চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত- শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে চাকরি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন বা দরখাস্ত লিখতে হয়। সাধারণত কি কি বিষয়ে দরখাস্ত লিখতে হয় তা এক নজরে দেখে নেই-
শিক্ষা জীবন সাধারণত কি কি ধরণের দরখাস্ত লিখতে হয়-
ক) স্কুল বা কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন
খ) বেতন মওকুফের জন্য আবেদন
গ) জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন
ঘ) বিনামূল্যে লেখাপড়ার জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন
ঙ) অগ্রীম ছুটির জন্য আবেদন
চ) অনুপস্থিতির জন্য আবেদন
ছ) উপবৃত্তির জন্য আবেদন
জ) প্রশংসাপত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন
ঝ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন
ঞ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে সিটের জন্য আবেদন
চাকরি জীবনে কোন্ কোন্ বিষয়ে আবেদন লিখতে হয়-
ক) চাকরির জন্য আবেদন
খ) অগ্রীম ছুটির জন্য আবেদন
গ) অনুপস্থিতির জন্য আবেদন
ঘ) অসুস্থ্যতা জন্য ছুটির আবেদন
ঙ) বেতন বৃদ্ধির জন্য আবেদন
চ) পদোন্নতির জন্য আবেদন
ছ) কারণ দর্শানোর জন্য আবেদন
জ) চাকরি থেকে অব্যহতির জন্য আবেদন
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত | চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন বাংলা | অব্যাহতি চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত নমুনা | চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন পত্র | চাকরি থেকে অব্যাহতি পত্র
চাকরি জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে কোম্পানী বরাবর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত লিখতে হয়। সাধারণত কি কি কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত লিখতে হয় তা নিম্নরূপ-
ক) বেতন বৃদ্ধি না করার কারণে
খ) প্রমোশন না হওয়ার কারণে
গ) কাজের চাপ সামলাতে না পারার কারণে
ঘ) কোন কারণে বসের সাথে মনমালিন্যে হওয়ায়
ঙ) কোম্পানী মূল্যায়ন না করায় ইত্যাদি।
চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন বাংলা
উপরোল্লেখিত কারণে বা অন্যান্য কারণে অনেক সময় আমাদেরকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয়। আসুন আমরা জেনে নেই চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন লিখার সঠিক নিয়ম।
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত লিখার নিয়ম-
ক) আবেদনের তারিখ- আবেদনের শুরুতেই তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
খ) বরাবর- তারিখ লিখার পর একটু স্পেস দিয়ে বরাবর লিখতে হবে। তার নিচের লাইনে যার বরাবর আবেদন লিখবেন তার পদবী, কোম্পানীর নাম এবং ঠিকানা লিখতে হবে।
গ) আবেদনের বিষয়- যে বিষয়ে আপনি আবেদন লিখবেন সেই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
ঘ) মাধ্যম- কারো মাধ্যমে আবেদন করলে মাধ্যম উল্লেখ করতে হবে।
ঙ) সম্বোধন- যার বরাবর আবেদন পত্র লিখছেন তাকে সম্মানসূচক শব্দ দিয়ে সম্বোধন করতে হবে। যেমন- জনাব, স্যার, মহোদয় ইত্যাদি।
চ) সূচনা- আবেদনের মূল অংশে প্রবেশের পূর্বে সম্মান সূচক কিছু বাক্য লিখতে হয়। যেমন- যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে অথবা সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে ইত্যাদি।
ছ) মূল অংশ (বডি)- যে কোন আবেদনের প্রধান অংশ হলো বডি (মূল অংশ)। এই অংশে আবেদনের মূল কথাগুলো প্রাঞ্জল ভাষায়, অল্প কথায় গুছিয়ে লিখতে হবে।
জ) অতএব- মূল কথাগুলো উল্লেখ করার পর এই অংশে বিনয়ের সাথে আবেদন গ্রহণ করার অনুরোধ জানাতে হবে।
ঝ) নিবেদক- পরিশেষে বিনীত নিবেদক লিখে তার নিচের লাইনে নিজের নাম, পদবী, কোম্পানী ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
ঞ) স্বাক্ষর- আবেদন হাতে লিখলে শুধুমাত্র নাম লিখলেই হয় পুনরায় স্বাক্ষর দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কম্পিউটারে টাইপ করে প্রিন্ট করলে নিবেদক লিখার পর একটু স্পেস দিয়ে নাম লিখতে হবে এবং নামের উপরে ফাঁকা অংশে স্বাক্ষর করতে হবে।
চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর
CV লেখার নিয়ম | চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম জেনে নিন
চাকরি হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন পত্র লিখার নমুনা-
আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত লিখার নমুনা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
তারিখ- ১৪ মার্চ ২০২২ ইং
বরারব,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক,
ইব্রাহিম টেক বিডি
১৫, বরুন ভবন (৭ম তলা), গুলশান সার্কেল ২, ঢাকা ১২১২।
বিষয়- চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
মাধ্যম- যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী আপনার কোম্পানীতে হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত আছি। আমি গত ১লা ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে এই কোম্পানীতে যোগদান করেছিলাম। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিবারিক কারণে কোম্পানী কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আগামী ১লা মে ২০২২ইং তারিখ থেকে আমি চাকরি থেকে অব্যাহতি পেতে ইচ্ছুক।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে উক্ত তারিখে চাকরি থেকে অব্যাহতি দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনাবের মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
মাহমুদুল হাসান
হিসাব রক্ষক
ইব্রাহিম টেক বিডি
১৫, বরুন ভবন (৭ম তলা), গুলশান সার্কেল ২, ঢাকা ১২১২।