“মন ভালো রাখার ৫টি সহজ উপায় খিটখিটে মেজাজ দূর করার জন্য”

Spread the love

আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় আমরা সবাই কখনও না কখনও খিটখিটে মেজাজে পড়ি। ছোটখাট অসুবিধা, চাপ বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আমাদের মন খারাপ করে দিতে পারে। তবে খিটখিটে মেজাজ শুধু আমাদের নিজের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে না, বরং পারিপার্শ্বিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে। এজন্য মন ভালো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ভালো মেজাজ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি দেয়। এই নিবন্ধে আমরা শেয়ার করব “মন ভালো রাখার ৫টি সহজ উপায় খিটখিটে মেজাজ দূর করার জন্য”, যা প্রতিদিনের জীবনে সহজভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং খিটখিটে মেজাজ দূর করে মনকে শান্ত ও সতেজ রাখে। 

১। নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন

খিটখিটে মেজাজ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা। আমরা প্রায়ই ভাবি, ব্যায়াম শুধু ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন (Endorphin) নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে সুখানুভূতি তৈরি করে। ধরুন, কাজের চাপ বা বিরক্তিকর পরিস্থিতি আপনাকে খিটখিটে করে তুলেছে। আপনি ১০–১৫ মিনিট হালকা হাঁটা শুরু করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, মন শান্ত হয় এবং নেতিবাচক চিন্তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।

সঠিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক প্রস্তুতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় মনোযোগ ও সাফল্য নিশ্চিত করে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করা ছাত্রছাত্রীদের দৃশ্য।

ছোটখাট উদাহরণ হিসেবে ভাবুন: রিফাত সকালে তার স্কুল যাওয়ার আগে বারান্দায় ১০ মিনিট হাঁটেন। কিছুদিনের মধ্যেই সে লক্ষ্য করল যে, ছোটখাট জিনিসে রাগ হওয়া বা বিরক্তি অনেকটা কমে গেছে। এই ছোট অভ্যাস তার পুরো দিনকে আনন্দময় করে তোলে। শুধু হাঁটাই নয়, হালকা যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা সাইক্লিং করাও একইভাবে কাজ করে।

এছাড়াও, ব্যায়াম মস্তিষ্ককে ফোকাস করতে সাহায্য করে। যখন আপনি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন, মন কম চাপগ্রস্ত হয় এবং চিন্তাভাবনা পরিষ্কার হয়। এই কারণে, খিটখিটে মেজাজ দূর করার জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০–৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা অভ্যাসে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সুতরাং, প্রথম ধাপ হিসেবে আপনি শুরু করুন ছোট ছোট হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে। সকালে বা সন্ধ্যায় কিছু সময় বের করুন, ফোন বা কাজের চিন্তা ছেড়ে শুধু নিজের জন্য সময় কাটান। এটি মন ভালো রাখার প্রথম এবং সবচেয়ে সহজ উপায়।

২। গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং মেডিটেশন অনুশীলন করুন

খিটখিটে মেজাজ দূর করার আরেকটি সহজ এবং প্রমাণিত উপায় হলো গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস ও মেডিটেশন। আমরা প্রতিদিন নানা চাপ, উদ্বেগ এবং ব্যস্ততার মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যাই। কিন্তু সহজ কিছু শ্বাসপ্রশ্বাসের কৌশল মস্তিষ্ককে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। যখন আপনি গভীরভাবে শ্বাস নেন, শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে, এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।

একটি শান্ত এবং আরামদায়ক ঘরে বসে মেয়েটি চোখ বন্ধ করে মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানসিক শান্তি অর্জন করছে।
দৈনন্দিন জীবনের চাপ ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস প্রশ্বাস অনুশীলন করুন।

ছোট উদাহরণ হিসেবে ভাবুন, শিরিনের দিনটি শুরু হয় খিটখিটে মন নিয়ে। সে কাজের চাপ নিয়ে বিরক্ত বোধ করছে। এরপর সে ৫–১০ মিনিট গভীর শ্বাসের মাধ্যমে মেডিটেশন শুরু করে। প্রথম কয়েক মিনিটেই সে তার মনকে শান্ত করতে পারে এবং নেতিবাচক চিন্তা কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে শিরিন বুঝতে পারে, শরীর আর মস্তিষ্ক উভয়ই অনেক হালকা লাগছে।

