দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা

Spread the love

দক্ষিণ কোরিয়াতে বাংলাদেশীদের জন্য কাজের ভিসা: সুযোগ, প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি

বর্তমান সময়ে দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা থাকায় দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ববাজারে একটি আকর্ষণীয় কর্মস্থানে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গন্তব্য। উন্নত জীবনমান, ন্যায্য বেতন এবং সুরক্ষিত কর্মপরিবেশের কারণে প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশী সেখানে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। চলুন জেনে নিই, কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া যায় এবং কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসার ধরন

বাংলাদেশীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজের ভিসা হলো EPS (Employment Permit System) ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

EPS ভিসার মূল বৈশিষ্ট্য:

1. প্রথম ধাপে ৪ বছরের জন্য ভিসা দেয়া হয়।

2. পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকে।

3. কাজের পরিবেশ নিরাপদ এবং বেতন প্রতিযোগিতামূলক।

4. স্বাস্থ্যবিমা, বাসস্থান সুবিধা এবং ওভারটাইম বোনাসসহ অনেক সুবিধা প্রদান করে।

ভিসা প্রাপ্তির যোগ্যতা

1. দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা রয়েছে:

2. আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।

3. শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

4. অপরাধমুক্ত এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা বাঞ্ছনীয়।

5. KLT (Korean Language Test) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

১. পদক্ষেপ ১: বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত সময়ে আবেদন আহ্বান করে।

২. পদক্ষেপ ২: প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

৩. পদক্ষেপ ৩: কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণ হতে হবে।

৪. পদক্ষেপ ৪: মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

৫. পদক্ষেপ ৫: নির্বাচিত প্রার্থীদের কাজের অনুমতিপত্র ও ভিসা প্রদান করা হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. বৈধ পাসপোর্ট
  1. জন্ম সনদ
  1. পরিচয়পত্র (NID)
  1. ভাষা পরীক্ষার সনদ

কোরিয়ান ভাষার গুরুত্ব

দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের পরিবেশে কোরিয়ান ভাষা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা না জানলে দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি সুরক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তাই EPS ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই KLT (Korean Language Test) এ ভালো ফলাফল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

কেন দক্ষিণ কোরিয়ার EPS ভিসা জনপ্রিয়?

1. বৈধ ও নিরাপদ কাজের সুযোগ

2. প্রতিমাসে আকর্ষণীয় বেতন

3. কর্মী অধিকার নিশ্চিত

4. পরিবারের জন্য টাকা পাঠানোর সহজ ব্যবস্থা

4. পুনরায় কাজের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ

সতর্কতা

  1. কোনো দালালের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। সরকার নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করাই নিরাপদ।
  2. ভুয়া প্রতিশ্রুতি বা অবৈধ পদ্ধতি এড়িয়ে চলুন।

দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা: গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা কী?

উত্তর: দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা হচ্ছে Employment Permit System (EPS) এর আওতায় প্রদত্ত একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট, যার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্ধারিত সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি পান।

প্রশ্ন ২: বাংলাদেশীরা কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা পেতে পারে?

উত্তর: বাংলাদেশ সরকার এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের যৌথভাবে পরিচালিত EPS কর্মসূচির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে আবেদন করে ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশীরা এই ভিসা পেতে পারে।

প্রশ্ন ৩: EPS ভিসার মেয়াদ কতদিন?

উত্তর: প্রথমবারের জন্য EPS ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৪ বছর ১০ মাস। এরপর ভালো কাজের মূল্যায়ন পেলে পুনরায় মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ৪: কোন কোন খাতে কাজের সুযোগ রয়েছে?

উত্তর: দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশীদের প্রধানত কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশন, ফিশারিজ এবং সার্ভিস সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ৫: EPS প্রোগ্রামে অংশ নিতে কী যোগ্যতা লাগবে?

উত্তর:

  • বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
  • অপরাধমুক্ত এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা ভালো।

প্রশ্ন ৬: কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষা কবে হয়?

উত্তর: প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে ভাষা পরীক্ষা (KLT) নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়।

প্রশ্ন ৭: EPS ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কী?

উত্তর: 

১. প্রাথমিক আবেদন ও নিবন্ধন।

২. কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।

৩. স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা।

৪. কাজের জন্য নির্বাচিত হওয়া।

৫. ভিসা ইস্যু ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া।

প্রশ্ন ৮: EPS এর জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?

