এই বর্ষায় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পট

Spread the love

পর্যটন (ইংরেজি: Tourism) এক ধরনের বিনোদন, অবসর অথবা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বুঝায়। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যিনি আমোদ-প্রমোদ বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে অন্যত্র ভ্রমণ করেন তিনি পর্যটক নামে পরিচিত। ট্যুরিস্ট গাইড, পর্যটন সংস্থা প্রমূখ সেবা খাত পর্যটনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – উভয়ভাবেই জড়িত রয়েছে।

১. বরিশালের লাল শাপলার বিল

এক পলকে মনে হবে, লাল শাপলার কোনো চাদর। পুরো বিল জুড়ে বিছানো শাপলা। তাই গ্রামটির নামই হয়ে গেছে ‘শাপলা বিল’। সবাই এই নামে ডাকে উত্তর সাতলা গ্রামটিকে।

এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে বরিশাল জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে।

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামে প্রাকৃতিকভাবে শাপলার এই বিলটি তৈরি হয়েছে। সাধারণত সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে এই বিলে লাল শাপলা ফোটে। তখন সেই সৌন্দর্য দেখতে আশেপাশের অনেক জেলা থেকে মানুষ এসে ভিড় করেন।

বরিশাল জেলার ওয়েবসাইটে বর্ণনা করা হয়েছে, ঠিক কত বছর ধরে বিলে এভাবে শাপলা জন্মাতে শুরু করেছে সঠিকভাবে সে তথ্য কেউ দিতে না পারলেও স্থানীয় ষাটোর্ধ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, তাদের জন্মের পর থেকেই এ বিলে এভাবে শাপলা ফুটতে দেখছেন তারা। বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন এ বিলে লাল, সাদা ও বেগুনি রঙয়ের তিন ধরনের শাপলা জন্মালেও লাল শাপলার আধিক্য বেশি।

২. পিরোজপুরের ভিমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাজার

তাজা শাকসবজি, ফলমূলের পসরা সাজানো ভাসমান বাজারের কথা ভাবলে প্রথমে মাথায় আসে ফিলিপাইনের কাবিয়াও বা থাইল্যান্ডের ড্যামনোয়েন সাদুয়াক বাজারের নাম। তবে, বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগেও যে এমন কয়েকটি ভাসমান বাজার আছে, তা জানা নেই অনেকের।

তাজা শাকসবজি, ফলমূলের পসরা সাজানো ভাসমান বাজারের কথা ভাবলে প্রথমে মাথায় আসে ফিলিপাইনের কাবিয়াও বা থাইল্যান্ডের ড্যামনোয়েন সাদুয়াক বাজারের নাম। তবে, বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগেও যে এমন কয়েকটি ভাসমান বাজার আছে, তা জানা নেই অনেকের। পিরোজপুরের ভাসমান পেয়ারা বাজার সেগুলোর মধ্যে একটি। পেয়ারার মৌসুমে এই ভাসমান বাজারে বেচাকেনা হয় সর্বোচ্চ।

বাজারের অবস্থান

ভাসমান পেয়ারার বাজারটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার অন্তর্গত স্বরূপকাঠির কীর্তিপাশা খালের উপর অবস্থিত। সাধারণত পেয়ারার মৌসুম শুরু হয় জুলাই মাসে, চলে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই পাইকারি বাজারের দেখা পেতে হলে সেখানে যেতে হবে জুলাইয়ের শেষ দিকের সময়টাতে।

যেভাবে যাবেন পেয়ারা বাজারে

‘পেয়ারা বাজারে যাওয়ার জন্য দুই দিন সময় হাতে থাকলে, রাতের লঞ্চ যাত্রা হবে সবচেয়ে আরামের। সেজন্য প্রথমে সদরঘাট থেকে উঠতে হবে বরিশালগামী লঞ্চে। লঞ্চ থেকে নামার পর সিএনজি বা অটোতে করে যেতে হবে বানারীপাড়া লঞ্চ ঘাটে। সেখান থেকে ট্রলার বা নৌকা ভাড়া করে পৌঁছাতে হবে ভিমরুলি নামক স্থানে।’

