম পূরণ
- আবেদন ফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, পিতার নাম ইত্যাদি পূরণ করুন।
- পেশাদার লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত তথ্য যেমন যানবাহনের ধরন (বাস, ট্রাক, মিনিবাস), অভিজ্ঞতা, ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য দিন।
- ফর্মে সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড
আপনাকে কিছু স্ক্যানকৃত ডকুমেন্ট আপলোড করতে হতে পারে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কপি
- মেডিকেল সার্টিফিকেট (ড্রাইভিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয়)
- প্রফেশনাল ড্রাইভিং ট্রেনিং সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই স্পষ্ট এবং আপডেটেড হতে হবে।
ধাপ ৫: ফি পরিশোধ
- আবেদন ফি অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, বা ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে পরিশোধ করা যাবে।
- পেমেন্ট সফল হলে একটি ট্রানজেকশন রিসিপ্ট বা সংখ্যা সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৬: পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
- অনলাইন আবেদন করার পরে আপনাকে ড্রাইভিং পরীক্ষা (লিখিত ও প্রাক্টিক্যাল) এর তারিখ দেওয়া হবে।
- পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট BRTA অফিস এ উপস্থিত থাকতে হবে।
ধাপ ৭: লাইসেন্স গ্রহণ
- পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আপনার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে বা অফিস থেকে সংগ্রহের জন্য নোটিফিকেশন দেওয়া হবে।
- লাইসেন্স সংগ্রহের সময় পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
💡 প্রয়োজনীয় টিপস:
- সব তথ্য সঠিকভাবে দিন, ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
- অনলাইন আবেদন করার পর ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই মূল কপি পরীক্ষা জন্য সঙ্গে রাখুন।
- পেমেন্ট রিসিপ্ট এবং আবেদন সংখ্যা নিশ্চিতভাবে সংরক্ষণ করুন।