উত্তর:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • জন্ম সনদ
  • ভাষা পরীক্ষার সনদ
  • মেডিকেল রিপোর্ট

প্রশ্ন ৯: কোরিয়ান ভাষা জানা কতটা জরুরি?

উত্তর: কোরিয়ান ভাষা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কাজের সময়, নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য ভাষার দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ১০: দালাল ছাড়াই কি EPS এর মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব?

উত্তর: হ্যাঁ, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সরাসরি প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে। কোনো দালালের মাধ্যমে না গিয়ে, সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতেই আবেদন করা নিরাপদ ও সঠিক।

প্রশ্ন ১১: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে কি কোনো ফি লাগে?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে সাধারণত সরকার নির্ধারিত নামমাত্র ফি লাগে। তবে দালালের মাধ্যমে আবেদন করলে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়, যা প্রতারণা। তাই সরকার নির্ধারিত ফি দিয়েই আবেদন করা উচিত।

প্রশ্ন ১২: কোরিয়ান ভাষা কোর্স কোথায় শিখতে পারি?

উত্তর: বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেকনিক্যাল স্কুল এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান ভাষা শেখানোর কোর্স পরিচালনা করে। EPS-TOPIK পরীক্ষার জন্য এসব কোর্স সহায়ক।

প্রশ্ন ১৩: EPS ভিসার জন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পাওয়া যায়?

উত্তর: বাংলাদেশের BMET (www.bmet.gov.bd) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার HRD Korea (www.eps.go.kr) ওয়েবসাইট থেকে EPS প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৪: EPS ভিসায় কাজের পরিবেশ কেমন?

উত্তর: EPS ভিসায় কাজের পরিবেশ সাধারণত নিরাপদ এবং আইনি সুরক্ষা রয়েছে। শ্রমিকরা মাসিক বেতন, ওভারটাইম, ছুটি এবং বাসস্থান সুবিধা পেয়ে থাকেন।

প্রশ্ন ১৫: EPS ভিসায় পরিবার নেওয়ার সুযোগ আছে কি?

উত্তর: EPS ভিসা সম্পূর্ণভাবে একক শ্রমিকের জন্য। পরিবার নেওয়ার সুযোগ নেই। ভিসার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিবার বাংলাদেশেই থাকতে হবে।

প্রশ্ন ১৬: যদি ভাষা পরীক্ষায় ফেল করি, কী হবে?

উত্তর: ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে EPS প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে পরবর্তী বছর আবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ১৭: দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে কাজ পরিবর্তন করা যায় কি?

উত্তর: সাধারণত ভিসা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ করতে হয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে (কোম্পানি বন্ধ, বেতন না পাওয়া, শারীরিক ঝুঁকি) কাজ পরিবর্তনের অনুমতি মেলে।

প্রশ্ন ১৮: EPS ভিসা শেষে দেশে ফিরলে আবার যাওয়া সম্ভব কি?

উত্তর: হ্যাঁ, সফলভাবে কাজ শেষে দেশে ফিরে নির্ধারিত সময় অপেক্ষার পর পুনরায় আবেদন করে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ১৯: EPS ভিসায় কাজের সময় মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

উত্তর: সাধারণভাবে EPS কর্মীরা প্রতি মাসে বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১.৫ থেকে ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে। ওভারটাইম থাকলে আরও বেশি আয় করা সম্ভব।

প্রশ্ন ২০: EPS ভিসায় কী ধরনের চাকরির চাহিদা সবচেয়ে বেশি?

উত্তর: দক্ষিণ কোরিয়ায় ম্যানুফ্যাকচারিং (ফ্যাক্টরি), কৃষি, মাছ ধরার কাজ এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের চাহিদা বেশি।

 প্রশ্ন ২১: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু প্রয়োজন?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ভর করে পদের উপর। তবে সাধারণত কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই আবেদন করা যায়।

প্রশ্ন ২২: EPS প্রোগ্রামে মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, নারী প্রার্থীরাও EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। তবে নারী কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু খাতে সুযোগ থাকে এবং আসন সংখ্যা তুলনামূলক কম।

প্রশ্ন ২৩: ভাষা পরীক্ষার পাস নম্বর কত?