তবে পদ্মা সেতুর কল্যাণে দুই দিনের যাত্রা শেষ করা যাবে একদিনেই, যা কিছুদিন আগেও প্রতিকূল আবহাওয়া ও নদী পারাপারের বিপদশঙ্কা আর সময়সাপেক্ষতা এত দ্রুত ফেরি পারাপারকে করে তুলেছিল অচিন্তনীয়। এখন মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার বাস যাত্রায় যাওয়া যাবে পিরোজপুরে। অর্থাৎ, খুব ভোরে রওয়ানা দিলে দুপুরের মধ্যেই দেখা যাবে বাজারের জমজমাট পরিবেশ। সারাদিন বাজার ঘুরে আবার রাতেই ফিরে আসা যাবে চিরচেনা রাজধানীতে।

৩. পদ্ম ফুলে সেজেছে রাজবাড়ীর বুড়োর বিল

চোখ জুড়ানো সবুজ দিগন্ত বিলে গাড় সবুজ পাতার মাঝে হালকা গোলাপি রংয়ের পদ্ম ফুলের উঁকি। ফোটা পদ্মের সাথে কুঁড়িগুলো মাথা তুলেছে নতুন করে ফোটার আশায়। সবুজ পাতা আর গোলাপী পদ্মের মিলন মেলায় মনের আনন্দে নির্ভয়ে বিচরণ করছে পানকৌড়ি আর ডাহুক। ফুটন্ত পদ্মের মাথায় খেলা করছে প্রজাপতি আর ভ্রমরের দল। প্রকৃতির এমন প্রেমের আলিঙ্গণের নয়নাভিরাম অপরূপ দৃশ্যের দেখা মিলেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মটবাড়িয়া পদ্ম ফুলের বিলে। জেলার এ পদ্ম বিলটি বর্তমানে বুড়োর বিল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

হালকা গোলাপি রংয়ের পদ্ম ফুলের সৌরভ ও সৌন্দর্য যেমন মানুষের মনকে আকর্ষণ করে তেমনি খাদ্য ও ঔষধিগুনে সমৃদ্ধ এ ফুল অনেক জনপ্রিয়। পদ্ম ফুল অনেকের কাছে আবার বিশুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতিক হিসেবে গণ্য।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মাঠবাড়িয়া বুড়োর বিল। গত তিন দশক ধরে বর্ষাকালে এ বিলে ফোটে গোলাপী রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুল। তবে গত দুই বছর ধরে প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এটি মাঠবাড়িয়ার পদ্মবিল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। অপরূপ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

আরও পড়ুন

সর্বজনীন পেনশনের জন্য যেভাবে আবেদন করবেন

প্লাস্টিক দূষণ: আমাদের করণীয়

বর্ষাকালে কাপড় শুকানো ও ঘর–বিছানার স্যাঁতসেঁতে ভাব কমানোর উপায়

৪.  নিকলি হাওর

হাওরগুলো বরাবরই পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের জন্য অন্যতম প্রিয় স্থান। সেই তালিকায় সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলি হাওর। এর একটি বড় কারণ, হাওরের মাঝ দিয়ে চমৎকার একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সেই রাস্তার দুই পাশে হাওর। কিছুদূর পর পর বসার ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকার একটি পত্রিকার সাংবাদিক জিয়াউর রহমান প্রায়ই পরিবার-পরিজন নিয়ে নিকলি হাওরে বেড়াতে যান।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, নিকলি হাওর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে ঢাকা থেকে একদিনে গিয়ে একদিনেই ফিরে আসা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওরও আমি পছন্দ করি, কিন্তু সেটা তো একদিনে ভ্রমণ সম্ভব না।

‘আরেকটা ব্যাপার হলো, নিকলি হাওরে সাবমার্জিবল রোড আছে। অর্থাৎ বর্ষার সময় রাস্তাটা অনেক সময় পানির নীচে থাকে। তখন রাস্তাটা ধরে অনেকদূর চলে যাওয়া যায়। কাছেই রাতারগুলের মতো একটা জলাবন আছে। ফলে সেখানে গেলে সব ধরনের আমেজ পাওয়া যায়,’ তিনি বলছিলেন।