এছাড়াও, মেডিটেশন শুধু মানসিক শান্তি দেয় না, এটি মস্তিষ্কের ফোকাস এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে বা রাতে মাত্র ১০ মিনিট মেডিটেশন করলে আপনার মেজাজের ওঠানামা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছু সহজ পদ্ধতি হল – চোখ বন্ধ করে নরমভাবে শ্বাস নেওয়া, প্রত্যেক শ্বাসের সাথে “শান্তি” বা “খুশি” ধ্যান করা, অথবা প্রিয় সঙ্গীতের সঙ্গে ধ্যান করা।

গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং মেডিটেশন এক ধরনের মানসিক ব্যায়াম। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং খিটখিটে মনকে নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রতিদিনের রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি দেখতে পাবেন যে ছোটখাট সমস্যার কারণে খিটখিটে হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে।

৩। প্রিয় হবি বা শখে সময় দিন

খিটখিটে মেজাজ দূর করার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় হলো আপনার প্রিয় হবি বা শখে নিয়মিত সময় দেওয়া। আমরা প্রায়ই ব্যস্ততার কারণে নিজের জন্য কিছু করার সময় পাই না। কিন্তু প্রিয় কাজ বা হবি আমাদের মনকে আনন্দ দেয়, চাপ কমায় এবং মানসিক প্রশান্তি বাড়ায়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাট সমস্যার উপর মনোযোগ কমাতে সাহায্য করে।

"একজন নারী তার প্রিয় শখে ব্যস্ত, ঘরে আরামদায়ক পরিবেশে বসে বই পড়ছে বা ছবি আঁকছে, শান্তি ও আনন্দ উপভোগ করছে।"
“প্রিয় শখে সময় কাটানো মানসিক শান্তি ও আনন্দ বাড়ায়, দৈনন্দিন জীবনের চাপ কমায়।”

উদাহরণস্বরূপ, নূর তার খিটখিটে মেজাজ নিয়ে বিরক্ত থাকল। সে তার প্রিয় হবি – বই পড়া বা আঁকা শুরু করল। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে লক্ষ্য করল যে, তার মন শান্ত হচ্ছে এবং মন খারাপের অনুভূতি কমছে। প্রিয় কাজ করলে মস্তিষ্কে সুখানুভূতির হরমোন নিঃসৃত হয়, যা স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

শখ বা হবি যেকোনো ধরনের হতে পারে – গান শোনা, নাচ করা, রান্না, ছবি আঁকা, বাগান করা বা পাজল সমাধান করা। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি এমন কিছু হওয়া উচিত যা আপনার মনের আনন্দ দেয়। প্রতিদিন অন্তত ১৫–৩০ মিনিট নিজের প্রিয় কাজের জন্য সময় বের করুন। এটি কেবল খিটখিটে মেজাজ কমাবে না, বরং মনকে দীর্ঘমেয়াদে শান্ত, সতেজ এবং সৃজনশীল রাখবে।

ছোট উদাহরণ হিসেবে ভাবুন, আয়েশা কাজে ক্লান্ত হয়ে ঘরে এসে তার প্রিয় গান শোনে। গান শুনতে শুনতে সে তার উদ্বেগ এবং খিটখিটে মনকে একেবারে ছেড়ে দেয়। সে তার মনের নেতিবাচক ভাবনাগুলো দূরে সরিয়ে শান্তি অনুভব করে। এই অভ্যাস দিনে দিনে তার মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায় এবং খিটখিটে মেজাজের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়।

সুতরাং, ধাপ ৩ হিসেবে নিজেকে সময় দেওয়া, প্রিয় হবি বা শখে নিয়মিত যুক্ত হওয়া মন ভালো রাখার জন্য খুবই কার্যকর। এটি ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত তৈরি করে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপকে কমায়।

৪। ইতিবাচক চিন্তা ও ধন্যবাদ অনুশীলন করুন

মন ভালো রাখার আরেকটি শক্তিশালী উপায় হলো ইতিবাচক চিন্তা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুশীলন করা। আমরা প্রায়ই নেতিবাচক বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিই, যা খিটখিটে মেজাজকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের জীবন ও পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলোর মধ্যে ছোট ছোট ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করলে, মন শান্ত এবং আনন্দময় থাকে।

প্রতিদিনের ছোট ছোট সুখ ও কৃতজ্ঞতা চর্চা মানসিক শান্তি এবং ইতিবাচক মনোভাব আনতে সাহায্য করে।
ইতিবাচক চিন্তা ও ধন্যবাদ অনুশীলন করুন