উত্তর: ভাষা পরীক্ষায় পাস নম্বর প্রতি বছর নির্ভর করে কোটার উপর। সাধারণত ২০০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে 80-120 এর মধ্যে পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন ২৪: EPS প্রোগ্রামে কোন দপ্তর বা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে কাজ করে?

উত্তর: বাংলাদেশে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই প্রোগ্রামের আওতায় কাজ করে।

প্রশ্ন ২৫: EPS ভিসায় গিয়ে কি পড়াশোনা করা যায়?

উত্তর: EPS ভিসা শুধুমাত্র শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য। এই ভিসার মাধ্যমে পড়াশোনা করার সুযোগ নেই। তবে কিছু কোম্পানিতে ভাষা শেখার সুযোগ থাকে।

প্রশ্ন ২৬: EPS প্রোগ্রামে অংশ নিতে কি মেডিকেল টেস্ট করতে হয়?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য সরকার নির্ধারিত মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হয়।

প্রশ্ন ২৭: EPS প্রোগ্রামে কত টাকা খরচ হয়?

উত্তর: সরকারি ফি, ভাষা কোর্স ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে EPS প্রোগ্রামে আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হয়। এটি দালাল মুক্ত সরকার নির্ধারিত খরচ।

প্রশ্ন ২৮: EPS প্রোগ্রামে নির্বাচিত হলে কত সময়ের মধ্যে যেতে হয়?

উত্তর: নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণত ৩-৬ মাসের মধ্যে কাজের কাগজপত্র সম্পন্ন করে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে হয়।

প্রশ্ন ২৯: EPS ভিসায় গিয়ে কীভাবে বাসস্থান পাওয়া যায়?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে নির্বাচিত কর্মীদের জন্য নিয়োগকর্তা (কোম্পানি) বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। অনেক সময় কর্মীদের নিজস্ব খরচে বাসা ভাড়া করার সুযোগও থাকে।

প্রশ্ন ৩০: EPS প্রোগ্রামে ভিসা পাওয়ার পরে কি অন্য দেশে যেতে পারবো?

উত্তর: EPS ভিসার শর্ত অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ চলাকালীন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকেই কাজ করতে হবে। ভিসার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য দেশে কাজ করার অনুমতি নেই।

প্রশ্ন ৩১: EPS ভিসার জন্য বয়সের সর্বোচ্চ সীমা কত?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে অংশ নিতে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৯ বছর হতে হবে। বয়স এর বেশি হলে আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রশ্ন ৩২: EPS-TOPIK ভাষা পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন থাকে?

উত্তর: EPS-TOPIK ভাষা পরীক্ষায় সাধারণত শুনে বোঝা (Listening) এবং পাঠ্য বোঝা (Reading) অংশের প্রশ্ন থাকে। মূলত দৈনন্দিন কাজকর্ম, কাজের নিরাপত্তা ও সাধারণ কথোপকথনের ওপর প্রশ্ন করা হয়।

প্রশ্ন ৩৩: ভাষা পরীক্ষার ফলাফল কতদিনের মধ্যে প্রকাশ হয়?

উত্তর: ভাষা পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত পরীক্ষার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে BMET এবং EPS Korea ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন ৩৪: EPS প্রোগ্রামে ব্যর্থ হলে আবার আবেদন করা যাবে?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS প্রোগ্রামে ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে বা নির্বাচিত না হলে পরবর্তী রাউন্ডে আবার আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ৩৫: EPS ভিসা থাকলে কি কোরিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকা যাবে?

উত্তর: EPS ভিসা শুধুমাত্র অস্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য। এটি স্থায়ী বসবাস বা স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ দেয় না।

প্রশ্ন ৩৬: EPS প্রোগ্রামে কি চাকরির ধরন পরিবর্তন করা যায়?

উত্তর: কাজের কোম্পানি বা স্থান বিশেষ পরিস্থিতিতে (যেমন কোম্পানি বন্ধ, নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি) পরিবর্তন করা যায়। তবে অনুমোদিত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।

প্রশ্ন ৩৭: EPS কর্মীদের জন্য ওভারটাইম বেতনের ব্যবস্থা আছে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ করলে আইন অনুযায়ী ওভারটাইম বেতন পান, যা মূল বেতনের চেয়ে বেশি হারে নির্ধারিত হয়।

প্রশ্ন ৩৮: EPS প্রোগ্রামে কোন ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে হবে?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে দালাল, ভুয়া এজেন্সি বা অতিরিক্ত টাকা দাবি করা ব্যক্তিদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। সব আবেদন সরকার নির্ধারিত অফিসের মাধ্যমে করা উচিত।

প্রশ্ন ৩৯: EPS কর্মীদের জন্য বাংলাদেশে কোন অফিসে যোগাযোগ করতে হয়?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামের জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) বাংলাদেশের একমাত্র অনুমোদিত অফিস। স্থানীয় BMET অফিস এবং তাদের ওয়েবসাইট থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৪০: EPS কর্মীরা মাসে কত ঘন্টা কাজ করে?