নিকলি হাওরে নৌকা নিতে ঘোরার সুযোগ আছে।

৫. মৈনট ঘাট

ঢাকার কাছেই দোহার উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরের এ জায়গাটি পরিচিত পেয়েছে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসাবে। কারণ নদী তীরে বালুকাবেলা আর পদ্মা নদীর ঢেউ মিলে অনেকটা সমুদ্র তীরের আদল আসে।

পর্যটকদের আনাগোনার কারণে এখানে নদী তীরে সমুদ্র সৈকতের মতোই ছাতাসহ বসার ব্যবস্থাও তৈরি হয়েছে। আশেপাশে রয়েছে অনেক খাবারের দোকান।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শাহনাজ চৌধুরী কিছুদিন আগে মৈনট ঘাট ঘুরে এসেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘ঢাকার কাছে মাত্র দুই ঘণ্টায় যাওয়া যায়। নদীর তীরে বিকেলে বসে থাকলে খুব ভালো লাগে। বাচ্চারা যেন কক্সবাজারের একটা স্বাদ পেয়েছে।’ ঢাকা থেকে বাস বা সিএনজি যোগে মৈনট ঘাট যাওয়া যায়।

৬. চাঁদপুর ও চাঁদপুরের চর

ঢাকা থেকে আরামদায়ক লঞ্চে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সুযোগ থাকায় অনেকের কাছে ভ্রমণের আরেকটি পছন্দের জায়গা হিসাবে গড়ে উঠেছে চাঁদপুর। ইলিশ মাছের মোকাম হিসাবে বিখ্যাত চাঁদপুরে যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে তাজা মেঘনা নদীর ইলিশ খাওয়া ও কিনে আনা।

সেই সাথে মেঘনা নদীর মাঝে গড়ে ওঠা একটি চর পিকনিক পার্টির কাছে আরেকটি মিনি কক্সবাজার হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে লঞ্চ নিয়ে এই চরে পিকনিক করতে যান।

৭. রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest)। এটি সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। রাতারগুল বনটি প্রায় ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই বিস্তৃর্ণ এলাকার ৫০৪ একর জায়গায় রয়েছে বন আর বাকি জায়গা ছোট বড় জলাশয়ে পূর্ণ। তবে বর্ষায় পুরো এলাকাটিকেই দেখতে একই রকম মনে হয়।

রাতারগুল ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। রাতারগুল জলাবন বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন জলে ডুবে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায়। অনেক পর্যটক রাতারগুলকে ‘বাংলাদেশের আমাজন’ হিসাবে অভিহিত করেন। বর্ষায় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান প্রজাতির পাখি, আবার তখন কিছু বন্যপ্রাণীও আশ্রয় নেয় গাছের ডালে। এছাড়া শীতকালে রাতারগুলের জলাশয়ে বসে হাজারো অতিথি পাখির মেলা। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর (বর্ষার শেষের দিকে) পর্যন্ত রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বন, স্থানীয় বন বিভাগ এখানে হিজল, বরুণ, করচ সহ বেশ কিছু গাছ রোপণ করেন। এছাড়াও এখানে চোখে পড়ে কদম, জালিবেত, অর্জুনসহ প্রায় ২৫ প্রজাতির জলসহিষ্ণু গাছপালা। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ রাতারগুল বনের ৫০৪ একর জায়গাকে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে।

14 thoughts on “এই বর্ষায় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পট”

  1. কন্টেন্টটি পড়াকালীন মনে হলো নিজেই জায়গাগুলো বিচরণ করছিলাম। জায়গাগুলোর বর্ণনা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

    Reply
  2. বর্ষায় বরিশালের লাল শাপলার বিল পিরোজপুরের ভিমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাজার, রাজবাড়ীর বুড়োর বিল পদ্মফুলে যেমনটা সেজেছে, এই কনটেন্টি পড়তে পড়তে নিজেকে সেই স্পটগুলিতে আবিষ্কার করছিলাম তেমনি সাজে। এই দর্শনধারী স্সটের সাথে আরো আছে নিকলি হাওর, মৈনট ঘাট,চাঁদপুরের চর, রাতাগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। খুব সুন্দর একটি কনটেন্ট।