উদাহরণস্বরূপ, রিমি কাজের চাপ বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি নিয়ে বিরক্ত বোধ করছিল। সে তার দিনটি বিশ্লেষণ করতে বসে এবং ভাবল, “আজ আমি দুইজন বন্ধুকে সাহায্য করেছি এবং রাস্তায় সুন্দর সূর্যোদয় দেখেছি।” এই ধরণের ইতিবাচক মনোভাব তার মেজাজ পরিবর্তন করে এবং খিটখিটে অনুভূতিকে কমিয়ে দেয়।

একটি সহজ উপায় হলো প্রতিদিন সকালে বা রাতে ধন্যবাদ লিখার অভ্যাস রাখা। ৫–১০ মিনিট সময় নিয়ে দিনটির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা – যেমন, স্বাস্থ্য, পরিবার, বন্ধু, বা সাফল্য – মনকে প্রশান্তি দেয় এবং মানসিক চাপ কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধন্যবাদ চর্চা করা মানুষকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে এবং খিটখিটে মেজাজ কমায়।

ছোট উদাহরণ: আকাশ তার জীবনের ছোটখাট সুখের জন্য একটি নোটবুকে লিখে। দিন শেষে সে দেখল, তার মধ্যে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে যা সে আগে অবহেলা করত। এটি তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কমায়।

সুতরাং ধাপ ৪ হলো – প্রতিদিন ইতিবাচক চিন্তা করুন, ছোট ছোট আনন্দ এবং ধন্যতার মুহূর্তগুলো খুঁজুন। এটি খিটখিটে মেজাজ দূর করে, মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

৫। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করুন

মন ভালো রাখার শেষ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করা। আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে, আমাদের মেজাজের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের খাবার ও ঘুম। খিটখিটে মেজাজের অনেক কারণই আসে খাদ্য ও ঘুমের অনিয়ম থেকে। সুতরাং, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের মনকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।

মন ভালো রাখার উপায়, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্যে যত্ন, খিটখিটে মেজাজ দূর করা
স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছে এমন একজন তরুণ, মানসিক শান্তি এবং মন ভালো রাখার জন্য।

উদাহরণস্বরূপ, রিফাত সকালে নাস্তা না করে স্কুলে যায় এবং দুপুরে অস্বাস্থ্যকর খাবার খায়। তার মধ্যাহ্নকালীন ক্লাসে মন খিটখিটে এবং মনোযোগ কম থাকে। কিন্তু যখন সে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শুরু করে – যেমন ফল, শাকসবজি, দানা, প্রোটিন – এবং প্রতিদিন রাতের পর্যাপ্ত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম নেয়, তখন সে লক্ষ্য করে তার মন অনেক শান্ত এবং ভালো থাকে।

পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক খাবার শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে পুনরায় চাঙ্গা করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, সুস্থ খাদ্য যেমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, এবং মিনারেল মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, মন ভালো রাখে এবং খিটখিটে অনুভূতি কমায়।

ছোট উদাহরণ: আয়েশা দিনে অতিরিক্ত চিপস বা মিষ্টি খায়, রাতে কম ঘুমায়। তার খিটখিটে মন বেড়ে যায় এবং স্কুল বা কাজের ফোকাস কমে। তবে সে যখন নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়, তার মন ইতিবাচক ও শান্ত থাকে।

সুতরাং, ধাপ ৫ হলো – স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুমকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা। এটি শুধুমাত্র খিটখিটে মেজাজ দূর করে না, বরং দৈনন্দিন জীবনে মনকে সতেজ, শক্তিশালী এবং আনন্দময় রাখে।

উপসংহার

খিটখিটে মেজাজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই সমস্যা তৈরি করে, তবে কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা মন ভালো রাখতে পারি। নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস ও মেডিটেশন, প্রিয় হবি বা শখে সময় দেওয়া, ইতিবাচক চিন্তা ও ধন্যবাদ চর্চা, এবং সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম—এই পাঁচটি ধাপই আমাদের মনকে শান্ত, সতেজ এবং খিটখিটে অনুভূতি থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। 

প্রতিদিন ছোট ছোট প্রচেষ্টা করলে, আমরা মানসিক চাপ কমাতে এবং জীবনের ছোট খুশিগুলো উপভোগ করতে পারি। মনে রাখুন, সুখী মন স্বাস্থ্যকর জীবন এবং সুন্দর সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। তাই আজই শুরু করুন, ধাপে ধাপে মন ভালো রাখার এই সহজ উপায়গুলো বাস্তবায়ন করুন।

Leave a Comment

You cannot copy content of this page