উত্তর: EPS কর্মীদের সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী ওভারটাইম করতে হতে পারে, যা কোম্পানি নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী।

প্রশ্ন ৪১: EPS কর্মীরা কোরিয়ায় মাসে কতদিন ছুটি পায়?

উত্তর: EPS কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি পেয়ে থাকেন। এছাড়া বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাৎসরিক ছুটি ও সরকার ঘোষিত ছুটির দিনেও ছুটি পাওয়ার সুযোগ থাকে।

প্রশ্ন ৪২: EPS কর্মীরা কোন কোন বীমার আওতায় থাকেন?

উত্তর: EPS কর্মীরা সাধারণত স্বাস্থ্য বীমা, দুর্ঘটনা বীমা এবং কর্মসংস্থান বীমা এর আওতায় থাকেন। এতে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৪৩: কোরিয়ায় কাজের সময় কোনো সমস্যা হলে কোথায় অভিযোগ করা যায়?

উত্তর: যদি কাজের সময় কোনো সমস্যা বা অধিকার লঙ্ঘন হয়, তাহলে HRD Korea বা স্থানীয় শ্রম অফিসে অভিযোগ করা যায়। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসেও সহায়তা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৪৪: EPS কর্মীরা কি দেশে টাকা পাঠাতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS কর্মীরা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন। তাদের জন্য কোরিয়ায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ থাকে।

প্রশ্ন ৪৫: EPS প্রোগ্রামে কাজের নিরাপত্তা কেমন?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামের আওতায় কাজের পরিবেশ আইন অনুযায়ী নিরাপদ। তবে কিছু সময় ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক থাকে।

প্রশ্ন ৪৬: EPS কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরত আসতে হলে কী করতে হবে?

উত্তর: চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরতে হলে কোম্পানির অনুমতি ও শ্রম অফিসে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরে আসা যায়।

প্রশ্ন ৪৭: EPS কর্মীরা কি চাকরির পাশাপাশি অন্য কাজ করতে পারে?

উত্তর: না, EPS ভিসার আওতায় শুধুমাত্র নির্ধারিত কোম্পানিতেই কাজ করার অনুমতি আছে। অন্য কোথাও কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং অবৈধ।

প্রশ্ন ৪৮: EPS প্রোগ্রামে আবেদনকারীদের কোরিয়ান ভাষা সার্টিফিকেটের মেয়াদ কতদিন?

উত্তর: EPS-TOPIK ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সার্টিফিকেটের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে। এর মধ্যে যদি নির্বাচিত না হন, পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়।

প্রশ্ন ৪৯: EPS কর্মীরা কোরিয়ায় কি গাড়ি চালাতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে এবং কোম্পানির অনুমতি থাকলে EPS কর্মীরা কোরিয়ায় গাড়ি চালাতে পারে। তবে আগে আন্তর্জাতিক বা কোরিয়ান ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।

প্রশ্ন ৫০: EPS কর্মীদের ভিসা শেষ হলে কীভাবে দেশে ফেরা হয়?

উত্তর: ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কোম্পানি বা নিজ খরচে বিমান টিকেট কিনে দেশে ফিরতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না ফিরলে এটি অবৈধ বসবাস হিসেবে গণ্য হয়।

প্রশ্ন ৫১: EPS কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা যায় কি?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS কর্মীরা চাইলে প্রথম ৩ বছরের চুক্তি শেষে আরও ১ বছর ১০ মাস পর্যন্ত নবায়নের সুযোগ পেতে পারেন, তবে নিয়োগকর্তার সম্মতি থাকতে হবে।

প্রশ্ন ৫২: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ায় নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে?