    Reply
  3. বর্ষাকাল মানেই ভ্রমণ পিপাসুদের এক উত্তেজনার মুহূর্ত। হালকা মেঘ তুলোর মত যেমন ভেসে বেড়ায় তেমনি ভ্রমণ পিপাসুদের মন ও এক স্থান থেকে ঘুরে বেড়ায় অন্য স্থানে। কিন্তু যদি হয় সেটা অচেনা জায়গা ,খুঁজে পাওয়া না যায় মনের মত গাইড লাইন তাহলে ভ্রমণের মজাটাই যেন মিথ্যে হয়ে যায় ।
    কনটেন্ট টির মাধ্যমে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্রের ঠিকানা সহ উল্লেখ করা আছে যেটি খুবই ভালো লাগলো।

    Reply
  4. আমাদের দেশ যে আসলেই রূপময় তা না দেখলে বুঝা যায় না। অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে বিখ্যাত হতে পারে। দরকার শুধু রক্ষণাবেক্ষণ, জনসচেতনতা, সঠিক প্রচার এবং সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ। ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটার জন্য। আমি নিজেও এখানের দুটি স্পট ছাড়া বাকিগুলির নাম জানতাম না।

    Reply
  5. লেখক কে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর করে সহজ ভাষায় এই বর্ষায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করার জন্য ।

    Reply
  6. পর্যটন এক ধরনের বিনোদন, যা এক স্থান থেকে অন্য স্থান কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বুঝায়। যিনি আমোদ-প্রমোদ বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে অন্যত্র ভ্রমণ করেন তিনি পর্যটক নামে পরিচিত। আমাদের দেশে বর্ষাকাল ভ্রমণের জন্য উৎকৃষ্ট সময়। এই কনটেন্টটিতে বর্ষাকালে ভ্রমণ করার মতো পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পটগুলোর ব্যাপারে লেখক বর্ননা করেছেন যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

    Reply
  7. নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ, নদীর ওপরেই গড়ে উঠেছে এই দেশের সুবিশাল ও সৌন্দর্যময় সভ্যতা!,এই সৌন্দর্য সময় নীল সভ্যতার মধ্যেই সেজে উঠেছে এদেশের পর্যটন শিল্প!,এখানকার বিভিন্ন জেলায় বর্ষায় হাঁটতে হাঁটতে ঘুরে বেড়ানোর এমন আনন্দময় পরিবেশ!,কোথায় কোথায় কোন কোন জেলায় কি কি আকর্ষণীয় ভ্রমণস্থাপত্য গড়ে উঠেছে তাই আলোচিত হয়েছে আলোচনা্য আর্টিকেলে!,ভ্রমন পিপাসু মানুষের জন্য তথ্যসামগ্রী তুলে ধরার জন্য লেখককে শুকরিয়া!

    Reply
  8. কন্টেনটি পড়ে যে আনন্দ লাগছিল নির্দ্বিধায় বলা যায় বর্ণিত জায়গা গুলোতে গেলে না জানি কতই ভালো লাগবে। এই বর্ষাকালে ভ্রমণের জন্য মনোমুগ্ধকর নদী ও ফুল থেকে ভালো আর কি বা হতে পারে। অসাধারণ একটি কন্টেন্ট এই বর্ষাকালের জন্য।

    Reply
  9. পর্যটন মানে এক ধরনের বিনোদন, অবসর অথবা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বুঝায়।যিনি বিনোদনের উদ্দেশ্যে অন্যত্র ভ্রমণ করেন তিনি পর্যটক নামে পরিচিত
    এই বর্ষায় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পট হচ্ছে-
    ১.বরিশালের লাল শাপলার বিল
    ২.পিরোজপুরের ভিমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাজার
    ৩.রাজবাড়ীর বুড়োর বিল
    ৪.নিকলি হাওর
    ৫.মৈনট ঘাট
    ৬.চাঁদপুর ও চাঁদপুরের চর
    ৭.রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