উত্তর: না, EPS ভিসার আওতায় কোরিয়ায় ব্যবসা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ভিসা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজের জন্য।

প্রশ্ন ৫৩: EPS কর্মীরা কি ছুটিতে বাংলাদেশে আসতে পারে?

উত্তর: EPS কর্মীরা বিশেষ ছুটি বা ছুটির আবেদন করে বাংলাদেশে আসতে পারে, তবে কোম্পানির অনুমতি এবং নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

প্রশ্ন ৫৪: EPS কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় কীভাবে বাসা খুঁজতে হয়?

উত্তর: সাধারণত কোম্পানি বাসার ব্যবস্থা করে দেয়। তবে যদি কর্মী নিজের বাসা নিতে চায়, তাহলে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট অফিস (부동산) থেকে বাসা ভাড়া করতে হয়।

প্রশ্ন ৫৫: EPS কর্মীদের জন্য কোরিয়ান ভাষা শেখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: কোরিয়ান ভাষা শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাজ, দৈনন্দিন জীবন, নিরাপত্তা নিয়ম এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ভাষাজ্ঞান অত্যাবশ্যক।

প্রশ্ন ৫৬: EPS প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য কোন ধরনের পাসপোর্ট প্রয়োজন?

উত্তর: আবেদনের জন্য কমপক্ষে ১ বছরের মেয়াদযুক্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) থাকা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৫৭: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ায় ব্যাংক লোন নিতে পারে?

উত্তর: সাধারণত বিদেশি শ্রমিকদের ব্যাংক লোন নেয়ার সুযোগ সীমিত, তবে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাংকে সীমিত পরিসরে ছোট লোন নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন ৫৮: EPS কর্মীদের জন্য জরুরি ফোন নাম্বার কি?

উত্তর: EPS কর্মীরা জরুরি প্রয়োজনে 119 (অগ্নিকাণ্ড ও এম্বুলেন্স), 112 (পুলিশ), 1339 (স্বাস্থ্যসেবা) এবং 1644-8000 (EPS হটলাইন) এ ফোন করতে পারে।

প্রশ্ন ৫৯: EPS কর্মীদের কি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ছুটি দেয়া হয়?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ছুটি, সরকারি ছুটি এবং কোম্পানির নির্ধারিত ছুটির দিনেও ছুটি ভোগ করতে পারে।

প্রশ্ন ৬০: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ায় মোবাইল সিম কিনতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, বৈধ ভিসা এবং এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন কার্ড (ARC) থাকলে EPS কর্মীরা বেশ সহজেই মোবাইল সিম কিনতে এবং নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে।

প্রশ্ন ৬১: EPS কর্মীদের কোরিয়ার কোথায় বেশি কাজের সুযোগ থাকে?

উত্তর: EPS কর্মীদের জন্য মূলত কারখানা, কৃষি, নির্মাণ, মৎস্য ও সেবা খাতে বেশি কাজের সুযোগ থাকে।

প্রশ্ন ৬২: EPS কর্মীরা কোরিয়ায় কী ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়?

উত্তর: EPS কর্মীদের টি.বি, এইচ.আই.ভি, ড্রাগ টেস্ট, রক্ত পরীক্ষা, ইউরিন টেস্ট ও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়।

প্রশ্ন ৬৩: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগে?

উত্তর: হ্যাঁ, ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদপত্র (PCC) জমা দিতে হয়।

প্রশ্ন ৬৪: EPS কর্মীদের কি অবৈধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে?

উত্তর: যদি কর্মীরা ভিসার শর্ত না মানে বা সময় শেষের পর কোরিয়ায় অবস্থান করে, তাহলে তারা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য হয় এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

প্রশ্ন ৬৫: EPS কর্মীরা কি পরিবার নিয়ে যেতে পারে?

উত্তর: না, EPS কর্মীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। ভিসা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রদান করা হয়।

প্রশ্ন ৬৬: EPS প্রোগ্রামের জন্য দালালের প্রয়োজন কি?

উত্তর: EPS প্রোগ্রামে দালালের কোন প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সরকার নির্ধারিত এবং স্বল্প খরচে পরিচালিত হয়।

প্রশ্ন ৬৭: EPS কর্মীরা কি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক সুযোগ-সুবিধা পায়?

উত্তর: EPS কর্মীরা স্বাস্থ্যসেবা, দুর্ঘটনা বীমা, শ্রম আইনের সুরক্ষা সহ নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক সুবিধা পায়।

প্রশ্ন ৬৮: EPS কর্মীরা কি পেনশন সুবিধা পায়?

উত্তর: হ্যাঁ, EPS কর্মীরা পেনশন ফান্ডে অবদান রাখে এবং দেশে ফেরার সময় সেই পেনশনের টাকা ফেরত পায়।

প্রশ্ন ৬৯: EPS কর্মীদের মাসে গড়ে কত টাকা আয় হয়?

উত্তর: মাসে গড়ে EPS কর্মীরা ১৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা (কোরিয়ান ওয়োনের ভিত্তিতে) পর্যন্ত আয় করতে পারে, যা কাজ ও ওভারটাইমের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৭০: EPS কর্মীরা কি স্থানীয় কোরিয়ান ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, বৈধ কাগজপত্র থাকলে EPS কর্মীরা যেকোনো স্থানীয় ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।

প্রশ্ন ৭১: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ার ভিসা মেয়াদ শেষে অন্য ভিসায় রূপান্তর করতে পারে?

উত্তর: সাধারণভাবে EPS ভিসা অন্য ভিসায় পরিবর্তন করা যায় না। তবে বিশেষ দক্ষতা থাকলে ভবিষ্যতে অন্যান্য সুযোগ থাকতে পারে।

প্রশ্ন ৭২: EPS কর্মীরা কি ধর্মীয় স্বাধীনতা পায়?

উত্তর: হ্যাঁ, কোরিয়ায় সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে। মসজিদ, গির্জা এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।

প্রশ্ন ৭৩: EPS কর্মীরা কি ছুটিতে কোরিয়ার ভেতরে ভ্রমণ করতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, কর্মীরা ছুটি বা ফ্রি টাইমে কোরিয়ার যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারে।

প্রশ্ন ৭৪: EPS কর্মীরা কীভাবে কোরিয়ার জরুরি আইনগত সহায়তা পেতে পারে?

উত্তর: EPS কর্মীরা 1644-8000 (EPS হটলাইন) বা বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তা পেতে পারে।

প্রশ্ন ৭৫: EPS কর্মীদের সন্তান জন্ম নিলে কি নাগরিকত্ব পাওয়া যায়?

উত্তর: EPS ভিসা কর্মীদের পরিবার বা সন্তান নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। এমনকি কোরিয়ায় সন্তান জন্ম নিলেও নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন ৭৬: EPS প্রোগ্রামে আবেদন করতে কতবার সুযোগ পাওয়া যায়?

উত্তর: ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে পরবর্তী রাউন্ডে বারবার আবেদন করার সুযোগ আছে। এতে কোনো সীমা নেই।

প্রশ্ন ৭৭: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ায় নিজস্ব গাড়ি কিনতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, বৈধ কাগজপত্র থাকলে EPS কর্মীরা নিজস্ব গাড়ি কিনতে ও নিবন্ধন করতে পারে।

প্রশ্ন ৭৮: EPS কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা কী?

উত্তর: EPS কর্মীরা কোরিয়ার জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা স্কিমের আওতায় চিকিৎসা সুবিধা পায়, যা অত্যন্ত সহায়ক।

প্রশ্ন ৭৯: EPS কর্মীরা কি অবসরে গিয়ে কোরিয়ায় থাকতে পারে?

উত্তর: না, EPS কর্মীরা শুধু নির্ধারিত সময় পর্যন্তই কোরিয়ায় থাকতে পারে। অবসরের পর দেশে ফিরতে হয়।

প্রশ্ন ৮০: EPS কর্মীরা কি কোরিয়ায় পার্ট-টাইম কাজ করতে পারে?

উত্তর: না, EPS ভিসার আওতায় পার্ট-টাইম কাজ বা অন্য কোম্পানিতে কাজ করা অবৈধ। শুধুমাত্র নির্ধারিত কোম্পানিতে কাজ করতে হবে।

উপসংহার

দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। তবে সফল হতে হলে ভাষা, স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি নিলে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সুন্দর কর্মজীবন গড়ে তোলা সম্ভব।

1 thought on “দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা”

  1. ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ফয়সাল আহমেদ নিয়মিত এই সাইটে আর্টিক্যাল পোস্ট করে থাকি। তাই সাইটটি ভিজিট করে ক্যারিয়ার, দেশ-বিদেশে চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশুনা এবং ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

    Reply

Leave a Comment

You cannot copy content of this page