    Reply
  10. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এই বাংলাদেশ। অপরূপা এ দেশের সবুজ বন-বনানী, সুবিশাল ম্যানগ্রোভ বনরাজি, নদনদী, শ্যামল পাহাড়, বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত, প্রাচীন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ পিপাসু উৎসাহী মানুষকে আকৃষ্ট করে আসছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়।আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করার বিকল্প নেই।ঠিক তেমনি আমাদের দেশে এমন সৌন্দর্য ঘেরা জায়গা গুলো মধ্যে :বরিশালের লাল শাপলার বিল,পিরোজপুরের ভিমরুলির ভাসমান,রাজবাড়ির বুড়ো বিল,পেয়ারা বাজার,নিকলি হাওর,মৈনট ঘাট,চাঁদপুর ও চাদপুরের চর,রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এসব জায়গা যেন অন্যতম সৌন্দর্যের দিক দিয়ে।আমার বরাবরি লাল শাপলার বিল অনেক বেশি ভালো লাগে।যাওয়া হয়ছিলো অনেক বছর আগেই।এই কন্টেন্টটি পড়ার পর সেই শাপলা বিলের কথা মনে পড়ে গেলো।আনন্দময় সময়টা যেন আবার ও কল্পনাতে ভেসে উঠলো।ধন্যবাদ লেখককে।এত সুন্দর ভ্রমণ সর্ম্পকিত একটি কন্টেন্ট উপস্থাপন করার জন্য।কারণ এত ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণ আর করা না গেলেও কল্পনায় ভেসে উঠা কাটানো সেই সময়গুলো ভাবনাতে অনেক বেশি আনন্দিত দেয় বর্তমান সময়ে।

    Reply
  11. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এই বাংলাদেশ। অপরূপা এ দেশের সবুজ বন-বনানী, সুবিশাল ম্যানগ্রোভ বনরাজি, নদনদী, শ্যামল পাহাড়, বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত, প্রাচীন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ পিপাসু উৎসাহী মানুষকে আকৃষ্ট করে আসছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়।আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করার বিকল্প নেই।ঠিক তেমনি আমাদের দেশে এমন সৌন্দর্য ঘেরা জায়গা গুলো মধ্যে :বরিশালের লাল শাপলার বিল,পিরোজপুরের ভিমরুলির ভাসমান,রাজবাড়ির বুড়ো বিল,পেয়ারা বাজার,নিকলি হাওর,মৈনট ঘাট,চাঁদপুর ও চাদপুরের চর,রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এসব জায়গা যেন অন্যতম সৌন্দর্যের দিক দিয়ে।আমার বরাবরি লাল শাপলার বিল অনেক বেশি ভালো লাগে।যাওয়া হয়ছিলো অনেক বছর আগেই।এই কন্টেন্টটি পড়ার পর সেই শাপলা বিলের কথা মনে পড়ে গেলো।আনন্দময় সময়টা যেন আবার ও কল্পনাতে ভেসে উঠলো।ধন্যবাদ লেখককে।এত সুন্দর ভ্রমণ সর্ম্পকিত একটি কন্টেন্ট উপস্থাপন করার জন্য।কারণ এত ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণ আর করা না গেলেও কল্পনায় ভেসে উঠা কাটানো সেই সময়গুলো ভাবনাতে অনেক বেশি আনন্দিত দেয় বর্তমান সময়ে।

    Reply
  12. কন্টেনটি পড়ে যে আনন্দ লাগছিল বলা যায় বর্ণিত জায়গা গুলোতে গেলে না জানি কতই ভালো লাগবে।লেখক কে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর করে সহজ ভাষায় এই বর্ষায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করার জন্য ।ধন্যবাদ লেখককে।

    Reply
  13. মাশাআল্লাহ কন্টেন্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের পাশাপাশি আমাদের বালিয়াকান্দি উপজেলার “পদ্মবিল” ও উল্লেখ করা হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগছে।
    লেখককে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি কন্টেন্ট লেখার জন্য।

    Reply
  14. আমাদের দেশে বর্ষাকাল ভ্রমণের জন্য উৎকৃষ্ট সময়। এই কনটেন্টটিতে বর্ষাকালে ভ্রমণ করার মতো পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় স্পটগুলোর ব্যাপারে লেখক বর্ননা করেছেন যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।ধন্যবাদ লেখককে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

    Reply

Leave a Comment